নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমদ জসিম জার্নাল

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।

আহমদ জসিম

মূলত গল্প ও প্রবন্ধ লিখি।

আহমদ জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পির ব্যবসার একটি ছোট্ট নমুনা দেখুন!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এরশাদের শাসনকালে একজন পির ছিলেন, নাম আটরশীর পির। এই পিরের মুরিদ ছিলেন স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ! কথিত আছে যে তার ক্ষমতা নাকি এরশাদের ক্ষমতার ছেয়েও বেশি ছিল। কারণ এরশাদের কথায় পির চলত না, কিন্তু পিরের কথাতে এরশাদ চলত। তার মানে দাঁড়ায়, লালশালু উপন্যাসের চরিত্রের মতো পিররা শুধু গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যেই অবস্থান করে না, বরং ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতেও বিরাজ করে। কিন্তু আমি বলছি আজ অন্য এক পিরের কথা, যাকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা হালিশহরের পির বলেই চিনেন। যার রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নাম গাউশিয়া। যার উপদ্রবের শিকার হচ্ছি আমি! মোল্লা পাড়া মোড়ে আমাদের চার কাটা জমির উপর তাদের শকুনি দৃষ্টি পড়েছে। পাশে ছয় কাটা জমির উপর তারা যে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে সেই সাথে আর চার কাটা যোগ হলে দৈর্ঘ্যে আর প্রস্থে সমান হইবে টানা। যেহেতু আমি না করে দিলাম, তাই ওই জমিতে বসবাস করা আমার দরিদ্র ভাড়াটিয়ার উপর শুরু হলো উপদ্রব। টিনের চালে রাতের আঁধারে পাথর ছুঁড়ে মারা, নানা বাহানাতে ওই গরিব মানুষদের উপর শারীরিক ও মানসিক আক্রমণ! এই পিররাই মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে অর্থ নিয়েছে, আবার সেই অর্থ দিয়ে মানুষের পাছা মারছে। বাহ কি চমৎকার পিরতন্ত্র!


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওরা চিরকালই এমন করে নিজের আখের গোছানোর ধান্ধায় থাকে, পীরআলী ব্যবসাটা আমাদের দেশে বেশ ভালো মানিয়ে যায়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০

আহমদ জসিম বলেছেন: াতি হিসেবে আমাদের অশিক্ষা কুশিক্ষার ফল হচ্ছে এই পিরদের উত্থানের কারণ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আজমান আন্দালিব বলেছেন: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দিয়াবাড়ি গ্রামে এক ভন্ড পীর আছে। নাম মিন্টু পীর। গ্রামের গরীব লোকগুলাকে এই ভন্ড কিভাবে মোহাবিষ্ট করে রেখেছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। এই ভন্ড প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের টাকা পয়সা মেরে নিজে সম্পদ বাড়াচ্ছে। কিন্তু গরীব গরীবই থেকে যাচ্ছে। এই ভন্ডদের প্রতিরোধ করার উপায় কি নেই?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬

আহমদ জসিম বলেছেন: আপনে বলছেন মিন্টু পিরের কথা, এরকম প্রত্যক পাড়া, মহল্লাতে খেঁাজ করলে একজন করে পাবেন!

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জল ও ছবি বলেছেন: শুনেছি পীরদের ফু, তাবিজ, কবোজ না কি আর আগের মত কাজ করে না। তাই এখন তাদের গদি রক্ষা করতে মাস্তান পুষতে হয়। পীরদের মূল মন্ত্রই হলো অন্যের সম্পদ কি করে আত্মসাৎ করা যায়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩

আহমদ জসিম বলেছেন: সমমত

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একজন মন্দ বলে কি ঐ গোত্রটাই মন্দ!

মানুষের মধ্যে গুন্ড মাস্তান, সন্ত্রাসী চোর আচে বলেই কি মানুষ জাতি চোর! গুন্ডা মস্তান! সন্ত্রাসী!

ধামির্কের ভুলে ধর্ম যেমন মিথ্যে হয় না- তেমনি ব্যক্তির দোষে একটা গোত্র দোষি হতে পারেনা।

এ মন্দ লোককে এবাবে না বরে আইনের আশ্যয় নিন। তথ্য প্রমান দিয়ে আদালতের মাধ্যমেই তাকে শায়েস্তা করুন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

আহমদ জসিম বলেছেন: আসল কথা হলো পীর এবং মুরিদ এই সম্পর্ক হলো ভক্তির। আর ভক্তি হলো জ্ঞান নির্ভর সমাজ বিকাশের বড় অন্তরায়।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

আসল পাগল বলেছেন: সরলপ্রাণ ধার্মিক মানুষের অর্থ লুটেরাদের কেউ টিকিটিও স্পর্শ করতে পারবে না । কারন ঐ অন্ধ ভক্তরাই.......

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০

Mir_Harun বলেছেন: সেই পীরের মুরিদ বিদ্রোহী গু র গায়ে লাগছে আপনার পোস্ট।ওহে বিদ্রোহী গু পীর আবার কি?ধান্দাবাজের দালাল কোথাকার?

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @মির হারুন মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ!!

আপনার ভাষাই আপনার পরিচয় প্রকাশ করে!

আপনি আপনা আপনি প্রাইমারি পাশ করেছেন ভাইজান তাই না? কলেজে ইউনিতো কোন শিক্ষক ছাড়াই বই পড়েই সনদ পেয়ে গেছেন? বাহ বেশতো!
আর আল্লাহ রাসুল সা: কে আপনি বিনা উস্তাদে পেয়ে যাবেন!! বেশ বেশ!

মূর্খতার কোন সীমা নেই। কিন্তু তা আরও মন্দ হয় তখন যখন সেই মূর্খতা দিয়ে সবকিছূ জাস্টিফাই করা শুরু হয়!

আপনিতো আমার কমেন্টটাও ঠিকমতো পড়েন নাই। ফাল দিয়া আপনার পিতা-মাতার শিক্ষানুসারে বাজে ভাষার ব্যবহার শুরু করেছেন। ধিক!

সব সেক্টরেই যেমন ভাল মন্দ আছে- শিক্ষকদের মধ্যে পরিমল আছে বলে যেমন সব শিক্ষক ধর্ষক নয়- তেমনি পীর/উস্তাদ/মুর্শিদের ধারায়ও মন্দ আছে। মন্দ আছে বলেই সকলে মন্দ তা বলা যাবে না। কারণ তা বললে কোরআনেরও বিরুদ্ধাচরন হবে। কোরআনে যেখানে বলা হয়েছে- তোমরা উলিল আমরের সন্ধান কর ও তাদের অনুসরন কর!
আপনি নিজেই সব হলেতো আর ২ লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বরই দরকার ছিল না। আল্লাহ আসমান থেকে টপাটপ কিতাব পাঠাত আর মানুষ তা পড়ে হেদায়েত নিয়ে নিত!
কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
যুগে যুগে কালে কালে সময়ান্তরে পরিবেশ পরিস্থিতি জ্ঞানের বিকানুপাতে নবী রাসূল গণ এসেছেন তাদের বার্তা উপস্থাপনাও ছিল সময়োপযোগী!
এই সময়েও আল্লাহ আমাদের মাহরুম করবেননা বলেই উলিল আমর/ অলি আউলিয়া দের অনুসন্ধান করে তাদের কাছে সত্যকে জাস্টিফাই করে নিতে বলেছেন্
এর মাঝে কেউ তার মিস ইউজ করলে সে ব্যক্তিগত ভাবে মন্দ হতে পারে- যে আল্লাহর কাছেও অপরাধী! কিন্তু এবারেজ ঢালাও ভাবে সবাইকে একপাল্লায় ফেলা আরেক মহামূর্খতা বৈতো নয়!

আল্লাহ আপনাকে জ্ঞান দান করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.