নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু সিদ

আবু সিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইয়ের ইতিবৃত্ত

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

‘বই’ শব্দটিকে বাঙলা ভাষার অভিধানগুলো বিশেষ্য পদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসব অভিধানের একটিতে বলা হচ্ছে বই এর অর্থ গ্রন্থ বা পুস্তক। শব্দটি এসেছে আরবী ‘ওয়্হী’ থেকে যার মূল অর্থ দিব্যবাণী। তার থেকে অর্থ দাঁড়াল দিব্যবাণী সংবলিত গ্রন্থ। তার থেকে শুধু গ্রন্থ। [আকাদেমী বিদ্যার্থী বাঙলা অভিধান। প্রকাশক: পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি। প্রকাশকালঃ ২০মে ১৯৯৯। পৃ: ৫৫৯.]

মানব জাতির অতীত থেকে আমরা জানতে পারি, মানুষ প্রথমত কণ্ঠস্থ করার চেষ্টা করেছিল দৈববাণী বা দৈববাণী বলে সমাদৃত বাক্যপুঞ্জকে। পরে সেসব লিখিত রূপ পায়। হয়ে ওঠে মানব জাতির ইতিহাসের প্রাচীনতম পুস্তক। এমনকি মধ্যযুগ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে বৈদবাণীর বইগুলো সর্বাধিক সমাদৃত ও প্রচলিত ছিল। এর মাঝে মানুষের চির অনুসন্ধিৎসু মন উদ্ঘাটন করতে শুরু করেছিল অনুভব বোধে ও যুক্তিতে জানা সম্ভব এমন অজস্র জ্ঞান ও তথ্য। এগুলোকে তারা সঞ্চয়ের ও সংরক্ষণের জন্য যথেষ্ট উপযোগী বলে ভেবেছিলেন এবং তাদের সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা তারা নিয়েছিলেন। যেমন, কখনো তারা ব্যবহার করেছিলেন জলজ নলখাগড়া (papyrus), কখনো বা পশুর চামড়া (vellum)। সময়ের সাথে বইকে সুলভ, সহজসাধ্য ও ব্যবহারোপযোগী করার অক্লান্ত চেষ্টার ফলে বই তার আজকের রূপ পেয়েছে। আমাদের কালে বইকে সংজ্ঞায়িত করা হচেছ নানা ভাবে।

যেমন বলা হচ্ছে, “বই হলো লিখিত বা মুদ্রিত এক তাড়া কাগজ বা এ জাতীয় কিছু যার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত একত্রে বাঁধা থাকে যাতে করে বইয়ের যেকোন স্থানে সহজে পৌঁছানো যায় [ The World Book Encyclopedia:B, Vol, 2, পৃ. ৪৭৬]। যাই হোক, মধ্যযুগ নাগাদ বইয়ের সঞ্চয় আয়তনে অনেক বেড়ে উঠেছিল। এসব বইয়ের বিষয়বস্তু ছিল যাদুবিদ্যা (magic and rituals), সুদীর্ঘ কাব্য বা কাহিনী (epics and sagas), রাজবংশীয় দলিল (dynastic records), আইন (Laws), রোগ-আরোগ্যের অভিজ্ঞতা (medical experience) এবং বস্তু জগতের নানা বাস্তবতা ও তার পর্যবেক্ষণ (observations of the physical world) । প্রাচীনতম এসব গ্রন্থের মধ্যে অতি উল্লেখযোগ্য একটি বই হচ্ছে মৃতের জন্য গ্রন্থ’ (The Books of the Dead)। একটা উপহার হিসাবে সেটা মৃতের সাথে তাদের কবরে দেয়া হতো। সে বইয়ে আছে উপদেশ ও পরামর্শ। যেমন, কিভাবে মৃতের আত্মা অন্য ভূবনে যাবে এবং কী ধরণের বিচার তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এসব। বইটি লেখা হয়েছিল প্রাচীন মিশরে।

যা কিছু মানুষ বইয়ে লিখুক এবং যেভাবেই তা লিখুক ‘পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ বই ব্যবহার করে আসছে। অতীতে মানুষ কাদা-মাটি (clay tablet)-র ওপর লিখতো। আবার কাঠ কিংবা অন্য কিছুর ওপরও লিখতো। ইংরেজী বুক (book) শব্দটি এসেছে পুরনো ইংরেজী শব্দ ‘বক’ (boc) থেকে যার অর্থ লিখিত বা উৎকীর্ণ লিপি সংবলিত ফলক (tablet) বা লিখিত আস্তরণ (written sheets)।

বই লেখা প্রথম কবে শুরু হয়েছিল সে বিষয়ে আমাদের ধারনা অস্বচ্ছ। তবে যত কিছু প্রমাণ সুদূর অতীত থেকে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে তাতে মনে হয়, ২৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেও মিশরে বই লেখার প্রচলন ছিল। এসব মিশরীয় বই লেখা হতো নীলনদে জন্মানো এক জাতীয় জলজ নলখাগড়ার ওপর। এর নাম ছিল প্যাপাইরাস (papyrus)। ‘ইংরেজী পেপার (paper) বা কাগজ শব্দটি এসেছে প্যাপারাইস থেকে। মিশরীয় বইগুলো ছিল আজকের দিনের পাঁকানো সুদীর্ঘ কাগজের ফালির মতো যা কিনা আসলে পাঁকানো প্যাপাইরাসের ফালি। অন্যদিকে ব্যাবিলনের লোকেরা কাদামাটির ওপর আচড় কেটে লিখত। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারী দস্তাবেজ, গল্প বা ইতিহাস এসব লিখে রাখতো। লেখার পর তারা এগুলোকে পুড়িয়ে বা শুকিয়ে শক্ত করে নিত।

‘প্রায় তিনহাজার বছর আগে চীনাদের লেখার খবর পাওয়া যায়। তারা কাঠের বা বাঁশের পাতলা ফালির ওপর লিখে সেগুলোকে একত্রে বেঁধে বই তৈরি করত। এছাড়া ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীকদের এবং ৩০০ থেকে ১০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে রোমানদের দ্বারা লিখিত বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।

৪০০ থেকে ১৫০০ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত এশিয়া ও ইউরোপের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছিল শিক্ষাকন্দ্রে। গীর্জায় গীর্জায় যাজক এবং ভিক্ষুরা (Priests and monks), মসজিদে মৌলবীরা তখন লেখা এবং বই তৈরির চর্চাকে অব্যাহত রেখেছিলেন। তাঁরা পান্ডুলিপির আকারে বই বাঁধাই করতেন; এবং স্রেফ খালি হাতেই তা করতেন। এছাড়া ছিলেন পেশাজীবী লিখিয়ে যাদেরকে বলা হতো নকলনবিশ বা অনুলেখক। বেশিরভাগ বই তারাই লিখতেন।

এরা সাধরণত ধর্মীয় পুস্তকের অনুলিপি তৈরি করতেন। যেমন, হযরত মুহাম্মদ (স:) এর মৃত্যুর পর ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা:) পবিত্র কোরানের অংশগুলো একত্রিত করে ’ছুহুফ’ নামে কোরানের প্রথম সংকলন তৈরি করেন। ‘ছুহুফ’ একটি আরবী শব্দ যার অর্থ একগুচ্ছ পার্চমেন্ট (sheets of parchment)। [Muhammad Mustafá Azami. The History of the Quranic Text: From Revelation to Compilation: A Comparative Study with the Old and New Testaments [2nd ed.] 2011. Al-Qalam Publishing.]

এছাড়া প্রাচীন গ্রীস ও রোমে অনেক বইয়েরও অনুলিপি তৈরি হতো। এসবের পাশাপাশি নতুন কিছু লেখার তাগিদও তারা অনুভব করতেন। এসব ক্ষেত্রে খ্রীষ্ট ধর্মের ইতিহাস, বিশ্বাস বা আদর্শ এসবের ওপরে তারা লিখতেন। এভাবে ৫ম খ্রিষ্টিয় শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরও ধর্মশালাগুলোতে বই এবং বইয়ের অনুলিপি তৈরির ধারা অব্যাহত রইল। এ কালে পাদ্রী স¤প্রদায় ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পাঠক। যদিও মুদ্রণযন্ত্র তখনও অনাবিস্কৃত, অতীতের বইগুলোর অনুলিপি তৈরির কাজ তবু থেমে থাকেনি। অতীতের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বই তখন প্রচলিত ছিল, যদিও তা ছিল ব্যয় সাপেক্ষ এবং বিরল।

মুদ্রণের কাজ হাতে কলমে করার জন্য সেকালে চারধারনের অনুলেখকের উদ্ভব হয়। এরা হলেন-
নকলকারী (copyist): এরা মূল বইয়ের নকল বা অনুলিপি তৈরি করতেন।
চারুলিপিকার (caligrapher): এরা নিয়োজিত থাকতেন সুদৃশ্য বা দৃষ্টিনন্দন (Finee) বই লিখতে।
ভুল সংশোধনকারী (correctors): এরা মূল বইয়ের সাথে তৈরিকৃত সব অনুলিপি মিলিয়ে দেখে তার ভুল-ক্রুটি সংশোধন করতেন।
শিরোনামকর (Rubricators) এবং ব্যাখ্যাকার (Illuminator): শিরোনামকরেরা লাল হরফে বইয়ের শিরোনাম লিখতেন এবং ব্যাখ্যাকারেরা বইয়ের প্রয়োজনীয় অংশের ব্যাখ্যা তৈরি করতেন।

এদের সহায়তায় সেকালে নয়নাভিরাম হরেক রকম বইয়ের প্রচলন দেখা যায়। এসব বইয়ের মধ্যে কেলদের পুস্তক (Book of kells) একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন। আয়ারল্যান্ডের কেলে যে মঠ ছিল তার ভিক্ষুরা এটি তৈরি করেন। আইরিশ ভিক্ষুদের আরও একটি অবদান হলো, দুটো পাশাপাশি শব্দের মধ্যেকার ফাঁকা স্থানের প্রবর্তন করা। আগে যেখানে গ্রীক বা রোমান পুস্তক বা পান্ডুলিপির দীর্ঘ লাইনগুলোর দুটো পৃথক শব্দের ভিতর কোন শূণ্য বা ফাঁকা স্থান থাকত না সে স্থানে এরা ৭ম খ্রিষ্টিয় শতকে তার প্রবর্তন করেন। এটি বহুল প্রচলিত হতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১১শ শতক পর্যন্ত। একই সময়ে বিরাম চিহ্ন (System of punctuation) এবং বড় ও ছোট-হাতের হরফের (capital and small letters) উদ্ভব হয়। ফলে লেখা তার আজকের রূপ পায়।

গবেষকেরা মনে করেন যে, ১৫০ খ্রিষ্টাব্দেও কাগজ তৈরির পদ্ধতি চীনাদের জানা ছিল। ইউরোপে এই প্রকৌশলগত জ্ঞান পৌঁছায় ১২শ শতকে। তখন সেখানে পার্চমেন্ট বা পশু চামড়ার ব্যবহার হ্রাস পায় এবং তুলো (cotton) বা লিলেনের তৈরি কাগজের কদর বাড়ে। এর মধ্যে ১৩শ শতক না আসতে শহরে লেখাপড়া জানা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভিতর বইয়ের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে বই তৈরির সহজ এবং স্বল্প ব্যয়ের পথগুলো নিয়ে মানুষ ভাবতে থাকে এবং বাজার ভিত্তিক বইয়ের প্রচলন শুরু হয়।

১৪শ শতকের শুরুতে ইউরোপে মুদ্রিত বইয়ের চল দেখা দেয়। মূলত, এ রেওয়াজ তারা রপ্ত করেন চৈনিক সভ্যতা থেকে। যতদূর জানা যায় প্রথম মুদ্রিত বইয়ের নির্দশন মেলে চীনে ৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে। বইটির নাম ছিল ‘ডায়মন্ড সুত্র’ (Dimond Sutra)। তারা কাঠের হরফের ওপর কালি মেখে কাগজের ওপর ছাপ দিয়ে তৈরি করেন বইটি। বই ছাপাবার এ ধরণের কৌশলকে বলা হতো ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing)।
[www. wikipedia.en]

১০৪৫ সালে চীনে বই ছাপাবার অপেক্ষাকৃত উন্নত পদ্ধতির উদ্ভাবন ঘটান পাইশেং (Pi Sheng), যদিও এর কোন বিদ্যমান নিদর্শন বর্তমানে টিকে নেই। তিনি উত্তপ্ত মোমে পূর্ণ একটি অগভীর ট্রেতে বইয়ের প্রয়োজনীয় হরফগুলো পাশাপাশি রেখে এবং সমান গভীর করে সাজান ও চেপে ধরেন। তারপর ট্রেটি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। অতঃপর ট্রেটি ঠান্ডা হলে তিনি বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো মুদ্রিত করেন। বই মুদ্রণের এই পদ্ধতিকে বলা হতো চালনীয় (movable) মুদ্রণ। এ জাতীয় মুদ্রণ পদ্ধতি ১৩শ শতকে কোরিয়ায় এবং ১৪শ শতকে ইউরোপে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ইউরোপে চালনীয় মুদ্রণ পদ্ধতির প্রথমত প্রয়োগ দেখা দেয় জার্মানীর মেইনজ (Mainz) এ। সময়টা ১৪৫৩ থেকে ১৪৫৬ এর মধ্যে। এখানেই জোহান গুটেন বার্গ (Johannes Gutenberg) এবং তার সতীর্থরা মুদ্রণ যন্ত্রের উদ্ভব ঘটাতে সক্ষম হন।

প্রথমদিকে যেসব বই মুদ্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে ছাপা হয় ল্যাটিন বাইবেল তার মধ্যে অন্যতম। যদিও গুটেনবার্গ এটি ছাপেননি তবুও তার নামানুসারে এই বাইবেলের নামকরণ হয় গুটেনবার্গ বাইবেল। সম্ভবত জোহান ফোস্ট (Johann Fust) এবং পিটার শফার (Peter Schoffer) এই বাইবেলের ২০০ কপি ছাপেন যার মধ্যে ২১টি আজও অক্ষত আছে।

১৫শ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে মুদ্রণযন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। এর মধ্যে ইটালীর ভেনিস, ফ্রান্সের প্যারিস এবং ইংল্যান্ডের লন্ডনে বইয়ের মুদ্রণ এবং বাণিজ্য বেশ ভালোভাবে চলতে শুরু করে। ইংরেজীতে প্রথম কোন বই মুদ্রিত হয় আনুমানিক ১৪৭৪ সালে। বইটির নাম ছিল ‘রেচুয়েল অভ দ্য হিস্টোরিজ অভ ট্রয়’। এর অল্প কিছুকাল পরে মুদ্রিত হয় ইংরেজী কবি চসার (Geoffrey Chaucer, আনুমানিক ১৩৪৩ -১৪০০ সাল) এর কেণ্টারবেরি টেলস (Canterbury Tales) । মোটকথা,১৫শ শতক শেষ হবার আগে বই বেশ ভালোভাবে বিস্তৃত হতে থাকে প্রায় সমস্ত ইউরোপ জুড়ে। এ সময় বই তার আজকের রূপ পায়। এতে করে নকল করে বই ছাপাবার পদ্ধতি যায় থেমে। বই হয়ে ওঠে আগের থেকে শস্তা, সহজে বহনযোগ্য আর আয়তনে ছোট। এ কালে ছাপা অধিকাংশ বইয়ের থাকত একটা শিরোনাম (Title Page), সূচীপত্র (Contents), অনুক্রমণিকা (Index) এবং অবশ্যই পৃষ্ঠা নম্বর।

এসময় বাষ্পযন্ত্রচালিত মুদ্রণ যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া কাগজ তৈরি আর বই বাধাঁয়ের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব ঘটে। এ সবের ফলে বই আগের থেকে শস্তা এবং অতীতের যেকোন সময়ের থেকে দ্রুততর গতিতে ছাপানো সম্ভব হয়। এ সময়ে কাগজের মলাট যুক্ত বই (Paper-backed book) বহুল জনপ্রিয় হয়। এভাবে কয়েক শতাব্দীর অব্যাহত অর্জনের বলে ১৯শতকে বই মুদ্রণ ও প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প (mechanized industry) হিসাবে আতœপ্রকাশ করে। উদাহরণ হিসেবে পেঙ্গুনইন প্রকাশনার নাম বলা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৫-এ ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ক্রমান্বয়ে বই প্রকাশনায় বিশ্বসেরাদের একটি হয়ে ওঠে। অবশ্য ২০ শতকে এসে কম্পিউটার প্রযুক্তির উদ্ভব প্রচার ও প্রসারের কারণে বই মুদ্রণ আগের যেকোন সময়ের থেকে অনেক অনেক বেশি সহজসাধ্য হয়ে উঠেছে। আজ বই কেবল পড়ার উপকরণই নয় তা ঘর সাজাবার সামগ্রীও।

আজ একুশ শতকে কাগজের বইয়ের বিকল্প হিসেবে এসেছে ইলেকট্রনিক বই বা বুক রিডার। অনেক ধরনের বই পড়ার ডিভাইস এখন সারা পৃথিবীতে পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে কিন্ডেল (Kindle) এর নাম বলা যেতে পারে। এছাড়া পুরনো কালের মতো আজ আর মানুষ লাইব্রেরির ওপর নির্ভরশীল নয়। আজ ঘরে ঘরে পথে পথে লাইব্রেরি, শুধু থাকতে হবে মহাজাগতিক যোগাযোগ মাধ্যম বা হন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগ।

[সূত্র: Encyclopedia Americana,2004. The world Book Encyclopedia-B Vol-2. ]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

সুফিয়া বলেছেন: বই হলো লিখিত বা মুদ্রিত এক তাড়া কাগজ বা এ জাতীয় কিছু যার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত একত্রে বাঁধা থাকে যাতে করে বইয়ের যেকোন স্থানে সহজে পৌঁছানো যায়।

একটা সময় হয়তো বইকে এভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হতো। কিন্তু এখন এর পরিধি অনেক ব্যাপৃত এবং গভীরতর। আমার ধারণায় এখন বই হলো দুই মলাটের মধ্যে ধারণকৃত মানুষের আবেগ-অনুভূতি, ভাবনা-চিন্তার সমন্বয়, খোনে স্থান পায় সভ্যতা-কৃষ্টি, আবিস্কারসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা দিক।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা আর্টিকেল শেয়ার করার জন্য।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভাল পোষ্ট শেয়ার করায় ধন্যবাদ

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর তথ্যসম্বলিত পোস্টের জন্য।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১

কালের সময় বলেছেন: ভাল পোষ্ট পড়েে ভাাল লাগলো ধন্যবাদ

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: দারুণ একটা জিনিষ শেয়ার করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

এস.এম.সাইদুল আরেফীন বলেছেন: ভালো

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

আবু সিদ বলেছেন: প্রিয় পাঠক ও লেখক বন্ধুরা, আপনাদের মতামত ও ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.