নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে এখনো চিনে উঠতে পারিনি। আপনাদের আর কি বলবো? তবে গান শুনতে এবং গাইতে ভালো লাগে,কবিতা লিখতে পছন্দ করি এবং বাস্তব কথা লিখার চেস্টা করি।fb id- Al Nahid Shuvo m.facebook.com/Alnahidshuvo

আলনাহিদশুভ

নিজেকে এখনো চিনে উঠতে পারিনি।আপনাদের আর কি বলবো? তবে গান শুনতে এবং গাইতে ভালো লাগে,কবিতা লিখতে পছন্দ করি এবং বাস্তব কথা লিখতে পছন্দ করি।

আলনাহিদশুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজকুমারিকে উদ্ধার

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

#রাজকুমারীকে_উদ্ধার
লেখক- আল নাহিদ শুভ
.
এক রাজ্যের এক রাজকুমারি ছিলো।
তাকে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখা
হয়। তবে ঘরটির কোনোকিছুই
দেখা যায় না। ঘরটি অদ্রিশ্যমান।
ঘরটিই সেই দেখবে যে তাকে
সত্যিকার ভাবে ভালোবাসবে।
যাকে আমরা ইংরেজীতে "ট্রু লাব"
বলে থাকি।
.
তিন রাজ্যের তিনজন রাজকুমার
সিদ্ধান্ত নেই মেয়েটিকে উদ্ধার
করবে। কিন্তু তাদের কেউ জানেনা
অদ্রিশ্যমান ঘর এবং ভালোবাসার
কথা।
.
প্রথমজন রওনা হয় রাজকুমারীকে
উদ্ধারের উদ্দেশ্যে সে মাঝপথে
গিয়ে একজন লোককে জিজ্ঞাসা
করে রাজকুমারিকে কোথায়
পাওয়া যাবে। ভদ্রলোকটি বলে
তোমার ঐদিকে যাওয়া ঠিক হবে
না। সেখানে একটি ডাইনাসর
আছে। তুমি গেলেই তোমাকে মুখ
দিয়ে আগুন বের করে মেরে ফেলবে।
তুমি যদি মোকাবেলা করে
জিততে পারো,তাহলে সে
তোমার। সেই রাজকুমার বললো
আমি পারবনা। সে ভীতু হয়ে চলে
যায় নিজ রাজ্যে। ভদ্রলোকটি
হাসতে থাকে।
.
এবার দ্বিতীয় রাজকুমার রওনা
হলো রাজকুমারিকে উদ্ধার করার
উদ্দেশ্যে।
সে একটি ঘোড়া নিয়ে
যাচ্ছে,সেই অদ্রিশ্য বাড়ির
দিকে।তিনি অদ্রিশ্য বাড়ির খোঁজ
করছিলো। আবার সেই ভদ্রলোকটির
সাথে দেখা দ্বিতীয় জনের।
ভদ্রলোকটির মাথায় লাল কাপড়।
লম্বা লম্বা দাড়ি ও ঠোঁটভর্তি
গোফ।
.
সে জিজ্ঞাসা করলো ঘরটির কথা।
ভদ্রলোকটি আবার সেই একই কথা
বললো। দ্বিতীয় রাজকুমার বললো
আমার তার কাছে ধারালো
তলোয়ার আছে, যা দিয়ে সে
ডাইনাসরকে প্রতিহত করবে।কিন্তু
ভদ্রলোকটি বললো ডাইনাসর
ছাড়াও একটি ঝুলন্ত ব্রিজ আছে। যা
থেকে একবার পড়লে আর উঠা সম্ভব
না। কারণ সেখানে জ্বলছে জ্বলন্ত
আগুন। আগুনের সমুদ্র স্রোত বইছে
পানির স্রোতের মত। আর সেটি দূরত্ব
হচ্ছে তিন কিলোমিটার।দ্বিতীয়
রাজকুমারটি অনেক সাহসী ছিলো
বটে। কিন্তু সে এক প্রকার চালাকি
করলো,সে চিন্তা করলো তিন
কিলোমিটার যেতে হলে হেঁটে
যেতে হবে, কারণ ব্রিজটি পার
হলে ঘোড়া দিয়ে ব্রিজটি ভেঙে
গিয়ে সে পড়ে যেতে পারে।
রাজকুমার ভাবলো এই
রাজকুমারীকে পাওয়ার জন্য এত কস্ট
করার দরকার নেই। আরেক রাজ্যের
রাজকুমারীকে বিয়ে করবো বলে
তার রাজ্যের দিকে ফিরে
গেলো।
.
সবশেষে তৃতীয় রাজকুমার যাবে
রাজকুমারিকে উদ্বার করতে। আশ্চর্য
জনক ভাবে দেখা গেলো সে হেঁটে
যাচ্ছে।তার একটি ধারালো
তলোয়ার ছিলো বটে। আবার সেই
ভদ্রলোকটির সাথে দেখা। এবারও
তৃতীয় রাজকুমারকে ঠিক সেই
কথাগুলো বলা হলো।
ডাইনাসর,আগুনের সমুদ্রের উপরে ঝুলন্ত
ব্রিজের ভয়াবহতা ইত্যাদি। কিন্তু
সে তাও যেতে রাজি। ভদ্রলোকটি
বললো রাজকুমারি কোনোদিন মা
হতে পারবেনা। রাজকুমারকে
বংশের স্থায়িত্বের ভয় লাগিয়ে
দেয় ভদ্রলোকটি। রাজকুমার বললো
"আমি রাজকুমারিকে মনে মনে
আমার স্ত্রীর স্বীকৃতি
দিয়েছি,তাকে আমি না দেখলেও
আমার হৃদয়ের মধ্যে শুধুই তার
স্থান,আমি তাকে ভালোবেসেছি
তখনই, যখন তাকে উদ্ধারের কথা বলা
হয়েছিলো। এতে বংশ রক্ষারও
কোনো প্রয়োজন বলে মনে
করিনা"
এ বলে সে রওনা হবে ঠিক সেই
মুহূর্তে একটি ঘর দ্রিশ্যমান হয়ে
উঠে।
ঘরটি ভদ্রলোক থেকে মাত্র তিন গজ
দূরে। সেখানে ছিলোনা কোনো
ডাইনাসর,ছিলোনা কোনো ঝুলন্ত
ব্রিজ,না ছিলো কোনো আগুনের
সমুদ্র। রাজকুমারি দরজা খুলে বের
হলো এবং তৃতীয় রাজকুমারকে
বললো"তুমি সেই মানুষ যার জন্য আমি
এক যুগেরও বেশি অপেক্ষা
করেছিলাম।"
তৃতীয় রাজকুমারটি ছিলো
রাজকুমারির প্রকৃত প্রেমিক।
.
বুড়ো ভদ্রলোকটি বলে সে বন্ধ্যাও
নয়।রাজকুমার খুশি হয়ে আলিঙ্গন করে
রাজকুমারির সাথে।তৃতীয়
রাজকুমার রাজকুমারিকে নিয়ে
রাজ্যের দিকে রওনা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.