নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু সিদ

আবু সিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক বোধ – ২

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

সামাজিক বোধ – ১ Click This Link

সামাজিক বোধ মানুষের তৃতীয় কোন চোখের মতো। জন্ম নিলেই মানুষ এই চোখের অধিকারী হতে পারে না। রাষ্ট্র – সমাজ – সংস্কৃতি থেকে তা আমরা শিখে থাকি। আমরা যখন দেখি অন্যের ক্ষতি করে, এমন কি কাউকে খুন করে, জায়গা মতো টাকা খরচ করতে পারলে সব ঠিক তখন সুবিধার জন্য বা প্রতিহিংসার কারনে দেদারসে মানুষ খুন হতে থাকে। অন্যদিকে চাঁদাবাজি বা ছিনতাইয়ের জন্যও যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকে তাহলে নাগরিকেরা চাঁদাবাজি বা ছিনতাই থেকে দূরে থাকতে চাইবে। তবে কোন রাষ্ট্রে আইনের কার্যকারিতা নির্ভর করে সেখানকার সমাজ ব্যবস্থার ওপরে। যেমন, অনেক দেশে ঘুষ বা দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু এসব দেশের কোন কোনটাতে মানুষ পাল্লা দিয়ে এমনভাবে ঘুষ খেয়ে যাচ্ছে যা দেখে মনে হয় ঘুষ যেন ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের কোন ওষুধ।

মানবিক সামাজিক বোধ অর্জন ও প্রতিদিনের জীবনে তা প্রয়োগ করে বেঁচে থাকা অনেক সময় অত্যন্ত কঠিন, আবার অনেক সময় তা একেবারে সহজ। কল্যাণকর বা জন-হিতৈষী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সেখানে বসবাসের কারনে প্রায় সব মানুষ মানবিক বোধ অর্জন ও প্রতিদিনের জীবনে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে মানবিক বোধ অর্জন করা গেলেও তার প্রয়োগ ঘটানো এক নিরন্তর সাধনা।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে জন্ম নিয়ে অনেক বঙ্গসন্তান ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বময়। তাদের অনেকের কাজ আজ সারা দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছে। অনেকে আবার সম্মানিত নাগরিকের জীবন যাপন করে চলেছেন পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে। সেসব দেশে তারা সর্বোচ্চ সামাজিক বোধের পরিচয় দিয়ে চলেছেন। জাপানে থাকলে তারা হাতের ময়লাটাও এক বা দুই কিঃমিঃ বহন করে ডাস্টবিনে ফেলছেন; রাস্তায়, নদীতে, খালে বা বনে নয়। সেসব দেশ আজ দুনিয়াসেরা তাদের বোধ বিবেক ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য।

কিন্তু কি যে হল এই বঙ্গভূমিতে যে এখানে বসবাসরত বঙ্গসন্তানেরা কিছুতেই আর বোধের বিকাশ ঘটাতে পারছেন না। এখানে বাসে ট্রাকে নিত্য গুতগুতি, সড়ক দূর্ঘটনায় শত লোকের প্রাণ নাশ। রাস্তাঘাট, নদীনালা ময়লার সরোবর, বেদখল খাল বিল বন জলাশয়। দারুন দারুন সব আইনও আছে এখানে কিন্তু তার দিকে অনেকের বুড়ো আঙুল। আইনের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে আইন ভঙ্গ করার সুযোগটাও তাদের বেশি। আইন তাই ভাঙছে প্রতিদিন। তবু যত বার তা ভাঙুক না কেন কোন প্লাস্টার ছাড়াই বহাল তবিয়তে বয়ে চলেছে।

আবার নিজ নিজ আত্মার দিকে যখন ফিরে তাকাই তখন দেখি আইন ভঙ্গকারী বা মেরামতকারী কেউই তো আর ভিন দেশের বা ভিন্ন গ্রহের মানুষ নন। তারা আমাদেরই আত্মীয়-বন্ধু-প্রতিবেশী। আমাদেরও যখন আইন ভঙ্গ করে কিছু পাওয়ার দরকার হয় আমরাও ছুটি তাদের কাছে। ছেলেটা বা মেয়েটাকে গোপন কোন উপায়ে যদি পাবলিক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা যেত! কিছু টাকা ঘুষ মেরে যদি একটা চাকরি বাগানো যেত! সরকারি জায়গাটা কোনোভাবে নিজের বা বউয়ের নামে করে নেয়া যেত যদি!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.