নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নকে পাথেয় ভাবি।

অলওয়েজ ড্রিম

"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]

অলওয়েজ ড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা বুঝেছি তারা পরাণের গহীন ভিতরে

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

(আমি এই ঢাকায় ব্যাঙের ডাক, ঝিঁঝিঁর ডাক, শিয়ালের ডাক মিস করি। সবুজ ধানক্ষেত জুড়ে লক্ষ লক্ষ মাকড়শার লক্ষ লক্ষ জালের যে শুভ্র সৌন্দর্য্য তা মিস করি। ভোরে সেই জালের ফাঁদে আটকে যাওয়া শিশির এবং আটকে যাওয়া সূর্যটাকে মিস করি। কিন্তু আমার এই অনুভূতির গভীরতা তারা কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারবেন না যারা গ্রামকে চেনেন নি, বোঝেন নি, শোনেন নি, এবং গ্রামকে বুকে ধারণ করেন নি। আমার এই আকুতি শুধু তাদের বুকেই বাজবে যারা অর্থাৎ আমরা যারা --- )





আমরা দেখেছি যারা পুকুরের স্বচ্ছজলে বৃষ্টির বুদ্বুদ

দিকচক্রবালে কালো মেঘের প্রপাত

কেমন কিম্ভূত!

আমরা শুনেছি যারা জলতলে বৃষ্টির নিনাদ

একটানা অদ্ভুত!

ঝিঁঝিঁদের অবিরাম প্রণয় সঙ্গীত!

দেখেছি জোনাকি পোকা জ্বেলেছে ইঙ্গিত!



আমরা বুনেছি যারা স্বপ্নবীজ দক্ষিণ হাওয়ার কারুকাজে

আমরা জেনেছি যারা বাংলাদেশ বহুরূপী ঋতুর ভাজেভাজে।

আমরা খেয়েছি যারা খুটেখুটে কলাইয়ের শিম

আমরা চিনেছি যারা বাঁশবন, বট, আর নিম।

আমরা খেলেছি যারা বৃষ্টি মাথায় করে কাদাজলে হুটোপুটি খেলা

আমরা ভেসেছি যারা খালেবিলে, দিঘিজলে; বানিয়েছি ভেলা।

আমরা জেনেছি তারা বাংলাদেশ ঢাকা নয় -

ডেফুলিয়া, রাকুদিয়া, ছেঁড়াদ্বীপ, তেঁতুলিয়া আরো কতো গ্রাম

নদীনালা, খালবিল, অরণ্য, পাহাড় আর সমুদ্র প্রণাম।

আমরা জেনেছি তারা দিগন্তের ওই পারে যে আকাশ ছড়িয়ে রয়েছে

তার নিচে ধানক্ষেত, লাউমাচা, কলাইয়ের শ্যাম-উচ্ছলতা

সরিষার ফুলেফুলে স্নিগ্ধ উজ্জ্বলতা।

লোহাগাড়া-জাম-নীলে নীলাভ জিভের অহঙ্কার -

কিশোরের প্রাণখোলা হাসি

আমরা বুঝেছি তারা পরাণের গহীণ ভিতরে

দিগন্তের ওইপার বড় ভালবাসি।





আমরা হেঁটেছি যারা আলপথে - দুইধারে গুচ্ছগুচ্ছ ধান

আমরা পেয়েছি যারা শুকনো কলা পাতায় বাঁশমতি-ঘ্রাণ।

আমরা দেখেছি যারা শামুকের সাবুদানা ডিম

আমরা মেখেছি যারা সকালের কুয়াশায় শিশিরের হীম।

আমরা দেখেছি যারা শীতের আকাশজুড়ে সড়ালের ঝাঁক

আমরা শুনেছি যারা অন্ধকারে শিয়ালের ডাক।

আমরা তুলেছি যারা বিল থেকে ঝিল থেকে শাপলা শালুক

আমরা জেনেছি তারা এই ভিড়-ধোঁয়া-ধূলো জ্যামের শহর -

তার মেকী সুখ

এদেশের পরিচয় নয়।





সারমর্ম:

আমরা দেখেছি যারা বৃষ্টির বুদ্বুদ

কেমন কিম্ভূত মেঘের প্রপাত!



একটানা অদ্ভুত বৃষ্টির নিনাদ

আমরা শুনেছি যারা --



তাদের কি ভাললাগে মটরের হর্ন?

তাদের কি ভাললাগে ধোঁয়া-ধূলো-জট?

আমাদের ভাললাগা বায়ু-শন-শন!

আমাদের ভাললাগা বাঁশ-বেত-বট!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অসম্ভব ভালো লেগছে। শেয়ার্ড!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আজ আপনি কোথাও যাবেন না অথচ আমার ব্লগে চলে এসেছেন। আমার অসম্ভব ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমি অনেক অনেক খুশি যে আপনি আমার এই কবিতাটাও পড়েছেন এবং যথারীতি মন্তব্যের বর্ষণও করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। কালকের আড্ডায় আসেন। কথা হবে।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারণ :) +++

যদিও আমি এই অনুভূতির সাথে পরিচিত নয় তেমন একটা :(

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে মাটির কাছাকাছি অর্থাৎ গ্রামে যাদের শৈশব, কৈশোর কেটেছে তারা মনেহয় না শহরকে কোনো দিন ভালবাসতে পারবে। আমি তো সব সময় স্বপ্ন দেখি আবার গ্রামে যাওয়ার, গিয়ে স্থায়ী হওয়ার।

নিমন্ত্রণ- জসীমউদ্দীন


তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া,
কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া;
ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী
পারের খবর টানাটানি করি;
বিনাসুতি মালা গাথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;
বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।

তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে, ছোট সে কাজল গাঁয়,
গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।
সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া
দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,
বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,
বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!

তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে – নরম ঘাসের পাতে
চম্বন রাখি অধরখানিতে মেজে লয়ো নিরালাতে।
তেলাকুচা – লতা গলায় পরিয়া
মেঠো ফুলে নিও আঁচল ভরিয়া,
হেথায় সেথায় ভাব করো তুমি বুনো পাখিদের সাথে,
তোমার গায়ের রংখানি তুমি দেখিবে তাদের পাতে।

তুমি যদি যাও আমাদের গাঁয়ে, তোমারে সঙ্গে করি
নদীর ওপারে চলে যাই তবে লইয়া ঘাটের তরী।
মাঠের যত না রাখাল ডাকিয়া
তোর সনে দেই মিতালী করিয়া
ঢেলা কুড়িইয়া গড়ি ইমারত সারা দিনমান ধরি,
সত্যিকারের নগর ভুলিয়া নকল নগর গড়ি।

তুমি যদি যাও – দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,
সীম আর সীম – হাত বাড়াইলে মুঠি ভরে সেই খানে।
তুমি যদি যাও সে – সব কুড়ায়ে
নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,
খাব আর যত গেঁঢো – চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,
হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।

তুমি যদি যাও – শালুক কুড়ায়ে, খুব – খুব বড় করে,
এমন একটি গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো করে,
কারেও দেব না, তুমি যদি চাও
আচ্ছা না হয় দিয়ে দেব তাও,
মালাটিরে তুমি রাখিও কিন্তু শক্ত করিয়া ধরে,
ও পাড়াব সব দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে;

সন্ধ্যা হইলে ঘরে ফিরে যাব, মা যদি বকিতে চায়,
মতলব কিছু আঁটির যাহাতে খুশী তারে করা যায়!
লাল আলোয়ানে ঘুঁটে কুড়াইয়া
বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করিয়া
এত ঘুষ পেয়ে যদি বা তাহার মন না উঠিতে চায়,
বলিব – কালিকে মটরের শাক এনে দেব বহু তায়।

খুব ভোর ক’রে উঠিতে হইবে, সূয্যি উঠারও আগে,
কারেও ক’বি না, দেখিস্ পায়ের শব্দে কেহ না জাগে
রেল সড়কের ছোট খাদ ভরে
ডানকিনে মাছ কিলবিল করে;
কাদার বাঁধন গাঁথি মাঝামাঝি জল সেঁচে আগে ভাগে
সব মাছগুলো কুড়ায়ে আনিব কাহারো জানার আগে।

ভর দুপুরেতে এক রাশ কাঁদা আর এক রাশ মাছ,
কাপড়ে জড়ায়ে ফিরিয়া আসিব আপন বাড়ির কাছ।
ওরে মুখ – পোড়া ওরে রে বাঁদর।
গালি – ভরা মার অমনি আদর,
কতদিন আমি শুনি নারে ভাই আমার মায়ের পাছ;
যাবি তুই ভাই, আমাদের গাঁয়ে যেথা ঘন কালো গাছ।

যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।
ঘন কালো বন – মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।
গাছের ছায়ায় বনের লতায়
মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়!
আজি সে – সব সরায়ে সরায়ে খুজিয়া লইব তায়,
যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গায়।

তোরে নিয়ে যাব আমাদের গাঁয়ে ঘন-পল্লব তলে
লুকায়ে থাকিস্, খুজে যেন কেহ পায় না কোনই বলে।
মেঠো কোন ফুল কুড়াইতে যেয়ে,
হারাইয়া যাস্ পথ নাহি পেয়ে;
অলস দেহটি মাটিতে বিছায়ে ঘুমাস সন্ধ্যা হলে,
সারা গাঁও আমি খুজিয়া ফিরিব তোরি নাম বলে বলে।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রথমটা অনেক বেশি সুন্দর।
বার বার পড়ার মত কবিতা।
মুগ্ধ হলাম। আবার ও আসতে হবে এই কবিতায়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: খুব উৎসাহ পেলাম। তবে দুঃখের বিষয় কি জানেন যে মেয়েটির জন্য এই কবিতাটি লিখেছিলাম সে কোনো দিনই এই কবিতার কথা জানবে না। মেয়েটি আমার গ্রামমুখীতাকে কটাক্ষ করেছিল। এবং তার সাথে যোগাযোগের যোগসূত্রটিকে হারিয়ে ফেলেছি।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

নেক্সাস বলেছেন: আমাদের ছোট গ্রাম পোতা আছে নাড়ি যেই খানে
মন সেথা উড়ে যায় সন্তর্পনে,
অবারিত সবুজের মাখামাখি আমনের বিছানায়,
মাজখানে আলপথ চলে গেছে দুরে..
আজো সেই শ্যামলিমা ডাকে আমায়
বটতলে রাখালি বীনার সুরে
দুরন্ত গ্রাম্য কিশোরী হেঁসে কুটি কুটি
প্রিয় ছাগ ছানাটিরে নিয়ে
আজো মনে পড়ে চৈত্রের ক্ষরায় সেই
কোলা ব্যঙের ধুমধাম বিয়ে।



০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিকভাবে দু:খীত যে আপনার এই চমৎকার মন্তব্যটি দীর্ঘ দুই বছরেও দেখি নাই। এর কারণ এই পোস্টে এতদিন আমি আসি নাই, আর সামু'র নোটিফিকেশন ঠিক মতো কাজ করে না।

আমরা যারা গ্রাম থেকে এসেছি, নাড়িপোতা সেই গ্রামেই আমাদের মন উড়ে যায় বারবার। এই টান থেকে আমাদের আর মুক্তি নাই।

ভাল থাকবেন ভাই। শুভেচ্ছা।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: 'আমরা বুঝেছি তারা পরাণের গহীন ভিতরে'

সত্যি ভালো লাগলো। অদ্ভুদ এক ধরনের নেশা বা সোঁদা সোঁদা গন্ধ আছে। শব্দ গুলো, কবিতার লাইনগুলো কোথায় এসে জানি বিদ্ধ করে। আপনি কবিতা লেখেন না কেন?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিকভাবে দু:খীত যে আপনার এই চমৎকার মন্তব্যটি দীর্ঘ দুই বছরেও দেখি নাই। এর কারণ এই পোস্টে এতদিন আমি আসি নাই, আর সামু'র নোটিফিকেশন ঠিক মতো কাজ করে না।

একটা ব্যাপার নিশ্চিত, সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। আমি সেই কেউ অর্থাৎ কেউটের দলে নই। আমি হচ্ছি মেটে সাপ। খুবই সাধারণ। কবিতা বলা চলে বুঝিই না। তারপরও লিখি মাঝেমাঝেই লিখি।


সাহিত্যের জগতে কবিরা হচ্ছেন সম্রাট। আমার কবিতা লেখা হচ্ছে সম্রাটের একটু কাছাকাছি থাকার লোভ। এটা আসলে প্রজাসুলভ উৎসাহ। আর কিছুই না। সম্রাট সিংহাসনে বসেন। প্রজাদেরও তো একটু লোভ হতে পারে সিংহাসনে বসার। সম্রাটেরটা হিরকখচিত আমারটা না হয় ফুল-লতা-পাতায় শোভিত। নিজের মনে বাদশাহ আর কি!

ভাল থাকবেন ভাই। শুভেচ্ছা।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ এই কবিতা আমাকে দেবার জন্য!!!


এই কথা বলতে আবার আমার আজকাল যদিও ভয় লাগে তবুও বললাম ভাইয়ু!:)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভয়ের কিছু নাই তুমি তোমার মতো এগিয়ে যাও। আর মনে রেখ সমালোচকরা কিন্তু তোমার বড় বন্ধু। মনে আছে না সেই কবিতাটা
নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল...

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১০

শায়মা বলেছেন: হা হা

মনে আছে ভাইয়ু!!!!


তবে তুমি কি মনে করো আমি কাউরে ভয় পাই!!!!!!!!!


ফুহ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

:P

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ফুহ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.