নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোকারন্য স্বদেশ

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

জনারন্য বাংলাদেশ। যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। ফার্মগেট যেন বারুষী হাট বার। শুধু মাথা আর মাথা। এত মানুষ বাংলাদেশে! প্রায়শ চিন্তা করি কেন এত মানুষ আমাদের এ বাংলাদেশে। যেখানে মানুষকে হাজার বছর ধরে সংগ্রাম করতে হয়েছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর রোগ শোকের বিরুদ্ধে। কেন দৃষ্টি সীমায় আপনি কখনই নিঃসঙ্গ হতে পারবেন না? জনসংখ্যা বৃদ্ধিটা কি হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নাকি প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বৃদ্ধিটা এমনই ছিল? আমি প্রধান কারনটাকে খুজে চলেছি কিন্তু কোন প্রধান কারন খুঁজে পাইনি। তবে কতকগুলো কারন খুঁজে পেয়েছি।কারনগুলো কোনটাকে প্রথমে রাখা উচিত আর কোনটাকে পরে রাখা উচিত তাও গবেষনার বিষয়। আমার কাছে প্রধান যে কারন গুলো মনে হয়েছে তা

১। সামাজিক নিরাপত্তার অভাব। নাগরিকের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের যে ভূমিকা থাকা উচিত ছিল তা অপ্রতুল ছিল বলে ধারনা করি। পরিবারের ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য অনেক গুলো লাঠির দরকার পড়ত। আর অনেক গুলো লাঠির জন্য অধিক সন্তান দরকার হত।

২। কায়িক শ্রম নির্ভর গ্রামীন অর্থনীতি অন্যতম অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য। কোন কৃষকের ত্রিশ একর চাষের জমি থাকলে তাতে কাজ করার জন্য অনেক গুলো শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ত। বিনা পারিশ্রমিকে সেটা সন্তানদের কাছ থেকে পাওয়া যেত।

৩। রোগ শোকে বিপর্যস্ত থাকত এ জনপদ। কখনও কলেরার জুজু বুড়ি, কখনও ডাইরিয়া বা কখনও গুটি বসন্তসহ আরো হাজারো রোগবালাই। স্বাস্থ্য সেবা বলতে হেকিমের গাছগাছড়া আর কবিরাজের ঝাড়ফূঁক। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। মৃতদেহ সৎকার করার লোকও পাওয়া যেত না কখনও কখনও। যার কারনে ভিটায় বাতি জ্বালানোর জন্য অনেকগুলো মরেও অন্তত একজন সন্তান যেন বেঁচে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে অধিক সন্তান প্রয়োজন ছিল। অতঃপর সে অধিক সন্তানের দলটার পুরোটাই টিকে যায় একসময় যখন এক প্রজন্ম কলেরা ও গুটিবসন্ত থেকে বেঁচে যায়। আগে যেখানে ১০/১২টা ছেলের মধ্যে ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকত দু’এক জন সেখানে এক প্রজন্মের প্রায় পুরোটাই দাঁড়িয়ে যায়। নিট ফল হয় লোকারন্য।

৪। আরেকটা কারন দারিদ্রতা। অধিক সন্তান অধিক আয় করবে। সে গুলো এক জায়গায় জড়ো করলে অনেক আয় হবে। সংসারে আর অভাব অনটন থাকবে না। এই থিমটা ঠিকঠাক মত কাজ করে নাই। এক পরিবারের সদস্য হিসাবে পরবর্তী প্রজন্ম অনিবার্য কারনেই থাকে নাই। জটিলতা কমাতে চেয়েছে। অতিকায় পরিবারের অতিকায় সমস্যা গুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে সমস্যা গুলো ছোট করতে চেয়েছে। ফলাফল স্বরুপ একটি অতিকায় দরিদ্র পরিবার থেকে অনেক গুলো ছোট ছোট পরিবারে বিভক্ত হয়ে গেছে একই সমস্যা গুলোকে ধারন করে।

৫। বিনোদনের অভাব। স্বামী স্ত্রীর পারস্পারিক আলিঙ্গনই বিনোদনের একমাত্র উপায় হলে সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি শুরু না হলে সমস্যাই বটে। তারা সন্তান উৎপাদনের উদ্দেশ্যে আলিঙ্গন করে নাই। এখন আল্লাহই দিছে। কি আর করার।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৬

সিগন্যাস বলেছেন: হা হা হা মজা পাইলাম ভাইয়া

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২২

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: জনসংখ্যা অনুযায়ী আমাদের দেশের আয়তন অনেক ছোট ।
বিকার গ্রস্থতায় ভুগছে আমাদের দেশের মানুষ ।
শিক্ষার অভাব , জনসচেতনা ,, মানবিক মূল্যবোধ
পরিবেশের ভার সাম্য আমরা ক জনই বা বুঝি।


আমার নতুন পোষ্টে একবার ঘুরে আসার আহ্ববান রইল।
আপনাদের অণুপ্রেরণাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে?

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


তা'হলে প্রাগৈতি হাসিক কাল থেকে বাংলায় মানুষ বেশী? ১৯৭১ সালে মানুষ ছিলেন সাড়ে ৭ কোটী! ইহা মোটামুটি দরকারী সীমানায় ছিলো।

আপনি যা লিখেছেন, এগুলোকে 'গবেষণা' বলা হয় না, এদেরকে 'ইনভেষ্টিগেশন' টাইপের কিছু বলা হয়।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৬

আঁধার রাত বলেছেন: ম্যাঁওপ্যাঁও

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


চীনে প্রতি বর্গ মাইলে ১৪২ জন
ইন্ডিয়াতে ৩৮৬ জন
বাংলাদেশে ১১৪৬ জন (২২৯টা দেশের মধ্যে ২১৬ তম)
গ্রিনল্যান্ডে ০.১ জন (সর্ব নিম্ন)
মেকাও ৭৩,৩৫০ জন (সর্বোচ্চ)
আপনারা উল্লেখিত ৫ কারণ দিয়ে কি এই তথ্যগুলি ব্যাখ্যা করবেন?
সূত্র: infoplease

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪২

আঁধার রাত বলেছেন: না করব না। একেকটা দেশের প্রক্ষাপট একেকটা। এক দেশের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির মুল কারন হিসাবে যেটাকে চিহিৃত করা হচ্ছে অন্য দেশের ক্ষেত্রে সেটাই হয়ত হাস্যকর কারন হিসাবেও পরিগনিত হচ্ছে।
উপরের পাঁচটি কারনকে আমার দেশের মানুষের পায়ের মাপের জুতার সাথে তুলনা করতে পারি। অন্য দেশের মানুষের পায়ের ফিটিং হবে না।

৫| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

আপনার উল্লেখিত ৫টা কারণ তখনই কার্যকর হবে, যখন মানুষের হাতে জন্ম-মৃত্যু নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ব্যবস্থা থাকবে।
অর্থাৎ জনসংখ্যার পরিমাণ মানুষের ইচ্ছার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
জনসংখ্যার পরিমাণ জন্ম এবং মৃত্যুর অনুপাত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
জন্মের অনুপাতে মৃত্যু বেশি হলে জনসংখ্যা কমতে থাকে।
আবার মৃত্যুর অনুপাতে জন্ম বেশি হলে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে।
কিন্তু জন্ম এবং মৃত্যুর অনুপাত সমান হলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.