নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমদ জসিম জার্নাল

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।

আহমদ জসিম

মূলত গল্প ও প্রবন্ধ লিখি।

আহমদ জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখুন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা নিয়ে একটা মজার বির্তক!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

কারো গাল ভরা দাড়ি, কারো বা থুতনির নীচে এক মুষ্টি। পরনে সফেদ পাঞ্জাবি পাজামা মাথায় টুপি। দীর্ঘ মিছিলটার একটাই স্লোগান ছিল, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। গাড়ি পাচ্ছিলাম না বলে, আমিও মিছিলটার সঙ্গ নিয়ে ছিলাম, একেবারে লালখান বাজার মোড় থেকে জামে মসজিদ উত্তর গেট পর্যন্ত। সেই ফাঁকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিলাম মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষগুলোকে, এটা আসলে ওইসব মানুষদের বুঝার একটা চেষ্টাও বলতে পারেন। সেই সুযোগও এলো, পরিচয় হলো নেতা গচের একজনের সাথে। তিনি আমাকে জোড় দিয়ে বুঝাতে চাইলেন, রাষ্ট্রকে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতেই হবে। আমি একেবারে সুবদ বালকের মতো প্রশ্ন করে বললাম: হুজুর, রাষ্ট্র তাদের মুসলিম ঘোষণা করে ছিল জানি কত সালে? লোকটা এবার গর্জন করে বলল: এত সাহস হইছে নাকি রাষ্ট্রের, রক্তের বন্যা বয়ে দিমু না!’ আমি এবার একটু ভরকে গিয়ে আমতা আমতা করে বললাম: হুজুর, রাষ্ট্র যদি তাদের মুসলিম ঘোষণা না করে তবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি আসছে কেন? তাছাড়া আমি যদ্দুর জানি, কে মুসলমান আর কে মুসলমান না সেই বিচারের দায়তো স্বয়ং আল্লহর হাতে, এখানে রাষ্ট্রের কিবা করার আছে। লোকটা এবার আমার মূল প্রশ্নকে এড়িয়ে আগের মতই গর্জন করে বলল: জানেন ওরা কী করেছে? আমাদের নবিকে অস্বীকার করে ওরা গোলাম কাদিয়ানিকে শেষ নবি বলে ঘোষণা করেছে। আমি আগের মতই শান্ত কণ্ঠে: ওদের কোন গ্রন্থে লিখেছে, গোলাম কাদিয়ানি শেষ নবি, যদি বলতে তবে একটু পড়ে দেখতাম। লোকটা এবার তালেবেরে দোকানের চা পুরো শেষ না করে উঠে গেলেন, যাওয়ার সময় বললেন: আসলে বইটার নাম আমিও জানি না, বড় হুজুরের কাছে জেনে আপনাকে জানাব। লোকটার সাথে আর দেখা হলো না, আমারও আজও জানা হলো না।





মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: রাষ্ট্র যদি তাদের মুসলিম ঘোষণা না করে তবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি আসছে কেন?

কারন তারা তাদের মুসলিম বলে পরিচয় দেয় আর রাষ্ট্রও সেটা মেনে নেয়। যার দরুন তারা হজ্ব করতে মক্কার হেরেমে ঢুকতে পারে। আর হেরেমে প্রবেশ সকল অমুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ। এখন রাষ্ট্র যদি কাদিয়ানী কে অমুসলিম ঘোষনা করে তবে কাদিয়ানীদের মতের সাথে যারা মতের মিল রাখে বলে ঘোষনা দেয় তাদেরকে রাষ্ট্র হজ্ব করতে বাধা দেওয়াটা আইনসঙ্গত ভাবে সম্ভব হয়।

২. কে মুসলমান আর কে মুসলমান না সেই বিচারের দায়তো স্বয়ং আল্লহর হাতে, এখানে রাষ্ট্রের কিবা করার আছে।

কে মুসলামান আর কে মুসলমান নয় সে বিচারের জন্য আল্লাহ কিছু মানদন্ড দিয়েছেন । যেমন ধরুন যে আল্লাহকে মানে, রাসূল কে মানে এরূপ ভাবে আরো শর্ত আল্লাহ এবং তার রসূল জানিয়ে দিয়েছেন। সে শর্ত যে পূরন করবে সে মুসলমান। না করলে কাফের।
ওমর (রা) এর জামনায় এক ব্যক্তি মদ পান করলে এর বিচার আলী (রা) এর নিকট এল । তিনি বললেন আমরা তাকে প্রশ্ন করব সে কি মদ কে হারাম বিশ্বাস করে কিনা যদি সে হারাম বিশ্বাস করে তবে তাকে শুধু মদ্যপানের শাস্তি দিব। আর হালাল বিশ্বাস করলে মুরতাদ হিসাবে হত্যা করব। এখানে রাষ্ট্র নির্ধরন করেছে কে মুসলমান আর কে কাফের।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

আহমদ জসিম বলেছেন: আমার জানা মতে মুসলমান হবার প্রধান তিনটি শর্ত হচ্ছে, ১/ মহান আল্লাহ্ পাকের সাথে শরীক না করা,২/ নবী করিম ( সঃ)কে আল্লাহ্র প্রেরিত শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করা এবং পবিত্র কোরানকে আল্লাহ্রর প্রেরিত গ্রন্থ হিসেবে ইমান রাখা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাদিয়ানিরা কী এই তিনটার কোনটিকে অস্বীকার করেন?

আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য নিয়ে আমার কিঞ্চিত সন্দেহ আছে, কারণ, আল্লাহ্ ও তার রাসুল কোন কোন কাফের কিংবা অমুসলিমকে জোড় করে মুসলমান বানানোর বিধান দেন নাই, বরং মুনাফেকদের ব্যাপারে তিনি কঠর হয়েছেন।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নাঈম রেজা বলেছেন: তুমি বল! তোমার প্রতিপালক প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ণ সত্য সমাগত, অতএব কেউ চাইলে ঈমান আনতে পারে আবার কেউ চাইলে অস্বীকারও করতে পারে। (সূরা আল্-কাহাফ: ৩০) আহমদীয়া মুসলিম জামাত(Ahmadiyya Muslim Community) মূল/আনুষ্ঠানিক নাম। এটি মুসলমাদের অসংখ্য ফিরকার/দলের মধ্যে একটি। প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদীয়ান গ্রামে জন্ম, সেই সূত্রে তার নামের সাথে কাদীয়ানি সংযুক্ত। আর একারণেই প্রাচ্যে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা কাদিয়ানী নামে পরিচিত। তবে মূল নাম আহমদীয়া মুলসলিম কমিউনিটি তাই তাদের আহমদী হিসেবে ডাকাটাই যুক্তিসংগত। মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী -র দাবি: ইমাম মাহদী, প্রতিশ্রুত মসীহ ইবনে মরিয়ম। তার দাবির ভিত্তি বনী ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) এর মৃত্য কোরআনের ৩০ টি আয়াত দ্বারা তিনি প্রমাণ করেছেন যে বনী প্রায় ২০০০ এরও বেশি বছর পূর্বে আগত ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) যথাসময়ে যথাযথ সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন। একারণে তার আকাশে জীবিত থাকার বিশ্বাস ভিত্তিহীন। আর আহমদীদের মতে, ঈসা(আ) এর মৃত্যুতেই ইসলামের জীবন নিহিত। কারণ আখেরী যুগে বিভ্রান্ত মুসলিমরা ঈসা(আ) এর আকাশ থেকে অবতরনের জন্য পথ চেয়ে আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে এটা্ও বিবেচ্য যে, রাসূল (স) বলেছেন ঈসা(আ) আসবেন। আহমদীরা যেহেতু কোরআনের ৩০ টি আয়াতের মাধ্যমে ঈসা (আ) এর মৃত্যু প্রমাণ করেছেন তাই তারা বিশ্বাস করে, দ্বিতীয় যে ঈসার আগমনের কথা সেটা রূপক অর্থে রাসূল (স) ব্যবহার করেছেন। যেমন: তিরমিযি কিতাবুল ঈমানে আছে: অর্থাৎ মুসলমানরা যখন ইহুদীদের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে তখন যে চিকিৎসক আসবেন তার উপাধি ঈসা। এখানে আরেকটি বিষয় বিবেচ্য, আপনার সবাই জানেন কাদীয়ানিদের অন্য সব মুসলিমরা সর্বসম্মত ভাবে কাফের বলে মনে করে। এমনকি পাকিস্তানে আহমদীদের সাংবিধানিকভাবে কাফের সাব্যস্ত করা হয়েছে। যখন এই বিলটি পাশ হয়েছিল পাকিস্তানে, তখন কিছু পত্রিকার শিরোনাম এরকমও ছিল, "৭২ দল ১ দলকে ধর্মচ্যুত করল।" এখানে পূর্বে উল্লেখিত হাদীসটির প্রতি আবার দৃষ্টি দিচ্ছি, রাসূল (স) বলেছেন, আখেরি জামানায় দলাদলি সৃষ্টি হবে। আবার শেষের কথায় বুঝা যাচ্ছে আর সব দিকে দলাদলি থাকলেও সেই সঠিক পথের দলটি থাকবে একদিকে বাকি সবাই থাকবে অন্যদিকে। সেক্ষেত্রে অন্য সব বিষয়ে দিমত থাকলেও সেই ফিরকার ব্যাপারে তারা প্রত্যেকেই একমত থাকবে...আর সেটা কি বলা হয়ে গেছে। আহমদীয়া সম্প্রদায় রাসূল (স) কে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং সর্বশেষ শরীয়াতবাহী রাসূল হিসেবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে রাসূল (স) এর প্রকৃত মর্যাদা খাতামান্নাবীঈন। খাতামান্নাবীঈনের যতগুলো অর্থ হয় সব অর্থেই তাকে খাতামান্নাবীঈন হিসেবে তারা মান্য করে। তবে কোরআনে ও হাদীস অনুযায়ী তাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত। মির্জা গোলাম আহমদকে তারা নবী মানলেও তিনি কোন স্বাধীন(শরীয়তবাহী) নবী ছিলেন না। কোরআনে দাসত্বের নবীর পথ খোলা আছে, নিচের আয়াত ও হাদীসটি দেখুন: সূরা নিসা: ৬৯ আরেকটি আয়াত প্রমাণ করে কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাতি নবীর আগমনের পথ খোলা আছে: সূরা আরাফ: ৩৫ সুনানে নাসাঈ অর্থাৎ এখানে স্পষ্টত যে, যারা আল্লাহর হুকুম মান্য করবে এবং প্রিয় রাসূলের(স) দাসত্ব করবে, তারা নবী, সিদ্দিক, শহীদ, ও সালেহ দের অন্তর্ভূক্ত হবে। অর্থাৎ রাসূল (স) এর দ্বসত্বের শর্তে নবীর আগমনের পথ খোলা আছে। আর আপনারা মির্জা গোলাম আহমদ সাহেবের নামটি বিশ্লেষন করুন। নামটিতে মূর্তিমান যে তিনি আহমদের গোলাম...অর্থাৎ রাসূল(স) এর গোলাম। পূর্বের কোন নবীর ক্ষেত্রে এই শর্ত ছিল না যে তাদের পূর্ববতী কোন নবীর দাসত্ব করতে হবে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর জন্য এই নিয়ম করেছেন। এটা কি রাসূল (স) এর শ্রেষ্ঠতার একটি নিদর্শন না, যে তার ঘরের দাস কে আল্লাহ্ নবীর মর্যাদা দেন, শুধুমাত্র তার দাসত্বের কারনে? আর হাদীসেতেও স্পষ্টত যে, মসজিদে নববীর পর যেমন মসজিদ নির্মান করা হয়েছে তেমনি রাসূল (স) এর পরেও নবীর আগমন হতে পারে। তবে মসজিদ বানাতে হলে সেটা মসজিদে নববীর আদর্শ অনুসারে হতে হবে, তেমনি নবী হতে হলে তাকে কোরআন, হাদীস অনুযায়ী রাসূল (স) এর প্রকৃত দাসত্বের মাধ্যমে হতে হবে। তারপরেও যদি সন্দেহ থাকে মির্জা গোলাম আহমদ সাহেব, রাসূর(স) এর অবমাননাকারি, তবে রাসূল (স) কে নিয়ে তার রচিত একটি কবিতার অংশ উদ্বৃত করছি: "উস নূর পার ফিদা হু(সেই জ্যোতিতে আমি বিভোর) উসকা হি মে হুয়া হু (আমি তারই হয়ে গেছি) ও হে মে চিজ কেয়া হু? (তিনি ছাড়া আমার আছেই বা কি?) বাস ফেয়সালা এহি হে। (এটাই প্রকৃত মিমাংসা)" আর ইমাম মাহদী(আ) ও দ্বিতীয় ঈসা(আ) যে একই ব্যক্তি হবে সেটার জন্য মুসলিম শরীফের এই হাদীসটি দেখুন, কিতাবুল ইমান অধ্যায়ে হাদীসটি পাবেন: রাসূল(স) এর পর নবীর কথা উঠলেই অনেকে একটি হাদীসের কথা বলেন, যেখানে রাসূল (স) বলেছেন, তার পর ৩০ জন মিথ্যা নবী দাবিকারক আসবেন। হাদীসটি একটু ভালো ভাবে পড়ুন। রাসূল (স) বলেছেন ৩০ জন মিথ্যা দাবীকারক আসবেন, কেন বললেন না, তার পর যেই নবীর দাবি করবেন সেই মিথ্যা? এটা এজন্যই বলেননি কারণ ৩০ জন মিথ্যা নবী যেমন আসবেন সত্য নবীও তেমনি আসবেন। তাই ৩০ জন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি এবং একই ভাবে পরোক্ষ ভাবে নিদের্শ দিয়েছেন যাতে অজ্ঞতাবসত যাতে কোন নবী দাবিকারকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা না হয়। তবে খাতামান্নাবীঈন এ আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করতাম, এটাকে আহমদীয়াতের ইস্যু হিসেবে দেখিয়েছে যুগের পথভ্রষ্ট আলেমরা। আমাদের মূল ইস্যু হচ্ছে ইসা (আ) এর মৃত্যু। ঐ ত্রিশটি আয়াত নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুণ, আপনিও বুঝতে পারবেন কেন এই বিষয়টি বোঝা জরুরি। আর আলেমরা বলে, কাদিয়ানীরা খ্রিস্টানদের দালাল। কিন্তু এটা খেয়াল করে না, গোলাম আহমদ সাহেব খ্রিস্টান পাদ্রীদের দাজ্জ্বাল আখ্যায়িত করেছেন। দাজ্জাল সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের একটি বই আপনাদের জন্য সংযুক্ত করলাম। শুধুকি তাই? তিনি(আ) খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ৩ খোদার ১ খোদা(জিসাস) কে মৃত সাব্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন তাদের ধর্মের অসাড়তা। তবে হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) ইংরেজ সরকারের প্রশংসা করেছে, তার কারণ ইংরেজরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। একারণে তাদের পাদ্রীদের দাজ্জাল আখ্যায়িত করার পরেও তারা আহমদীয়াদের উপর আক্রমন চালায় না, যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে সরকারের ছায়াতলে থেকে যুগের তথাকথিত আলেমরা শান্তিতে চালিয়ে যাচ্ছে। একারণে ইংরেজ সরকারকে তিনি(আ) সবসময় সম্মান করতেন। কিন্তু ঠিক তদ্রুপ বা তারচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে, যা এক কথায় তৃত্ত্ববাদ(তিন খোদায় বিশ্বাস)। সূরা মরিয়মের ৮৮-৯১ আয়াত(বিসমিল্লাহকে ১নম্বর আয়াত বিবেচনা করে) টি লক্ষ্য করুন: যেভাবে আল্লাহ্ তাআলা বিষয়টিকে ঘৃণা করেন ঠিক তেমনি আমরাও বিষয়টিকে ঘৃণা করি। ৩ খোদায় বিশ্বাস সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্বাস। আমি সবাইকে একটি বিষয়ে দিকনির্দেশ করব। আপনি যখন অন্য একজনের সম্পর্কে কোন কিছু কমেন্ট করবেন তখন আপনার প্রত্যক্ষ করা উচিৎ সে প্রকৃত পক্ষে কেমন? আর যেটা যুক্তি তর্ক সাপেক্ষ সেখানে তো অবশ্যই বিপক্ষের রেফারেন্স দিয়েই বিপক্ষকে ঘায়েল করতে হবে। কিন্তু আহমদীয়া সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চর্চা করার কথা কেউ স্মরণ রাখেন না। শোনা কথায় কান দিয়ে সেই কথাকেই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন। আমি আমার এই ব্লগের হাদীস ও কোরআনের উদ্বৃতিগুলোতে এই নীতিটি প্রয়োগ করেছি। যেহেুত ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের বিশ্বস্ত একটি প্রকাশনী তাই হাদীসগুলো ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অনুদিত হাদীস গ্রণ্থ থেকেই উদ্বৃত। আর কোরআনের ক্ষেত্রে ডা: জহুরুল হকের এবং আরেকটি কোরআনের অনুবাদ থেকে সরাসরি ক্রিনশট তুলে এটাচ করেছি। সবশেষে আমি সবাইকে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) কে কোরআন ও হাদীস সাপেক্ষে ইমাম মাহদী ও ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) হিসেবে যাচাই করার জন্য অনুরোধ করে শেষ করছি। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সর্বদা সরল, সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন। আরও যান্তে-http://amader-kotha.com/page/168387

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নাঈম রেজা বলেছেন: তুমি বল! তোমার প্রতিপালক প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ণ সত্য সমাগত, অতএব কেউ চাইলে ঈমান আনতে পারে আবার কেউ চাইলে অস্বীকারও করতে পারে। (সূরা আল্-কাহাফ: ৩০) আহমদীয়া মুসলিম জামাত(Ahmadiyya Muslim Community) মূল/আনুষ্ঠানিক নাম। এটি মুসলমাদের অসংখ্য ফিরকার/দলের মধ্যে একটি। প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদীয়ান গ্রামে জন্ম, সেই সূত্রে তার নামের সাথে কাদীয়ানি সংযুক্ত। আর একারণেই প্রাচ্যে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা কাদিয়ানী নামে পরিচিত। তবে মূল নাম আহমদীয়া মুলসলিম কমিউনিটি তাই তাদের আহমদী হিসেবে ডাকাটাই যুক্তিসংগত। মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী -র দাবি: ইমাম মাহদী, প্রতিশ্রুত মসীহ ইবনে মরিয়ম। তার দাবির ভিত্তি বনী ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) এর মৃত্য কোরআনের ৩০ টি আয়াত দ্বারা তিনি প্রমাণ করেছেন যে বনী প্রায় ২০০০ এরও বেশি বছর পূর্বে আগত ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) যথাসময়ে যথাযথ সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন। একারণে তার আকাশে জীবিত থাকার বিশ্বাস ভিত্তিহীন। আর আহমদীদের মতে, ঈসা(আ) এর মৃত্যুতেই ইসলামের জীবন নিহিত। কারণ আখেরী যুগে বিভ্রান্ত মুসলিমরা ঈসা(আ) এর আকাশ থেকে অবতরনের জন্য পথ চেয়ে আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে এটা্ও বিবেচ্য যে, রাসূল (স) বলেছেন ঈসা(আ) আসবেন। আহমদীরা যেহেতু কোরআনের ৩০ টি আয়াতের মাধ্যমে ঈসা (আ) এর মৃত্যু প্রমাণ করেছেন তাই তারা বিশ্বাস করে, দ্বিতীয় যে ঈসার আগমনের কথা সেটা রূপক অর্থে রাসূল (স) ব্যবহার করেছেন। যেমন: তিরমিযি কিতাবুল ঈমানে আছে: অর্থাৎ মুসলমানরা যখন ইহুদীদের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে তখন যে চিকিৎসক আসবেন তার উপাধি ঈসা। এখানে আরেকটি বিষয় বিবেচ্য, আপনার সবাই জানেন কাদীয়ানিদের অন্য সব মুসলিমরা সর্বসম্মত ভাবে কাফের বলে মনে করে। এমনকি পাকিস্তানে আহমদীদের সাংবিধানিকভাবে কাফের সাব্যস্ত করা হয়েছে। যখন এই বিলটি পাশ হয়েছিল পাকিস্তানে, তখন কিছু পত্রিকার শিরোনাম এরকমও ছিল, "৭২ দল ১ দলকে ধর্মচ্যুত করল।" এখানে পূর্বে উল্লেখিত হাদীসটির প্রতি আবার দৃষ্টি দিচ্ছি, রাসূল (স) বলেছেন, আখেরি জামানায় দলাদলি সৃষ্টি হবে। আবার শেষের কথায় বুঝা যাচ্ছে আর সব দিকে দলাদলি থাকলেও সেই সঠিক পথের দলটি থাকবে একদিকে বাকি সবাই থাকবে অন্যদিকে। সেক্ষেত্রে অন্য সব বিষয়ে দিমত থাকলেও সেই ফিরকার ব্যাপারে তারা প্রত্যেকেই একমত থাকবে...আর সেটা কি বলা হয়ে গেছে। আহমদীয়া সম্প্রদায় রাসূল (স) কে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং সর্বশেষ শরীয়াতবাহী রাসূল হিসেবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে রাসূল (স) এর প্রকৃত মর্যাদা খাতামান্নাবীঈন। খাতামান্নাবীঈনের যতগুলো অর্থ হয় সব অর্থেই তাকে খাতামান্নাবীঈন হিসেবে তারা মান্য করে। তবে কোরআনে ও হাদীস অনুযায়ী তাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত। মির্জা গোলাম আহমদকে তারা নবী মানলেও তিনি কোন স্বাধীন(শরীয়তবাহী) নবী ছিলেন না। কোরআনে দাসত্বের নবীর পথ খোলা আছে, নিচের আয়াত ও হাদীসটি দেখুন: সূরা নিসা: ৬৯ আরেকটি আয়াত প্রমাণ করে কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাতি নবীর আগমনের পথ খোলা আছে: সূরা আরাফ: ৩৫ সুনানে নাসাঈ অর্থাৎ এখানে স্পষ্টত যে, যারা আল্লাহর হুকুম মান্য করবে এবং প্রিয় রাসূলের(স) দাসত্ব করবে, তারা নবী, সিদ্দিক, শহীদ, ও সালেহ দের অন্তর্ভূক্ত হবে। অর্থাৎ রাসূল (স) এর দ্বসত্বের শর্তে নবীর আগমনের পথ খোলা আছে। আর আপনারা মির্জা গোলাম আহমদ সাহেবের নামটি বিশ্লেষন করুন। নামটিতে মূর্তিমান যে তিনি আহমদের গোলাম...অর্থাৎ রাসূল(স) এর গোলাম। পূর্বের কোন নবীর ক্ষেত্রে এই শর্ত ছিল না যে তাদের পূর্ববতী কোন নবীর দাসত্ব করতে হবে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর জন্য এই নিয়ম করেছেন। এটা কি রাসূল (স) এর শ্রেষ্ঠতার একটি নিদর্শন না, যে তার ঘরের দাস কে আল্লাহ্ নবীর মর্যাদা দেন, শুধুমাত্র তার দাসত্বের কারনে? আর হাদীসেতেও স্পষ্টত যে, মসজিদে নববীর পর যেমন মসজিদ নির্মান করা হয়েছে তেমনি রাসূল (স) এর পরেও নবীর আগমন হতে পারে। তবে মসজিদ বানাতে হলে সেটা মসজিদে নববীর আদর্শ অনুসারে হতে হবে, তেমনি নবী হতে হলে তাকে কোরআন, হাদীস অনুযায়ী রাসূল (স) এর প্রকৃত দাসত্বের মাধ্যমে হতে হবে। তারপরেও যদি সন্দেহ থাকে মির্জা গোলাম আহমদ সাহেব, রাসূর(স) এর অবমাননাকারি, তবে রাসূল (স) কে নিয়ে তার রচিত একটি কবিতার অংশ উদ্বৃত করছি: "উস নূর পার ফিদা হু(সেই জ্যোতিতে আমি বিভোর) উসকা হি মে হুয়া হু (আমি তারই হয়ে গেছি) ও হে মে চিজ কেয়া হু? (তিনি ছাড়া আমার আছেই বা কি?) বাস ফেয়সালা এহি হে। (এটাই প্রকৃত মিমাংসা)" আর ইমাম মাহদী(আ) ও দ্বিতীয় ঈসা(আ) যে একই ব্যক্তি হবে সেটার জন্য মুসলিম শরীফের এই হাদীসটি দেখুন, কিতাবুল ইমান অধ্যায়ে হাদীসটি পাবেন: রাসূল(স) এর পর নবীর কথা উঠলেই অনেকে একটি হাদীসের কথা বলেন, যেখানে রাসূল (স) বলেছেন, তার পর ৩০ জন মিথ্যা নবী দাবিকারক আসবেন। হাদীসটি একটু ভালো ভাবে পড়ুন। রাসূল (স) বলেছেন ৩০ জন মিথ্যা দাবীকারক আসবেন, কেন বললেন না, তার পর যেই নবীর দাবি করবেন সেই মিথ্যা? এটা এজন্যই বলেননি কারণ ৩০ জন মিথ্যা নবী যেমন আসবেন সত্য নবীও তেমনি আসবেন। তাই ৩০ জন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি এবং একই ভাবে পরোক্ষ ভাবে নিদের্শ দিয়েছেন যাতে অজ্ঞতাবসত যাতে কোন নবী দাবিকারকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা না হয়। তবে খাতামান্নাবীঈন এ আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করতাম, এটাকে আহমদীয়াতের ইস্যু হিসেবে দেখিয়েছে যুগের পথভ্রষ্ট আলেমরা। আমাদের মূল ইস্যু হচ্ছে ইসা (আ) এর মৃত্যু। ঐ ত্রিশটি আয়াত নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুণ, আপনিও বুঝতে পারবেন কেন এই বিষয়টি বোঝা জরুরি। আর আলেমরা বলে, কাদিয়ানীরা খ্রিস্টানদের দালাল। কিন্তু এটা খেয়াল করে না, গোলাম আহমদ সাহেব খ্রিস্টান পাদ্রীদের দাজ্জ্বাল আখ্যায়িত করেছেন। দাজ্জাল সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের একটি বই আপনাদের জন্য সংযুক্ত করলাম। শুধুকি তাই? তিনি(আ) খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ৩ খোদার ১ খোদা(জিসাস) কে মৃত সাব্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন তাদের ধর্মের অসাড়তা। তবে হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) ইংরেজ সরকারের প্রশংসা করেছে, তার কারণ ইংরেজরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। একারণে তাদের পাদ্রীদের দাজ্জাল আখ্যায়িত করার পরেও তারা আহমদীয়াদের উপর আক্রমন চালায় না, যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে সরকারের ছায়াতলে থেকে যুগের তথাকথিত আলেমরা শান্তিতে চালিয়ে যাচ্ছে। একারণে ইংরেজ সরকারকে তিনি(আ) সবসময় সম্মান করতেন। কিন্তু ঠিক তদ্রুপ বা তারচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে, যা এক কথায় তৃত্ত্ববাদ(তিন খোদায় বিশ্বাস)। সূরা মরিয়মের ৮৮-৯১ আয়াত(বিসমিল্লাহকে ১নম্বর আয়াত বিবেচনা করে) টি লক্ষ্য করুন: যেভাবে আল্লাহ্ তাআলা বিষয়টিকে ঘৃণা করেন ঠিক তেমনি আমরাও বিষয়টিকে ঘৃণা করি। ৩ খোদায় বিশ্বাস সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্বাস। আমি সবাইকে একটি বিষয়ে দিকনির্দেশ করব। আপনি যখন অন্য একজনের সম্পর্কে কোন কিছু কমেন্ট করবেন তখন আপনার প্রত্যক্ষ করা উচিৎ সে প্রকৃত পক্ষে কেমন? আর যেটা যুক্তি তর্ক সাপেক্ষ সেখানে তো অবশ্যই বিপক্ষের রেফারেন্স দিয়েই বিপক্ষকে ঘায়েল করতে হবে। কিন্তু আহমদীয়া সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চর্চা করার কথা কেউ স্মরণ রাখেন না। শোনা কথায় কান দিয়ে সেই কথাকেই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন। আমি আমার এই ব্লগের হাদীস ও কোরআনের উদ্বৃতিগুলোতে এই নীতিটি প্রয়োগ করেছি। যেহেুত ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের বিশ্বস্ত একটি প্রকাশনী তাই হাদীসগুলো ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অনুদিত হাদীস গ্রণ্থ থেকেই উদ্বৃত। আর কোরআনের ক্ষেত্রে ডা: জহুরুল হকের এবং আরেকটি কোরআনের অনুবাদ থেকে সরাসরি ক্রিনশট তুলে এটাচ করেছি। সবশেষে আমি সবাইকে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) কে কোরআন ও হাদীস সাপেক্ষে ইমাম মাহদী ও ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) হিসেবে যাচাই করার জন্য অনুরোধ করে শেষ করছি। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সর্বদা সরল, সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন। আরও যান্তে-http://amader-kotha.com/page/168387 http://www.ahmadiyyabangla.org http://www.alislam.org

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

আহমদ জসিম বলেছেন: আপনার তথ্য নির্ভর জ্ঞানগর্ভ আলোচনাতে আমি মুগ্ধ, স্বীকার করছি, ধর্ম সম্পর্কে অত পড়াশোনা আমার নেই, তাই বলে জানার আগ্রহ কম সেটাও না।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জনাব মাহাবুব বলেছেন: কাদিয়ানিদের কেন অমুসলিম ঘোষনা করার দাবি জানাচ্ছে সেটা আপনি সঠিকভাবে অনুধাবন না করে অন্যকে হেয় করার মধ্যে নিজেকে খুব জ্ঞানী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন।

মুসলিম হতে হলে কি কি শর্ত পূরণ করা লাগে সেটা আগে জানুন। কেউ গায়ের জোরে নিজেকে মুসলিম দাবি করে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব তাদের সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেই অপতৎপরতাকে রুখে দেওয়া।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

আহমদ জসিম বলেছেন: আমি নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টা করছি এটা আপনার ভুল ধারণা, বরং একটা অভিজ্ঞতার কথা বললাম মাত্র।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লে হালুয়া! এত মুসলমানিত্ব কহা পার রাখ্খু

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

দার্শনিক বলেছেন: @আবীর, আপনার মতে একজন মুসলমানের নিজেকে কি বলে দাবী করা উচিত? আপনি যাদেরকে কাদিয়ানী বলছেন তাদের মূল নাম "আহমদীয়া মুসলিম জামাত" এবং এটি আখেরি যামানায় ইসলামের ৭৩ দলের একটি। যেমন: যারা সুন্নী তাদের মূল জামাতের নাম "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত"। একজন সুন্নী মুসলিম যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করতে পারে, তবে কেন একজন আহমদী মুসলিম পারবে না?

দ্বিতীয়ত কে মুসলমান আর কে অমুসলমান এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। এই বিষয়ে একটি বিখ্যাত রিপোর্ট আছে যার নাম "মুনির কমিশন রিপোর্ট"। সেই রিপোর্ট পড়লে দেখবেন, "মুসলমানের সংজ্ঞা কি?" এই প্রশ্নে মুসলমান ফিরকার আলেমগন দ্বিধাবিভক্ত। একজনের সংজ্ঞাকে যদি সঠিক ধরা হয়, তবে সেই সংজ্ঞানুযায়ী অন্যান্য সব ফিরকা অমুসলমান সাব্যস্ত হয়। এটি বড় জটিল একটি বিষয়। তার চেয়ে যেটা সহজ তা হল এ বিষয়ে রাসূল (সা.) এর হেদায়াত অনুসরণ করা।

তিনি (সা.) বলেছেন, "যদি কোন লোক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলে তা তাদের দুজনের যে কোন একজনের উপর পতিত হয়। সে যাকে বলছে সে যদি সত্যি সত্যিই কাফের হয়ে থাকে তাহলে তো ঠিকই বলেছে। অন্যাথায় কুফরী তার নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।" (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান)

এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, কাউকে কাফের ফতোয়া দান করলে ফতোয়া প্রদানকারীর কাফের হওয়ার ৫০% সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তাই কাউকে কুফরী ফতোয়া দেয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

দার্শনিক বলেছেন: ব্লগের লেখককে ধন্যবাদ বিষয়টি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখার জন্য। আপনি "শেষ নবী" ইস্যুতে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বিশ্বাস কি এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন তাদের বই থেকেই। আমার ব্লগ পড়লে এ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আশা করি।

এছাড়া আজই এই বিষয়েই একটি ব্লগ লিখেছি। পড়ে দেখতে পারেন।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেখক যে ছুপা কাদিয়ানি তা বুঝতে কারো বাকী নাই। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে কাদিয়ানিরাও। সময় মত একটা ভালো সরকার এলেই তোমাদের খেল খতম।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

জেকলেট বলেছেন: লেখক: নাইম রেজার লেখাটা পড়েন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যে নিজেকে কাদিয়ানী দাবী করেছিলো তার প্রমান। যদিও উনি কোন বই এর রেফারেন্স দেন নি তাই আমি নিজে ও উনার কাছে কিছু বই এর রেফারেন্স চাচ্ছি। যাতে উনাদের ব্যাপারে আমরা আরো ভালো করে জানতে পারি।

@নাইম রেজা। আপনার লেখা পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে। আশা করি উত্তর পাবো।
১) ভাই আপনি বল্লেন যে আপনারা মুহাম্মদ সাঃ (উনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক) কে খাতেমুন নবি হিসেবে সবদিকেই স্বিকার করেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোরআনের অনেক জায়গায় (সূরা আহজাব: ৪০, আলাআনাম:১২৪) অন্তত আট বার, সহী বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি এবং আবু হুরায়রা, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, আবু সায়ীদ খুদরীর মত সাহাবী গন যে অসংখ্য হাদীসে মুহাম্মদ (সাঃ) কে শেষ নবী হিসেবে সকল অর্থে ঘোষনা করেছেন এবং ঘোষনা করেছেন যে এই বিশ্বাস সকল মুসলমানের অবশ্যই থাকতে হাবে তাহলে আপনার গোলাম সাহেব এবং আপনারা তা মানেন না কেন?? আপনারা ব্যাখ্যার দাবী তুলেন, কিন্তু এই সকল কোরআনের আয়াতে ও হাদীসে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে আল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ এর পর আর কোন নবী ( কোন অর্থেই ) প্রেরন করবেন না অর্থাৎ নবুয়াতের ধারায় সীল মেরে দিছেন। অর্থাৎ মুসলমান হোওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে মুহাম্মদ আল্লার রাসূল এবং সর্ব শেষ নবী। তাহলে কাদীয়ানী সাহেব কেমনে নবী হন? কোরআন এবং ইসলামের সকল জ্ঞানের উৎস ই কাদিয়ানী সাহেবের এই দাবীকে মিথ্যা বলে।
২) আপনার দাবী মত কাদিয়ানী সাহেব মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাস হিসেবে আগমন করেছেন!! কিন্তু ইসলামে তো এর কোন সুযোগ ই নাই। ইসলামি মতে আপনি একমাত্র এক আল্লারা দ্বাসত্ব করবেন কোন ব্যাক্তি নবী বা রাসূলের না। এমনকি মুহাম্মদ (সাঃ) কে পর্যন্ত আল্লাহ উনার দাস হিসেবে কোরআনে পরিচিত করে দিছেন। স্বয়ং প্রফেট নিজে ব্যাপারে পরিচয় দিতে গেলে বলতেন আমি আল্লার দাস, আবদুল্লাহর পূ্ত্র মুহাম্মদ বলছি। এবং আল্লার রাসূল বারবার বলেছেন এমনকি উনার বিদায় হ্বজ্ঝের ভাষনেও বলেছেন তোমরা এক আল্লার দাসত্ব করবে এবং তার সাথে কাউকে স্বরিক করবেনা। এখন আপনারা বা আপনাদের গোলাম কাদিয়ানী সাহেব আবার কোথা থেকে এই নতুন ঘোষনা আনলেন যে আমরা আল্লার দাসত্ব বাদ দিয়া অথবা আল্লার দাসত্বের সাথে মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাসত্ব করব?? এটা ইসলামের মৌলিক নীতির সুষ্পষ্ট খেলাপ।
৩) তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম উনি নবী হিসেবে এসেছেন। তো উনাকে নবী বানানোর কারনটা কি?? আগের নবী বা রাসূল পাঠানো হত যখন মানুষ আল্লার একত্ববাদকে অস্বীকার করে অনেক দেব দেবীর পুজা শুরু করত বা আল্লার অহীকে নিজেদের ইচ্ছামত বিকৃত করত অথবা অন্য কোন নবী বা রাসূলের সাহায্যার্থে যেমন মূসা আঃ এর সাথে ছিলে হারুন আঃ। যেখানে আল্লার প্রেরিত গ্রন্হ কোরআন এখন অক্ষত, অসংখ্য মুসলামন বুঝে হউক বা না বুঝে হউক উনার প্রেরিত কোরআনের মূল মর্মবানী উনার পাঠানো রাসূলের মূল মর্মবানীকে অনুসরন করছে সেখানে গোলাম সাহেবের আশার কোন লজিক আমি খুজে পাইনা।
৪) আবারো তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম গোলাম সাহেব নবী হিসেবে এসেছেন, তো উনার পরে নিশ্চই আরো নবী এসেছেন। কারন আপনি বলেছেন নবীদের এই আসা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। তো কাদিয়ানী সাহেবের পরে আর কারা কারা এসেছেন একটা লিস্ট কি পতে পারি?? কারন ১৯০৮ সালের পর ১০০ বছর পার হয়েছে অনেক কিছু চেন্জ হইছে নিশ্চই আরো অনেক নবী এসেছেন এই জন্য বল্লাম আর কি। নাকি আপনারা ও মুসলমানদের মত গোলাম সাহেবকে শেষ হিসেবে সিল পরাইয়া দিয়াছেন??
৫) গোলাম সাহেবের সাথে অন্য নবী দের পার্থক্য কোথায় জানেন?? অন্য সব নবী বা রাসূল একজন আরেকজনকে নিজেদের ভাই হিসেবে ঘোষনা করেছেন। গোলাম হিসেবে না। গোলাম সাহেব যে গোমরাহীতে ছিলেন এর দ্বারা তার প্রমান।
৬) আমরা মুসলমানদের সম্পর্কে আপনারা প্রায় ই একটা কথা বলেন যে আমরা নাকি জুর করে আপনাদের অমুসলিম বানিয়ে দিচ্ছি। কথাটা কি ঠিক?? ধরেন মুসলমান হিসেবে আমরা জেসাস কে বিশ্বাস করি, মূসা আঃ কে বিশ্বাস করি এবং এই বিশ্বাস আমাদের ইমানের অংশ তাই বলে কি আমরা নিজেদের জিউস বা ক্রিশ্চান দাবী করব?? আবার ক্রিশ্চানরা মূসা আঃ কে বিশ্বাস করে তাই বলে তারা কি ইহুদী হয়ে গেলো?? এইটা কখনই না। একজন মুসলামানের একজন জিউস বা একজন ক্রিশ্চানের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে তার নবীর উপর বিশ্বাসে। আমরা মুসলামনরা বাকি সব নবীকে মেনে নিয়া আমাদের নবীকে সহ একটা স্বতন্ত্র বিশ্বাসী সম্প্রদায়। ঠিক তেমনি আপনার মুসলমনা না বরং মুসলমানদের থেকে আলাদা। একজন মুসলামান যে কারনে নিজেকে ক্রিশ্চান বা ইহূদী দাবী করতে পারেনা, যেমন একজন ক্রিশ্চান নিজেকে ইহূদী দাবী করতে পারেনা তেমনি একজন কাদিয়ানী নিজেকে মুসলমান দাবী করার অধিকার নাই। আপনার বিশ্বাসে স্বতন্ত্র আপনার আলাদা থাকুন। অথবা আপনার আমাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস স্ঠাপন করে আমাদের সাথে একিভুত হউন।
৭) আপনার গোলাম সাহেব নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে ক্রিশ্চান পাদ্রীদেরকে দাজ্জাল বলেছেন আবার বৃটিশদেরকে তৈল দিয়াছেন। একজন পাদ্রীর কাছে রাজনৈতিক কৌশল থেকে ওর ধর্মিও মুল্যবোধ অনেক বেশি। একচুয়ালি যারাই ধর্ম প্রাচার করে সে যে ধর্মের ই হউকনা কেন তারা এত রাজনৈতিক সুবিধাবাদী চিন্তা করতে পারেন। গোলাম সাহেব ত আবার একটু সুবিধাবাদী হিসেবে ইতিহাসে সমাদৃত। তো মুসলমানদের মাঝে বিবেদ তৈরীর এই সুযোগ সেটা যত ছোট ই হুক বৃটিশরা মিস করবে কেন???
৮) আচ্ছা গোলাম সাহেবের মর্যাদা কি আল্লার রাসূলের সাহাবীদের থেকে বেশি না কম??? যদি বেশি হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে?? আর যদি কম হয় তাহলে তাও বা কেমনে হয়??
৯) আপনি আপনার লেখায় অশংখ্য মিথ্যা কথা বলেছেন। আপনি বলেছেন যে গোলাম সাহেবের সাথে নাকি মুসলমানদের মূল সমস্যার স্থল হচ্ছে ইসা আঃ আসা বা না আসা নিয়া। আজ পর্যন্ত কোন ব্যাক্তিকে আমি পাইনাই যে মূলত এই দাবীর কারনে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষনার দাবী করছে। আপনি হাদীস নিয়া মিথ্যা বলেছেন। এমনকি কোরআনকেও বাদ দেন নি। মুসায়লামার নাম শুনেছেন??? ইতিহাসে এই ব্যাক্তি মুসায়লামাতুল কাজ্জাব নামে পরিচিত। এই মিথ্যাবাদী ও আপনাদের গোলাম সাহেবের মত সেই একি যুক্তিতে নিজেকে নবী দাবী করেছিলো। ইতিহাসটা একটু পইড়েন।

পরিশেষে একজন নবী না একজন আত্ব মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ ও ধুর্ততা চাতুরী পছন্দ করে না। গোলাম সাহেব আপদামস্তক একজন চতুর লোক ছিলেন এবং উনি মিথ্যাবদী ছিলেন। এটা কোন নবীর বৈশিষ্ট হতে পারেনা। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

জেকলেট বলেছেন: @লেখক: নাইম রেজার লেখাটা পড়েন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যে নিজেকে নবী দাবী করেছিলো তার প্রমান। যদিও উনি কোন বই এর রেফারেন্স দেন নি তাই আমি নিজে ও উনার কাছে কিছু বই এর রেফারেন্স চাচ্ছি। যাতে উনাদের ব্যাপারে আমরা আরো ভালো করে জানতে পারি।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনার মৃত্যু যে পায়খানায় পড়ে হয়েছিল সেটাও বলেন @ জেকলেট

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বইটির নাম মহা সুসংবাদ

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার জানা মতে মুসলমান হবার প্রধান তিনটি শর্ত হচ্ছে, ১/ মহান আল্লাহ্ পাকের সাথে শরীক না করা,২/ নবী করিম ( সঃ)কে আল্লাহ্র প্রেরিত শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করা এবং পবিত্র কোরানকে আল্লাহ্রর প্রেরিত গ্রন্থ হিসেবে ইমান রাখা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাদিয়ানিরা কী এই তিনটার কোনটিকে অস্বীকার করেন?

উত্তর : কেউ যদি বলে মদ হালাল বা সুদ হারাম তাহলে আল্লাহর বিধান মুতাবেকই তারা কাফির। আর কাদিয়ানীরা রাসূল (সা) কে শেষ নবী হিসাবে মানে না তার প্রমান আপনাকে এ ব্লগের একজন কাদিয়ানীর মাধ্যেমে দিচ্ছি। তার লেখা পড়ুন : সৈয়দ মুজতবা আলীর "চতুরঙ্গ" বইয়ের একটি পাদটীকা এবং ভুলে যাওয়া একটি ইসলামী শিক্ষা। লেখকের নাম দার্শনিক। তিনি কুরআনের মাধ্যমে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন আরো নবী আসবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

আহমদ জসিম বলেছেন: যে কোরন মানে তার পক্ষে মদকে হালাল বলা সম্ভব না, তথ্যের জন্য ধন্যবাদ, তবে ব্লগারের লিংক দিলে ভালো হতো।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: দার্শনিক,
আমি আপানাকে কোন উত্তর দেই্নি। আর আপনি আমি যা বলেছি সেটারও উত্তর দেননি।

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: জেকলেটের এ জবাব টা দারুন হয়েছে।

আমরা মুসলমানদের সম্পর্কে আপনারা প্রায় ই একটা কথা বলেন যে আমরা নাকি জুর করে আপনাদের অমুসলিম বানিয়ে দিচ্ছি। কথাটা কি ঠিক?? ধরেন মুসলমান হিসেবে আমরা জেসাস কে বিশ্বাস করি, মূসা আঃ কে বিশ্বাস করি এবং এই বিশ্বাস আমাদের ইমানের অংশ তাই বলে কি আমরা নিজেদের জিউস বা ক্রিশ্চান দাবী করব?? আবার ক্রিশ্চানরা মূসা আঃ কে বিশ্বাস করে তাই বলে তারা কি ইহুদী হয়ে গেলো?? এইটা কখনই না। একজন মুসলামানের একজন জিউস বা একজন ক্রিশ্চানের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে তার নবীর উপর বিশ্বাসে। আমরা মুসলামনরা বাকি সব নবীকে মেনে নিয়া আমাদের নবীকে সহ একটা স্বতন্ত্র বিশ্বাসী সম্প্রদায়। ঠিক তেমনি আপনার মুসলমনা না বরং মুসলমানদের থেকে আলাদা। একজন মুসলামান যে কারনে নিজেকে ক্রিশ্চান বা ইহূদী দাবী করতে পারেনা, যেমন একজন ক্রিশ্চান নিজেকে ইহূদী দাবী করতে পারেনা তেমনি একজন কাদিয়ানী নিজেকে মুসলমান দাবী করার অধিকার নাই। আপনার বিশ্বাসে স্বতন্ত্র আপনার আলাদা থাকুন। অথবা আপনার আমাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস স্ঠাপন করে আমাদের সাথে একিভুত হউন।

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

জেকলেট বলেছেন: @৮৩১আবীর১৯৮৩: ওহ এই দার্শনিক ঐ দার্শনিক??? রসুলেন গোড়া তাহলে এক জায়গায়। দার্শনিক সাহেব সূরা নিসার আয়াত নিয়া তেনা পেচাচ্ছেন আর কি লিখছেন নিজেও মনে হয় জানেন না। আমি ঐ খানে ও লিখেছি। পারলে পড়ে আসবেন। ধন্যবাদ সাপোর্টের জন্য।

১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: http://www.alislam.org
http://www.ahmadiyyabangla.org/

১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: http://www.ahmadiyyabangla.org/
https://www.alislam.org/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.