নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিপিএ ৫ বিষয়ক বিভ্রান্তি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের পাবিলিসিটি স্ট্যান্ট

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

জিপিএ ৫ পাওয়া স্টুডেন্টদের নিয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের অভিনব রিপোর্টটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। সম্পূর্ণ রিপোর্টটিকে নিতান্তই মাছরাঙা টেলিভিশনের একটা পাবলিসিটি স্টান্ট বলেই মনে হয়েছে আমার। জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে,জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কারো কাছে জানতে চাওয়া টা খুবই হাস্যকর ও অবান্তর। কারণ এগুলো কোনভাবেই এখন কেবলমাত্র পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত তথ্য নয়। বরং আমাদের জাতীয় উৎসব ও উপলক্ষের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা এ বিষয়গুলো নিয়ে হয় যে, পাঠ্যসূচী থেকে এসব বিষয় না জানলেও সামাজিক জীবনাচার, বন্ধুবান্ধব, আড্ডা, টেলিভিশন দেখেও এসব অাপনাতেই জানা হয়ে যায়।

যে ছেলেমেয়গুলোর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে তাদের কেউই অজপাড়া গা থেকে থেকে এসেছে এমনও মনে হয় নি। প্রতিটা গ্রাম, থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দিবসগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। একজন রেগুলার স্টুডেন্ট ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত উঠা অব্দি এসেম্বলি তে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে শুরু সবগুলো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এবং না নিয়েও এই দিবসগুলোর ব্যাপারে জানতে পারে।...তার জন্য জিপিও ৫ পাওয়ার দরকার পড়ে না।সুতরাং অন্তত একজন জিপিও ৫ পাওয়া স্টুডেন্ট এই স্বাভাবিক তথ্যগুলো জানবেনা এটা বিশ্বাস করার সত্যি কোন কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।..... এই রিপোর্টার কে সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ করা উচিত। যাচাই করা উচিত যাদের ইন্টারভিউ নেয়া হয়েছে তারা আসলেই এরা জিপিএ ৫ পাওয়া স্টুডেন্ট কিনা! যাচাই করা উচিত এই রিপোর্ট টি কতটা সত্যি।

স্যোশাল মিডিলার কল্যাণে মানুষের মনোযোগ আকর্ষন এবং বিভ্রান্তি তৈরি আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত ও দলগত ভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে নেতিবাচক যে প্রচারণাগুলো চালানো হয় সেগুলো ইতিবাচক সংবাাদগুলোর চেয়েও অতি দ্রুত ও ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়ে যায়। তাই জনপ্রিয়তার একেবারে তলানিতে থাকা কোন চ্যানেল যে মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টায় এই সুবিধাটি নেয়ার চেষ্টা করবে না তা কে বলতে পারে। কি খবর, কি মানসম্মত অনুষ্ঠান, কিংবা গণ মানুষের বিনোদন, কোন ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা এই চ্যানেলটি এখন পর্যন্ত রাখতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। এমন কি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনমূলক রিপোর্টও তারা কদাচিৎ করেছেন বলেই মনে পড়ে। সুতরাং তাদের পক্ষে হঠাৎ করে এই ধরনের একটা অতি তাৎপর্যপূর্ণ রিপোট করাটা কিছুটা অস্বাভাবিক তো বটেই।

যারা ভালো স্টুডেন্ট তারা যে কোন পরীক্ষা পদ্ধতিতেই ভালো করবে। জিপিএ ৫ এর হার বেশি হওয়া, প্রশ্ন পত্র ফাঁস বা শিক্ষক শিক্ষিকাদের নৈতিক অবনয়নের কারণে অনেক তুলনামুলক কম মেধা বা কম পড়ুয়ারাও জিপিএ ৫ পেয়ে যাচ্ছে । এটা সব ধরনের মেধার শিক্ষার্থীদের জন্যই খারাপ। তবে এটাও সত্যি যে এই ভুয়া জিপিএ ৫ প্রাপ্তরা জিপিএ ৫ পেলেও কখনই ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে নিতে পারবে না। এরা অতি সত্বর লেখাপড়ার মূল ধারা থেকে ঝরে যাবে! ...
শেষ পর্যন্ত টিকবে তারাই যারা প্রকৃত মেধাবী। ...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আসল ঘটনা।

২| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: এই ভিডিও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।এর আগেও আমরা দেখেছি বই মেলা, পহেলা বৈশাখে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা বছর এসব নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করতে!! এই ভিডিও এর শেষে কিছু গণ্য মান্য ব্যাক্তির সাথে কথা বলা হয় তাহলে ওইটাও কি বানানো ছিল?

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

আমিনা মুন্নী বলেছেন: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপক্ষে আমি। তবুও এই রিপোর্ট টি যে বানানো আমি সেটা সন্দেহাতীত ভাবে বলতে পারি। গণ্য মান্য ব্যক্তির কথাগুলো বানানো নয়। যে কথাগুলো আমাদের দেখানো হয়েছে, সেই একই কথা জিনিস উনাদের সামনেও একই ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর সেই আলোকেই উনারা কথাগুলো বলেছেন। আর জিপিএ ৫ পাওয়ার সাথে জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কে বা জাতীয় স্মৃতি সৌধ কোথায় এই প্রশ্নগুলোর কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। জিপিএ ৫ পেতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না জানলেও চলে।
জিপিএ ৫ পেতে পাঠ্য সূচির বিষয়ে জানতে হয়। আসলে আমরা নেতিবাচক কথা শুনতে ও শোনাতে বেশি পছন্দ করি। আর সে কারণেই বানোয়াট এই খবর নিয়ে সত্যতা যাচাই না করেই এত মাতামাতি করছে মানুষ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.