নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নকে পাথেয় ভাবি।

অলওয়েজ ড্রিম

"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]

অলওয়েজ ড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ৫

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, এর আগে একটি গল্প লেখার সময়েই আমার মাথায় আসে, আমি তো অনেকের অনেক যৌনবাস্তবতা ও যৌনফ্যান্টাসির কাহিনী জানি। সেগুলির সাথে লেখকসুলভ একটু কল্পনার নুড়ি পাথর মিলিয়ে দিলেই তো গল্পের ইমারত গড়ে উঠতে পারে। সুতরাং শুরু করলাম যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! সিরিজের গল্পগুলি লেখা। এই সিরিজের অধীনে যে গল্পগুলি আসবে সবই আমাদের যৌনতা নিয়ে। বিভিন্ন কোণ থেকে আমি যৌনতাকে দেখার চেষ্টা করেছি। পরোক্ষে মনোস্তাত্বিক বিশ্লেষণের চেষ্টাও ছিল। বরং বিশ্লেষণ না বলে বিশ্লেষণসহায়ক ইঙ্গিত বলতেই আমি স্বস্তি বোধ করব। কোনো কোনো গল্প থেকে আপনি সচেতনতার বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু যারা রসময় গুপ্তের কাহিনী পড়তে চান তারা নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। যৌনতার রগরগে বর্ণনা নেই। যতটুকু এসেছে তা কাহিনীর প্রয়োজনে। প্রায় প্রতিটি গল্পই বাস্তবতার নিরিখে লেখা। চলেন তবে শুরু করা যাকঃ-







এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে, তিল ধারণের ঠাঁই নেই, অথচ আরও কয়েকজন যাত্রী উঠলে চারদিকের চাপের পরিমাণ বাড়ল আরো। আমার নট নড়ন চড়ন অবস্থা। দম বন্ধ বন্ধ লাগছে। আমি একটু মোটার দিকে হলেও মোটকু নই মোটেই। কিন্তু লোকের গাদাগাদিতে চারদিকের চাপাচাপিতে এখন মোটা মানুষের মতোই হাঁসফাঁস করছি। বরং বলা ভাল অল্প পানিতে আটকে পড়া মাছের মতোই খাবি খাচ্ছি। তার উপরে শুরু হল একটা দামড়া লোকের অসভ্যতা - ডানদিক থেকে তার কনুই এসে বাসের প্রতিটি ঝাঁকুনির সাথে সাথে আমার ডান স্তনে বারবার গুতা দিচ্ছে। আমি কোনোদিকেই নড়তে পারছি না। অসভ্য কনুইয়ের গুতা আমাকে হজম করে যেতে হচ্ছে। লোকটার মুখের দিকে তাকালাম। পাথরের মুখ। কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। যেন চারপাশে কী হচ্ছে, কী ঘটছে কিংবা কোথায় সে আছে বা যাচ্ছে কোনো কিছুতেই তার আগ্রহ নেই। নিঃসন্দেহে শালা একটা পাক্কা অভিনেতা। চেষ্টা করলাম একটু ঘুরে দাঁড়াতে কিন্তু এক সুতা পরিমাণও ঘুরতে পারলাম না। বরং বাম পাশ থেকে ধমক খেলাম – এতো মুচড়ামুচড়ি হরছুইন ক্যা? ইকটু সোজা হইরা খাড়ুইন নি।



প্রচণ্ড ভিড়ের গাড়িতে বাধ্য হয়েই উঠতে হল। নিয়মিতই উঠতে হয়। উপায় থাকে না কোনো। প্রায় প্রতিদিনই আমার দুটি স্তন পিষ্ট হয় ভিড়ে। নিরুচ্চারে সয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না। ফোটে না বলেই প্রতিদিনই ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যেতে হয়। ক্ষয়ে যেতে যেতে আমি কি একদিন অক্ষয় হয়ে উঠব না? সপাটে একটা থাবড়া দেওয়ার সাহস কি কখনো পাব না?



কখনো নিতম্বে হাতের চাপ, রানের চাপ; পেটে-পিঠে বেয়াদব আঙ্গুলের আরশোলা হয়ে ওঠা, এবং ঘাড়ের কাছে কারো অসহ্য গরম নিঃশ্বাস! মনেহয় যেন কামুক শুয়ারের ঘোঁতঘোঁত! আমাকে যেন কোনো শুয়ারের খামারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমার গা ঘিনঘিন করে। বমি-বমি লাগে। নির্ঘাত আমি একদিন শুয়ারগুলির গায়ে বমি করে দেব।



কোনোমতে পাদানিতে একটা পা রাখার পরপরই ঠেলাধাক্কার চোটে আজ কখন যে ভিতরে উঠতে পেরেছিলাম আল্লাহ মালুম। এই যে একটু দাঁড়াতে পেরেছি এটাই ভাগ্য। অফিস যাওয়ার এই সময়টাতে প্রতিদিনই আমাকে দুঃসহ এই লড়াইটা লড়তে হয়। আবার ফেরার সময়েও একই লড়াই। প্রতিদিন বাসায় ফিরে ব্যাগটাকে ছুঁড়ে ফেলে চিৎকার, চেঁচামেচি করিঃ চাকরির কপালে ঝাড়ু। আর যাব না। দুদিন পরে গিয়া রিজাইন দিয়াসবো। আর সহ্য হয় না। তার চেয়ে মা-মেয়ে মিলে ভিক্ষা করা অনেক ভালো।



মা এখন আর বুঝাতে আসে না। প্রথম প্রথম বুঝাতে এসে খুব ঝাড়ি খেত। কান্নাকাটি করত। এখন একা একা গজগজ করি। একা একা কাঁদি। মা নিরাপদ দূরত্বে ভয়ে ভয়ে থাকেন আমি চাকরিটা ছেড়ে দিলে পথেই যে দাঁড়াতে হবে এতে তার কোনো সন্দেহ নেই। নেই আমারও। তাই প্রতিদিন ভোরে মা যখন জাগিয়ে দেয়, আগের দিনের কথাগুলি অকাট্য রাখার বিলাসিতা কোনোদিনই দেখাতে পারি না। ধাওয়া খাওয়া কুকুরের মতো ছুটতে থাকি। ছুটতে ছুটতে কাছের স্টেশন। কোনোদিন বি.আর.টি.সি, কোনোদিন তিন নম্বর, কিংবা গাজিপুর, কাপাসিয়া থেকে ছেড়ে আসা ডাইরেক্ট বাস যেগুলি পথিমধ্যে লোকালে পরিণত হয় – যেটি আগে পাই উঠে পড়ি। মানে ওঠার চেষ্টা করি। চেষ্টা মানে যুদ্ধ – ছেড়ে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী।



সে যুদ্ধে জিতলে উঠতে পারি। হারলে কে-কে আমার পরে এসেও উঠে গেছে সেটা দেখে নিয়ে ঈর্ষায় জ্বলতে থাকি আর পরের বাসের জন্য অপেক্ষাই। এবং আমার আশেপাশে আরও অনেক ঈর্ষান্বিত মুখ দেখে সান্ত্বনা খুঁজে পাই।



বাসের ভিতরে ওঠার পরেই লোকাল বাসগুলোতে চালকের দিকে মুখ করে দাঁড়ানোর জন্য সামনের দিকে ধরার একটি রড থাকে। আজকের এই লক্করঝক্কর মার্কা বাসটিতে সেটি নেই। আমার সামনে একটি ছেলে দাঁড়নো। বারবার ছেলেটির পিঠে হাতের ঠেস রেখে ভারসাম্য বজায় রাখতে হচ্ছে। অস্বস্তি লাগলেও উপায় নেই। তবুও যতটা সম্ভব ছেলেটাকে না ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু আমার হেনস্তার শেষ রইল না যখন বাসটি বিমান বন্দর স্টেশনে হঠাৎ ব্রেক কষে থেমে পড়ল। ছেলেটার পিঠে আর হাত রাখার সময় পেলাম না। সরাসরি বুকে-পিঠে সংঘর্ষ! খুব লজ্জা-লজ্জা লাগছিল। ইস ছেলেটা না জানি কী ভাবল।



অল্প বয়সী একটি ছেলে। এখনো হয়ত নির্লজ্জ, বেহায়া, বেশরম হতে পারে নি। আমার দিকে একবারও ফিরে না তাকিয়ে আমাকে আরও অধিক বিব্রত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল। তার এই উদারতাটুকু গাদাগাদির বাসটিতে গরমে-ঘামে, মানুষের চাপে সিদ্ধ হওয়া আমার কাছে স্বস্তির শীতল বাতাস হয়ে এল। নিরুচ্চারে বললামঃ ছেলে, আমি কিন্তু তোমাদেরকেই ভালোবাসি। তোমার এই ভদ্রতা, সৌজন্য; আমার প্রতি তোমার এই মমতা ... ছেলে, আমার মন ছুঁয়েছে।



একটু পরেই শ্যাওরাতে ছেলেটি তার সকল সৌজন্য, মমতা, গায়ের সবুজ ঘ্রাণ নিয়ে নেমে গেলে আমি বর্বরকুলে একা হয়ে পড়লাম। আমার চোখ কি একটু ছলছল করে উঠল? মনের প্রাঙ্গণ কি একটু ভেজাভেজা ঠেকল না? ছেলে, তুমি ভালো থেকো। ভালো থেকো।



বাসের গতি কমে যাওয়ার প্রভাবে স্বয়ংকৃত ঝুঁকে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে একটা লোক আমার বুকে হালকা আঙুল ছুঁয়ে দিলে আমার তন্ময়ভাবটা কেটে গেল। বুঝতে পারলাম হারামিটা আমাকে অনেক জ্বালাবে। চারদিকে তাকালাম। একটাও মানবোচিত মুখ আমার নজরে পড়ল না। সব শুয়ার, কুকুর, বদমাশ। একমাত্র মানুষটি আগেই নেমে গেছে। আঁকড়ে ধরার আর কেউ নেই। কিছু নেই।



আজকের ড্রাইভারটাও ভাল নয়। বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে। হুটহাট লেন বদলাচ্ছে। ভারসাম্য রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। দু’পা একটু ছড়িয়ে দাঁড়াতে পারলে ভারসাম্য রাখা কিছুটা সহজ হত। কিন্তু পা ছড়ানোর জায়গা কোথায়?

বনানীর রেলক্রসিংয়ে এসে আবার কড়া ব্রেক। আমি সামনের দিকে পড়ে যাচ্ছি। দুইটা হাত চট করে সামনে থেকে আমার পতন ঠেকালো। দুইটা হাতের চাপ আমার বুকের উপর! আমাকে ঠেকালো। একে কি ঠেকানো বলে?



একটা লোক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আমার পিঠের উপর তার হাতও খুঁজছে আমার গভীর গোপন। এই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে আমাদেরকে আর কতকাল যেতে হবে? আমি কি প্রতিবাদ করব? ঘুরে দাঁড়াব? প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করব?



গতমাসে এমনি এক ভিড়ের বাসে টের পেলাম একটা লোক তার সামনের দিকটা দিয়ে আমার নিতম্বে সুযোগ পেলেই চাপ দিচ্ছে। আমি চেষ্টা করলাম একটু চেপে যেতে। কিন্তু এত... এত... গাদাগাদি, চাপতে গেলেই আরেকজনের শরীরের সাথে আমার স্তনদ্বয়ের লেপ্টে যাওয়ার সহজ সম্ভাবনা তৈরি হয়। সুতরাং শরীর শক্ত করে দাঁড়িয়ে রইলাম। বর্বর লোকটা সুযোগের উপযুক্ত ব্যবহারে কোনোই ত্রুটি রাখল না। তার নরম পুরুষাঙ্গের ঘনঘন ঘিনঘিনে ছোঁয়া লাগছিল আমার নিতম্বে। মনেহচ্ছিল যেন একটা কেঁচো কিলবিল করছে। প্রতিটা স্পর্শে আমি কুঁকড়ে যাচ্ছিলাম। আর হারামিটা বাসের প্রতিটা দুলুনির সুযোগ নিতে লাগল অকাতরে। নরম শিশ্ন শক্ত হয়ে নিয়মিত খোঁচা মারতে লাগল প্রতিটি দুলুনির সাথে সাথে। জঘন্য! আমি আর সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলামঃ

এইযে, সইরা দাঁড়ান। এমন গা ঘেঁইষা দাঁড়াইছেন ক্যান?

লোকটা উল্টা পাট নিলঃ আমি দাঁড়াইছি না আপনে আইসা আমার কোলের মধ্যে ঢুইকা পড়ছেন। ভিড়ের বাসে একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হইবেই। সহ্য না হইলে প্রাইভেট কিন্না লন।



আমি আর কিছুই বলতে পারি নি। কীইবা বলার ছিল। আমি কি বলতে পারতামঃ আরে বদমাশ বেটা, তোর ইয়েটা সরা। না পারতাম না। আমরা অতটা নিঃসংকোচ হতে পারি না বলেই সহ্য করি। আমাদের সহ্যের আরেক নাম লজ্জা! আরেক নাম সংকোচ! আরেক নাম ভয়!



সবাই অসভ্যটারই পক্ষ নিলঃ কী করবেন আপা, একটু কষ্ট কইরা চাইপাচুইপা চইলা যান। ভিড়ের বাসে গায়ে গা একটু লাগেই।



সুতরাং কুত্তা লোকটা অবাধ লাইসেন্স পেয়ে গেল। কুত্তামির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল। আরো বেশরম, বেপরোয়া হল। আর আমি ওর লিঙ্গকে কেটেকেটে কুটিকুটি... কেটেকেটে কুচিকুচি... ঘিচিঘিচি... ঘিজিঘিজি... কুটিকুচিঘিচিঘিজি......



আমার সমস্ত দেহমন রাগে ঘেন্নায় রি-রি করছিল। একটা লোক নেমে যাওয়াতে আমি একটু চেপে যেতে পারলাম। ঘাড় ঘুরিয়ে লোকটার দিকে আড়ে একটু তাকালাম। মনেহল আমি জায়গা পেয়ে যাওয়াতে বদমাশটা বেশ হতাশ হয়ে পড়েছে । চোখাচোখি হয়ে গেল। চোখ দিয়ে যেন ঘিনঘিনে, কুৎসিত লালা ঝরছিল। নিজেকে কোনোভাবেই আর সামলাতে পারলাম না। প্রচণ্ড আক্রোশে বামহাতের তর্জনি ও মধ্যমা ওর দুই চোখের মধ্য ঢুকিয়ে দিলাম। কুত্তাটা ঘেউ করতে চাইলেও যন্ত্রণায় কুইকুই করতে লাগল। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লাম। লোকজন জিজ্ঞেস করতে লাগল, কেন আমি এমন করলাম?



কেন? চট করে বদমাশটার লুঙ্গি টেনে খুলে ফেললাম। লোকজন আমার কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে গেল। আমি ইঙ্গিত করলাম উৎসাহী লোকদেরকে। তারা কুত্তাটার ভেজা লিঙ্গ দেখে কী বুঝল জানি না। সমস্বরে বললঃ ঠিকই আছে।



কী ঠিক আছে? জনতার উচ্চারণ বড় ঘোলাটে। ঘোলা জলের আড়ালে মাছ না সাপ বোঝা দুরুহ। দুরুহতার অর্থোদ্ধারের সময় কিংবা মন কোনোটাই তখন আমার ছিল না। মাথায় শুধু প্রতিশোধ! প্রতিশোধ! ব্যাগের ভিতর থেকে ব্লেড বের করে মাত্র একটা পোচ। ছিটকে ছিটকে রক্ত এসে আমার মুখ ভিজিয়ে দিল। ছিটকে ছিটকে আর্তচিৎকার বেরিয়ে এসে আমার দুকান জুরালো। আর কাটা লিঙ্গটি আমার হাতের মুঠোয় ধড়ফড় ধড়ফড় করতে থাকলে মুহূর্তে বাসটি জনশূন্য হয়ে পড়ল। চারদিকে ডাইনি ডাইনি রব। শুধু একজন বয়স্কা মহিলা ছুটে এসে আমাকে চুমু খেলেন। তার চোখে হাজার বছরের বঞ্চনার, প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে দেখলাম।



যে লোকটা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আমার পিঠের উপর তার হাত খুঁজছে আমার গভীর-গোপন। এই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে আমাদেরকে আর কতকাল যেতে হবে? আমি কি প্রতিবাদ করব? ঘুরে দাঁড়াব? প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করব?



মাঝেমাঝেই আমি অদ্ভুত সব চিন্তা করি। মাঝেমাঝেই মনেহয়, মুখের ভিতরের দাঁতগুলির মতোই মেয়েদের জরায়ুতেও যদি দুইপাটি দাঁত থাকত। যাকে পছন্দ হবে না কিংবা যে জোর করতে আসবে ... তার শোচনীয় পরিণতির কথা ভেবে আমার খুব হাসি পায়। কিংবা কচ্ছপ যেমন মাথাটা লুকিয়ে ফেলে সে রকম কোনো কিছু অথবা শামুক-ঝিনুকের মতো শক্ত খোলসের কোনো ব্যবস্থা কিংবা সজারুর কাঁটার মতো এক ঝাঁক কাঁটা যদি থাকত নারীর অবলম্বন তাহলে গাদাগাদির এই বাসে আমার অসহায় স্তনযুগল আজ ভর্তা হত না। অনিচ্ছুক আমার বুকে কেউ হাত দিতে এলেই সাথে সাথে একটি শক্ত খোলসে ঢেকে যেত আমার স্তন কিংবা এক ঝাঁক বুকারু কাঁটা বিদ্ধ করে দিত অসভ্য আঙ্গুল।

কিন্তু তা তো হওয়ার নয়। সুতরাং যা করার আমাকেই করতে হবে। মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললামঃ একটা চরম শিক্ষা দিতে হবে! চরম শিক্ষা!



ব্যাগ থেকে আমার ধারাল কেচিটা বের করলাম। তারপর – ঘ্যাচ!!! তারপর ছিটকে ছিটকে রক্ত! ছিটকে ছিটকে আর্তচিৎকার! ডাইনি!ডাইনি! হুড়াহুড়ি। তারপর একজন বয়স্কা মহিলার আনন্দিত আগমন। তার চোখে হাজার বছরের বঞ্চনার ইতিহাস।



গুলিস্তান! গুলিস্তান! আপা গুলিস্তান আইসা পড়ছে তো। নামবেন না?

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ধারাল কেচিটা গুছিয়ে রেখে বাস থেকে নামলাম। কেচিটাই এখন আমার বন্ধু। আমার আশ্রয়। আমার নির্ভরতার চাদর। এই কেচিটা আছে বলেই আমি চাকরিটা ছাড়ছি না, পথে নামছি না কিংবা হারছি না। কিংবা বলছি না আর পারছি না। যদিও প্রতিদিন বাসায় ফিরে ব্যাগটা দড়াম করে ছুঁড়ে ফেলি। মাকে টেনশনে ফেলতে চাকরি ছাড়ার হুমকি দেই। পৃথিবীতে এই একটি মাত্র সুখ আমার; একটি মাত্র সুখের আশ্লেষঃ আমার মায়ের টেনশন!

---------------



প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, অনেক দিন পরে ব্লগে গল্প দেওয়ার সুযোগ হল। আসলে লেখারই সময় হয় না।

আমি আমার লেখার অকপট সমালোচনা পছন্দ করি। বলা চলে প্রশংসার চেয়ে তীব্র সমালোচনাই আমার বেশি প্রিয়। আমি তাতে নিজের লেখা শুধরানোর সু্যোগ পাই। অতএব নিঃসঙ্কোচে অকপট হবেন এটাই সবার কাছে আমার প্রত্যাশা।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮

ঢাকার কুতুব বলেছেন: ভাল লাগলো।

২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ঢাকার কুতুবকে স্বাগতম এবং ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: পথে ঘাটে ভদ্রবেশি বিকৃতমনাদের মেয়েরাই ভাল চিনতে পারে । গল্প ভালো হয়েছে ।

২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মামুন ভাই, মেয়েরা তো চিনতে পারেই আমিও বোধহয় কম পারি না। নইলে লিখলাম কেমনে? ;)


শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প সুন্দর।

২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




একটা বারও কি আমাদের মনে হয় না আমার মা একজন নারী :(

গল্পে +++

২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমিনুর ভাই, বিকৃতমনারা অতসব ভাবতে যায় না। মেয়েরা যেদিন এরকম পরিস্থিতিতে গায়ের জোরে থাবড়া দিতে শিখবে সেদিন হয়ত বিকৃতরা এরকম কিছু করার আগে দশবার ভাববে।

ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২১

জেরিফ বলেছেন: গল্পের মধ্যে হারিয়ে গেলাম । আমার পরিচিত অনেকে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ,কিন্তু কিছু করার ছিলো না ।
তারা এখনো ছোট বলে তেমন প্রতিবাদ করতে পারে ।
এরকম প্রতিদিনই হচ্ছে আমাদের চারপাশে ।

আমি স্তম্ভিত হই এই কোন সমাজে আমাদের বসবাস ??


২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় জেরিফ, আসলে বিশ্বের প্রতিটি সমাজেই নানারকম বিকৃতি রয়েছে। তবে পশ্চিমাদের সমাজে আমাদের সমাজের তুলনায় যৌনবিকৃতি অনেক অনেক বেশি।

আমাদের উচিত সকল বিকৃতির বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

শুভেচ্ছা।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: গল্পে +++++++++++

২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গল্পে তাড়াহুড়া স্পষ্ট। 'নট নড়ন চড়ন' এইটা আপনি ব্যবহার না করলেও পারতেন। আবার সেই হুমায়ূন হুমায়ূন গন্ধ চলে এলো। হাঃ হাঃ হাঃ এইটা কেবল স্বভাবজাত খোঁচা দেয়ার জন্য। অন্য কিছু না।

আরো একটু গোছানো হলে, আরো ভালো লাগতো। মনের ইচ্ছা গুলো প্রকাশ পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি বর্ণনায় অনেক বেশি তাড়াহুড়া করা হয়েছে। আমার ধারণা লেখক নিজেও এই পরিস্থিতি বর্ণনা দিতে অস্বস্তিবোধ করেছেন। আমার তো পড়তেই অস্বস্তি লাগছিলো। জানি, এবং দেখেছিও এমন দু-একটা ঘটনা আমার জানা আছে। প্রতিবাদ করেছি, সময় মতো। এগুলো তো মানুষ নয়। আবার ঠিক জানোয়ার ও নয়। প্রকৃতপক্ষে যারা কাম বঞ্চিত মানুষ তারাই বিকৃত লালসায় সুখ খোঁজে। আবার কেউ কেউ জন্মসূত্রেই এমনতর বিকৃত লালসা নিয়ে জন্মে। যাদের রক্তে রয়েছে কালের জীবানু। দেখে বোঝার উপায় নেই। কেবল সময়ের উপযোগিতার অপেক্ষায় থাকে। বেশির ভাগ মানুষ সুযোগের অভাবে সৎ। তবে সকলেই নয়।

নিম্নশ্রেনির প্রেমিক শারীরিক সুখে নিজেকে নিমজ্জিত রাখে। জ্ঞান যাদের ধরা দেয় না, তাদের জীবন জাগতিক সুখে আচ্ছন্ন। এর মধ্যে আবার ভাগ্য বঞ্চিতবোধকারীরা বা জীবানুযুক্ত পুরুষেরা এই সব জ্ঞানের না খোঁজ রাখে না তোয়াক্কা করে। তাদের কান সীল মারারে ভাই। তাদের দিল পীচের রঙে রঞ্জিত।

একবার ব্লেড একবার কেচি, ঠিক কোনটা প্রথমবার ব্যবহার হয়েছিলো, তা দুইবার দু-জায়গায় বলায়, একটু ধাঁধালো ঠেকলো। এখানে একটু চিন্তা করতে পারেন। গল্পটা আগেই জানতাম, এখন কেবল ব্লগে পড়লাম। ভালো অনুভব হচ্ছে না, ঘিন ঘিন করছে শরীর! খারাপ জিনিসের ভালো হলো, সেটা কতটা খারাপ তার উপর। বিষ যত বিষাক্ত তত ভালো বিষ কি বলেন? হাঃ হাঃ হাঃ

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সজীব ভাই, শুভেচ্ছা নিবেন। জবাব দিতে অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি হয়ে যাওয়ায় দুঃখিত। আপনার মন্তব্যের প্রায় সবটুকুর সাথেই আমি একমত।
আমাদের প্রজন্মের প্রায় উঠতি সব লেখকই হুমায়ুন আহমেদের প্রভাবে প্রভাবিত। আমার একটা গর্বের জায়গা হচ্ছে, আমি আমার লেখক জীবনের কোনো কালেই সেই প্রভাবটা অনুভব করি নাই। লিখতে গেলে কখনো কোনো উচ্চারণ যদি সন্দেহ আনে যে, এটা হুমায়ুনীয় আমি বদলে ফেলি। হুমায়ুনীয় ভঙ্গি আমার খুবই ভাল লাগে। কিন্তু নিজের লেখায় সেটা টেনে আনাকে আমি দুর্বলতা মনেকরি। তারপরও যদি হুমায়ুনীয় কিছু এসে থাকে সেটা আমার তাড়াহুড়ার কারণে। তবে আমি আপনার মন্তব্যের পরে আবার পড়ে দেখেও কোথাও খুঁজে না পেয়ে না পাওয়াটাকে নিজের ব্যর্থতা বলে সনাক্ত করলাম।

আর গল্পটা লিখতে গিয়ে কিছুটা তাড়াহুড়া ছিল। অনেক দিন কোনো গল্প দেই নি তো তাই এটা লিখতে শুরু করার পর থেকেই ভিতরে ভিতরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম পোস্ট করার জন্য। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল এই গল্পের শিকারিদের মনোভাব এবং শিকারের মনোভাব সমান্তরালে যার যার জবানীতে তুলে ধরব। কিন্তু অনেক দেরি এবং বড় হবে বলে সেভাবে লিখলাম না। এবং যতটুকু লিখেছি সেটাও আরও বিস্তারিত না লেখারও একই কারণ। অফিসে বসে বসের ভয়, অন্যান্য সহকর্মীরা দেখে ফেলবে সেই ভয় মাথায় রেখে লুকিয়ে লুকিয়ে তাড়াহুড়া করে টাইপ করতে হয়েছে। তাই এই গল্পের মান নিয়ে আমার দ্বিধা আছে।

আর ব্লেড কেচি দুটাই সঠিক। দুইটা দুই দিন।
আপনার কারও লেখা সমালোচনা করতে গিয়ে এই বিস্তারিত ভঙ্গিটা বড় ভাল লাগে
আবারও শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ অলওয়েজ ড্রিম :

আপনার কিছু কথা নিচে কপি পেস্ট করলাম।

ডানদিক থেকে তার কনুই এসে বাসের প্রতিটি ঝাঁকুনির সাথে সাথে আমার ডান স্তনে বারবার গুতা দিচ্ছে। আমি কোনোদিকেই নড়তে পারছি না।

কখনো নিতম্বে হাতের চাপ, রানের চাপ; পেটে-পিঠে বেয়াদব আঙ্গুলের আরশোলা হয়ে ওঠা, এবং ঘাড়ের কাছে কারো অসহ্য গরম নিঃশ্বাস!

বারবার ছেলেটির পিঠে হাতের ঠেস রেখে ভারসাম্য বজায় রাখতে হচ্ছে। অস্বস্তি লাগলেও উপায় নেই।

কিন্তু আমার হেনস্তার শেষ রইল না যখন বাসটি বিমান বন্দর স্টেশনে হঠাৎ ব্রেক কষে থেমে পড়ল। ছেলেটার পিঠে আর হাত রাখার সময় পেলাম না। সরাসরি বুকে-পিঠে সংঘর্ষ! খুব লজ্জা-লজ্জা লাগছিল। ইস ছেলেটা না জানি কী ভাবল।

আমার দিকে একবারও ফিরে না তাকিয়ে আমাকে আরও অধিক বিব্রত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল।

নিরুচ্চারে বললামঃ ছেলে, আমি কিন্তু তোমাদেরকেই ভালোবাসি।

বাসের গতি কমে যাওয়ার প্রভাবে স্বয়ংকৃত ঝুঁকে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে একটা লোক আমার বুকে হালকা আঙুল ছুঁয়ে দিলে আমার তন্ময়ভাবটা কেটে গেল।

বাই অসভ্যটারই পক্ষ নিলঃ কী করবেন আপা, একটু কষ্ট কইরা চাইপাচুইপা চইলা যান। ভিড়ের বাসে গায়ে গা একটু লাগেই।

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ধারাল কেচিটা গুছিয়ে রেখে বাস থেকে নামলাম। কেচিটাই এখন আমার বন্ধু। আমার আশ্রয়।


সবটা পড়ে মনে হলো, কেউ আপনার উপর পড়লেই দোষ, আর আপনি কারো উপর পরলে দোষ হয়না।

আর সবসময় যদি কেচির ব্যাবহার চলতেই থাকতো তবেতো প্রতিদিন কমপক্ষে দুইজন নিরিহ (ভুল বুঝাবুঝির জন্য) অথবা সত্যিকার অসভ্যের লিঙ্গ কর্তন করতে হতো্।


অবশ্য এটাও সত্যি যে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এই সব অসভ্য লোকের কোনো কমতি নেই।

এমনকি আমি এটাও দেখেছি যে, যুব সমাজ যারা নিজেদের শিক্ষিত এবং আধুনিক বলে এবং ভালো মানুষের ভান ধরে থাকে, অথচ এরা হলো আসলে ভন্ড যুব সমাজ এবং এদের সংখ্যা হিন্দি ছবির কল্যানে সীমাহিন।

যাদেরকে আপনি বলেছেন, "এখনো হয়ত নির্লজ্জ, বেহায়া, বেশরম হতে পারে নি।" , তাদের মধ্যেই এই সব অসভ্য বিপুল পরিমানে লুকিয়ে রয়েছে।

আসলে আমাদের সকলেরই নৈতিকতা শেখা এবং সেটা ধারণ করা উচিত।
যারা অন্যের ক্ষতি করে মজা পায় তারা সত্যিকার অর্থেই অমানুষ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় শরীফ, দয়া করে আরেকবার যদি পড়ে দেখেন তাহলে আপনার আর মনে হবে না যে, আমি বোঝাতে চেয়েছিঃ আমার উপর পড়লেই দোষ। আমার উপর যে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে তার হাতের দিকে আপনাকে লক্ষ্য করতে বলি।

গায়ে কেউ হুমড়ি খেয়ে পড়লেই আমি কাটাকাটির আশ্রয় নেই নি। নিয়েছি যখন বুঝতে পেরেছি আমার শরীর হাতাহাতি করাই ছিল শুয়ারগুলির উদ্দেশ্য। আর এই কাটাকাটির ব্যাপার পুরোটাই ছিল আমার ক্ষুব্ধ মনের কল্পনা। মনে মনে আমরা অনেক কিছুই ভাবতে পারি, তার সব কিছুই কি আর বাস্তবে ঘটে? এই কল্পনাটা ছিল শুধুই আমার ক্ষোভের আর ঘৃণার মাত্রা বোঝানোর জন্য।

আর যার ক্ষেত্রে আমি এই বাক্যটা ব্যবহার করেছি, "এখনো হয়ত নির্লজ্জ, বেহায়া, বেশরম হতে পারে নি।" সে আসলেই ভাল ছিল। তার মতো যারা তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা।

ভাল থাকবেন। বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: যারা অন্যের ক্ষতি করে মজা পায় তারা সত্যিকার অর্থেই অমানুষ

পুরোপুরি একমত।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প কোন মানের হয় নাই।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় হামা, ধন্যবাদ আপনার অকপটতার জন্য। এই গল্পে যতগুলি মন্তব্য পেয়েছি সবগুলির ব্যাপারেই সন্দেহ আছে যে, তিনি কি আসলেই তার মনের কথাটি বলেছেন নাকি সৌজন্যের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আপনার ব্যাপারে এটা খাটে না। আপনি যে এটা মন থেকেই করেছেন তাতে আমি নিঃসন্দেহ। উপরে উপরে কি কেউ নিন্দা করে? ;)

কিন্তু হামা ভাই, আপনার কাছে যে প্রত্যাশা অনেক বেশি। আপনি শুধু এটুকু বলেই থেমে গেলে মন খারাপ হয়। গল্পের অলিগলির কোথায় দুর্বলতা তা যদি একটু না বলেন, ডালপালা ধরে যদি একটু ঝাঁকুনি না দেন তাহলে মনে হয় আহারে, স্বর্ণখচিত পাতাটি থেকে বঞ্চিত হলাম।

আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন। আর সবসময় আমার লেখার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত অকপট হবেন এটাই আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করি। আমার লেখার সমালোচনা করে কখনোই দয়া করে বিব্রত হবেন না। কারণ আমি জানি, মানি, বিশ্বাস করি - আমার যিনি সমালোচনা করছেন, তিনি চাচ্ছেন, আমার লেখার যে দোষগুলি তার চোখে পড়েছে সেগুলি যেন আমি কাটিয়ে উঠতে পারি।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ। পড়তে পড়তে আমার মনেও ক্ষোভ দানা বেঁধে জমছিল। কিছু কিছু প্রকাশ চমৎকার।

“আর আমি ওর লিঙ্গকে কেটেকেটে কুটিকুটি... কেটেকেটে কুচিকুচি... ঘিচিঘিচি... ঘিজিঘিজি... কুটিকুচিঘিচিঘিজি......” প্রচণ্ড ক্ষোভের এক অসাধারণ প্রকাশ।

অল্পবয়সী ছেলেটার চরিত্র এবং তার প্রতি আন্তরিকতার দিকটাও সুন্দর হয়েছে।

শেষের দিকে এসে লিঙ্গ কেটে ফেলাটা সত্যি, নাকি ইল্যুশন তা বুঝতে পারি নি। কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহা দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।


“মাঝেমাঝেই আমি অদ্ভুত সব চিন্তা করি। মাঝেমাঝেই মনেহয়, মুখের ভিতরের দাঁতগুলির মতোই মেয়েদের জরায়ুতেও যদি দুইপাটি দাঁত থাকত। যাকে পছন্দ হবে না কিংবা যে জোর করতে আসবে ... ” এ প্যারা থেকে যা লিখেছেন তা কি কম্পিঊটার বিভ্রাটের ফল, নাকি সাজানো ঠিকই আছে?

অনেক শুভ কামনা থাকলো।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, আপনার নিকটা আমার সবসময় অসাধারণ লেগেছে। “যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখিও তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন”! রত্ন এবং ছাই দুটারই চমৎকার সন্নিবেশ আপনার নামটিতে। মনেহয়, ছাই উড়িয়ে দেখলেই সোনাবীজ পেয়ে যাব।

কাটাকাটির ব্যাপারটা আসলে মেয়েটির ঠিক সেই মুহূর্তের মানসিক ইচ্ছার প্রকাশ। বাস্তব নয়। তার কী করতে মন চাচ্ছিল তাই তুলে ধরেছি। কাগজে যখন লিখেছিলাম তখন “মনেমনে” উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু কম্পিউটারে সেটা বাদ দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম মনেমনে উল্লেখ না করলেও বোঝা যাবে যে, এটা মেয়েটির মনের গহন কোনো কোণের তরঙ্গাঘাতের নোনাফেনা।

“মাঝেমাঝেই আমি অদ্ভুত সব চিন্তা করি। মাঝেমাঝেই মনেহয়, মুখের ভিতরের দাঁতগুলির মতোই মেয়েদের জরায়ুতেও যদি দুইপাটি দাঁত থাকত। যাকে পছন্দ হবে না কিংবা যে জোর করতে আসবে ... ” এটাকে আপনার কম্পিউটার বিভ্রাট মনেহল কেন, ভাই?

বেশি বেশি শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছু অংশ বাদ পড়ে গেছে। গল্প পড়ে মনে হয়েছে বাসে উঠলেই মেয়েদের অবস্থা এরকম হয়। বাংলাদেশে নারী বাস-যাত্রীদের অবস্থা কি আদতেই এতোটা শোচনীয় বা ভয়াবহ?

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আশার কথা যে, গল্পের মতো অত শোচনীয় আসলেই নয়। যারা নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন তাদের দুয়েকজন হয়ত কালেভদ্রে এর কাছাকাছি অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।

ধন্যবাদ ভাই ধুলোবালিছাই।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

আদম_ বলেছেন: বেশি খোলাখুলি হয়ে গেছে। শিল্প অনুপস্থিত। যৌনতা না থাকলে পুরোটা পড়তাম না।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: খোলাখুলি হয়ত একটু বেশিই হয়ে গেছে। আর শিল্পের অনুপস্থিতি প্রতিভাহীন লেখকের ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে।

আপনার মন্তব্য আমার ভাল লেগেছে। তবে লজ্জাও পেয়েছি।

ভাল থাকবেন।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রশ্নটা মনে হয় ক্লিয়ার হয় নি। আবার বলি। “মাঝেমাঝেই আমি অদ্ভুত সব চিন্তা করি। মাঝেমাঝেই মনেহয়, মুখের ভিতরের দাঁতগুলির মতোই মেয়েদের জরায়ুতেও যদি দুইপাটি দাঁত থাকত। যাকে পছন্দ হবে না কিংবা যে জোর করতে আসবে ...” এখান থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত কি কোথাও কমপিউটার বিভ্রাটের কারণে কোনো অংশের রিপিটেশন হয়েছে? --- একটা লেখা একাধিক বার পড়ার সময় হাতে নেই, এজন্য ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করছি। কর্তনের ব্যাপারটা দু বার এসেছে। দেখুনঃ

মাথায় শুধু প্রতিশোধ! প্রতিশোধ! ব্যাগের ভিতর থেকে ব্লেড বের করে মাত্র একটা পোচ। ছিটকে ছিটকে রক্ত এসে আমার মুখ ভিজিয়ে দিল। ছিটকে ছিটকে আর্তচিৎকার বেরিয়ে এসে আমার দুকান জুরালো।


****

ব্যাগ থেকে আমার ধারাল কেচিটা বের করলাম। তারপর – ঘ্যাচ!!! তারপর ছিটকে ছিটকে রক্ত!


***

“আর আমি ওর লিঙ্গকে কেটেকেটে কুটিকুটি... কেটেকেটে কুচিকুচি... ঘিচিঘিচি... ঘিজিঘিজি... কুটিকুচিঘিচিঘিজি......” প্রচণ্ড ক্ষোভের এক অসাধারণ প্রকাশ।
---- খেয়াল করে পড়ুন, এখানে আপনার মুন্সিয়ানার কতখানি প্রশংসা করেছি ;) এটা যে মেয়েটার মনের ক্ষোভটার কথাই বলেছি, আশা করি এবার বোঝাতে পারলাম ;)

***

সবশেষে একটা কথা বলি, আশা করি কিছু মনে করবেন না- আমি যা কিছু বলি, তা অকপটেই বলি। আপনাকে কেউ প্রশংসা করলেও সেটা অকপট প্রশংসা হতে পারে। সেই প্রশংসার মধ্যে যদি আপনার কোনো সন্দেহ থাকে সেটা কমেন্টকারীর জন্য অবমাননাকর হতে পারে।

মুখের উপর সত্য কথা বলে দেয়ার সাহস আমার চেয়ে বেশি এ ব্লগে কেউ প্রকাশ করেছেন, বা প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন, আমার চোখে গত ৫ বছর ৭ মাসে কাউকে দেখি নি। একজনের প্রশংসা করতে গিয়ে বাকিরা অপমানিত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।


অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার পুনঃমন্তব্যে আপ্লুত হয়ে গেলাম।
ব্লেডের ব্যবহার হল গত মাসের স্মৃতিচারণ। আর কেচির ব্যবহার চলতি ঘটনার প্রসংগে। তবে এখন মনেহচ্ছে, দুটোতেই হয় ব্লেড নয় কেচি রাখা উচিত ছিল। তাহলে হয়ত মেয়েটির চেতনা, ক্ষুব্ধতার প্রতীক হিসাবে ব্লেড বা কেচির ব্যবহার আরেকটু ভাল ভাবে ফুটত। আর চলতি ঘটনার সময়েই অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মনে হয়েছিল হয়ত পাঠক ধন্দে পড়ে যাবেন, তাই বর্তমানে ফিরিয়ে আনার জন্য আগের এই অনুচ্ছেদটি আবার দিয়েছিলাম, একটা লোক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আমার পিঠের উপর তার হাতও খুঁজছে আমার গভীর গোপন। এই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে আমাদেরকে আর কতকাল যেতে হবে? আমি কি প্রতিবাদ করব? ঘুরে দাঁড়াব? প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করব?

যে লোকটা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আমার পিঠের উপর তার হাত খুঁজছে আমার গভীর-গোপন। এই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে আমাদেরকে আর কতকাল যেতে হবে? আমি কি প্রতিবাদ করব? ঘুরে দাঁড়াব? প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করব?

আর দুবার কর্তনের ব্যবহার করে এটাও বুঝাতে চেয়েছিলাম যখনি সে এমন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তখনি সে তার চেতনার সেই ব্লেড বা কেচির আশ্রয় নেয়। নিয়ে শান্তি পায়। আর এই সান্ত্বনাটুকু আছে বলেই সে জীবনযুদ্ধে হেরে যাচ্ছে না। আসলে আমরা প্রত্যেকেই সম্ভবত জীবনের চলার পথে একটা সান্ত্বনার অবলম্বন খুঁজে নেই।

আর ব্লগার হিসাবে আপনার প্রতি আমার পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাবোধ আছে বরাবর। তারপরও আপনি প্রশংসার ব্যাপারে যদি সাধারণীকৃত করতে যান, তাহলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, প্রশংসা স্রেফ সৌজন্যবশতও হতে পারে, কিন্তু নিন্দা বা সমালোচনা কপট হওয়ার সম্ভাবনা আসলেই কম। সেদিক থেকেই বলতে চেয়েছি - নিন্দাটা অকপট কিন্তু প্রশংসাটা অকপট নাও হতে পারে। তবে আপনার ব্যাপারে আমার আর কোনো দ্বিধা রইল না।

এখনো হয়ত যা বুঝাতে চাইলাম তা পুরোপুরি পারলাম না।

আবারো শুভেচ্ছা।

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমি ইরানে আছি, এখানে বাসে অবশ্য আমাদের দেশের মত এত প্রচন্ড গাদাগাদি হয় না, কিন্তু বেশ ভীড় হয়।

বাসের সামনের অংশ পুরুষদের বসার জন্য নির্ধারিত আর পেছনের অংশ মহিলাদের জন্য। কি মনে হয়, বাংলাদেশে এটা করা কি খুব কষ্টকর? প্রয়োজন শুধু আমাদের প্রশাসকদের সদিচ্ছা...

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ জহির ভাই। অনেক দিন পর গল্প লিখলাম এবং আপ্নাকেও তাই পেলাম। অনেক ভাল লাগছে। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। তবে মেয়েদের জন্য মনেহয় সরকারের ভর্তুকি দিয়ে আলাদা বাসের ব্যবস্থা করতে হবে তাহলে হয়ত মেয়েদের ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠতে হবে না।
একজন চাকুরীজীবী মেয়ের কথা ভাবেন, তাকে অফিসে পৌঁছানোর জন্য সকালে কী দুর্ভোগটাই না পোয়াতে হয়। আবার ফেরার সময়ও সেই ধাক্কাধাক্কি।

ভাল থাকেবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। ক্লিয়ার হলাম।

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার কাছে পরিষ্কার হতে পেরে আমারও অনেক ভাল লাগছে।
আমি জানি আমার দৌড় কত দূর। বলা চলে মাত্র লিখতে শুরু করেছি। সুতরাং লেখার মান খারাপ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই আমার দরকার মূলত গঠনমূলক সমালোচনা। তাতে আমি নিজের লেখা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাব। এজন্যই আমি সমালোচনাই বেশি পছন্দ করি। তবে কেউ যদি অন্তর থেকেই অকপট প্রশংসা করে তাহলে তো আমার ধন্য হয়ে যাওয়ার কথা। এবং লেখালেখির উৎসাহ বেড়ে যাওয়ার কথা। সেদিক থেকে কিন্তু আপনার মন্তব্য আমার জন্য বিশাল একটা প্রাপ্তি। কারণ আপনি স্রোতে গা ভাসিয়ে সৌজন্যের প্রশংসা করতে যান না।

আবারও ধন্যবাদ।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১৮

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তে অনেকটা খারাপও লেগেছে,
একজনের লালসার শিকারে আরেকজন শারীরিক-মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত,
এই বিষয়গুলা সত্যিই খুব পীড়া দেয় .........।

লেখক হিসেবে আপনি প্রশংসার দাবীদার ।।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। পাঠকের ভাললাগা, খারাপ লাগা লেখকের অমূল্য পাথেয়। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনুপ্রাণিত হলাম। ভাল থাকবেন সব সময়।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৫

পাঠক০০৭ বলেছেন: দাদা!! আপনি নাকি ওপারে রসময় গুপ্ত নামে লিখেন? এটা সত্য?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম। আপনার প্রশংসায় ধন্য হয়ে গেলাম।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩০

আমি অপদার্থ বলেছেন: ভাল্লাগেনাই , সমালোচনা করার যোগ্যতা রাখেনা এই গল্প।
ভাল্লাগেনাই এইডাই সমালোচনা।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। নিঃসঙ্কোচে এভাবে "ভাল্লাগেনাই" বলাটাকে আন্তরিকভাবে পছন্দ করি। এভাবেই বলা উচিত। সাথে যদি একটু বিশদে বলেন তবে নবীন লিখিয়েদের বেশ উপকার হয়। কেন ভাল্লাগে নাই? সমস্যাটা কোথায়? ইত্যাদি ...

ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দয়াকরে আমার এই গল্পটি পাঠ করে যদি একটু মন্তব্য করতেন। খুব খুশি হতাম।
View this link

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাস , টেম্পু ইত্যাদি পাবলিক পরিবহনে মেয়েদের শারীরিক লাঞ্ছনার কথা আমরা জানি । বলা যায় - এ দৃশ্যপট প্রতিদিনকার বাস্তবতা । এবং গতানুগতিক বাস্তবতা বলেই বোধ
হয় লেখকদের গল্প ভূগোলে এই গতানুগতিক কাহিনীকাব্যের খোঁজ সাধারণত মেলে না ।আপনার সংবেদী দৃষ্টি ঠিক এদিকটাতেই আলো ফেলেছে , আপনার এই বিষয়বস্তু নির্বাচনকে সাধুবাদ জানাই ।

মেয়েটির অন্তঃকথন , অন্তরভাবনায় ভরপুর পুরো গল্প । অবদমিত প্রতিশোধকল্পনায় এর সমাপ্তি ।
গল্প শেষে বেশ কিছু প্রশ্ন আসে ।। এই অবদমিত ফ্যান্টাসিতেই কি সমাধান কিংবা প্রাত্যহিক চলার অনুপ্রেরণা ?
উপায় না থাকলে বোধ হয় ভিক্টীম ফ্যান্টাসিতে নিবারণ খুজে নেয় ।


বেশ কিছু জায়গায় যথাযত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার কি উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চোখ এড়ায় না ।
এ ছাড়াও আপাত উদ্ভট কিন্তু প্রাসঙ্গিক ঘিনঘিনে চিত্রকল্প উদ্ভাবনের মুন্সিয়ানা লক্ষণীয়। যেমন - শজারুর কাটাকে বুকের কাটায় প্রতিস্থাপন - বুকারূ ।
কিংবা জরায়ুতেও যদি দুইপাটি দাঁতের কল্পনা - যা ভাবনাকে খুবই জোরালভাবে উপস্থাপন করতে সার্থক হয়েছে ।


মেয়েটির ফ্যান্টাসিকে সমর্থন দিতে গল্পে এক মহিলার আগমন দেখা গেল । গল্পের সারমর্ম অনুধাবনে কিংবা ভাবনার সহায়ক সেতু হিসেবে
এই মহিলার চরিত্রের কোন সক্রিয় ভুমিকা নেই । বলা যায় আলগা চরিত্রের আনয়ন গল্পের নির্মাণশৈলীর ত্রুটির কারণ হয়েছে ।
এছাড়াও মহিলার চোখে হাজার বছরের বঞ্চনার, প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে দেখলাম। - এ বাক্যটি ও গল্পের মেজাজের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান ও অযৌক্তিকভাবে আরোপিত ।

বঞ্চনার নানা মাত্রা , ধরণ , পরিধির পেছনে বহু অর্থনৈতিক , মানসিক , ক্ষমতাভিত্তিক রাজনীতি -সমাজনীতি সহ নানা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ
উপাদান ক্রিয়াশীল। শারিরিক লাঞ্ছনাকারীর লিঙ্গ কর্তন করে দিলেই কি লেখকের আরোপিত হাজার বছরের বঞ্চনা - লাঞ্ছনার শোধ - বোধ হয়ে গেল ? হাজার বছরের বঞ্চনা - লাঞ্ছনার
পিণ্ডি স্রেফ এক শারিরিক লাঞ্ছনাকারীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়াটা যৌক্তিক ? আবেগের আতিশায্যে গল্পের মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে ।

তবে গল্পের মূল আবেদনের জায়গাটায় আপনি পাঠককে সংবেদনশীল করতে পেরেছেন । এটাই গল্পের অর্জন ।

ভাল থাকুন প্রিয় রানা ভাই ।

প্রচুর লিখুন । আরো লেখা চাই আপনার ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ, আপনি কাক নিয়ে একটি গল্প লিখেই আমার প্রিয় ব্লগার-গল্পকারের খুব সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঢুকে গেছেন।

আপনার এই অসাধারণ মন্তব্যের জবাব শুধু ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে চাই না। বিস্তারিত জবাব দেয়ার জন্য যে সময় সুযোগ ও স্থিরতার দরকার তা কিছুতেই পাচ্ছি না। কিন্তু পাওয়া মাত্রই জবাব পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

শুভেচ্ছা সব সময়।

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: গল্প অত্যন্ত ভালো হয়েছে । আমাকে অচিরেই এই সিরিজের সবগুলো লেখা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আইবুড়ো কাল এবং দীর্ঘশ্বাস

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ২

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ৩

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! -৪(ক)

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! -৪(খ)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। লিংকগুলো দিয়ে দিলাম। গল্পের পাঠ-প্রতিক্রিয়া জানার আশায় রইলাম।

২১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফেইসবুকে আপনাকে খুঁজছি।

২২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৫

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ফালতু বিক্রিত মস্তিস্কের আকাশ কুসুম কল্পনা।

আপনি মনে হয় জানেন না, আমার মত অনেকে আছে যারা ভিড়ের ভিতরে কোন মেয়ে মানুষ কাছে এসে দাড়ালে সারাক্ষন এই ভেবে চিন্তিত থাকে যে কখন বাসের অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে তার গায়ে ছোয়া লেগে যায়। ঝুলন্ত পাইপ ধরে যথাসম্ভব শরীরের দ্রাঘিমাংশ ঠিক রাখার প্রচেষ্টা করি।
আপনারা সমান অধিকার চান, সকল ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান ভাগ-বাটোয়ারা চান, তাহলে পুরুষদের মত আপনারাও ভীড়ের ভিতরে ওদের শরীরে হাত দিন, মজা নেন। না পারলে ২ কোটি মানুষের শহরে গুটিকয়েক বাসে কিভাবে আমরা চড়বো, একটা বুদ্ধি আপনিই বের করেন।

২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যৌনবাস্তবতা ও যৌনফ্যান্টাসির মাঝে পার্থক্যটা উধাও হয়ে গেছে শেষটায়। এইটেই সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.