নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমদ জসিম জার্নাল

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।

আহমদ জসিম

মূলত গল্প ও প্রবন্ধ লিখি।

আহমদ জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিম বাংলার দৃষ্টিতে এপার বাংলার মানুষেরা!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

তিনি আমার কুটুম হন, কলকাতা থেকে এদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। আসলে তিনি এখানকারই মানুষ, ঠিক তিন পুরুষ আগে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন তার পূর্ব পুরুষরা। এখন পুরা-ধ্বসে- ওপার বাংলার। উচ্চশিক্ষিত, শিল্প-সাহিত্যের রসবোধও বেশ ভালো। তবে কথায় কথায় বলেন, তোমরা মুসলমানরা আমরা বাঙালিরা!’ ব্যাপারটা আমি প্রথমে লক্ষ্য করি নাই, পরে বুঝতে পের জিজ্ঞাসা করি: আমরা বাঙালিরা কী মুসলমান না? ভদ্রলোক এবার আমতা আমতা করে বললেন: ইতিহাস তো তাই বলে। আমি জানি না, কোন ইতিহাস তাকে এই ধারণা দিয়েছ, তবে এতটুকু তিনি জনিয়েছেন, পশ্চিম বাংলার অধিকাংশ হিন্দুরা এই ধারণাই পোষণ করেন! আমি ভদ্রলোকের কথার জবাবে এক চিলতে বিষণ্নের হাসি দিয়ে বললাম: ভাষার জন্য লড়াই করলাম আমরা, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিলাম আমরা, অথচ আমরা বাঙালি না......! আসলে কি আর বলব, হিন্দি, আর হিন্দুস্থানি ঔপনিবেশিক শাসন আর সাংস্কৃতিক জাঁতিকলে পৃষ্ঠ হতে হতে ওঁদের ইতিহাস সম্পর্কে সাধারণ ধারণাটুকু পর্যন্ত লোপ পেয়েছে। যে যাই বলুক, আমি বলি: ঈদ আমার, দৃর্গোৎসবও আমার, সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।


মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: ভালই বলেছেন। ধন্যবাদ

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

আহমদ জসিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নীচু মন মানসিকতার মানুষ !!
হীনমন্যতায় ভোগা রোগী!!

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভদ্রলোকের কথার জবাবে এক চিলতে বিষণ্নের হাসি দিয়ে বললাম: ভাষার জন্য লড়াই করলাম আমরা, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিলাম আমরা, অথচ আমরা বাঙালি না......! আসলে কি আর বলব, হিন্দি, আর হিন্দুস্থানি ঔপনিবেশিক শাসন আর সাংস্কৃতিক জাঁতিকলে পৃষ্ঠ হতে হতে ওঁদের ইতিহাস সম্পর্কে সাধারণ ধারণাটুকু পর্যন্ত লোপ পেয়েছে।

অতীব সত্য!

আর লেজকাটা শৈয়ালে গল্প আছে না! নিজের লেজ নেই দেখে অন্যেরে হিংসায় সবার লেজ কাটাতে চায়!

তারা তেমনি না ভাষার জন্য ত্যাগ করেছে না বাংলা দেশের জন্য! পরের ভূমে ক্ষুদকুড়ে খেয়ে যে হীনমন্যতা তা ঢাকতেই ঐ রকম মনমানসিকতার আড়াল নিয়ে চলে!

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সুমন কর বলেছেন: যে যাই বলুক, আমি বলি: ঈদ আমার, দৃর্গোৎসবও আমার, সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।

ভালো বলেছেন।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "অামরা হিন্দু বা মুসলিম যেমন সত্য, তারচেয়ে বেশি সত্য অামরা বাঙালি ।" ড. মো. শহিদুল্লাহ

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৮

বিপরীত বাক বলেছেন: ওপার বাংলার ওগুলো না মুসলমান না বাঙালি।।

ওগুলোর একটাই পরিচয়,।। আর তা হলো ঘটি।।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি আসলে তাকে কি প্রশ্ন করেছিলেন? "আমরা বাঙালিরা কী মুসলমান না?" নাকি "আমরা মুসলমানরা কি বাঙালি না?"

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

আহমদ জসিম বলেছেন: দুইটা তো একই কথা হলোবে ভাই।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিপরীত বাক বলেছেন: ওপার বাংলার ওগুলো না মুসলমান না বাঙালি।।

ওগুলোর একটাই পরিচয়,।। আর তা হলো ঘটি।।
সাব্বাশ........এতোদিনে ঐক্যমতে পৌঁছলুম মশাই

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

আহমদ জসিম বলেছেন: এই ঘটি শব্দের আসল অর্থটা কী?

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ইমদাদুল্লাহ বলেছেন: ওপার বাংলার সুশীল সমাজ নামে পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের সাম্প্রদায়িক ইতিহাসে সেখানকার সাধারণ মানুষ এ ধারণা লাভ করেছে,

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

বিপরীত বাক বলেছেন: ঘটি হলো ৪৭ এর বিতাড়িত সম্প্রদায়। ১৯৪৭ এ এদের পিটিয়ে পাটিয়ে ওখান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অার তখন এরা ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢুকেছে। এখানে স্ট্যাব্লিসড হয়েছে।
বাট মনে প্রাণে ভারতীয়। ঘটি মেয়ে বিয়ে করেছে এরকম ফ্যামিলি তে গিয়ে প্রশ্ন করেন্ খোজ পাবেন।

ঘটি জাত হলো কলকাতার বিষাক্ত মুসলিম জাত। এদের শেকড় মুর্শিদাবাদ। সিরাজের সাথে মুর্শিদাবাদী জনগণের বেঈমানির কথা ইতিহাসে লেখা অাছে। এদের মধ্যে এখনও এই টেনডেন্সি অাছে। এদের মধ্যে মেয়ে সন্তান হওয়ার রেকর্ড বেশি।

অামি এক বড়ঘটি ফ্যামিলি তে টিউশনী করিয়েছিলাম। নানা টার বয়স নাহলেও ৭৫ ছিল। তারা ভারত থেকে বিতাড়িত হয়ে এদেশে এসেছিল। ।এখানে অাশ্রয় পেয়েছিল।। টাকাপয়সার মালিক হয়েছে। অথচ এখন বলে ভারত বিভাগ ভুল ছিল। বাংলাদেশের উচিৎ পশ্চিমবঙ্গে যোগ দেয়া।

ঘটি মেয়েদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিস্ট্য হলো এদের বাচ্চা সবসময় এদের মত হয়্ । এদের স্বামীর মত নয়। কেউ যদি বংশবিস্তারের জন্যে ঘটি মেয়ে বিয়ে করে তবে তার জেনে রাখা দরকার ওখানে বংশবিস্তার হবে ওই ঘটি মেয়েলোক টার।।
ওই পুরুষটির নয়।


মোদ্দাকথা,,, ইসলামের ধোহাই দিয়ে বাংরাদেশে তিনটি বিষাক্ত সম্প্রদায় ঢুকেছে।

১৯৪৭ - ঘটি জাত - (অরিজিন মুর্শিদাবাদ) - বিতাড়িত সম্প্রদায়
১৯৭১ - বিহারী জাত- (অরিজিন বিহার- ইন্ডিয়া)----- নির্বাসিত সম্প্রদায়
২০০০
থেকে
চলমান -- রোহিঙ্গা জাত - (অরিজিন অারাকান-বার্মা) -- বাস্তুচ্যুৎ সম্প্রদায়

এরা সকলেই এদেশে ঢুকেছে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই জিগির।।
মজার বিষয় হলো এদের সমস্যা কেটে যাওয়ার পর এরা বাঙালীদের পাত্তাই দেয় না। মানুষ মনে করে না। ভাই তো অনেক পরের কথা।।
অাপনি যেয়ে একবার মোঃপুরের বিহারী ক্যাম্পে গিয়ে হেটে অাসুন। দেখবেন ওরা অাপনার দিকে কি দৃষ্টিতে তাকায়।

অারও অাছে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.