নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে..

কাঁচের দেয়াল

আমি...খুব সাধারণ একটা ছেলে,নিরামিষ টাইপ। জন্মেছিলাম কোনো একদিন,এখন মৃত্যুর জন্যে নিজেকে তৈরী করছি। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার-মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরো বেড়ে যায় জোছনা রাতে। মমতাময়ী জোছনা আর নিভু নিভু কিছু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো,আমার তো আসলেই কেউ নেই। আমার মতন অনেক নিরামিষ-মানুষ নিঃসঙ্গ,অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত-কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ-একাকিত্বের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো,তাই পৃথিবীতে আর এখন বিষাদ খুঁজি না। নিষ্পাপ শিশুর আদ্রতামাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...এইতো আমি। আরো অনেক বিচিত্র \'আমি\' কে আমি চিনি। সেসব নাহয় অন্য কোনো দিন লিখতে বসব !

কাঁচের দেয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিদ্রোহী নজরুল এর জন্যে

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

চায়ের দোকানে ভাঙা রেডিওতে বুলবুলের প্রিয় গানটা বাজছে। সে দাঁড়িয়ে আছে দোকানের ঠিক বাইরে,দরজার সামনে।



" আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন

দিল ওহি মেরা ফাস গ্যায়ি..

বিনোদ বেনীর জরীণ ফিতায়

আন্ধা ইশক মেরা কাস গ্যায়ি...



তোমার কেশের গন্ধে কখন

লুকায়ে আসিল লোভী আমার মন..... "



একটু আগে অবশ্য সে দোকানের ম্যানেজারের কাছ থেকে ছোটখাটো একটা ঝাড়ি খেয়েছে।

- এ, এ ছোকড়া! মেরে সদর কে সামনে সে হাট কে খাড়া হো যাও!! ইয়ে ভি কোয়ি রুকনে কি জাগা হ্যায়? কাহা সে আতি হ্যায় ইয়ে সাব!!



রাগী ম্যানেজার ঝাড়ি দিয়েই নিয়ম মতন ব্যস্ত হয়ে গেছে। বুলবুল একটু সরে দাঁড়িয়েছে,কিন্তু পুরোপুরি সরে যায়নি। গানটা পুরোপুরি শুনতে হবে। বাড়িতে শুনবে বলে গ্রামোফোনের জন্যে সে এই গানটার নতুন রেকর্ড কিনে এনেছে। তার বর্তমান অবস্থার সাথে গানটা পুরোপুরি মিলে যায়। কি দারুন ব্যাপার! বুলবুল আড়চোখে সামনের রঙচটা দোতলা বাড়িটার দিকে তাকালো। নাহ,এখনো আসেনি। পাঞ্জাবীর পকেট থেকে রুমালটা বের করে কপালের ঘাম মুছে নিলো। রুমালের সাথে চিরুনীটাও বের করলো । আজ সকালেই মাথায় তেল দিয়েছে। লেপ্টে থাকা চুলগুলো সে আরো একটু পরিপাটি করে নেয়। পুরো একটা আধুলি খরচ করে ইস্ত্রি করা তসরের পাঞ্জাবীটাও সে দুহাতে টেনেটুনে ঠিক করে নেয়।

..ঐ তো ! এসে গেছে !!

বাড়িটার দোতলার বারান্দায় লাল রঙ করা কাঠের রেলিং এর ঠিক ওপাশেই জোহরা দাঁড়িয়ে। ব্যস্ত ভঙ্গিতে সে ভেজা চুল মুছছে। দুপুরের রোদ তার মুখে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের ওপর পড়ে চিকচিক করছে। বুলবুল অগোছালো হাতে নাকের ডগায় চশমাটা ঠিক করে নেয়। নিজের অজান্তেই তার মুখ খানিকটা হাঁ হয়ে গেছে। কতক্ষণ ওভাবে সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জোহরা কে দেখছে তার নিজেরই হিসেব নেই। ততক্ষণে জোহরা তার দীঘল কালো চুল দুহাতের নিপুন দক্ষতায় অজানা এক যাদুবলে গুটিয়ে নিয়েছে। হাঁ করে তাকিয়ে থাকা বুলবুলের দিকে চেয়ে কেবল একটা হাসি দেয় জোহরা। সে হাসির অর্থ বুঝে উঠতে না উঠতেই বুলবুল দেখে জোহরা চলে যাচ্ছে। সবকিছু ছাপিয়ে বুলবুলের চোখ পড়ে জোহরার খোঁপায়। বুকের বাঁ পাশে মধুর যন্ত্রনা অনুভব করে বুলবুল। তার হৃদয়টা তো সেখানেই আটকে আছে !!



#শুভ জন্মদিন, বিদ্রোহী !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.