নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাশন সচেতন হিজাবী বোনদের দ্বারা \'হিজাব ও পর্দার\' গণবলাৎকার

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

লেখার সাথে সংযুক্ত ছবিটি আমার এক ছোট বোনের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত। তবে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সেই ভাই বা বোন কে, সে এত সুন্দর সাবলীল এবং সৃজনশীল উপায়ে আধুনিক ফ্যাশনেবল হিজাবী বোনদের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।

এমন অভিনব প্রতিবাদের বিপরীতে ৩ টি ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

১. আধুনিক হিজাবি বোনদের ভেতর আল্লাহর ভয় ও হেদায়েত আসতে পারে এবং হিজাব পরিধানের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করে তারা সত্যিকারের পর্দানশীল হয়ে উঠতে পারে।

২. যেহেতু তাদের হিজাব পরিধান করাটা একটা ফ্যাশন ছিল, সুতরাং তারা লজ্জিত হয়ে হিজাব ছেড়ে সাধারণ আমজনতার পোষাকে ফিরে আসতে পারে এবং তথাকথিত আধুনিক ফ্যাশনে নিজেদের ব্যস্ত করে তুলতে পারেন।

৩. হিজাবের মত বিষয়টিও নিয়েও যেহেতু তারা ফ্যাশন করার দুঃসাহস দেখাতে ছাড়েন নি, সুতরাং কিছু মূর্খের কথায় তারা ফ্যাশন করা হিজাব ছেড়ে দেবেন সে আশা করাটা বোকামী। সুতরাং এই সব ক্ষীণ প্রতিবাদে তাদের মতি ফিরবে, তেমনটাও নাও হতে পারে।

'বোরখা' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে আমার জানা নেই। তবে পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা নিসা নামের সূরাটিতে মেয়েদের পর্দার বিষয়টি এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। আমি নিজে পর্দাণশীল নই। সুতরাং আমার মুখে পর্দার কথা শুনতে খানিকটা বেমানান লাগতে পারে। আমি পর্দা করি না আমার ঈমানের দূর্বলতার কারণে। কিন্তু আধুনিক হিজাবি দের মত ইসলামের কোন নির্দেশকে নিজের খেয়াল খুশি মতো কাস্টমাইজড করে নেয়ার মত গুরুতর অপরাধ করার কথা আমি কখনো চিন্তাও করতে পারি না।

আমি সীমিত পড়াশুনায় যতটুকু জানি তাতে করে কুরআনের কোথাও 'বোরখা' নামক কোন পোষাকের কথা উল্লেখ করা নেই। তবে পুরুষ এবং নারীর পোষাক আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কেমন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। সেখানে যেমন পুরুষের জন্য গিরা ঢাকা পোষাক নিষেধ করা আছে, তেমনি মেয়েদের জন্য গিরা বের করা পোষাক কে হারাম করা হয়েছে।... আসুন, এবার একটু বর্তমান জামানার ফ্যাশন দুনিয়ার দিকে একটু তাকাই। ফ্যাশনের সংজ্ঞা কিন্তু আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে উপরে যে লাইনটির কথা উল্লেখ করলাম, সেই লাইনটি ফলো করলে কিন্তু আমরা 'ফ্যাশন' শব্দটার আরেকটা অর্থ পেয়ে যাবো। সেটা হলো 'কুরআনে উল্লেখিত আল্লাহর হুকুম অমান্য করে, আল্লাহ যা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম করেছেন, সেই মত পোষাক ডিজাইন করা এবং পরিধান করায় হলো 'ফ্যাশন'! ...কেমন লাগলো সংজ্ঞাটা? খুউব কি অযৌক্তিক মনে হচ্ছে? আমার কাছে কিন্তু মনে হচ্ছে না। চারপাশে তাকান। নিজেকে দেখেন। ছেলেদের প্যান্টের ঝুল গিরার নীচে নামতে নামতে এখন পায়ের পাতার নীচে পদপৃষ্ট হচ্ছে, আর মেয়েদের সালোয়ার...? ছোট হতে হতে এখন কোন রকমে হাঁটুর নীচে নিজের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে! হ্যাঁ ভাই, আমি আমাদের কথায় বলছি যারা নিজেদের মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত এবং মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিচ্ছি। কোন অমুসলিম ভাই-বোন এর কথা বলছি না। কুরআনে পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই এমন দীর্ঘ এবং ঢোলা ঢালা পোষাকের কথা বলা হয়েছে যাতে পায়ের পাতা এবং কবজি পর্যন্ত ঢাকা থাকবে। উভয়ের ক্ষেত্রেই পোষাক এমন হওয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে করে শরীরের গঠন ও আকৃতি কোন পরস্ত্রী বা পরপুরুষ বুঝতে না পারে। নারীদের জন্য চুল পরিদর্শন হারাম এবং মুখমন্ডল ঢেকে রাখা কে ওয়াজিব করা হয়েছে। অর্থাৎ নিতান্ত প্রয়োজনে কোন নারী মুখমন্ডল খোলা রাখতে পারেন যদিও তা ডেকে রাখাই শ্রেয়। ... ' সম্ভবত কুরআন থেকে মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে যে নির্দেশনা পাওয়া যায়, সেই নির্দেশনা থেকেই আরবে 'বোরখা' নামক এই পোষাকটির প্রচলন শুরু হয়। কারণ এটি ঢোলাঢালা এবং এটি দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে ঢাকা যায় ইসলাম সম্মত উপায়ে। ... কিছুটা নোংরা কথা এসে যাচ্ছে মুখে, হয়তো এমন পাবলিক ফোরামে এমন কথা মানানসই নয়, তবুও না বলে পারছি না। পশ্চিমারা যদি পটি করে এসে একটি পাত্রে এনে দেখিয়ে বলে, "দেখ আমাদের বর্জ্য কত সুন্দর দেখতে! আমাদের মত চললে তোমাদের বর্জ্যও এমন সুন্দর দেখতে লাগবে।"... সাথে সাথে আমরা পশ্চিমাদের দেখানো পথ অনুযায়ী 'বর্জ্য সুন্দরকরণ প্রতিযোগীতায়' মেতে উঠবো। ... এই হয়েছে আমাদের দশা। এমনিতেই এদেশের আধুনিক মুসলিম প্রজন্ম নিজেদের মুসলিম পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারপর এই ফ্যাশনের দশাসই ক্রমাগত আগ্রাসনে তো এদের আরোও দিশেহারা অবস্থা! ..

এই আগ্রাসনের সাথে পাল্লা দিতেই কিনা... পাড়া মহল্লা অলিতে গলিতে ছাতার মত গড়ে উঠেছে 'হিজাব ফ্যাশন শপ'...আলহামদুলিল্লাহ্' ! কি চিত্তাকর্ষক বাহারি নাম। .. তোমরা যদি জিন্স আর টপস করে ফ্যাশন করতে পারো, তবে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো? আমরা বরং তোমাদের চেয়ে এককাঠি এগিয়ে থাকবো...!! পাত্র পক্ষ মেয়ে দেখতে আসলে হিজাব পড়ে সেজেগুজ সামনে যাবো। পাত্রের মা থুতনীতে হাত বুলিয়ে বলবেন, 'মাশাল্লাহ্, মেয়েতো পর্দাণশীল। কি নুরানী চেহারা। মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে।'..........আর অফিসে, রেস্টুরেন্টে, ক্লাসে, ফেস্টিভালে হিজাবের নামে টাউস সাইজ এর পাগড়ি বসিয়ে, চৌদ্দ কোণায় চৌদ্দটা পুঁতি বসায়ে, ঠোঁটে লাল টুকটুকে লিপস্টিক আর মুখে রুজ মেখে, কোমরে বিছা আর তাবিজ জড়ায়ে, হাতের ১০ আঙ্গুলে ১৪ টা আংটি পড়ে সকলের মধ্যমণি হয়ে বসবো, সবাই তাকিয়ে দেখবে...বন্ধুরা এসে বলবে, 'দোস্ত, তোকে যা লাগছে না...এক্কেরে ইরানি!' শরীরের মাপ বুঝে বানানো বোরখা নামের বাহারী চকমকি গাউনটা নিয়ে তখন আহ্লাদে অহংকারে আমরা নড়েচড়ে বসবো.. যেন শরীরের গড়নটা সামনে পেছনে আরো কিছুটা স্পষ্ট হয়... এই না হলে আমি আধুনিক ফ্যাশন সচেতন মুসলিম নারী। কে বলেছে পর্দা করে ফ্যাশন করা করা যায় না!! কে বলেছে টা কে!!? এই দেখ না কি সুন্দর ফ্যাশন করছি! আমাদের হিজাবি ফ্যাশনের কাছে তো সালমা হায়েক বা প্যারিস হিলটন ফেইল ডুড!!...

সব সো কলড হিজাবি বোনদের বলছি, থামেন! যথেষ্ট হয়েছে। 'হিজাব' পর্দার জন্য। পুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজেদের সৌন্দর্য্য আর লজ্জাস্থানকে হেফাজত করার জন্য। তাদের চোখে ফ্যাশনেবল অথবা আর্কষনীয় হয়ে উঠার জন্য জন্য। আপনাদের তথাকথিত ফ্যাশনেবল হিজাব লিমিট ক্রস করতে করতে এই লেভেল এ পৌঁছে গেছে যে, আঁটো সাঁটো খাটো পোষাক পড়া আধা ন্যাংটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে গেলেও মানুষ তাকিয়ে দেখে না, অথচ বোরখার নামে লেস ও পাতলা ফিনফিনে বাহারী রঙের ঢং এর কাপড়ে টাইট ফিটিং পোষাক পড়ে আপনারা যখন রাস্তায় হেঁটে যান তখন যাত্রার সং দেখার মত ভিড় জমে রাস্তায় এবং 'ইউ বিচেস লাভ দ্যাট সো মাচ'!.. ....

.....আরে হিজাব বিহীন সাধারণ সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়েদের পোষাকও তো এত টাইট হয় না, যা আপনাদের বেলাতে হয়! এদেশে বহু মেয়ে আছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, আল্লাহর হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে পর্দা করে, হিজাব করে। আপনাদের মত রঙ মাখা হিজাবিদের জন্য এই সব ধার্মিক বোনদের মানুষ খাটো করে দেখার সুযোগ পায়। ইসলামী পোষাক কে ইসলামী রীতি অনুযায়ী থাকতে দেন। ফ্যাশন করার অথবা নিজেকে সুন্দর অথবা আর্কষনীয় করে দেখানোর খুব বেশি আগ্রহ থাকলে ইসলামী পোষাক কে ঢাল না বানিয়ে পশ্চিমাদের দেখানো পথে পা বাড়ান। ... দয়া করে ইসলামী আদব লেহাজ কে অসম্মানিত করবেন না আর। আবার অনেক বোন আছেন, যারা স্বামীর কে সন্তুষ্ট করার জন্য অথবা স্বামীর আদেশে হিজাব করেন, অথচ আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য নয়। নাউযুবিল্লাহ্। এটা আরোও বড় অন্যায়। যে আপনি আল্লাহ্ কে ভয় পেয়ে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য ইসলামের আদবের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে হিজাব বা পর্দা করে চললেন না, সে কিনা একদিনেই স্বামীর ভয়ে বা বয়ফ্রেন্ডের অনুরোধে পর্দা করতে শুরু করলেন। আপনি সৃষ্টিকর্তার শাস্তির ভয়ে যা করেন নি, স্বামীর ভয়ে তা করলেন। আপনি সৃষ্টিকর্তার উপরে আপনার স্বামীকে জায়গা দিলেন।... আরোও বড় অন্যায় করলেন। স্বামীর হুকুম পালনের জন্য নয়, বরং আল্লাহর আদেশ পালনের গুরুত্ব মন থেকে উপলব্ধি করে যখন আপনি পর্দা করে চলবেন, পর পুরুষের থেকে নিজেকে হেফাজত করবেন তখন সেটা হবে আসল পর্দা। যে পর্দা আপনার মন এবং শরীর দুটোকেই শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত করবে।

আমি নিজে পর্দা করি না.. মানে বোরখা বা হিজাব কোনটাই পড়ি না। কারণ একজন সত্যিকার পর্দানশীন নারীর গুরুত্ব আল্লাহ আর সমাজ উভয়ের কাছেই অনেক সম্মানের। একজন হিজাবী নারীর কথা বার্তা চাল চলন চিন্তা ভাবনা সব কিছু শরীয়ত সম্মত হওয়া উচিত...যে ম্যাচিওরিটি আমি এখনও ঠিক মত রপ্ত করে উঠতে পারি নি। আল্লাহর হুকুমে নিশ্চিয়ই খুউব তাড়াতাড়ি আমি সব সংশয় কাটিয়ে উঠবো এবং পর্দা মেনে চলার চেষ্টা করবো।
...........এ লেখার উদ্দেশ্য তথাকথিত আধুনিক হিজাবি নারীদের সামনে এই সত্যিটা তুলে ধরা, যে আল্লাহর নির্দেশ ফ্যাশন দুনিয়ার কোন রিয়েলিটি শো বা ফ্যাশন ডিজাইনারের ফ্যাশন হাউজ এর মত না, যা চাইলেই আপনি আপনার সুবিধা মত বদলে ফেলতে পারেন। তাই আল্লাহর আদেশ মান্য করতে না পারেন, তাতে আক্কেল খাটিয়ে কাস্টোমাইজড করে মানুষের ভেতর এবং সমাজে কোন বিভ্রান্তি তৈরি করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আপনার মনের খবর এবং আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন।





মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

ধমনী বলেছেন: যখন আপনি বাইরে বের হচ্ছেন তখন কাকে খুশি করার জন্য বের হচ্ছেন- আল্লাহকে নাকি যেসব লোক আপনাকে দেখবে তাদেরকে? এ অনুভূতি রেখে পর্দা করা উচিত।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: বোরখায় শালীনতা রাখা উচিৎ, তা না হলে বোরখায় যে পর্দা রক্ষা হয় তার বিপরীত হতে পারে।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

লাল স্কচটেপ বলেছেন: আপু ভালো লাগল আপনার লেখাটি। একদম মনের কথা বলেছেন। জাজাকআল্লাহ্‌ খায়রান।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আমিনা মুন্নী বলেছেন: Please keep me in your prayer :)

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: বোরখাও যে *** হতে পারে তা দেখেছিলাম প্রথম ভার্সিটির ক্লাস করতে এশে। অন্য সবজেক্টের এক ব্যাচমেটকে দেখে। তার মেয়ে থেকে ছেলে বন্ধুই মনে হয় বেশি ছিলো। আর বিশেষ বিশেষ দিনে স্লিভিলেস এর সাথে শাড়ী পরে আসতো... ... তখন তো আরো ভয়াবহ আবস্থা... ...


আর এক অফিসে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো। এক কলিগের আইডিয়া আরো ক্রিয়েটিভ...
"এখন থেকে বোরখা পরে আসবো।"
"বাহ ভালো তো, কি নামাজ পড় নাকি আজকাল, আফিসেতো দেখি নাহ।"
"আরে নাহ, বোরখা পরে আসলে বাসার জামা পরে কুইক অফিসে চলে আসা যায়, কেউ বুজবেও নাহ, আর না হলে রেডি হতে অনেক টাইম লাগে।"

B:-)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ভাই, আমি আমারও একটা ইউনিক অভিজ্ঞতা আছে! একটা অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলাম। এইচআর এর মহিলা হিজাব করা। এবং তাকে হিজাবে খুউব সুন্দর মানিয়েছে। হিজাব প্রসঙ্গে কথা উঠতেই তিনি জানালেন, লন্ডনে থাকা কালীন তার বেশ কিছু স্কার্ফ ছিল, যেগুলো তিনি কাজে লাগাতে পারছিলেন না এদেশে আসার পর। যেহেতু এখানে দূষণ বেশি তাই ধূলো বালি থেকে চুল বাঁচাতে আর স্কার্ফগুলো কাজে লাগাতেই তিনি হিজাব করেন :)

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "তবে পুরুষ এবং নারীর পোষাক আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কেমন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। সেখানে যেমন পুরুষের জন্য গিরা ঢাকা পোষাক নিষেধ করা আছে, তেমনি মেয়েদের জন্য গিরা বের করা পোষাক কে হারাম করা হয়েছে"-

কোরআনের কোথায় এই ধরনের কথা আছে একটু রেফারেন্স দিবেন কি? আপনি ত আপনার লেখায় খালি কোরআনের কথা বলে গেলেন, দয়া করে কোরআনের কোথায় এই গিরার উপ্রে/নিচে কাপড় পরা হালাল/হারাম বলা আছে তার রেফারেন্স দেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: মুসলমােনর বাচ্চা যখন, তখন ইসলাম সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে তো কুরআন বা হাদিসের রেফারেন্স টেনেই কথা বলবো, বাইবেল বা গীতার রেফারেন্স দিয়ে কথা বলবো না। তবে আপনি যে স্টাইলে রেফারেন্স জানতে চাচ্ছেন, তাতে তো মনে হচ্ছে আপনি নিজেই অনেক বেশি জানেন! যেহেতু আপনি নিজেই অনেক জাননে, সো আপনি রেফারেন্স খুঁজে নেয়ার জন্য নিজেই যথেষ্ট! বেশি আগ্রহ হলে নিজেই খুঁজে নেন। আর যেকোন লেখা পড়ে বুঝে তারপর মন্তব্য করবেন! অন্যথায় অন্তত আমার লেখায় মন্তব্য করবেন না! আমি আমার সব কাজের জন্য কেবলমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে জবাবদিহিতা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করি না!

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ফ্যাশেন করা ভাল । কিন্তু অশ্লীলতা না ।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।

খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয় ।

হিজাব শব্দের প্রকৃত অর্থ পর্দা বা আচ্ছাদন যা ঢেকে রাখে বা আড়াল করে কিন্তু আমরা সবাই হিজাব অর্থ জানি মাথার ওড়না দিয়ে বুক ঢেকে ফেলাকে । আরবি শব্দ খিমারের অর্থ একই রকম যার অর্থ পর্দা বা আচ্ছাদন যা ঢেকে রাখে। হিজাব যে ভাবে মাথার ভেইল হয়ে গেছে খিমার ও সেই ভাবে মাথার ভেইল হয়ে গেছে । মাথার ভেইল যেহেতু আচ্ছাদন করে বা ঢেকে রাখে সুতরাং ঐটা এক ধরনের হিজাব বা খিমার ।মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই। মরু ভুমির তাপ ( ৪৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রি) এবং বালুর ঝড় থেকে প্রটেকশনের জন্য ইসলাম আসার আগে থেকে মরু ভুমির নারি পুরুষ মাথা চুল ঢেকে কাপড় পরে থাকে। সুরা নুরে আয়াত ৩১ বলা আছে খিমার দিয়ে বুক ঢাকতে । এই খিমার ওড়না বা শাড়ির আচল বা শাল বা অন্য ধরনের কভার হতে পারে ।
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him! The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.Notice also the expression in 24:31, [Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

আমিনা মুন্নী বলেছেন: thanks for the info brother :)

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

আমিনা মুন্নী বলেছেন: For More reference please follow the links given here for better understanding: http://www.alkawsar.com/article/442
http://www.beshto.com/questionid/11225More reference: http://www.alkawsar.com/article/442
http://www.beshto.com/questionid/11225 More reference: http://www.alkawsar.com/article/442
http://www.beshto.com/questionid/11225More reference: http://www.alkawsar.com/article/442
http://www.beshto.com/questionid/11225

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.