নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সমীপে....

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী,
আমি অত্যন্ত অথেনটিক সূত্র থেকে বেশ কয়েকবার শুনেছি বর্তমান সরকারের আমলের সবচেয়ে সৎ মন্ত্রী আপনি। এমন কি মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী যাকে অনেকেই হিন্দী 'Nayak' ফিল্মের অনিল কাপুর ভেবে আনন্দ পান, তার ভেতরও নাকি খানিকটা কিন্তু আছে যা আপনার ভেতর নেই। সৎ মানুষ বলেই কিনা আপনার সব ভালোর ভেতর থেকে শুধু কাঁকড়ই বেড়োচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী ভেজালে আবার আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে কি না!......
ডিজিটালাইজেশন এক্সপেরিয়েন্স করতে গিয়ে আপনি শিক্ষার্থীদের ভেতর মোটামুটি এক প্রকার জুজুর ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন। শৈশব পেরোতে না পেরোতেই মেট্রিক পরিক্ষার ভয় যা কিনা ১৫-১৬ তে সয়, তা আপনি জেডিসি, জেএসসি পরিক্ষা গুলোর মাধ্যমে ১০/১২ বছরের বাচ্চাগুলোর উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। মেট্রিক পরিক্ষার সময় আমাদের অভিভাবকেরা হলের বাইরে যেমন চিন্তাক্লিষ্ট কাঁচুমাঁচু মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতো, আজ একটা ৫ আর ৮ পড়ুয়া বাচ্চার অভিভাবকেরা একই ভাবে স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কি অমানবিক দৃশ্য ভেবে দেখুন তো একবার! এতটুকু বয়স থেকে বাচ্চাগুলোর উপর যে ভয়াবহ মানসিক চাপ আপনি উদ্ভট পরিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করে দিচ্ছেন, এর ফলে তারা তো আর শেখার জন্য পড়ছে না। পড়ছে কেবলমাত্র এক্সাম হলে বসার জন্য আর ভালো ফলাফলের জন্য। অভিভাবকের প্রত্যাশা পূরণের জন্য পড়বে।... যে পদ্ধতিতে পড়াশুনা করে আপনি শিক্ষামন্ত্রী হতে পারলেন, যে পদ্ধতিতে পড়াশুনা করে এফ. আর. খান বিশ্বজয় করতে পারলেন, ডঃ ইউনুস নোবেল পেলেন, ফজলে হাসান আবেদের মত শিক্ষিত গুণী মানুষ উদোক্তা ও পাটের জিন তত্ত্ব আবিস্কারক মাহবুবুল হক কে পেল এ দেশ, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা কি এতটাই অনুপোযোগী এনালগ মনে হয়েছে আপনার কাছে?...... শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যাচ্ছে তাই এক্সপেরিমেন্ট করে আপনি দেশকে বেশ বড় সড় একটা ঝামেলার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব এখন ছোটখাট আকারে দেখা দিলেও ভবিষ্যতে আরো বড় আকারে দেখা দেবে।
মাননীয়মন্ত্রী, স্টুডেন্টরা কোন গবেষণাগারের গিণিপিগ নয়। তাদের শিক্ষাজীবন আর ভবিষ্যত নিয়া দয়ে করে আর পরিক্ষা নিরিক্ষা চালাবেন না। শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসায় অনেক সময় ব্রান্ডি কাজে লাগলেও, গ্রীষ্মপ্রধান মানুষের জন্য কিন্তু তা কোন কাজে আসে না, বরং হিতে বিপরীত হয় একথাটা মাথায় রাখবেন।

আপনি নকলের মহৌৎসব বন্ধ করেছেন। কিন্তু তার substitute হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। পরিক্ষার আগের রাতে ছাত্ররা আজ বই খাতা ফেলে প্রশ্নপত্রের খোঁজ ব্যতিব্যস্ত থাকে। মেডিকেলের সবাই কিন্তু ফাঁসকৃত প্রশ্নের জোরে চান্স পায় না। তবুও অভিযোগের তীরটা সবার মেধাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। এদের কেউ কেউ এতে করে পড়াশুনার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলে। কারো বা আবার প্রশ্নপত্র খোঁজার ফেরে পড়ে কৈশোরেই নৈতিকতা বোধ নষ্ট হয়ে যায়।

আপনার সততা আছে। দরকার শুধু আরেকটু চিন্তাশক্তির প্রয়োগ। এই দুটোর সমন্বয় ঘটাতে পারলে এদেশ আর আগামী প্রজন্ম আপনার কাছে চিরঋনী হয়ে থাকবে।

মাননীয় মন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ-ইউনিটের পরিক্ষায় ৯০% শিক্ষার্থীর ফেল করার খবরটা কিন্তু সত্যিই অত্যন্ত ভীতিকর....অাশা করি এই বোধোদয়টুকু আপনার হবে!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু! আমি আপনার লেখাটার সাথে পূর্ন সহমত জ্ঞাপন করছি! এবং সেই সাথে সাথে এটাও আশা করছি; আপনি যাকে উদ্দেশ্য করে এই সুন্দর চিঠিটা লিখেছেন একদিন না একদিন ঠিকই তার বোধদয় হবে! এবং আসলেই তিনি এতদিন যাবত ভুল করেছেন না ঠিক করেছেন সেটাও বুঝতে পারবেন......!!


কিন্তু আফসোস, লেখাটা হয়তো এইখানেই যুগ যুগ ধরে পড়ে থাকবে। অথচ নিদ্রিষ্ট ব্যক্তি বরাবর পৌঁছাবে না........!!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ধন্যবাদ। আফসোসের বিষয় এটাই যে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কথা উনাদের কাছে কখনোই গিয়ে পৌঁছে না।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: পৌঁছলেও এইগুলো ওনাদের হাসির খোরাক হয়...
চারিদিকে বাটপার আর তেলবাজদের মাঝে বসবাস করে নীতির প্রশ্নে অটল কোন জনা?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: অসাধারন লেখা কিন্তু ফলাফল উলুবনে মুক্তা ছাড়ানোর মত। কে শুনবে এ কথা গুলো??? ধিক্কার এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে যা কিনা পরিক্ষার সময় লেখাপড়া ফেলে প্রশ্নপত্র খোজার কাজে ব্যস্ত রাখে এ শিক্ষা ব্যবস্থা। আগামী দিনের কথা ভেবে আমি সংকিত বোধ করি। কি হবে আগামী প্রজন্মের???

যাই হোক এমন অসাধারন লেখার জন্য ধন্যবাদ রইল আপু।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: Thanks brother! :)

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

রাজ হাসান বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন আপু এতে কোনো সন্দেহ নাই।কথায় আছে পাগলেও নিজের ষোল আনাটাই বুঝে কিন্তু আমাদের দেশে এর উলটো চিত্র।কখনো কি কল্পনা করেছেন কেউ যেই জাতি তাদের দেশের শিশুগুলোকে শিশুবেলাতেই অনৈতিকতায় হাতেখড়ি দেয় তাদের ভবিষ্যৎ কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে??পরীক্ষার ৫০ মার্কের নৈবত্তিক প্রশ্নের উত্তর যদি পরীক্ষার হলে শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দেন তাহলে সেই দেশের ভবিষ্যৎ কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে?আমাদের আগামী কোথায় দাড়িয়েছে আমরা কি কল্পনা করতেছি? আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,আসলে ব্যবসাটাই মূখ্য।আর এই ব্যবসার কারনেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এই বেহাল দশা আমি মনে করি।

সকল শিক্ষার আগে আমাদের দরকার নৈতিকতার শিক্ষা কিন্তু এই নৈতিকতা আজ শুধু বইয়ের পাতায় লেখা কিছু বাণী ছাড়া আর কিছুই না।এই সমস্যা এক বিশাল সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যার ন্যায় এই সমস্যার জড়ও মাটির অনেক গভীর অভ্যান্তুরে পৌছে গিয়েছে।মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা একটা কৃত্রিম ছকের মাঝখানে আটকে গিয়েছি যেখান থেকে বের হওয়াটা খুব সহজ হবে না।আল্লাহ সকলকে হেফাযতে রাখুক ।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

আমিনা মুন্নী বলেছেন: Right!

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

মানবী বলেছেন: " অত্যন্ত অথেনটিক সূত্র থেকে বেশ কয়েকবার শুনেছি বর্তমান সরকারের আমলের সবচেয়ে সৎ মন্ত্রী আপনি। এমন কি মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী যাকে অনেকেই হিন্দী 'Nayak' ফিল্মের অনিল কাপুর ভেবে আনন্দ পান, তার ভেতরও নাকি খানিকটা কিন্তু আছে যা আপনার ভেতর নেই।"

- এই তথ্য সম্পূর্ণ নতুন তাই ব্যাঙ্গাত্মক না বাস্তব বুঝতে পারছিনা! সত্য হয়ে থাকলে খুব ভালো, তবে সৎ মানুষের অধীনে নিয়ম করে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার ঘটনা ঘতার কথা নয়।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আমিনা মুন্নী।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ-ইউনিটের পরিক্ষায় ৯০% শিক্ষার্থীর ফেল করার খবরটা কিন্তু সত্যিই অত্যন্ত ভীতিকর....অাশা করি এই বোধোদয়টুকু আপনার হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.