নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে..

কাঁচের দেয়াল

আমি...খুব সাধারণ একটা ছেলে,নিরামিষ টাইপ। জন্মেছিলাম কোনো একদিন,এখন মৃত্যুর জন্যে নিজেকে তৈরী করছি। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার-মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরো বেড়ে যায় জোছনা রাতে। মমতাময়ী জোছনা আর নিভু নিভু কিছু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো,আমার তো আসলেই কেউ নেই। আমার মতন অনেক নিরামিষ-মানুষ নিঃসঙ্গ,অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত-কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ-একাকিত্বের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো,তাই পৃথিবীতে আর এখন বিষাদ খুঁজি না। নিষ্পাপ শিশুর আদ্রতামাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...এইতো আমি। আরো অনেক বিচিত্র \'আমি\' কে আমি চিনি। সেসব নাহয় অন্য কোনো দিন লিখতে বসব !

কাঁচের দেয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

'জ্বরের ঘোর ও হ্যালুসিনেশন সমগ্র'

২৮ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮



# মাঝরাতেও আমার চোখের সামনে ভয়াবহ রকমের দিনের আলো। ভালোমতন তাকাতে পারছি না। আমার ভ্রু কুঁচকে আছে। টের পাচ্ছি আমি মাটিতে বসে আছি। ভালোমতন তাকানোর আগেই কার যেন খিলখিল হাসি শুনলাম। কোনোও মতে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে একটা পেয়ারা গাছ। সেই গাছের নীচু একটা ডালে বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর আন্টি বসে আছেন। উনি পা নাড়াচ্ছেন আর কটাস কটাস কামড় দিয়ে পেয়ারা খাচ্ছেন। পেয়ারা খাবার ফাঁকে ফাঁকে খিলখিল করে হেসে উঠছেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- পেয়ারা খাবা? পেয়ারা? খাবা পেয়ারা??? হিহিহিহিহিহিহি.......

আমি কিছু বললাম না। /:)



# আমি একটা আয়নাঘরে ঢুকে গেছি। চারপাশে আয়না। কিছুক্ষণের জন্যে চোখের সামনে সাদা দেখছি। মাথার ভেতরটা ফাঁকা হয়ে গেল। হঠাৎ সেখানে তীব্র লাল আলো দেখতে লাগলাম। লাল আলোটা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসতে লাগল। একসময় সেটা ছোট হতে হতে গোল একবিন্দু আলোয় রুপ নিলো। দূরে তাকিয়ে দেখলাম কাঁচাপাকা দাঁড়িওয়ালা সাদা পাঞ্জাবী পাজামা পরা একজন বুড়োমানুষ আমার দিকে এগিয়ে আসছে সেই কাঁচ ভেদ করে, তাঁর হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। সিগারেটের এই গন্ধটা আমার পরিচিত। আরেকটু কাছে আসতেই চিনতে পারলাম। আমার নানাভাই। যার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রতিটাদিন তাঁর কোলে উঠে তাঁর দাঁড়ি ধরে টানতাম পাগলের মতন। আমার শিশুমনের প্রবল আগ্রহের এই খেলার সময় ব্যাথায় তাঁর চোখে পানি এসে যেত। তবু তিনি আমাকে সেই খেলা থেকে বঞ্চিত করেননি। ছোটবেলার মতন করে আমি হাত বাড়ালাম নানাভাই এর দিকে। তখনই তিনি অদ্ভুত এক হাসি হেসে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। জ্বলন্ত সিগারেট টা শুধু মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলাম।



# ঝিকঝিক...ঝিকঝিক...আমি একটা ট্রেনে জানালার পাশে বসে আছি। দুর্বার গতিতে ট্রেন চলছে। সাইসাই করে পেছনে চলে যাচ্ছে ঘন সবুজ পাহাড়ী বন। একটু আগেই বৃষ্টি হওয়ায় ঠান্ডা বাতাস দিচ্ছে। অন্ধকার হয়ে আসছে। আমি বারবার ঘড়ি দেখছি। হিসেব মেলাতে পারছিনা। কখন ট্রেন থামবে,কখন পৌঁছাবো- এই হিসাব। আমার হাতে অনেকগুলো তাজা বেলীফুল। দারুন সুবাস ছড়াচ্ছে। যদি বেশী দেরী হয় তবে ফুল্পগুলো বাসি হয়ে যাবে। তাই আমার তাড়াতাড়ি পৌঁছানো দরকার। ট্রেন চলছে...ঝিকঝিক..ঝিকঝিক...এইতো আবার বৃষ্টি শুরু হল,ঠান্ডা পানির ছাঁট এসে মুখে লাগছে। আমি চোখ বন্ধ করলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.