নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ও সস্তা পণ্য \'মেয়ে মানুষ\'

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

বাংলাদেশে এই মুহুর্তে সবচেয়ে সহজলভ্য ও সস্তা পণ্যের নাম 'মেয়ে মানুষ'।
চারপাশে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটনাগুলো আর এসবের প্রতি মানুষের দৃষ্টি ভগ্নি আমাকে সত্যি আজকাল খুব অবাক করে। হয়তো আমিই ভুল, বিছিয়ে পড়া। তবু নিজেকে মেয়ে ভাবতে আজকাল বড্ড লজ্জা হয়। দোকানে সাজিয়ে রাখা পণ্যের সম্ভার আর নিজের ভেতর কোন তফাত খুঁজে পাই না।

পণ্য হিসাবে মেয়েদের ব্যবহার আগেও ছিল। এখনও আছে। তবে দেশ, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ভেদে তার ধরনটা অন্তত ভিন্ন ছিল। পাশ্চাত্যে একজন নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, কোন মুসলিম দেশে সেটা করা হয় না। কারণ একটি মুসলিম দেশের রাস্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সামাজিক আচার ব্যবহার সবকিছু তে ইসলামী মূল্যবোধের ছোঁয়া থাকে। কিন্তু আমরা হাইব্রিড দেশের নাগরিক বিধায় আমাদের দেশের কোন কিছুতেই ইসলামী মূল্যবোধের ছোঁয়া থাকে না। যদিও এদেশের মুসলিম এবং হিন্দু সমাজ দুটোকেই যথেষ্ট রক্ষণশীল বলে দাবী করা হয়। কিন্তু আদতেও কি তাই? এদেশেও কি কনডমের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ছেলেদের আন্ডার গার্মেন্টস এর বিজ্ঞাপনে মেয়েদের উৎকট ভাবে উপস্থাপন করা হয় না? হয়! আসলেই যদি এদেশের সমাজ এতটুকুও রক্ষণশীল হত, এই ধরনের প্রচারনা কি সম্ভব হত? হত না! পাশ্চাত্তে মানুষেরা যেভাবে জীবন যাপন করে তাদের বিজ্ঞাপনের ভাষা আর ধরণ, দুটোই হয় ওদের জীবনযাপনের উপর নির্ভর করে। আমাদের সংস্কৃতি, জীবন যাপনের ধরণ কোন কিছুর সাথে কোন মিল না থাকা সত্ত্বেও আমাদের বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, বিশেষ ফিচার, সব কিছুতেই মেয়েদের এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়, যার সাথে আদতেও এদেশের মেয়েদের জীবন যাপনের ধরনে কোন মিল নেই। হ্যাঁ, হয়তো কিছু মেয়েদের এমন সাথে মিল থাকলেও থাকতে পারে, যারা আসলে আমাদের সমাজের মূল স্রোত কে রিপ্রেজেন্ট করে না। বিজ্ঞাপন নিশ্চয় কেবল ওই কিছু সংখ্যক মেয়েদের জন্য বানানো হয় না? কেন তবে ম্যাচের কাঠি থেকে শুরু করে টয়লেট টিস্যু সব কিছুতেই মেয়েদের উপস্থিতি এত জরুরী??

এবার সেই মেয়েগুলোর কথায় আসি, যারা আল্লাহ প্রদত্ত রূপ সৌন্দর্য কে নিজেদের অর্জন মনে করে নিজেদের পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য দেদারসে বিলিয়ে বা বিক্রি করে যাচ্ছে। আমার ভাবতে অবাক লাগে এই মেয়েগুলোরও বাবা-মা আছে!... আমরা এমন পরিবেশে বড় হয়েছি যেখানে আমরা সত্যি ভাবতে পারি না কি করে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন বা ভাই-বোনের চোখের সামনে সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়ে হাজার মানুষের সামনে দাঁড়ানো সম্ভব! কোন বাবা বা কোন ভাই রাস্তায় চলার সময় কি করে নিজের বোন বা মেয়ের সংক্ষিপ্ত পোশাকের ছবি দেখতে পারে যে ছবি অসংখ্য পুরুষের কাম মেটাচ্ছে! আমি ভাবতে পারি না, এসব মেয়েদের ইনকামে তাদের মা-বাবা কি করে মুখে অন্ন তুলতে পারে বা এসব মেয়েদের জন্য পাবলিক প্লেসে দাঁড়িয়ে আবার গর্বও করতে পারে! মিডিয়াতে খুব কম মেয়েই আছে যারা নিজেদের শালিনতা বোধ এবং অভিনয় গুণে টিকে আছে। আর যারা সেন্সরশিপের কারণে খায়েশ মিটিয়ে শরীরের সবটুকু দেখাতে পারছেনা, তারা নিজেদের মেলে ধরছে ফ্যাশন শো, ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর পার্টি তে যেয়ে আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে। ৫০০-৩০০০ টাকা তে 'ব্রান্ড প্রমোটার' তকমা লাগিয়ে কর্পোরেট ইভেন্টস এর শোভা বাড়াতে যেমন মেয়ে ভাড়া করা যায়, তেমন যার সামর্থ্য ৫০-২০০ টাকা খরচ করার, সেও নিজের সুবিধা মত আর প্রয়োজন মত মেয়ে যোগাড় করে নিতে পারে। এখানে আস্ত একটা মেয়ে মানুষ ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে প্রায় সমান অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়, অদ্ভুত তাই না?

সিগারেট হোক বা চুল ফেলানো ক্রিম বা শ্যাম্পু.. সব কিছুতে মেয়ে মানুষের উপস্থিতি অনিবার্য। ইদানিং আবার নতুন এক ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। তার নাম 'ফ্যাশন শো'। যা আদ্যোপান্ত কোন ভাবেই এদেশের কোন কৃষ্টি কালচারকে তুলে ধরেনা। পয়সাওয়ালা লোকজন আবার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসব ফ্যাশন শো দেখতে যাচ্ছে। অথচ পন্যের সাথে প্রোগামের কোন যৌক্তিক মিল নেই। এসব ক্ষেত্রে আয়োজকদের মনোভাব অনেকটা এমন, আমরা যেহেতু বছরে কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছি, সুতরাং আমরা এখানে সব করতে পারি। আর সরকারের নীতি নির্ধারকরা রাজ তহবিল ভারী করতে পেরেই খুশি। জবাবদিহিতার প্রশ্ন এখানে অবান্তর।

আর এদেশের মিডিয়া? বাংলাদশের মত উদার মনোভাবাপন্ন মিডিয়া তো পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এদেশের মেয়েরা যত কাপড় খুলবে, মিডিয়ার তত আনন্দ। সে কারণেই কিনা নাঈলা নাঈমের মত মেয়ের অর্ধনগ্ন ছবি ছাড়া অনলাইন পোর্টালগুলো চলেই না। এসব সস্তা মেয়ে ছাড়া মাল্টিন্যাশনালগুলোর কর্পোরেট প্রোগ্রাম অসমাপ্ত থেকে যায়, অর্থহীন হয়ে যায়। সত্যি আমার ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশের মত রক্ষণশীল সমাজেও নাঈলা নাঈমের মত শরীর দেখানো মডেলদের বাবা-মাও থাকে? বাজারের পতিতাদেরও এটুকু হায়া থাকে যে তারা পরিবারের থেকে তাদের পেশাকে লুকিয়ে রাখে। এদেশের তথাকথিত নামকরা মডেলদের ভেতর সেটুকু হায়াও নেই। ভাবতে অবাক লাগে বাংলাদেশে এমন বাবা-মাও আছে যারা বিউটি কনটেস্টে নাভি, বুক অথবা ফ্যাশন শো তে হাজার লোলুপ পুরুষের সামনে উরু প্রর্দশন করা পোষাক পরিহিত মেয়েকে দেখে গর্ব বোধ করে! সত্যি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মাশিয়ালাইজেশন এর পাল্লায় পড়ে আজ মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-ভাইয়েরা হাজার পুরুষের সামনে মেয়ের শরীর প্রর্দশন মেনে নিতে পারছে, আবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এই মেয়েরই আকুন্ঠ প্রশংসা করছে। এই বাবাগুলো বা পরিবারগুলো কি বোধহীন হয়ে গেছে, চোখে দেখতে পায় না নাকি মেয়ের শরীর বিক্রির পয়সার কাছে জিম্মি হয়ে গেছে তা আমি বুঝে উঠতে পারি না।

শরীর বা রূপ সৌন্দর্য্য বিক্রি করা এই ধরনের মেয়েগুলো ইদানিং চাকরিক্ষেত্রেও ঢুকে গেছে। আর যারা তাদের মেধা দিয়ে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়, তাদের টিকে থাকা হয়ে পড়েছে কঠিন। ভাবছেন, নষ্ট মেয়েগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, মিডিয়ার প্রশ্রয়, কর্পোরেটদের পণ্য বেচার অছিলায় মেয়েছেলে নিয়ে ব্যবসা করা এই সব কিছু তে কারো কোন প্রবলেম নেই, তবে আমার কিসের এত অসুবিধা?
.. হ্যাঁ, আমার প্রবলেম হচ্ছে। এবং আমি নিশ্চিত আমার মত অসংখ্য মেয়ের প্রবলেম হচ্ছে। যারা নিজেদের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে সমাজে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে চাইছি, তাদের অসুবিধা হচ্ছে। এই সব নষ্ট মেয়েদের জন্য সেই সব মেয়েদের মনের শান্তি আর পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হচ্ছে যাদের স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডরা গার্লফ্রেন্ড অথবা স্ত্রীর কাছ থেকে লয়ালটি আশা করে, অথচ নিজেরা নষ্ট মেয়েগুলোর সাথে মাখামাখি করে বেড়ায়, স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড কে লুকিয়ে যখন এই পুরুষগুলোয় অফিসের কলিগ বা অন্য কোন মেয়ের সাথে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে আমার পরিচিত একজন ভদ্রলোকের (!!!) কথা বলি। ভদ্রলোক আপাদমস্তক ভদ্রলোকের মতই দেখতে। তার স্ত্রীও যথেষ্ট সুন্দরী। অসম্ভব সুন্দর ফুটফুটে একটি কণ্যা সন্তানের জনক তিনি। কানকথার ফিসফিসানি তে একদিন জানতে পারলাম ভদ্রলোকের তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ডিভোর্সের কারণ টা কি? ... কারণ হলো, ভদ্রলোকের স্ত্রী একদিন বাপের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাসায় ফিরে আসতেই নিজের বেডরুমে স্বামীকে তারই ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র এক মেয়ে কলিগের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এই ঘটনার পর ভদ্রমহিলা বাধ্য হন তার স্বামীকে ডিভোর্স করতে। ... এই ডিভোর্সের সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গেলএকটি সংসার । একটি ফুটফুটে বাচ্চা তার বাবাকে, বাবার ভালোবাসা হারালো, তার নামের আগের 'ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান' তকমা টা লেগে গেল! ভেবে দেখুন তো, এই মহিলার পক্ষে কি আর কখনো কোন পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করা সম্ভব? ওই বাচ্চাটা কি কখনো তার বাবাকে ক্ষমা করতে পারবে?
ভোগ, লালসা আর মেয়ে মানুষের শরীরের প্রতি আসক্তির কাছে ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা বোধ, সততা, বিশ্বাস, পারস্পারিক ও পারিবারিক বন্ধন এসব কিছু কেমন তুচ্ছ আর ম্নান হয়ে গেছে।..

শরীর আর সৌন্দর্য্য দিয়ে ব্যবসা করা মেয়েগুলো আর জন্মগত চরিত্রহীন এসব পুরুষ মানুষের জন্য উপরের উদাহরণটির মত অসংখ্য মেয়ের সংসার আর স্বপ্ন প্রতিনিয়ত বরবাদ হচ্ছে। আমি নিজেও একজনকে ভালোবেসে একই ভাবে ঠকেছি, যে আমার থেকে ২০০% লয়েলটি আর ভদ্রতা আশা করলেও নিজে মেতে থাকতো অসংখ্য মেয়ে নিয়ে।

কর্মাশিয়ালাইজেশন এর এই যুগে পণ্যের মত মেয়েদের যত্রতত্র ব্যবহার ট্যোটাল স্যোশাল সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিছু সংখ্যক কর্পোরেট আর বেশ্যা প্রকৃতির মডেলদের শিল্প আর ফ্যাশন শোর নামে অবাধ শরীর প্রর্দশন আর অবৈধ সম্পর্কের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মেয়ের সংসার ভাঙছে, মন ভাঙছে... অসংখ্য পরিবারের শান্তি নষ্ট হচ্ছে...ডিভোর্স বাড়ছে, ডিভোর্স হওয়া পরিবারগুলোর সন্তানরা মানসিক নিরাপত্তাহীনতায় বেড়ে উঠছে, সামাজিক সম্পর্কগুলোর প্রতি তার শ্রদ্ধাশীল হতে শিখছে না।... যা প্রকারান্তরে নষ্ট করে দিচ্ছে সামাজিক ভারসাম্য!

ঝলমলে আলোয় বুদ হয়ে থাকা মেয়েছেলের শরীর নিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসা এ সকল কোম্পানীগুলো, মিডিয়া এবং নিজেদের শরীর বিক্রি করে চলা মেয়েগুলোর জন্য সোসাইটির একটা বড় অংশ suffer করছে। অথচ ইপিলইপিল গাছের মত বেড়ে উঠা এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মত একজন ভদ্রলোকও এ সমাজে আর অবশিষ্ট নেই। কারণ পুরুষশাসিত সমাজে এই সব ব্যবসা আর প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়ই কেবলমাত্র পুরুষের বিকৃত কামনা ও অনৈতিক বাসনা পুরনের জন্য।

শেষ করছি সাম্প্রতিক একটি ঘটনা দিয়ে। সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান এরশাদ বলেছেন, সুন্দরী মেয়েদের সাথে সেলফি তুলতে তার ভালো লাগে । ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করেন। এটা আসলে এরশাদ নন, প্রতিটা পুরুষের মনের কথা। এরশাদ ঠোঁট কাটা বেহায়া বলে এবং অন্য পুরুষদের মত কপট নন বলে কথাটা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। ভদ্রতার মুখোশধারী পুরুষগুলো অতি ধূর্ত প্রকৃতির বলে তারা এই আনন্দ উপভোগের কথা মুখে প্রকাশ করেন না। ..

কিন্তু স্বপ্ল বসনা নারী, আটোঁসাটোঁ পোশাকের নারী, ফ্যাশন শোয়ের উরু বের করা মেয়ে ছেলে বা উড়না ছাড়া মেয়েমানুষ সামনে এসে বসলে বা পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে, পোশাকের নিচে সব পুরুষের একই রকম পরিবর্তন হয়। ভাগ্যিস পোশাক পুরুষের লজ্জাস্থান ঢাকতে শিখিয়েছিল। অন্যথায় পুরুষ মানুষগুলোর মিথ্যা ভালোমানুুষি বা সাধু সেজে থাকার মুখোশ খুলতে এতটুকুও সময় লাগতো না।
....................সব পুরুষ মানুষই এরশাদ। কেউই আলাদা নন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

টাইম কম বলেছেন: খাবার ঢেকে রাখা উচিত ... তা না হলে খাবার এ মাছি বসবে ই ..... দোষ টা মাছির কেন পড়বে? নিজেদের দোষ মাছি দের উপর চাপানোর চেষ্টা করে কি লাভ???

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: লেখা পড়ে বুঝে মন্তব্য করুন। সস্তা ধরনের মন্তব্য না করেন সেটাই ভালো। এখানে খাবার বা মাছি প্রসঙ্গে কথা বলা হয় নি। বলা হয়েছে মানুষের সম্পর্কে। আর এখানে একক ভাবেও কারো দোষ ধরা হয় নি। ৩ পক্ষের কথা বলা হয়েছে। যার ভেতর দুইটি পক্ষ ভোগ করছে, আর এক পক্ষ নিপীড়িত নির্যাতিত হচ্ছে।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

হুমায়রা আলম বলেছেন: So true in most cases!! our media world has become a free pass for exploiting women and ironic yet true, frequently a large portion of this world get exploited willingly for the yearn of some cheap fame. Its sad indeed.

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

সুজন চন্দ্র পাল বলেছেন: সব পুরুষ মানুষই এরশাদ। কেউই আলাদা নন।

সুন্দরী মেয়েদের সাথে সেলফি তুলতে তার ভালো লাগে । ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করেন। এটা আসলে এরশাদ নন, প্রতিটা পুরুষের মনের কথা।

প্রত্যক মানুষই সুন্দরের পুজারী, এতে আপনার সমস্যাটা বোধগম্য নয়।


আর এদেশের মিডিয়া? বাংলাদশের মত উদার মনোভাবাপন্ন মিডিয়া তো পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এদেশের মেয়েরা যত কাপড় খুলবে, মিডিয়ার তত আনন্দ। সে কারণেই কিনা নাঈলা নাঈমের মত মেয়ের অর্ধনগ্ন ছবি ছাড়া অনলাইন পোর্টালগুলো চলেই না। এসব সস্তা মেয়ে ছাড়া মাল্টিন্যাশনালগুলোর কর্পোরেট প্রোগ্রাম অসমাপ্ত থেকে যায়, অর্থহীন হয়ে যায়। সত্যি আমার ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশের মত রক্ষণশীল সমাজেও নাঈলা নাঈমের মত শরীর দেখানো মডেলদের বাবা-মাও থাকে?

এই সমস্যা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আগে মিডিয়া ছাড়া , এখন মিডিয়ার বিনোদন বানিজ্য ।
তবে সমাধান একটাই হতে পারে, পারিবারিক সুস্থ শিক্ষা।

আর হ্যা সমাজ রক্ষণশীল ছিল, এখন ভক্ষণশীল।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

হুমায়রা আলম বলেছেন: sorry i liked the "machi" comment accidentally whereas it was not really like worthy

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

টাইম কম বলেছেন: হমমমমম সব পুরুষ মানুষই এরশাদ হবে কেন ? সব পুরুষ ই মাছি ... মিডিয়া কেমন জা্য়গা সবাই জানে .... তাই জেনে সুনে যারা যায় .. তাদের কি বলা যায়??

কিছু সংখ্যক কর্পোরেট আর বেশ্যা প্রকৃতির মডেলদের শিল্প আর ফ্যাশন শোর নামে অবাধ শরীর প্রর্দশন আর অবৈধ সম্পর্কের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মেয়ের সংসার ভাঙছে, মন ভাঙছে

এইখানে সবার মন ভাংছে না ঐ সব মডেলদের মন ভাংছে , সংসার ভাংছে ......

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

আনোয়ার ভাই বলেছেন: এখানে নারী ঠিক করবে সে কোন পথে যাবে । নিজেকে সস্তায় বিলিয়ে দিবে নাকি ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে এগিয়ে যাবে।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

টি ইউ রিয়াদ বলেছেন: সর্বশেষ কথার সাথে একমত হতে পারলাম না, সব পুরুষই এরশাদ নন।
আবার সব নারীই নায়লা নাঈম নন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

আমিনা মুন্নী বলেছেন: সত্যি যদি সব পুরুষ এরশাদ না হত তাহলে মেয়েদের জীবনে এত চাপা কষ্ট থাকতো না। আর সব মেয়েকেই এখানে নায়লা নাঈম বলা হয় নি। তুলে ধরা হয়েছে নায়লা নাঈম এর মত মেয়েদের জন্য সাধারণ মেয়েদের দূর্দশার কথা! ভালো থাকবেন।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

লাল স্কচটেপ বলেছেন: আপু দোয়া করি আপনি ইসলাম পরিপূর্ণভাবে বুঝে সুন্নাত তরীকা মেনে জীবন চালাতে পারেন। বাংলাদেশের নারীসমাজ নিয়ে আপনার লেখাগুলো খুবই বাস্তবমুখী। ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো লেখা আশা করি। জাজাকাল্লাহু খায়রান।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: Thanks!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.