নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্য সবার মতো নই। কারন আমি অন্য সবদের দলে নেই। আমার পরিচয় যে আমি ই।

আহমদ আতিকুজ্জামান

শত সহস্র শ্রেষ্ট সব স্বত্ত্বার ভীড়ে আমি কেউ ই না। ভালোবাসি ফুটবল। ফুটবল ফ্যান- এটাই সময়োপযোগী সেরা পরিচয় ধরা যেতে পারে।

আহমদ আতিকুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ ম্যাচের ব্যাবধানে বদলে যাওয়া ব্রাজিল দল!

০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

ম্যাচশেষে স্কোরলাইন ৭-১! নাহ, ফিফা ১৬ বা পেস ১৬ গেইম নয়- বাস্তবে এমনই করে দেখালো ব্রাজিল কোপা আমেরিকা দল।



ব্যবধানটা মাত্র ১ ম্যাচের, যখন ৫ তারিখ ইকুয়েডরের সাথে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো ব্রাজিল। যাদের সাথে ২৯ দেখায় ২৬টি তেই জয় ছিলো ব্রাজিলের। কিন্তু পরিসংখ্যান পাল্টাতে সময় লাগেনা ফুটবলে। ৩০ নাম্বার ম্যাচে তারাই রুখে দিলো ব্রাজিলকে! সে ম্যাচে ব্রাজিল যেন ছিলো অসহায়। না ছিলো পার্ফেক্ট এট্যাক, না ছিলো পার্ফেক্ট ডিফেন্সিং! ম্যাচশেষে স্কোর ছিলো ০-০! ইকুয়েডরের মতো দলের সাথে কখনোই এমন রেজাল্ট আশা করা যায়না। হতাশ হতে হয়েছিলো লক্ষ- কোটি ব্রাজিল ফ্যানকে।



এবার নিজেদেরকে পাল্টানোর পালা। কিন্তু এভাবে নিজেদের পাল্টে ফেলবে ব্রাজিল তা হয়তো কল্পনায়ও ছিলোনা। রেংকিংয়ের ৭৪ নাম্বার দল হাইতির সাথে ম্যাচ খেলার আগেও দুঙ্গার মনে ছিলো ভীতি। তাদের যথেস্টই সমীহ করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শুরুর ১৯ মিনিটেই লিভারপুলের ম্যাজিশিয়ান ফিলিপে কৌটিনহো। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে হাইতির জালে আরোও দুটো গোল দিয়ে দেয় ব্রাজিল। ২য় গোল করেন কৌটিনিয়ো, আরেকটি গোল করেন রেনেতো অগাস্তো।



২য় হাফে আরোও অপ্রতিরোধ্য ব্রাজিল। বলের দেখা পাচ্চিলোই না হাইতি। একের পর এক এট্যাকে যাচ্চে ব্রাজিল। সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামানো হলো ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারবয় গ্যাব্রিয়েল বারবোসাকে। নেমেই স্কোরশিটে নাম লেখালেন গ্যাবিগোল। এবার নামানো হলো ১০ নাম্বার জার্সিধারী লুকাস লিমাকে। ম্যাজিক তখনো চলছেই। লুকাস লিমাও সে ম্যাজিকের ম্যাজিশিয়ান হলেন। মাঠে নেমেই গোল করলেন তিনি। স্কোরশিটে ২য় বারের মতো নাম লেখালেন রেনেতো অগাস্তো।



ম্যাচ তখনো বাকি। এক্সট্রা টাইমের জন্যে ই হয়তো অপেক্ষা করছিলেন ফিলিপে কৌটিনিয়ো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লং রেঞ্জের শট নিলেন। গোলকিপার ড্রাইব দেয়ার কোনো চান্সই পেলো না। হা করে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিলোনা তার। গোওওওল... আবারো ফিলিপে কৌটিনিয়ো! হ্যাট্রিক কম্পলিটেড! ব্রাজিল ৭-১ হাইতি।

১ ম্যাচেই এমন চেঞ্জ খুব কমই দেখা যায়। ছোট দল বলে ব্রাজিল ৭ গোল দিতে পেরেছে এমন বলার কোনো কারন নেই। ব্রাজিল আজ ছিলো অপ্রতিরোধ্য। ছিলো দুর্দান্ত। আজকের ম্যাচের মতো এট্যাকিং, ডিফেন্ডিং, মিড ফিল্ডে শৈল্পকতা গত ম্যাচে কিছুই দেখাতে পারেনি। আজ পেরেছিলো বলেই তারা এত সফল হতে পেরেছে। তবে টুর্নামেন্ট এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আজকের পার্ফমেন্স ধরে রাখতে পারলে ভালো ফলাফল করতে পারবে ব্রাজিল এমন আশা করতেই পারি আমরা। ব্রাজিল জাতীয় দলের সেরা সাফল্যে কামনা করি। জয় হোক ফুটবলের।

© আহমদ আতিকুজ্জামান

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

আচার্য বাঙালি বলেছেন: তবুও ব্রাজিলের ওপর ভরসা করা যায় না।

০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: কিছু করার নেই

২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ব্রাজিল তার পথ হারিয়েছে যেদিন থেকে ডুঙ্গা কোচ হয়েছে। হাইতির মত দলের সাথে ৭ গোলে জিতলে সেটিকে সাকসেস বলা যায় না।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৭

আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: :-(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.