নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৬৯

অমিত অমি

ঢাকা

অমিত অমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষিত নরপিশাচ

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

প্রতিদিনের মতোই মিরপুর থেকে ধানমণ্ডি রওনা হলেন মানিক। তিনি কখনো তাড়াহুড়ো,ট্রাফিক রোল ভেঙ্গে গাড়ি চালান না।তার গন্তব্য ধানমণ্ডি -০৬, সেখানেই তার অফিস। ঢাকার রাস্তায় সিগন্যাল এ আর নতুন কি!
মানিকের গাড়ির পাশেই একটি দুতলা বাস মোড় নেওয়ার চেষ্টা করছে,কিন্তু মানিকের গাড়ির জন্য পেরে উঠছে না।

মানিক এই বাসে করেই দীর্ঘ ৮ বছর যাতায়াত করেছে,এটা যে তার ভার্সিটির বাস।সে ভালো করেই জানে এই বাস গুলো কোন ট্রাফিক নিয়ম মানে না,ইচ্ছে হলে রং সাইডেও চালিয়ে দেয়।
বাস থেকে কিছু স্টুডেন্ট গাড়ি সরানোর জন্য চিৎকার করছে।সামনে সিগন্যাল, পেছনে গাড়ি তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও মানিক গাড়ি সরাতে পারলো না!

না! ছেলেগুলোর সেদিকে নজর নেই! কিছু ছেলেপুলে বাস থেকে নেমে তাদের বক্তব্য গুলো অশ্রাব্য গালাগালিতে রুপান্তরিত করলো।গারি ঘিরে ফেলে তারা!! গালাগালির পাশাপাশি গাড়ির গায়ে ও কাছে কিল, ঘুষি মারতে লাগলো।
মানিক জানতে চাইলো তোমারা এমন করছো কেন?
আমিও তো তোমাদের ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম।
কোন ডিপার্টমেন্ট?
কত ব্যাচ তোমরা??
এটাই বোধ হয় মানিকের অপরাধ ছিলো।

হারামজাদা এগুলো কি তোকে বলা লাগবে?
মানিক মুগ্ধ তার সাবেক প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টদের এত ভালো ব্যবহার দেখে!
মানিকের মুগ্ধতা বাড়িয়ে দিয়ে একটি ছেলে এসে তার বাম চোখের নিচে ঘুষি বসালো।
গাড়ি তে বের হয়ে মানিকের বাবা তাদের বুঝাতে চাইলো! কিন্তু হায় কে শুনে কার কথা।
বাবার সামনেই বৃষ্টির মতো চলতে থাকলো কিল ঘুষি।
রাস্তায় ফেলে মানিককে মারছে বাবা কিছুই করতে পারছে না।আশে পাশের মানুষগুলোও মজা নিচ্ছে! হুম মজা নেওয়ায় তাদের কাজ।

মানিক কোনরকম রাস্তা পেরিয়ে ধানমণ্ডি থানায় ঢুকে কতর্ব্যরত অফিসারকে সব বলে। অফিসারও ৩ জন সেপাহি পাঠায়। তাদের সংখ্যা ২৫-৩০ আর সেপাহি ৩!
পুলিশেরই বা কি করার আছে।স্টুডেন্টদের গায়ে হাত তুললে কাল সাংবাদিকরা বড় বড় অক্ষরে ছাপাবে মেধাবি ছাত্রদের উপর পুলিশের নির্যাতন।তারা আরেক দফা মানিককে পেটায়।

আশ্চর্য হলেও সত্যি তাদের প্রত্যেকের চেহারায় ভদ্র ঘরের সন্তানের ছাপ রয়েছে! কেউই বলতে পারবে না তারা খুনীর মতো আচরণ করতে পারে।

[ বিদ্রঃ এখানে বাস এবং ভার্সিটির নাম উহ্য রাখলাম। এটা কোন গল্প কিংবা ইতিহাস নয় ০২ অক্টোবর প্রথম আলোতে ছোট্ট খন্ড আকারে নিউজটি আসে। কানার তো মনে মনেই জানা যারা এই কাহিনীর জানের তাদের নতুন করে বলার কিছু নেই।তবে ঔই দিনের বাসের স্টুডেন্টদের বলছি তোমরা ভালো করে হাত ধুয়ে ফেল কেননা তোমাদের হাতে লেগে আছে মানিকের রক্ত।]



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া গেয়োগুলো তাহলে নরপিশাচের রূপ নিতে শুরু করেছে।
প্রকাশ না করলেই কি, সারাদেশই জানে এদের কর্মকান্ড। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের স্টুডেন্ট না!
কিছুই বলা যাবে না। দেশের অধ:পতন হবে যে তাতে!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

অমিত অমি বলেছেন: :)

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: বাচ্চাদের হাতে সহজ প্রযুক্তি আর জ্ঞানের ভান্ডার তুলে দিয়ে বাবা-মা আর কোন খোঁজ রাখে না। তার ফল হচ্ছে এই মারপিটের ঘটনা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

অমিত অমি বলেছেন: আজকাল ধৈর্য শক্তি তাদের খুবই কম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.