নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কর্পোরেট পুরুষদের দ্বি-মুখী হিপোক্রেটিক আচরণ(!)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

বাংলাদেশি শিক্ষিত কর্মজীবী পুরুষেরা, চটুল ভাষায় বলতে গেলে কর্পোরেটে চাকরি করা Gentleman দের পোশাক আষাক আপাতদৃষ্টিতে কেতাদুরস্থ হলেও, মনের দিক থেকে অধিকাংশের mentally টি এখনও রিকশাওয়ালাদের মতই আছে! ... ‘রিকশাওয়ালা’ শব্দ টা অশিক্ষিত বুঝাতে উপমা হিসাবে ব্যবহার করলাম, রিকশাওয়ালাদের ছোট করার জন্য নয়!
এইচআর এর যেই লোকটি নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় কোম্পানি তে অন্তত ৩০ শতাংশ নারী নিয়োগ নিশ্চিত করে চলেছেন বছরের পর বছর, woman empowerment এর জন্য যে মানুষ টি এত প্রশংসিত সবার কাছে, তিনিই হয়ত নিজের ওয়াইফ কে চাকরিক্ষেত্রে পাঠানোর ঘোর বিরোধী... !! সাবান বেচা কোম্পানির ব্যবস্থাপক নিজে আধা নেংটা মেয়েদের নিয়ে সারা বছর সুন্দরী প্রতিযোগীতা করে বেড়ালেও নিজের প্রেমিকা বা বউ এর শাড়ির আঁচল বা বুকের ওড়না ঠিক রাখার বেলায় বায়তুল মোকাররমের হুজুরের চেয়েও বড় হুজুরের ভূমিকা পালন করেন! ...
অফিসের সুন্দরী বুদ্ধিহীন কলিগরা আবার এদের কাছেই ‘মাকাল ফল’ হিসাবে যেমন সুপরিচিত, বিপরীতে সুন্দরী বুদ্ধিমতি কোন মেয়ে কলিগ, যে কিনা পুরুষ কলিগদের টেক্কা দিয়ে ধাই ধাই করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, তার যোগ্যতা এদের কাছে ‘আরে, ওই মাইয়া তো বসের রক্ষিতা, অথবা ‘ওই মাইয়াতো একটা Slut ‘… জাতীয় বাক্যের ভেতরই সীমাবদ্ধ থাকে।
অফিস ব্রেকে চায়ের কাপ হাতে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে এই পুরুষগুলোই আবার হট ফিমেল কলিগ এর assets আর বসের সাথে কল্পিত রোমাঞ্চ এর রোমাঞ্চকর গল্প ফেঁদে চায়ের কাপে ঝড় তুলবে। এরাই আবার সপ্তাহের সাত দিন ৪/৫ টা প্রেমিকার সাথে রীতিমত ক্যালেন্ডার মাফিক অভিসার সেরে দিন শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের আঁচলের গন্ধ নিতে নিতে সতি সাবিত্রী ১৮ বছরের সংসারি লুতুপুতু গৃহিণী টাইপ মেয়ে খুঁজবে!...
Hypocrites! …
ভাই রে, লেখাপড়া বা কেতা দূরস্থ পোশাক রক্তের দোষ, family background বা আলুর দোষ বদলাতে পারে না!... Stop being two faced!!!!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আবার ক্ষেপলেন যে ? কথা ভুল বলেন নি, তবে এক্টা কথা হলো অনেকের জন্য যেটা সত্যি, সবার জন্য সেটা সত্যি না।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আপনি হয়তো খারাপ পুরুষের পাল্লায় পড়ে এসব বলে বেড়াচ্ছেন; সব পুরুষ এক না। এর ঠিক বিপরীত পুরুষও আছে। আমিও তো খারাপ মেয়ের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি, কই, আমি তো নারীবিদ্বেষী কিছু বলছি না। কারণ, আমি জানি- সব মেয়ে আমার সেই পল্টিবাজ প্রতারক মেয়ের মতো না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

আমিনা মুন্নী বলেছেন: এখানে আমি প্রতারক কারো পাল্লায় পড়েছি বলে এসব বলে বেড়াচ্ছি এই কথা আসলো কোথা থেকে। আমি চাকরি করতে এসে এসব দেখছি বলেই বলেছি। অাপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, এমন ঘটছে। দুই একজন যে ব্যতিক্রম নেই তা নয়। তবে আমি বাজী ধরে বলতে পারি অধিকাংশই এমন। এই মেন্টালিটি থেকে ছেলেদের বের। হয়ে আসতে হবে। নিজের গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ এর সম্মান রাখাটা যেমন জরুরী তেমন কর্মক্ষেত্রে মহিলা সহকর্মীকে সম্মান দেয়াটাও জরুরী। পরের ঘরের মেয়েকে লোভ দেখিয়ে পন্য সাজিয়ে মার্কেট করবো আর নিজের ঘরের মেয়েকে পর্দা করাবো এটা কি দ্বি-মুখী আচরণ নয়?

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঘটনা সত্য। আমি নিজেই সাক্ষী। তবে পাঁচ আঙ্গুল সমান না।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "পরের ঘরের মেয়েকে লোভ দেখিয়ে পন্য সাজিয়ে মার্কেট করবো আর নিজের ঘরের মেয়েকে পর্দা করাবো এটা কি দ্বি-মুখী আচরণ নয়" সহমত

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাল-খারাপ সবখানেই আছে; শুধু কর্পোরেট পুরষ বলে চিহ্নিত করলে বিষয়টা সংকুচিত হয়ে যায়!

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

রেজা এম বলেছেন: বাহ বাহ বাহ আপু। দিলা তো ঐ টাইপ এর মাল গুলার রক্ত বার করে !!! B-) :-/

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

অগ্নিপাখি বলেছেন: " অাপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, এমন ঘটছে। দুই একজন যে ব্যতিক্রম নেই তা নয়। তবে আমি বাজী ধরে বলতে পারি অধিকাংশই এমন। "
সহমত আপনার সাথে। ৬ মাস এক বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেছিলাম। হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম এই ধরনের মানুষরা কতটা নোংরা মানসিকতার হতে পারে। আমার পাশেই একজন বসত- তো সেই চিড়িয়া মেয়েদের সম্পর্কে যে ধরনের মানসিকতা পোষণ করে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুধু তাই না- এই খানে যে আপনার সাথে কথা বলবার যোগ্যও না সেই হয়তো আপনার সাথে এসে বিনা কারনে ভাব দেখানো শুরু করবে। আমার অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। মাঝখানে এমন হতো ওই অফিস এ ঢুকলেই মাথা গরম হয়ে যেত কিছু অমানুষ কে দেখার পড়। আত্মসম্মান নিয়ে থাকতে পারবো না- তাই ছেড়ে দিয়েছি ওই চাকরি।

সত্যি কথাগুলো বলবার জন্য ধন্যবাদ। আসলেই এই কেতাদুরস্ত পোশাক মানুষের নোংরা মানসিকতা ঢাকতে পারে না।
সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নারীদের প্রতি আমাদের সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন- যেটা অবশ্যই শুরু করতে হবে একদম ছোট থেকে এবং পরিবার থেকে।

ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট প্রিয় তে। ভালো থাকবেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

আমিনা মুন্নী বলেছেন: কর্পোরেট এ আছি। এই জগত টা খুব ছোট। তাই নামগুলো বলতে পারছি না। আমারও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে একটি বহুজাতিক কোম্পানি এবং দেশের নামকরা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তে কাজ করে। এমন কি শুধু আমার বস আমাকে স্নেহের চোখে দেখত বলে কেতা দুরস্থ কুকুরগুলো তার সাথে আমার নাম জড়িয়ে নোংরা কথা বলে বেড়াতো। একবারও ভেবে দেখত না তাদের এই মনগড়া কথা একটা মেয়ের জীবনে কত বড় সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!!! আর ওরা এই নোংরা মন গড়া কথা গুলো গিয়ে লাগাত আমার বয়ফ্রেন্ড এর কানে। আমার লাইফ এতোটা হেল হয়ে গিয়েছিল। আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছি বহুদিন। তখন আজকের মত এত সাহসী ছিলাম না। কর্পোরেটে পুরুষ সহকর্মীদের এই ধরনের মন্ত্রব্য ও অশালীন কথা ছড়ানোটাও যে ইভটিজিং এবং নির্যাতন এর ভেতর পড়ে তা আগে জানলে একটা জানোয়ার কেও ছাড়তাম না! ছাড়তাম না আমার কথাকথিত বয়ফ্রেন্ড কে যে এসব মিথ্যা নোংরা কথা বিশ্বাস করে যে আমার উপর অকথ্য শারীরিক আর মানসিক নির্যাতন চালাতো! খুব শিগগীরই এই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। দোয়া করবেন যেন কর্পোরেটের ভদ্রবেশি মানুষ গুলো কতটা অমানুষ হতে পারে তা যেন খুব ভালো মত তুলে ধরতে পারি। দোয়া করবেন!

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: "ছাড়তাম না আমার কথাকথিত বয়ফ্রেন্ড কে যে এসব মিথ্যা নোংরা কথা বিশ্বাস করে যে আমার উপর অকথ্য শারীরিক আর মানসিক নির্যাতন চালাতো! "
যে ছেলে/ বা তথাকথিত প্রেমিক আপনাকে সম্মান করতে জানেনা- চোখ বন্ধ করে সরিয়ে দিন এইসব জানোয়ারদের নিজের জীবন থেকে। এরা মানুষ নামধারী পশু- যারা নারী কে ভোগের বস্তু বলেই দেখে।
ভালো থাকবেন। আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

শোভ বলেছেন: ফুটবল খেলায় রেফারীরা কিছু কিছু হ্যন্ডবল ধরে যা কখনো খেলেয়াড়ের হাতেই লাগেনি কিন্তু মনে হয় যেন বল হাতে লেগেছে , এমনকি পেনাল্টি ও দিয়ে দেয় যাতে কারো কিছু করার থাকেনা , আপনার বেলায়ও আপনার কলিগরা তাই করেছে । আমি কিন্তু পুরুষদের সাফাই গাইছি না । আর আপনার বয়ফ্রেন্ড বেলায় এই কথাটা বলতে পারি , আমরা পুরুষরা হলাম এই রকম ; দশটা মেয়ে নিয়ে দশ রকমের ফুর্তি করব , রাত কাটাব , নানা জায়গায় বেড়াতে যাব কিন্তু বিয়ে কারার সময় সতী , সাবিত্রী বৌ খুজব এখানে ১ % হেরফের হবে না । একবার ও নিজের দিকে তাকাব না আমি কি জিনিস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.