নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্প বাঁচাই, শিল্পে বাঁচি আন্দোলন ও কিছু প্রশ্ন

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭


শিল্প সংস্কৃতি জিনিসটা কি আমার খুব জানার ইচ্ছা।... আজকে নাট্যজগতের কলাকুশলীরা সবাই মাঠে নেমেছেন তাদের অধিকার আদায়ে। যে কোন কিছুই একটা সিস্টেমে চলা উচিত। টেলিভিশন মিডিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই প্রযোজ্য। ন্যায্য দাবী আদায়ে অান্দোলনের অধিকার প্রত্যেকের আছে। উনাদের মনে হয়েছে আন্দোলনের প্রয়োজন আছে, তাই আন্দোলন হচ্ছে।
ধরুন আপনি একজন ভালো ছাত্র। কিন্তু ক্লাসে আপনার সাথে প্রতিযোগীতায় নামার মতো কোন স্টুডেন্ট নেই। সেখানে আপনার ভালোত্বের মূল্যায়নটা কি করে হবে? আপনার প্রোগ্রেসটা কোন মাপকাঠিতে মাপা হবে সেখানে? গ্লোবালাইজেশনের কথা বলে আমরা যখন নিজেদের প্রতিভাকে জাহির করতে চাইছি, তখন বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগীতাকে আমরা অস্বীকার করবো কি করে? নিজেকে প্রমাণ করতে হলে প্রতিযোগীতায় তো নামতে হবে, তাইনা? তাহলে কিসের ভয়ে প্রতিযোগীতার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া?
বাংলাদেশে সম্ভবত ২৮ টির মতো টিভি চ্যানেল আছে। সব চ্যানেল মিলিয়ে ধরলাম ২০টা বিদেশী সিরিয়াল প্রচার করা হচ্ছে। সেটাতো মোট সম্প্রচার সময়ের হিসাবে ১ শতাংশও হয় না। তারপরও কি করে এটা টেলিভিশন কলাকুশলীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বিষয়টি মোটেও বোধগম্য নয়! তাছাড়া সুলতান সুলেমান তো সেদিন শুরু হয়েছে। কিন্তু দর্শকরা তো তার অনেক আগে থেকেই টেলিভিশনে নিয়ম করে নাটক দেখা ছেড়ে দিয়েছে। খামোখা দোষটা শেষবেলায় এসে সুলতান সুলেমানের কাঁধে কেন পড়লো সেটাও এক রহস্যের বিষয়! :)

বিদেশী চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু কেন? কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোম্পানীগুলো ক্রেতা ধরতে বিজ্ঞাপন তৈরি ও প্রচার করে। অথচ যে চ্যানেলগুলোকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমি বিজ্ঞাপন দিচ্ছি সেগুলোর দর্শক নেই বললেই চলে। কোম্পানী হিসাবে আমার তো সেই চ্যানেলেই বিজ্ঞাপন চালানো উচিত যা ক্রেতার চোখে পড়বে। কোম্পানী সেই চ্যানেলে বিজ্ঞাপন কেন দেবেন যেই চ্যানেল দর্শক মান সম্মত অনুষ্ঠানেরর অভাব আর বিজ্ঞাপনের অত্যাচারে দেখেই না! তাও যদি সব কোম্পানীগুলো ভারতীয় চ্যানেলে ঢালাও ভাবে বিজ্ঞাপন দিত সেও এক কথা ছিল। শুধু এক প্রাণ কোম্পানীর অ্যাডই তো দেখা যায়। এই টাকা টুকু হাত ছাড়া হওয়াতেই এত শোরগোল? একটা কোম্পানী তার ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে যেকোন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিতে পারে। সেখানে আমি বা আপনি কোম্পানীকে আটকানোর বা না বলার কে? আর্টিস্টরা যখন বাইরের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালানো নিয়ে প্রতিবাদ করে তখন বোঝাই যায় এখানে তৃতীয় কোন পক্ষের মদদ,উস্কানী ও স্বার্থ জড়িত আছে।

দর্শক ভারতীয় চ্যানেল দেখবে, কিন্তু সেটাকে বন্ধ করে দেয়ার দাবী এসেছে। দর্শক কি দেখবে না দেখবে তা নির্ধারণ করে দেয়ার অধিকারতো কারো নেই! বরং সেই সিদ্ধান্তের মালিক দর্শক নিজেই। আপনি আমি জোর করে সেটা আটকাতে পারিনা।
অল্প বয়সী এক নায়িকা অত্যন্ত আটোসাটো খাটো পোষাক পড়ে বয়ফ্রেন্ডের বা বন্ধুদের সাথে ন্যাকামো করছে, হাসির সংলাপ বলে আধপাগল কিছু মানুষ উদ্ভট কর্মকান্ড করছে, আধবুড়ো এক অবিবাহিত ছেলে বিয়ের জন্য হ্যাবলামি ক্যাবলামি করছে, এক মেয়ে ১৪ জন ছেলের সাথে ফ্লার্ট করছে...৯০ শতাংশ নাটক এমন উদ্ভট সব গল্প নিয়ে তৈরি। দর্শক নিজের সময় নষ্ট করে টিভির সামনে বসে এসব কেন দেখবে?? রিয়েলিটি শো' এর নামে বছর বছর গাদা খাদেক স্টার পয়দা করে তাদের নিয়ে নাটক নামের ছেলে খেলা চলছে। গুটি কয়েক গুণী নাট্যকার, ডিরেক্টর ও অভিনয় শিল্পী ছাড়া অধিকাংশ নাটক দেখার অযোগ্য। অথচ নিজেদের দূর্বলতার দিকটা ওনারা ভেবে দেখবেন না।

নাটকের বাজেট নিয়ে কমপ্লেইন সবার। আরে, কোয়ালিটির কথা না ভেবে কোয়ান্টিটি বাড়াতে হলে তো নাটকের বাজেট কমবে, সেটাই স্বাভাবিক! নাটকের বাজেটই নাকী থাকেনা, তাহলে বিদেশে গিয়ে এত নাটকের শুটিং হয় কি করে। বিদেশে গিয়ে নাটকের শুটিং হয় অথচ সেই নাটকের গল্প সাধারণ দর্শকের মাথার কয়েক মাইল উপর দিয়ে চলে যায়। আর সেখানে থাকে কিছু অতি আধুনিক তথাকথিত শিল্পীদের পোষাক আর শরীরের ফ্যাশন শো। একটা রেস্টুরেন্ট, একটা বিচ, একটা হোটেলের লবি আর একটা হোটেলের রুম... ব্যাস! হয়ে গেল নাটক! অথচ বিদেশে যাওয়া আসার প্লেন ভাড়া নষ্ট না করে ওই টাকায় একটা ভালো গল্পের অনেক সুন্দর নাটক দেশে বসেই বানানো যেত!

পুঙ্গা চিপা আলট্রা মর্ডান কাপড় পড়া সোসাইটির আদেখলাপণা দেখানো বা গ্রামের মানুষের জীবন যাপনকে অতিরঞ্জিত তামাশা দেখিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতির কোন তাতে রক্ষা হচ্ছে আর কোন সংস্কৃতি ফুটে উঠছে কেউ বলতে পারবে?
ভারতীয় চ্যানেলের যে নাটকগুলো মানুষ হুমড়ি খেয়ে দেখে সেসব নাটকই যে অত্যন্ত উচুঁ মানের তা মোটেও নয়। তবে মানুষ তা দেখে ধারাবাহিকতার কারণে, গোছানো নির্মাণের কারণে, প্রেজেন্টেশনের কারণে। ১৫০ টাকার ভাত মাছ মানুষ যে কারণে ভালো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ১৫০০ টাকা খরচ করে খায় সেই একই কারণে।


ব্যাঙের ছাতার মতো যেমন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে, বিজ্ঞাপন বেড়েছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিরেক্টর, প্রোডিউসার আর আর্টিস্টের সংখ্যা। তাদের সবাই স্টার। চ্যানেল অধিক মুনাফার লোভে প্রোগ্রাম এর বদলে কেবল বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। নির্মাতারা লাভ রেখে স্বল্প বাজেটে কম দামের আর্টিস্ট দিয়ে নাটক বানানো শেষ করছেন। কন্টেট নিয়ে রিসার্সের কোন তাগিদ নেই কারো ভেতর, প্রতিযোগিতার কোন তাগিদ নেই, ডেভেলপমেন্টের কোন তাগিদ নেই, আছে শুধু কেবল অর্থ চিন্তা!!
আর্টিস্টরা না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছেন? কই, তাদের জমজমাট ফেসবুক, ব্রান্ডেড পোষাকের বাহার, বিদেশ ভ্রমন আর শপিং এর পোস্ট, দামী গাড়ী তো সে মন্দার চিত্র তুলে ধরে না!

আমার একটা প্রশ্নের উত্তর জানার খুব ইচ্ছা। অভিনয় শিল্পীরা কি কোন ইনকাম ট্যাক্স দেন??
ভারতে প্রায় মাঝে মাঝেই তারকাদের ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়তে দেখা যায়। আমাদের এখানে তেমন কোন গল্প আজোও শুনেছি বলে মনে পড়ে না। তারমানে কি?? প্রফেশন হিসাবে যে অর্থ উনারা অভিনয় করে আয় করছেন তার উপর ট্যাক্স প্রযোজ্য নয়? কেন নয় যদি এটাকে সত্যি প্রফেশনই বলা হয়ে থাকে??? এদেশে তো শুনি রিকশাওয়ালাদেরও ট্যাক্স দিতে হবে, আর্টিস্টদের বেলায় হিসাবটা ঠিক কেমন তাহলে!


বিশেষ ক্ষেত্রে অনুমতি ব্যতীত বিদেশী শিল্পীরা এসে এদেশে অভিনয় করুক আর্টিস্টরা তা চান না। দাবী ঠিক আছে। কিন্তু এখানকার আর্টিস্টদের অনেকেই যে প্রায় ঘটা করে ভারতে গিয়ে ভারতীয় সিরিয়াল আর সিনেমাতে অভিনয় করে আসছে, তাদের বেলায় কোন নিয়ম প্রযোজ্য হবে সেটাও তো দর্শকদের জানার প্রয়োজন আছে, নাকি?

ধরে নিচ্ছি বিদেশী সিরিয়াল প্রচার, ভারতীয় চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপনের জেরে অভিনয় শিল্পীদের রুটি রুজিতে টান পড়েছে। মাসে কটা নাটক, রিয়েলিটি শো বা প্রোগ্রাম থেকে আর্টিস্টদের নিয়মিত ইনকামের পরিমাণ টা আসলে কত যা দ্বারা এত জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপন করা সম্ভব হয়?? সত্যি যদি আর্টিস্ট পেমেন্ট বা নাটকের বাজেট এত কম হয়ে থাকে তাহলে ফেসবুকে নাটকের নায়ক এবং বিশেষত নায়িকারা ঝলমলে জীবনের যে প্রদর্শনি করে থাকেন, সেই টাকাটা ওনারা ঠিক কোন সোর্স থেকে ইনকাম করেন, বলতে পারেন?? নাকি উনারা সবাই ধনী পরিবারের সন্তান?? কোনটা???


টেলিভিশন কলা কুশলীদের আন্দোলনে কোন এজেন্ডাতে দর্শকের কথা উল্লেখ নেই। একবারের জন্যেও উনারা নিজেদের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেন নি, মেধা চর্চার বা সৃজনশীলতার ঘাটতির কথা বলেন নি। দর্শকের পছন্দ অপছন্দ কে অগ্রাহ্য করে উনারা একতরফা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে যাচ্ছেন। আঙ্গুল তুলছেন বিদেশী সিরিয়ালের দিকে, বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের দিকে যা অত্যন্ত একপেশে এবং প্রাচীন প্রবাদ নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকার মতো একটি বিষয়। যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো হওয়ার কারণে প্রোগ্রামের খোরাক জোগাতে আজ এত অভিনয় শিল্পী, এত এত নাট্যকার, ডিরেক্টর আর কলাকুশলী এই প্রফেশনে আসার সুযোগ পেয়েছে, সাহস করেছে, আজ তারাই টেলিভিশন চ্যানেলের দিকে আঙ্গুল তুলছে...

আসলে টেলিভিশন শিল্পের এই দূরাবস্থার জন্য কোন পক্ষ একা দায়ী নয়। দোষ ভাগে জোগে সবার। একটার পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি ডালপালা মেলেছে। শোধরাতে হলে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে শোধরাতে হবে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

আনিসা নাসরীন বলেছেন: একমত

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের সাকিব খান যখন মাথায় কাপনের কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামে এই দেশে বিদেশি ছবি আসতে দিবে না জীবন থাকতে! আর এখন সে যখন একের পর এক ভারতীয় ছবির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় তখন হাঁসি পায়! জিজ্ঞেস করা হলে বলে আমাদের ও অভিজ্ঞতা বাড়ছে তাদেত সাথে কাজ করতে পেরে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নও হচ্ছে। অর্থাৎ তাদেত কোয়ালিটি স্বীকার করে নিয়েছে। যাদের প্রোগ্রামের কোয়ালিটি আছে বিজ্ঞাপনদাতা সেই দিকে ঝুঁকবে এটা স্বাভাবিক। আমাদের দেশীয় চ্যানেল গুলো দর্শককে নাপা টেবলেট চিবিয়ে খেতে বলবেন আর দর্শকরা তা খাবে তাদের তাই ধারণা!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

আমিনা মুন্নী বলেছেন: তাদের দাবী দাওয়া শুনে তেমনটাই মনে হচ্ছে :)

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৭

কবি এবং হিমু বলেছেন: আপনার সাথে অনেকটা সহমত।তবে আমি মনে করি নাটকের দিক দিয়ে আমরা প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অনেক অনেক এগিয়ে আছি।যদি ও এখনকার অনেক নাটক মান সম্মত হচ্ছে না।তারপর ও বলবো আমাদের দেশে নাটকগুলো মানুষকে লিভ-টুগেদার শেখাচ্ছে না,কি করে অন্যর সংসার নষ্ট করতে হয় এই রকম নিম্ন মন-মানসিকতা খুবই কম প্রচারিত হয় আমাদের দেশীয় নাটকগুলোতে।তবে বিদেশে গিয়ে যে নাটকগুলো হয় সে বিষয়ে আপনার সাথে আমি ১০০% একমত।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: নাটক বলেন চলচিত্র বলেন সব জায়গাতেই বাংলাদেশে বহিরবিশ্ব থেকে যোজন যোজন দূরে পরে আছে। মিডিয়ার লোক গুলার বোঝা উচিৎ মানুষ আর বোকা নাই, বোকা বাক্সের যুগ অনেক আগে শেষ, এখন মানুষ তার নিজের সাথে অন্যের কম্পেয়ার করতে পারছে। আর সে তার মত করে উপযগি কিছুকেই বেছে নিচ্ছে।

একটা সময় ছিল বিটিভি এর নাটক গুলো দেখার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরত, এখন পরে না, কেন পরে না ? মিডিয়ার কিছু দুর্মুখ বলে তখন বিটিভই এক টা চ্যানেল ছিল এখন ২২ টা চ্যানেল। কিন্তু আমার প্রশ্ন হোল এখন আকাশেতো হাজারটা চ্যানেল এর মধ্যে থেকে কিভাবে মানুষ তার উপযগি চ্যানেল বেছে নিচ্ছে? উত্তর সবার জানা সেটা হোল মান, অনুষ্ঠানের গুনগত মান। আমরা ভালো কিছু এখানে ভালো বলতে গুনগত মান বলেছি। ভন্ডামি, চোরামি, দেখাই কিন্তু তারওতো একটা মান আছে। মান সম্মত না হলে মানুষ যেখানে খাবার খায়না সেখানে টিভি অনুষ্ঠান যদি ধরে গিলিয়ে দেয়া টাইপ হয় তা যে প্রত্যাখ্যান করবে এটাই স্বাভাবিক।

কিছুদিন আগে দেখলাম জী বাংলা দ্বারা প্রচারিত একটা অনুষ্ঠানের কপি অনুষ্ঠান করছে বাংলাদেশের এক চ্যানেল, দুঃখ পেলাম এর জন্য যে একটা অনুষ্ঠান দেখতে যে পরিমান আগ্রহ তৈরি হওয়া দরকার তা এরা মোটেও তৈরি করতে পারছে না, জী বাংলার ওই কুইজ ভিত্তিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য যে আশফাশ আমার চারি পাশে দেখি ঠিক হুবাহু একি ধরনের বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠান দেখতে আগ্রহের অনেক অভাব দেখেছি, কারন জী বাংলার ওই কুইজ ভিত্তিক অনুষ্ঠান দেখে মনে হচ্ছিল তারা এক উৎসবে এসেছে আর একিরকম যদিও কপি অনুষ্ঠান দেখে আমার মনে হোল তারা শোক সভায় আছে। এই হোল মান। এখন বলুন বাংলাদেশের দর্শক কান তার চ্যানেল পরিবরতন করবে না। আর তখন স্বাভাবিক ভাবে টিভি মালিকেরা বিদিশি নাটক অখাদ্য ডাবিং করে কুখাদ্য গেলাবে আমাদের কাঠাল জনতা কে। ডাবিং ও যে একটা শিল্প এ জিনিস মনে হয় আমাদের মিডিয়ার মাথায় নাই।

লেখকের সাথে পরিপূর্ণ একমত। উপায় না গোলাম হোসেন । কারন ফারুকির সিনামা নামক বাসি বিস্বাদ দ্রব্য খাওয়ার থেকে অন্য বিদেশি একটা নিম্নমানের ডাবিং সমৃত নাটক গুলা ভালো, অন্তত ডাবিং বাদ দিয়ে মুল কাহিনি তো উন্নত।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে যুক্তিবাদী লিখা । বক্তব্যের সাথে জোড়ালোভাবে সহমত ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: হা -শো এর কথা বলছেন। প্রোগ্রাম কপি করতেও যোগ্যতা লাগে। সেই যোগ্যটাও এদের নাই।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

কোলড বলেছেন: You hit the nail! I tried watching some in Youtube and felt like throwing up.

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: অাপনার সাথে সহমত, ইত্যাদির মত অনুষ্ঠান অাজো দর্শক চাহিদার শীর্ষে, ইত্যাদির মানের অনুষ্ঠান অামাদের ২য় টি নেই। ইত্যাদির তো দর্শক নিয়ে ভাবতে হয় না,দর্শক ইত্যাদি নিয়ে ভাবে।নিজেদের রুচিহীন নাটক,অভিনয় এরা দেখতে পায় না। অবশ্য অামাদের জন্য অরুচিকর বিশেষ করে ফালতু কিছু ইন্ডিয়ান চ্যানেল বন্ধ করাই ভাল।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬

বাবুল বাদশা বলেছেন: ভাল লাগল শুভেচ্চা রইল

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: বলতে সংকোচ বোধ হলেও এটাই সত্য যে, আমি সাধারণত বাংলাদেশি চ্যানেল গুলোতে মূলত সংবাদ আর কতিপয় নাটক ছাড়া আর কিছুই দেখি না! সিনেমা চলাকালীন সময়ে তো কিছু চ্যানেলের পাশ দিয়েও যাই না! যদিও জানি, এটা কোন গর্বের কথা নয়; তবুও একজন দর্শক হিসাবে মনের কথাটাই প্রকাশ করলাম মাত্র!

আজ দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে অল্প একটু সময় ফাঁকা পেয়ে বসে বসে একটা নাটক দেখছিলাম! কিন্তু ব্যাপারটা বুঝলাম না যে, আমি আসলে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে নাটক দেখছি; নাকি নাটকের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখছি! তাছাড়া কাহিনীর ব্যাপারটা বললাম না, কারণ পোস্টেই সেটা আপনি বলে দিয়েছেন!

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিটিভির একচ্ছত্র রাজত্বের সময় মানুষ নাটক দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো এটাই তো স্বাভাবিক ছিল। এখন দেশের আড়াই ডজন আর বিদেশের শত শত চ্যানেলের ভিড়ে সেটা কী সম্ভব? মোটেই না। তার ওপর বিজ্ঞাপনের মহা দাপটের মধ্যে রদ্দিপচা বস্তাপচা নাটক মানুষ কেন দেখবে? না দেখাই তো উচিৎ। না আছে নাটকের ভালো গল্প, না আছে ভালো অভিনয়, না আছে ভালো নির্দেশনা, না আছে ভালো চিত্রায়ন। শিল্পী কলাকুশলীরা অহেতুক হা হুতাশ করে কিচ্ছু করতে পারবেন না।

সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট।

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শিল্পমান

একমত আপনার সাথে।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

কলম চোর বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন। সম্পূর্ণ সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.