নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিটি দিন হোক মানবতার জন্য

অমিত দেবনাথ অমিত

মানবতার জন্য মানব ধর্ম প্রচার

অমিত দেবনাথ অমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্দুক যুদ্ধ ও একটি অনুরোধ

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

একটি দেশের অাইন শৃঙ্খলা যখন স্বাভাবিক থাকেনা তখন তা স্বভাবিক করার দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন কারী সংস্থার উপর, কিন্তু এইসব প্রশাসনের মধ্যে যখন থাকে দূর্নীতি, অবৈধভাবে নিয়োগ অথবা সরকারের দলীয় করনের প্রভাব তখন এই সিস্টেমের উপর একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী হবে সেটাই স্বাভাবিক

আমাদের প্রসাসনের অবস্থাও তাই। স্বৈরাচার এরশাদ থেকে আজ, যতবারই ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে ততবারই প্রত্যেকটা সরকার প্রসাসনকে দলীয় করন করার চেষ্টা করেছে।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গত চারদলীয় ঐকজোটের শাসনামলে। কারন যেহেতু ঐ শাসনামলে আমাদের যুদ্ধে বিরোধীতাকারী লোকজন ক্ষমতায় আসীন হতে পেরেছিল এবং মন্ত্রীত্বের মত গুরুত্ববহ দায়িত্ব দখল করেছিল তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ বিরোধীরা প্রসাসনের রন্ধে রন্ধে জায়গা করে নিয়েছিল। যার প্রমান বহন করে তৎকালিন সময়ে জঙ্গিদের প্রকাশ্যে আসা, একযোগে 64 জেলায় বোমা হামলা। পহেলা বৈশাখে উদিচির অনুষ্ঠানে বোমা হামলা। অথবা 21 আগষ্টের গ্রেনেড হামলা।

তবে আওয়ামীলিগ গত আমলে সরকার গঠন করার পর জঙ্গিদের কঠোর হস্তে দমন নীতির কারনে যা আবার দমিয়ে যায়। ক্ষমতার পালাবদল, প্রসাসনের গুরুত্ববহ স্থানে রদবদল ইত্যাদি আরও অনেক কারনে জঙ্গিদের প্রশমিত করা গেলেও আর একটি সমস্যার উদ্ভব খুব সমস্যায় ফেলে দেয় সাধারন জনগন সহ সরকারকে, তা হল সরকারের কিছু অঙ্গ সংঘঠন তারা এতোটায় বেপড়োয়া হয়ে উঠে যে তাদের হাতে খুন, টেন্ডারবাজী, ছাত্রদের হয়রানী সহ সংগঠিত হয় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

সমাজের সচেতন মহল সহ সাংবাদিকরা তাদের এই কর্মকান্ডের নিন্দা প্রকাশ করলে সরকার একপ্রকার উল্টোই তার সংঘঠনকে সমর্থন করে বিভিন্ন বকৃতা দিত। সমস্যাটা চরমে উঠে যখন এই একই রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় মেয়াদে আবার সরকার গঠন করে। এই সংঘঠন গুলো তাদের এই অপ্রিতিকর কাজ চালিয়ে যাওয়ার মাত্রা যেন আরও বাড়িয়ে দেয়।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একটি ভাষন, অপরাধী যে দলেরই হোক কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। তার পরপরই সরকার দলীয় কিছু লোকের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে একজন মাননীয় মন্ত্রী বললেন এ্যকশন শুরো হয়ে গেছে!

যেটা স্বভাবিক ভাবেই সবাইকে মনে করিয়ে দিতে থাকল ক্রসফায়ারে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি সরকার এবং প্রসাসনের বিষয় অার তাদের হাতেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাই আমি এই ব্যপারে আমার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে চাইনা। তবে বন্দুক যুদ্ধ হোক অার ক্রসফায়ার সরকারের কাছে অনুরোধ এভাবে বিনা বিচারে একজন মানুষও যেন প্রান না হারায়। প্রত্যেকটি সন্ত্রাসি কাজ যখণ সংঘঠিত হয় তখন প্রসাসনকে তাদের সবটুকু ক্ষমতা দিয়ে কাজ করতে দিন প্রসাসনের মধ্য থেকে সরষের ভূত বের করে আনুন। দলীয় পরিচয় যেন গুরুত্ব বহন না করে আবার পাশাপাশি যেন বন্দুকযুদ্ধেও কেউ প্রান না হারায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.