নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু সিদ

আবু সিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জননীর মুখ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

ক্রোধে আমি অস্থির। রাগে আমার হাত-পা কাঁপছে। এই সকালে বেল বাজায় কে? কাল রাতে শুতে শুতে আমার চারটা বেজেছে। বাসা বদল করে গতকালই আমি এ বাসায় উঠেছি। গেটের দারোয়ানকে বলা ছিলো সে যেন কোন কারনে না ডাকে। আমার বোন কয়েক গলি পরেই থাকে। তাকেও বলা আছে। কেউ যেন উৎপাত না করে এ জন্য মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছি। সব মনে করে মুহুর্তের মধ্যে দারোয়ান ছোকড়ার ওপর আমি ক্ষেপে উঠলাম। দরজার ওপাশে কে বেল বাজাচ্ছে তা নিয়ে আমার ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি ইন্টারকমে নিচে ফোন করলাম, ফাজলামির আর জায়গা পাও না? দারোয়ানই ফোন ধরল। মিউ মিউ করে সে বলল, স্যার কি হইচে? এত সকালে ওপরে কারে আসতে দিচো? সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। কাউরে তো দিই নাই স্যার, সে বলল, কেউ ভুল কইরা বেল বাজাইছে মনে অয়। আমি অহনই আইতাচি।

আমি আবার শুলাম। একটু তন্দ্রা আসবে আসবে এমন সময় একটা বাচ্চার গলা, না, আমি যাব না। আমার ঘুম টুটে গেল। আবার উঠলাম আমি। রাগের মাত্রাটা কিছু কম এখন। দরজা খুলে আমি অবাক। পাঁচ-ছয় বছরের একটা ছেলে আর তার সাথে বছর চল্লিশের একজন পুরুষ লোক। দারোয়ান ওদের সাথে চিৎকার করছে, আপনারা কারা? ক্যান আসছেন? লোকটার চেহারা অতি বিনীত। মুখ তার কাচুমাচু। আমার দিকে তাকিয়ে তিনি অপরাধীর মতো হাসার চেষ্টা করলেন। বললেন, সরি! দারোয়ান তাদের দিকে রুঢ় ভাবে তাকিয়ে লিফটের বোতাম চাপতে চাপতে বলছে, আসেন আপনারা! লোকটা বাচ্চাটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, এখন চলো; আমরা পরে আসব। বাচ্চাটাকে কোলে তুলে লোকটা এক ছুটে লিফটের মধ্যে ঢুকে পড়ল। আমি দরজা বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লাম।

দিন কয় পরের কথা। রাত আটটা হবে। অফিস থেকে একটু আগে ফিরতে পেরেছি বলে সিড়ি বেয়েই ওপরে উঠছি। চার তলায় উঠে মুখোমুখি হলাম ছোট সেই বাচ্চাটার। আজ তার সাথে আরেক জন। আমাকে দেখে সে চমকে উঠলো।ওরা বসে আছে সিড়ির ওপর। হয়ত ভেবেছিল লিফটে কারও আসার শব্দ শুনলে সিড়ি দিয়ে নেমে যাবে! যাই হোক, বাচ্চাটার চেহারা চোখ মুখ দেখে মনে হলো সে যেন ভয় পেয়েছে। তাড়াহুড়ো করে আমার পাশ কাটিয়ে দ্রুত তারা সিড়ি দিয়ে নেমে গেল।

তাদের নিয়ে আমার মনে কোন সন্দেহ নেই। বাচ্চাটাকে প্রথম দেখার দিন ভেবেছিলাম, হয়ত ভুল করে বেল টিপেছে। হয়ত অন্য তলায় যেতে গিয়ে ভুল করে এখানে চলে এসেছে। আজ মনে আমার অজানা রহস্য। ভাবলাম, ব্যপারটা কি? দারোয়ানকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে বলল, স্যার আপনার মতো আমিও নতুন আসছি তো, অগো চিনি না। সব ফ্লাটে জিজ্ঞেস কইরা দেখি কারও আত্মীয় কিনা। আপনি চিন্তা কইরেন না স্যার। অগো আসা আমি থামাইতাচি।

দারোয়ানের আসা থামানের চিন্তা আমার ভালো লাগল না। আমি বললাম, আসা থামানোর দরকার কি? একটা ছোট বাচ্চা! আসলে আসুক। দারোয়ান বলল, সবার নিরাপত্তার ব্যাপার আছে না? তাছাড়া কারও কিছু চুরি গ্যালে সবার আগে তো আমারেই জিগাইবো।

এক সপ্তাহও পেরল না। বাচ্চাটাকে আবার দেখলাম আমি। এবার আমাদের বিল্ডিংটার সামনে। বাচ্চাটা আর তার সাথে সিড়িতে বসে থাকা লোকটা রাস্তায় হাঁটছে। তারা রাস্তা ধরে এদিক ওদিক করছে। তৃতীয় বারের মতো তাদের দেখে আমার বুকের ভিতর কষ্টকর এক রহস্য জেগে উঠলো। আমি ভিতরে ঢুকতে দারোয়ান হেসে বলল, আজকা ঢুকতে দিই নাই স্যার। সন্দেহ হইতাচে। সন্দেহের ব্যাপার বটে, আমার মনে হলো।
বাচ্চাটাকে নিয়ে আজ প্রথম আমি গভীরভাবে চিন্তা শুরু করলাম। বাচ্চাটা কে? কেন আসতে চায় এখানে? ভাবলাম, এই সপ্তাহে আমি বিষয়টা খুঁজে দেখব।

আজ অফিস ছুটি। তাড়াহুড়ো না করে তাই অনেকটা বেলা করে ঘুম থেকে উঠলাম। নিচে মুদি দোকানে ডিম কিনতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে শিশুটাকে চোখে পড়ল আমার। তার পরনে স্কুল ড্রেস। সে একটা চকলেট কিনছে। তার স্কুলের পোশাক দেখে আমার বোনের কথা মনে পড়ল। সে এই স্কুলটাতে পড়ায়।

শিশুটার সাথে কি কথা বলব এরকম ভাবছি এর মধ্যে সে পাশের গলিতে ঢুকে পড়ল। দোকানদারকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, বাচ্চাটাকে চেনেন নাকি? চিনি মানে, দোকানদার বলল, একদম ছোট বেলা থেকে দেকতেছি। ওর বাপ-চাচারে চিনি; ওর মারেও চিনতাম। ’মারেও চিনতাম’ মানে কি? আমার পিছনে অন্য ক্রেতাদের ভিড়। দোকনদার কোনরকমে বলল, পরে কথা বলমুনে ভাই। ওর মা ক্যান্সারে মরছে।

দোকানদারের কথায় আমার বুকে একটা শেল এসে বিধল। আমি বাসায় না ফিরে সোজা আমার বোনের বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমাকে এ পোশাকে দেখে আমার বোন অবাক। কি হয়েছে তোর? সে জানতে চাইল। কই কিছু হয়নি তো, ভনিতা না করে আমি বললাম, তোমাদের স্কুলে কোনো বাচ্চার মা কি ক্যান্সারে মারা গেছে? হ্যাঁ, এরকম একটা ঘটনা শুনেছিলাম, আমার বোন বলল। বাচ্চাটার বাসার ঠিকানা সে জানে কিনা আমি জানতে চাইলাম। আমার বোন অবাক হলো। সে বলল, আমি জানি না। কিন্তু তা দিয়ে তোর কি দরকার? ’পরে আসব’ বলে আমি উঠলাম।

আবার এলাম মুদি দোকানটায়। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম, বাচ্চাটার বাসা কোথায় জানেন? দোকানদার উত্তর দিলো, ঠিক মতো জানি না, তয় ওই গলিতে কাউরে জিগাইলে জানতে পারবেন। ওর বাপের নাম মুশফিক।

পর পর কয়েকটা বাড়ির দারোয়ানের সাথে কথা বলে মুশফিকের বাসাটা খুঁজে পেলাম। বাড়িটা তিন তলা। শুনলাম যে তারা তৃতীয় তলায় থাকে। সিড়ি বেয়ে উঠে তিন তলার বেল বাজালাম আমি।

শিশুটার সাথে আমার ফ্লাটে প্রথম দিন যিনি এসেছিলেন তিনি দরজা খুললেন। আমাকে দেখে হয়ত অবাক হলেন। স্মিত সেই সহজ হাসি হেসে বললেন, কাউকে খুঁজছেন? আমি বললাম, আপনি কি মুশফিক সাহেব? হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন তিনি। আমি কি ভিতরে আসতে পারি? তিনি হেসে বললেন, অবশ্যই। আসেন। আমি ভিতরে ঢুকেই বাচ্চাটাকে দেখতে পেলাম। বাচ্চাটা খেলছে। খেলতে খেলতেই সে আমাকে দেখতে পেল। হঠাৎ করে আমাকে দেখে সে যেন অবাক। হয়ত ভয়ও পেয়েছে, আমি তার বাবার কাছে বিচার দিতে আসিনি তো! মুশফিক আমায় বসতে বললেন। বসলে আমি দেখতে পাই দেয়ালে বড় করে বাঁধানো এক তরুণীর ছবি। তার ঠোটে হাসি, মুখে ¯িœগ্ধতা।

কিভাবে কথা শুরু করব বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করেই বললাম, সেদিনের ব্যাপারটার জন্য আমি দুঃখিত। মুশফিক বললেন, কোন ব্যাপার? আমি বললাম, ওই যে আপনারা গেলেন আমাদের ফ্লাটে। অপরাধীর মতো হেসে তিনি বললেন, সরি। আসলে ওভাবে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ওরা আবার গিয়েছিল নাকি? মুকিত ! মুকিত! তিনি তার ভাইকে ডাকলেন। তোমরা আবার গিয়েছিলে ওই বাসায়? মুকিত এসে কাচুমাচু মুখে দাড়িয়ে রইল। মুশফিক আফসোস করলেন, ভদ্রলোকের না জানি কত ডিস্টার্ব হয়েছে আমাদের জন্য!

মুশফিকের কথা শেষ না হতে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। বললাম, আসলে ভাই, আমি এখানে এসব বলতে আসিনি। আমি জানতে এসেছিলাম যে কোনো ভাবে আপনাদের কোনো উপকারে আসতে পারি কিনা। মুশফিক বললেন, আরে বসেন। অরি, তুমি চাচুর সাথে খেলো। আমাকে বসতে বলে মুশফিক ভিতরে গেলেন।

মিনিট দশেকের মধ্যে চা নিয়ে ফিরলেন মুশফিক। তার সেই বিনীত হাসি হেসে বললেন, মনে কষ্ট নেবেন না ভাই। আসলে ওই দিনের কথা মনে করে আমার এখনও খারাপ লাগছে। কথার দিক ঘুরাতে আমি দেয়ালের ছবির দিকে তাকালাম। বললাম, আপনার স্ত্রী নাকি? হ্যাঁ, ছিলো,মুশফিক বললেন। তার স্ত্রীর সম্পর্কে আমার জানা তথ্য নিয়ে কিছু বললাম না। মুশফিক আবার বলতে থাকলেন, আসলে আমরা ওই বাসাতে ছিলাম। প্রায় আট মাস আগে আমার স্ত্রী মারা যান। তার মৃত্যুর পর আমরা বাসাটা ছেড়ে দিই। ভেবেছিলাম, এতে আমার বাচ্চাটার ভালো হবে। মায়ের যে স্মৃতি ও-বাসার আনাচে কানাচে ছড়ানো তা তাকে কষ্ট দেবে না। কিন্তু এর ফল হলো উল্টো। এ বাসায় আসার পর সে সারাক্ষণ মন খারাপ করে থাকে। ওর মা’র কাপড় চোপড় বুকে নিয়ে ঘুমায়। একদিন বিকেলে আমি দেখি ওর মার মুখে চেপে গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করছে। কাঁদতে কাঁদতে বলছে, আম্মু তুমি কোথায় গেলে?

আমাদের চা ঠা-া হয়ে এসেছে কিন্তু কারও খেয়াল নেই সেদিকে। মুশফিক বলতে থাকলেন, সে তো আগে থেকে জানত যে তাকে চলে যেতে হবে। ও অরির জন্য আগামী দুই বছরের জামা-কাপড় কিনে সেসব গুছিয়ে রেখে গেছে। একদিন কথায় কথায় বলল, আমি না থাকলে আমার সোনা বাচ্চাটার কি হবে? যাই হোক, নিজেকে সামলে নিলেন মুশফিক। আমার বাচ্চাটা আস্তে আস্তে কেমন যেন হয়ে গেল, মুশফিক বললেন, আমি ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার বললেন, ও এখনও ওর মায়ের স্মৃতি আর তাকে পাবার স্বপ্নের মধ্যে আছে। সম্ভব হলে আবার আগের বাসায় ফিরে যান। ওর মা যেভাবে সব কিছু করত, ঘর-দোর গুছিয়ে রাখত সেভাবে সব কিছু করে দেখেন। এতে ওর ভালো লাগতে পারে। এতে ও ওর মাকে আরও ভালোভাবে অনুভব করতে পারবে। মায়ের অনুপস্থিতি ওর মনে এখনকার মতো এত বড় হয়ে বাজবে না। অবশ্য অরি মাঝে মাঝে ও-বাসায় যাওয়ার কথা বলে। আপনি ওখানে ওঠার আগে একদিন আমাকে বলল, বাবা, আমরা বাসার বেল বাজালে আম্মু কি দরজা খুলে দেবে? ও হয়ত মনে করে যে ওর মা এখনও ওই বাসায় আছে।

বুকের ভিতর আমি পাষাণ মেঘের উড়াউড়ি অনুভব করছি। অরি হয়ত এখনও বোঝে না যে ওর মাকে আর কোথাও পাওয়া যাবে না। হয়ত ও বাসায় গেলে ওর মনে হয় যে সেখানে যে কোনো জায়গা থেকে আবির্ভূত হবেন মা। কে জানে কি হচ্ছে তার মনের ভিতর!

সব শুনে নিজেকে আমার অপরাধী লাগছে। মনে হচ্ছে যেন অযথা আমি অরির অধিকার নষ্ট করে চলেছি। এখন চাচার সাথে খেলতে খেলতে হয়ত সে ভুলে গেছে মায়ের কথা। তার উঁচু গলা শোনা যাচ্ছে এখান থেকে। খেলতে খেলতে তার বলটা এদিকে চলে এল। অরিও এলো এখানে। ও বাসায় যাবে অরি? আমি বললাম অরিকে। আমার কথায় অরি যেন অবাক। সে তার বাবার দিকে তাকাল। আমি বললাম, আমার খুব খারাপ লাগছে। আপনারা যত দ্রুত পারেন ও-বাসায় চলে আসেন। আমি আজই নতুন বাসা খুঁজব।

আমার কথায় মুশফিক যেন আকাশ থেকে পড়লেন। আমি বললাম, আমার মাও মারা গিয়েছিলেন আমি ছোট থাকতে। আমার বয়স তখন বারো। আমি বড় হয়েছি আমার বোনের কাছে। এ কথা ঠিক যে অরির কষ্টের পুরোটা আমিও বুঝব না কিন্তু তার কষ্ট লাঘবের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে পারব। আমি মুশফিকের হাত চেপে ধরলাম। তার ভাই মুকিতকে বললাম, ভাই! আপনারা কোনো সংকোচ করবেন না। আশাকরি আজ কালের মধ্যে আমি একটা বাসা পেয়ে যাব। অরি যদি ওর মায়ের স্মৃতির ভিতর ভালো থাকে তাহলে আমারও অনেক ভালো লাগবে।

ওখান থেকে বেরিয়ে বাসায় ফিরলাম আমি। নাস্তা করে নিজেকে গুছিয়ে নিচে নামলাম। বাসার চাবিটা দারোয়ানকে দিয়ে বললাম, আসলে ওরা আমার আত্মীয়; আমারই ভুল হয়েছিল। ওরা আসলে দরজা খুলে দিও।
বাইশ দিনের মাথায় আবারও বাসা বদলালাম আমি। এতে আমার কষ্ট আর খরচ দুই-ই বাড়ল বটে কিন্তু তা আমাকে অপরিসীম শান্তি দিলো। বাসা বদলের এ স্মৃতি আমার সমস্ত জীবনের গর্ব হয়ে থাকবে। এটা ভেবে আমার সব সময় ভালো লাগবে যে এই পৃথিবীতে বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে কিছু করতে পারিনি বটে কিন্তু একটি শিশুর ভালোর জন্য আমি নিজের সামান্য কিছু সুখ বিসর্জন দিতে পেরেছি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প হোক আর বাস্তব হোক, ছুঁয়ে যাওয়ার মত ঘটনা । বাচ্চাটাকে ওর মায়ের স্মৃতির কাছে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ভালো হয়েছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবু সিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। এটা একটা গল্প।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

জলমেঘ বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

আবু সিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে চমৎকার ভালোলাগা ।+++++

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

আবু সিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.