নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালের মাথায় এক ডিজিটের ভুত

১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

সুদের হার এক ডিজিটে নামিয়ে আনার জন্য প্রানান্ত চেষ্টা অব্যহত আছে। যে করেই হোক ঋনের সুদ এক ডিজিটে নামিয়ে আনতে হবে এ সিদ্ধান্তটা অনেকটা যে করেই হোক “একটা মুরগীকে দিনে দেড়খানা ডিম পাড়তেই হবে” এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার মত।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য আমানতে সুদের হার কমান হল। ব্যাংক গুলোতে সর্ব্বোচ সুদের আমানত অর্থাৎ এফডিআর করতে গেলে অফার করা হল ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ।

গড় মুদ্রাস্ফিতি ৬.৫ শতাংশ। তার মানে ১০০ টাকা ব্যাংকে রাখার পর বছর শেষে আপনি ১০৬ টাকা পাইলেন। ৬ টাকা সুদের ১৫ শতাংশ বা ৫ শতাংশ(টিন থাকলে ৫% না থাকলে ১৫%) ট্যাক্স দিয়ে টাকা ১০৫ টাকার কাছাকাছি টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। মুদ্রাস্ফিতি হিসাবে ধরলে প্রকৃত পক্ষে গত বছরের তুলনায় আপনার টাকার বর্তমান মূল্য ৯৮.৫ টাকা। আপনার আসল থেকে ১.৫ টাকা না থাকলেও ৫ টাকার সুদের মুলা আপনার হাতে।

তাতে ফলাফল কি দাঁড়াল? মানুষজনের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র বা অন্য ফটকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে থাকল।
ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে গেল।
কিন্তু ঋণের প্রবৃদ্ধি একটু বাড়ল। যে পরিমান টাকা আমানত হিসাবে আসতে থাকল তার চেয়ে বেশী টাকা ঋণ হিসাবে ব্যাংক থেকে বের হতে থাকল।

ফলাফল হল অতি ভয়ংকর। ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে গেল। ডিপোজিট লোন রেশিও বাড়তে থাকল।
অনুমোদিত সীমা শীঘ্রই অতিক্রম করল। তৈরী হল তারল্য সংকট। ব্যাংকিং সেক্টরে টাকা আসে না শুধু যায় আর যায়। যে কোম্পানীকে ১০০ কোটি টাকা লোন পাওয়ার যোগ্যতা নাই তাকে ১২০০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হল ব্যবসা করার জন্য। কোম্পানী সেই টাকা দিয়ে জমি কিনল। রাস্তার পাশের ধানী জমির কি আর ক্ষমতা আছে ১২০০ কোটি টাকার লোনের কিস্তি দেওয়ার। যা হওয়ার তাই হল টাকা আর ফেরত আসল না।

তারল্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারন করল। আমানতকারীরা চেক দিয়ে বিনিময়ে পে-অর্ডার হাতে পেল। কেউ কেউ ফেরত গেল। কাউকে কাউকে আগামী সপ্তাহে আগামী মাসে আসতে বলল।

আমানতের প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে গেল। নগদ টাকার অভাব মেটাতে বন্ড ছেড়ে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হল।
ব্যাংকের মালিকরা CRR নির্ধারন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাল। ব্যাংক গুলো ১০ হাজার কোটি টাকা নগদ পেয়ে গেল কিন্তু যাদের টাকা অর্থাৎ আমানতকারীদের ১ শতাংশ সিকিউরিটি কমে গেল বলে টাকা রাখতে ব্যাংকে যাওয়ার ইচ্ছে আরো কমে গেল।
নতুন বাঁশ ব্যাংক রেট ৪% এ নামানো। যেখানে আমাদের গড় মুদ্রাস্ফিতি ৬.৫ শতাংশ।
সমস্যার মূল খুজতে গিয়ে এন্ডিং ষ্টেইটমেন্টে বিহীন ফর লুপে পড়ে যায়।
গরুর গাড়ীর গাড়োয়াল ও ড্রাইভার, আবার বিমান গাড়ীর পাইলটও ড্রাইভার সেকারনে গরুর গাড়ীর গাড়োয়ালকে বিমান চালাতে দিলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
সমাধান একটা আছে তবে তা বড় নির্মম। আপনার সকল টাকায় যদি ব্যাংকে থাকে তাহলে কেমন হয়?
পেপার লেস কারেন্সি? সেটা স্বাধীনতার জন্য মানব সভ্যতার সকল সংগ্রামকে জলাঙ্গলি দিয়ে পরাধীনতার শিকলকে বরন করার শামিল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মাথায় সমস্যা আছে, মানে আপনি পাগল।

১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

আঁধার রাত বলেছেন: পাগল হওয়ার সুবিধা ব্যাপক। যাকে খুশি তাকে গালাগালি দেওয়া যায়। নেংটো হয়ে সদর রাস্তায় বসে নিজের ইয়ে প্রদর্শন করা যায়। আবার উত্তম মধ্যমের উপসর্গ দেখে “আমি পাগল ছাগল মানুষ” বাক্যটাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে ওয়াকওভার লাভ করা যায়।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

গরল বলেছেন: সঞ্চয় পত্রের এবং ফিক্সড ডিপোজিটের লভ্যাংশ যখন ১২% ছিল, আমার এক ফুপা ব্যাবসা বাণিজ্য সব বাদ দিয়ে, একটা ওয়াশিং ফ্যাক্টরি ছিল বন্ধ করে দিয়ে আশি লক্ষ টাকা সঞ্চয়পত্র কিনে ও ফিক্সড ডিপোজিট করে যা পেত আর বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিব্যি রাজার হালে বছর পাঁচেক চলছিল। এখন আবার টাকা ভেঙ্গে ব্যাবসা শুরু করেছে দুই বছর হল।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দ্রুত কর্মসংস্থান না বাড়ালে সামনে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে। বড় আমানতকারীদের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বন্ধ করা উচিত...

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাগল হওয়ার সুবিধা ব্যাপক। যাকে খুশি তাকে গালাগালি দেওয়া যায়। নেংটো হয়ে সদর রাস্তায় বসে নিজের ইয়ে প্রদর্শন করা যায়। আবার উত্তম মধ্যমের উপসর্গ দেখে “আমি পাগল ছাগল মানুষ” বাক্যটাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে ওয়াকওভার লাভ করা যায়।



হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.