নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলশান ট্রাজেডি: মিথ্যা বলছে কে? তারিশির বাবা? ফারাজের পরিবার? নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী?

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫০


সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বলছে রাতে অাক্রমনের কিছু সময়ের মধ্যেই জিম্মিদের হত্যা করা হয়। সো অভিযান চালাতে দেরী করা হয়েছে এমন ভাবার কোন অবকাশ নেই। এদিকে তাদের কথার সমর্থনে দেখা যায় রাত ২টায় জঙ্গীরা জিম্মিদের হত্যা করে তাদের কিছু ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। যার একটিতে গ্রে কালারের টি-শার্ট পড়া ছেলেটিকে দেখিয়ে এক পক্ষ দাবী করছে এই ছেলেটিই ফারাজ।

...মেনে নিচ্ছি ছেলেটি ফারাজ। কিন্তু সমস্যা বাঁধিয়েছে তারিশির বাবার বক্তব্য। কারণ তিনি বলেছেন, ভোর ৬ টার দিকে মেয়ের সাথে তার শেষ কথা হয়। যখন মেয়ে তাকে বলেছে সে তার বন্ধুদের সাথে বাথরুমে লুকিয়ে আছে। হত্যাকারীরা যে কোন মুহুর্তে হয়তো তাদের হত্যা করবে। সে যেহেতু বলেছে সে বন্ধুদের সাথে আটকে আছে সুতরাং ধরে নেয়া যেতেই পারে বন্ধুদের ভেতর ফারাজও ছিল।

এখন প্রশ্ন হলো,
#ফারাজ যদি ভোর ৬ টা অব্দি তারাশির স্টেটমেন্ট অনুযায়ী বেঁচেই থাকে তাহলে রাত ২দুটোয় প্রকাশিত যে ছবিটি ফারাজের বলে তার পরিবার দাবী করছে সেই ছবিটি কার?

#তারিশি এর সাথে ওর বাবার যদি সত্যি তারিশির সাথে ভোর ৬ টার দিকে কথা হয়ে থাকে তার মানে দাঁড়ায় সে এবং তার বন্ধু অবন্তিকা আর ফায়াজ ভোর অব্দি বেঁচে ছিল। তাহলে পুলিশ/ সেনাবাহিনী কি করে দাবী করছে যে অাক্রমনের মিনিট বিশেকের ভেতরই সবাইকে হত্যা করা হয়েছে? কি করে তারা দাবী করছে যে তাদের অভিযান চালাতে দেরী হয় নি?

#তারিশির বাবার ভাষ্য অনুযায়ী ভোর ৬ টায় যদি ফারাজ ও তার বন্ধুদের হত্যা করা হয় তবে যে ছবিটাকে ফারাজের বলে দাবী করা হচ্ছিল সেটা ফারাজের ছবি নয় সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাহলে ফারাজের লাশের ছবি কোথায় গেল?

এই হিসাবে দেখতে গেলে
#ফারাজের ছবি জঙ্গী হিসাবে আইএস যেমন প্রকাশ করেনি, তেমনি জঙ্গীরাও ফারাজ কে খুন করার পর তার ছবি প্রকাশের সময় পায় নি কারণ ততক্ষনে কমান্ডো অপারেশন শুরু হয়ে গেছে...

অনেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ফারাজ নিজেও জঙ্গী। কিন্তু প্রশ্ন হলো ফারাজ যদি জঙ্গী হয়ে থাকে তাহলে তারিশি কেন বাবাকে বললো সে বন্ধুদের সাথে আটকে আছে বাথরুমে? ফারাজ জঙ্গী হলে নিশ্চয়ই সে বাথরুমে তারিশিদের সাথে আটকে থাকবে না! বন্ধুদের শব্দটাতো plural. আর ফারাজ জঙ্গী এটা বুঝতে পারলে তারিশি নিশ্চয়ই তথ্যটা তার বাবাকে দিত!

কোন এক পক্ষ মিথ্যা বলছে। ভীষণ রকম মিথ্যা বলছে। সেটা হয় তারিশির বাবা,
অথবা মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মি যার রেফারেন্সে ফারাজের বন্ধুত্ত্বের আত্মত্যাগের ব্যাপারে আমরা জেনেছি
অথবা পুলিশ/ সেনাবাহিনী।

তবে আপাত দৃষ্টিতে তারিশির বাবার দেয়া তথ্যকেই সঠিক মনে হচ্ছে। কারণ আরো কিছু জিম্মির দেয়া তথ্যের সাথে উনার বক্তব্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে যারা ভোর পর্যন্ত টয়লেটে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে ছিল, যারা সাফোকেশন হচ্ছে জন্যে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল।

তবে আটক জঙ্গীর ছবি প্রকাশ পেলে ও জীবিত জিম্মিদের বক্তব্য জানতে পারলে হয়তো এ বিষয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা পরিস্কার হওয়া সম্ভব। তবে এক্ষত্রে হাসনাতের পরিবারের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

আশা করছি এবারেও আটক জঙ্গীকে অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম বেড়িয়ে আসার ভয়ে ক্রসফায়ার করা হবে না। একই ভাবে এ সন্ত্রাসী হামলায় হাসনাত সাহেবের ভূমিকা কি ছিল সেটাও জনগণের কাছে অতিশীঘ্র পরিস্কার করা হবে।

পরিশেষ: ফারাজ এর বিষয়টি খানিক টা রহস্যজনক মনে হলেও, হাসনাত সাহেবের প্লটিং কিন্তু দিনের আলোর মত পরিস্কার। একে ক্রস ফায়ারে দিলে যে কেবল আমজনতার নয়, ক্ষমতাসীনদেরও যে আখেরে ক্ষতির আশঙ্কায় বেশি আশা করি সরকার তা বুঝবে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি কোন জঙ্গি ই কমান্ডো অভিযানে মারা যায় নি। বরং কমান্ডো অভিযান শুরুর আগেই ওরা আত্মঘাতি হন। তাহলে এত সময় পরে গিয়ে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে কোন সাফল্য পেল সরকার ও সেনা বাহিনী। না তারা কোন জিম্মি কে উদ্ধার করতে পেরেছে, না কোন জঙ্গীকে নিজেদের ধরতে পেরেছে বা মারতে পেরেছে। সে জঙ্গীকে তারা ধরতে পারার দাবী করছে সেটাও সেই জঙ্গী সম্ভবত নিজে থেকে ধরা পড়তে চেয়েছে বলেই সম্ভব হয়েছে। তাই সরকার এখানে কোনভাবেই কোন দিক থেকেই সফল নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩১

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: ফারাজকে নিয়ে যে প্রশ্নটি উঠেছে তা জঙ্গীদের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ফারাজের ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে একজন জঙ্গীর চেহারা। আপনার অবগতির জন্য লিংকটি দেয়া হলো, দেখুন এবং পড়ুন কিছু বুঝেন কিনা: Click This Link

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২২

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ভিডিও টা আমিও দেখেছি। কিন্তু এটা যে ফারাজই ছিল এটা কনফার্ম করে বলা যায় না ভিডিও দেখে।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: একটা তদন্ত কাজের অনেক কিছুই তদন্ত চলাকালীন সময়ে সবাইকে জানানো যায় না। এক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয়।

আর - আপনি যে দিকটায় সন্দেহ তুললেন - সেটা স্বাভাবিক। কিছু একটা গড়বড় অবশ্যই আছে। সেইটার সমাধান তারিশির বাবার ফোন রেকর্ড দেখা। সেই ফোনে তারা কী বলেছিল সেটা শোনা। এবং সেটার তদন্ত করা। লাশের পোস্টমর্টেম নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে করানো। সবচেয়ে বড় কথা - জিম্মিরা যা বলছে - তা সত্যিই জিম্মিরা বলেছে কিনা সেটাও জানিনা। সরাসরি কেউ এসে বলেনি। সবই আমরা কোন না কোন মিডিয়ার বরাতে শুনেছি।

আর, ঐ অবস্থায় - একজন অপরিচিত ভুক্তভোগীকেও নিজের বন্ধু বলাটা অস্বাভাবিক না। কারণ, তাদের সবারই লক্ষ্য এক। নিজের জীবন বাঁচানো।

সো - আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই দেওয়া যায়।

তবে, অপেক্ষা আর ধৈর্য্য করা ছাড়া উপায় নেই। আমরা অধৈর্য্য হলেই তো সমস্যা।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৭

আমিনা মুন্নী বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু অপরিচিত কাউকে এই পরিস্থিতিতে কেউ বন্ধু বলবে এটা মানতে পারছিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.