নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারুকী গ্যাং এর সিনেমা ও সুশীল দর্শকদের উথলে উঠা দরদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৩২



মুক্তির প্রথম দিনই আয়নাবাজি দেখতে গেছিলাম। দেখে আসার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে ফেইসবুকে একখানা রিভিউ লেখলাম। এর একটু পরই সুশীল বন্ধুবান্ধবরা মেসেজ দেয়া শুরু করছে: "যে  এখন রিভিউ না লিখলে হয় না! নিজের নেগেটিভ অনুভূতি গুলা না জানাইলে হয় না! এতে সিনেমার লোকসান হইব ব্লা ব্লা ব্লা। এরপর ফেইসবুকে,  ব্লগে প্রতিনিয়ত আয়নাবাজি নিয়ে একের পর এক "টোটাল পজেটিভ" রিভিউ দেখতে লাগলাম

আমার এদের সিনেমার প্রতি দরদ দেখে খুশী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি খুশী হতে পারলাম না, কারণ

# আমি, আপনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ডোনার না। বাংলা সিনেমার উন্নতির জন্য টাকা দান করা আমাদের কাজ না। আমরা দর্শক, এন্টারটেইনমেন্ট পাওয়ার জন্য টাকা খরচ করব। তারপর সেটা নিয়া আলোচনা,  সমালোচনা করব এটাই স্বাভাবিক। দয়া কইরা তাদের ইনকামের স্বার্থে সমালোচনা বন্ধ রাখার কোন যুক্তি নাই।

# আর এই সুশীল বাবুরাও অন্য কোন সিনেমা নিয়া এত লাফায় না কেবল ওদের আইডোলজিকাল গুরুদের মানে ফারুকী বা এর কাছাকাছি কেউর সিনেমা আসলেই এদের লাফালাফি শুরু হয়া যায়। এরা মোসাহেবি করতে করতে বিষয়টারে যে কি পরিমান হাস্যকর বানায়া ফেলে নিজেরাও জানে না।

#সিনেমা ভাল হইছে ঠিক আছে। কিন্তু পরিচালক যে এইখান- ঐখান থেইকা, হেলিকাপ্টার থেইকা অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ঢাকা শহর দেখায়াই আধাঘণ্টা কাটায়া দিছে, সিনেমার অধিকাংশ সময়ই হুটহাট করে এক সিন থেকে আরেক সিনে লাফ দিয়া বিরক্তি উৎপাদন করছে, বা মাঝে মাঝে আজাইরা স্লো মোশন মাইরা মেজাজ খারাপ কইরা দিছে এসব নিয়া কাউরেই কিচ্ছু বলতে দেখিনাই কারণ গুরুদের সিনেমা বইলা কথা।

#আইএমডিবি তে আয়নাবাজির রেটিং দেখছেন? ৯.৯।  "আমগ অমিতাভ রেজা দেখি স্পিলবার্গ, কুবরিক, সত্যজিৎগ চাইতেও ভাল ফিলিম বানায়া ফালাইছে" আমি কনফিউজড যে এটা কি পরিচালকের বানানো সিন্ডিকেটদের কাজ নাকি এদের এই সব চ্যালাদের কাজ! যাদেরই হোক আপনার কি মনে হয় এটা খুব ভাল দেখাচ্ছে? না হাস্যকর দেখাচ্ছে?

#আরে ভাই আয়নাবাজি ভাল সিনেমা ঠিক আছে। কিন্তু পাশের কলকাতাতেও নিয়মিত এর চেয়ে ভাল সিনেমা হয়। এটা নিয়া আমরা উচ্ছাসিত হব তাও ঠিকআছে কিন্তু এমন সিন্ডিকেট কইরা এটারে উপরে তোলার চেষ্টা দর্শকদের বালখিল্যতা প্রকাশ করে না?

#কিছুদিন আগে কাছাকাছি কাহিনী ঘটছিল আবু শাহেদ ইমনের "জালালের গল্প" নিয়া। আমি এক বন্ধুরে নিয়া এই সিনেমা দেখতে গেছিলাম। সিরিয়াসলি পুরা সময় জোর করে বসে থাকছি শুধু মোশাররফ করিম ভাইয়ের রোলটা শেষদিকে ছিল বইলা। এরপর ফেইসবুক টকশো সব জায়গায় এর সম্পর্কে এত আলোচনা শুইনা ভীষণ শরম লাগছে। সিরিয়াসলি। উল্লেখ্য সেও ফারুকী গ্যাং এর সদস্য।

# বিজ্ঞাপন নির্মাতা ভদ্রলোকের মার্কেটিং সেন্স ভাল হবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি কোন জায়গা বাদ দেননাই পর্ন সাপ্লাইর গ্রুপ থেকে শুরু করে প্রায় সব সেলিব্রেটির ফেইসবুক ওয়াল পর্যন্ত। এটা ভাল্লাগসে।

#সবশেষে বলি সবমিলিয়ে আয়নাবাজি সিনেমা ভাল হইছে, ভাল কাহিনী, অসাধারণ অভিনয়, অদ্ভুত সুন্দর ফিনিশিং। দেখতে পারেন :)

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

সজীব মোহন্ত বলেছেন: নির্মাতার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে এই ছবি দেখার আগ্রহ আর নাই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: নির্মাতা কি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন? আর নির্মাতাকে ভুলেও সিনেমাটা উপভোগ করতে পারেন।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমগ অমিতাভ রেজা দেখি স্পিলবার্গ, কুবরিক, সত্যজিৎগ চাইতেও ভাল ফিলিম বানায়া ফালাইছে
আমি অনেক রিভিউ পড়লেও কোথাও এই ধরণের কথা দেখিনি। দুঃখিত।

আপনার মুভি খারাপ লাগলে সেটা নিয়ে আপনি সমালোচনা করতেই পারেন। তবে, তার জন্য যারা পজিটিভ রিভিউ দিচ্ছে - তাদেরকে খোঁচা দিতে পারেন না।

ফারুকী গ্যাং হিসেবে যাদের কথা বললেন - তাদের মুভি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার কারণ, তারা বাংলা চলচ্চিত্রে মৌলিকতাটা ধরে রেখেছে। ধ্বসে পড়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এখনো জীবিত আছে তাদের জন্যই। রিমেক মুভি বা সাধারণ চৌধুরী সাহেব টাইপ রোমান্টিক দিয়ে চলচ্ছিত্র ইন্ডাস্ট্রি এগুতে পারছে না।

এই আয়নাবাজির কারণে সাধারণ শ্রেণীর মানুষ থেকে এলিট শ্রেণী পর্যন্ত সবাই ই হলে গিয়ে দেখছে মুভিটা। এটা কিন্তু নাগ-নাগিন, চৌধুরী সাহেব টাইপ দিয়ে করা যায় না।

জালালের গল্প, আয়নাবাজি - আমাদের মৌলিক চিন্তার প্রকাশ।

হ্যাঁ - অপ্রতুলতা আছে, অনেক অপ্রতুলতাই আছে। সেটার জন্য আপনাকে বিবেচনা করতে পারিপার্শ্বিক অবস্থা। বাংলাদেশের প্রযুক্তি চলচ্চিত্র শিল্পের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। গ্রাফিক্স এখনো ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারার মত দক্ষ লোক নেই। বাইরে থেকে আনবে সেটার মত বিপুল পরিমাণ অর্থ নেই। যতটুকুই আছে, তা দিয়েই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এরজন্যই এই মুভিগুলো নিয়ে সবার মাঝে আলাদা একটা উৎসাহের সৃষ্টি হয়।
আমরা যখন দেখি - আমাদের মাঝে কেউই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তখন তাকে আমরা আমাদের ভালবাসার সর্বোচ্চটাই দেই। উদাহরণঃ শাকিব খান। শিকারী মুভিতে তার সেরা অভিনয় ঢেলে দেওয়ার কারণেই কিন্তু এখন তার এলিট পর্যায়ের ফ্যানও আছে। কিছুদিন আগেও সেখানে ছিল শুধু রিকশাওয়ালা আর বস্তির ছেলে পেলেরা।

আপনি আমাদের সামর্থ্যের অবস্থা বিবেচনা না করে সমালোচনা করলে আপনাকে কটু কথা শুনতে হতেই পারে।
পাশের কলকাতার মুভির বেশির ভাগই তামিল, তেলেগুর রিমেক। আর্টফিল্মগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ - এগুলো ভদ্র পর্ণ। মাঝে মাঝে কিছু ভাল মুভি বের হয়ে আসে। এবং সেগুলো নিয়ে তারা, আমরা সবাই ই ভালভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাই।

উনিশ শতকের দিকে লেখা হরর, সায়েন্সফিকশন সাহিত্যগুলো নিয়ে এখন বিতর্ক চলে যে, এগুলো কী এমনধরণের লেখা যে এগুলোকে বিশ্বের সর্বকালের সেরা মানতে হবে।
একজন উত্তর দিয়েছিল, 'তখনকার বিশ্বটা কেমন ছিল - সেটা ভাবতে হবে। সেই সময় তারা চিন্তা করে এমন লেখা লিখেছে - সম্পূর্ণ তাদের কল্পনায়। এখন বিশ্ব উন্নত হয়ে আজকের পর্যায়ে এসেছে। তাদের লেখাগুলোও আজকের দুনিয়ায় সাধারণ হয়ে গেছে। কারণ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা এমনটা ভাবাচ্ছে। এখন আমরা সায়েন্সফিকশন, হররে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, রোবট আনছি - তাকে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করছি - তাই সেগুলো এখন ভাল। আজ থেকে কয়েকবছর পর যখন এই প্রযুক্তিই সব জায়গায় ব্যবহৃত হবে - তখন কিন্তু এগুলোও ম্যাড়ম্যাড়েই হয়ে যাবে।'

স্পিলবার্গ, কুবরিকদের সাথে তুলনা দিলে আপনি এই কথাটা মনে করবেন।

আর, আইএমডিবি রেটিং দিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। যাদের ভাল লেগেছে তারা অ্যাকাউন্ড খুলে রেটিং দিয়েছে। ভোট মাত্র ২৮০০+। তাই এখনো ৯.৯ আছে।
আপনার বাজে লাগলে আপনিও অ্যাকাউন্ট খুলে ৪,৫ দিয়ে দিন রেটিং। তখন দেখবেন এটা কমে আসছে।

আপনি মুভির সমালোচনা করলে এত বড় মন্তব্য করতামই না, কিন্তু মুভি নিয়ে যারা পজিটিভ কথা বলছে - তাদের নিয়ে সমালোচনা করায় এই মন্তব্যটা করলাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: #বোল্ড করা প্রথম কথাটা ৯.৯ আইএমডিবি রেটিং দেখে স্যাটায়ার করে বলা।

# স্রেফ পজেটিভ রিভিউ দেয়াদের আমি খোঁচা দিচ্ছি না আমার কাছেও এটা ভাল্লাগছে। যারা এটা নিয়া বাড়াবাড়ি করছে যেমনঃ প্রথমেই বলছি আমি রিভিউ দেয়ার পর একের পর এক মেসেজ আসা শুরু করছে। [আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রার উচ্ছাসিত হবেন তখন এর প্রতিক্রিয়াটাও একটু বেশীই পাবেন (এ পোস্টটা এ অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ারই ফসল)]

# ফারুকীরা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখছে? সিরিয়াসলি! যারা বড় শহরের বাইরে সিনেমা দেখানোর জন্য হলই পায় না! ওনার টেলিভিশন ছাড়া কোন সিনেমাটা উল্লেখ করার মতো? "পিঁপড়াবিদ্যা"!! নাকি "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" নামের টেলিফিল্মটাটা।

# বাংলাদেশের ইদানীং কালের সবচেয়ে হিট ফিল্ম মনে হয় "অগ্নি"। এছাড়াও "পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী" (২ না) নামে সিনেমাও হাউসফুল দেখছি অনেকদিন পর হলে গিয়া। এগুলা কি ফারুকী আইটেম?

# অপ্রতুলতার কথা বলছেন? ওপার বাংলার কথা তো আপনিই বললেন আর কি বলব।

৩৭০৬ জন মিলে ৯.৯ রেটিং দিছে! অনেকদিন আগের একটা কাহিনী মনে পড়ছে। আমরা সবাই মিলে গুন্ডে সিনেমার রেটিং কমায়া দিছিলাম। কাহিনী হয় এমন নাহয় দর্শকদের মনোভাব নিয়া আর কিছু বলার নাই।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: আমগ অমিতাভ রেজা দেখি স্পিলবার্গ, কুবরিক, সত্যজিৎগ চাইতেও ভাল ফিলিম বানায়া ফালাইছে।
চাষার ছেলে A+ পাওয়া নিয়া লাফালাফি হবেই, কারন তার তো ৩/৪ প্রাইভেট টিচার রাখার টাকা নাই।

তার নরম হাতে বাবার হাল যেমন ধরতে হয়, আর বিদ্যুৎ না থাকলে হারিকেনের আলো। IPS/AC লাগানো ঘর এ বসে পুরস্কার জেতা অনেক সোজা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: চাষার ছেলে উপমা দেয়াটা বেশী হয়া যায়। এমন ভাল ভাল আর্ট ফিল্ম কলকাতাতেও অহরহ হচ্ছে। উচ্ছাসিত হতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা এটারে স্রেফ একটা সিনেমার চেয়েও বেশী বানায়া ফালাইতেছি

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: অনেকদিন ধরে শুটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে আসতেছেন ।
এরপর হঠাৎ একদিন ভাতের প্লেটে দেখতে পেলেন ইলিশ মাছ । কেমন অনুভুতি হবে ?
হয়তোবা ইলিশ মাছের চেয়েও ভালো খাবার আছে কিন্তু সারাজীবন শুটকি ভর্তা খাওয়া লোকটার পাওয়া ইলিশের স্বাদ অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক ।
আপনার ভালো লাগে নাই আপনি সেটা অবশ্যই বলতে পারেন ।
তবে এইভাবে ফারুকী গ্যাং নাম দিয়ে এইভাবে বলাটা আমার কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে ।।
যেহেতু আয়নাবাজি সিনেমাটা আমি দেখি নি সেহেতু সেটা কেমন আর আপনি ঠিক বলছেন কিনা সে সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে যাচ্ছিনা । কিন্তু জালালের গল্প আসলেই একটা ভালো কাজ ছিলো ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: দৃষ্টিকটু দেখানোর জন্যই ফারুকী গ্যাং বলেছি। আর জালালের গল্প ভাল কাজ ছিল!!! সিরিয়াসলি!! সমস্যা হইল কি জানেন এইসব আঁতেল ছবি গুলার সমালোচনা কেউ করতে চায়না! কারণ অনেকে মনে করে এগুলা ক্লাসিক জিনিস আমার কাছে ভাল না লাগলে আমার সমস্যা

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আইএমডিবি রেটিং আর গুন্ডে নিয়ে কথা বললেন।
হ্যাঁ, বাংলাদেশের মানুষ মিলে গুন্ডের রেটিং-এ ধ্বস নামিয়েছিল। কিন্তু এটা কি জানেন খোদ ভারতীয়রাই এই মুভিকে কোন দাম দেয়নি। ইয়াশ-রাজ ফিল্মসের মুভি দেখে মুভিটা চলতে পেরেছে। ইভেন ঐ মুভির মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করারা পর্যন্ত এই মুভিকে মনে রাখতে চায় না। তারাই স্যাটায়ার করে এইটা নিয়ে। শুধু রেটিং ধ্বসে না, মুভির কাহিনীই ভাল ছিল না বলে তা হয়েছে।

বাংলাদেশে মৌলিক গল্প নির্ভর মুভি কয়টা হয়েছে?
আপনার ভাষ্যমতে ভারত-বাংলাদেশ বাংলাদেশ যৌথ মুভিগুলোই ইন্ড্রাস্টিকে টিকিয়ে রেখেছে?

শাকিব খানের একটা কথা বলি - সে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মুভির ঘোর বিরোধী ছিল। সে মরে গেলেও ঐ ধারায় যাবে না বলেও বলেছিল। এটা আমাদের গর্ব হওয়া উচিৎ। সে নিজের দেশের নিন্মমানের মুভিতেই টিকেছিল। একটানা অনেকগুলো বছর সে ই ধরে রেখেছিল।
কিন্তু আমাদের দেশীয় মানূষরাই তাকে দাম দেয়নি। হিজরা উপাধিও দিয়েছে তাকে। বাধ্য হয়েই সে যৌথ মুভি করলো। এবং এখন তার সম্মানও ফিরে এসেছে।

আপনার কথায় ভারতের মুভি নিয়ে যেভাবে প্রশংসা শোনাচ্ছে - তাতে তো মনে হচ্ছে শাকিব খান এই দেশে জন্মেই ভুল করেছিল।

ফারুকী বলেন, অমিতাভ রেজা বলেন, বা ঐ গ্যাংকেই বলেন - তারা কিন্তু প্রতিবারই মৌলিক গল্পকে চিত্রায়ণ করেছে। বড় বড় সিনেমাহল ছাড়া ঐ মুভিগুলো চলেনি কারণ কোনটাই ব্যবসায়িক মুভি ছিল না। সৃজনশীল মুভি ছিল। সাধারণ শ্রেণী সেটাকে গ্রহণ করতে পারেনি।

উদাহরণ স্বরূপ তো আপনি ভারতীয় আর্টফিল্মগুলো আনছেন - ঐখানেও কিন্তু এই মুভিগুলো সব হলে চলে না। এমনকী এই মুভিগুলোর ব্যবসাও ভাল হয় না। নির্দিষ্ট একটা শ্রেণী ব্যতিত অনেকে মুভি গুলো দেখেও না। ইভেন ঐ মুভিগুলোর দর্শকদের বেশির ভাগ আমাদের বাংলাদেশীরাই।

টেলিভিশন, পিঁপড়াবিদ্যা, থার্ডপার্সন, জালালের গল্প - এইগুলো কি আপনার কাছে ব্যবসায়িক মুভি মনে হয়েছে?

আর, আপনার লেখায় থাকা অগ্নি, পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী কি ব্যবসায়িক মুভি না? ব্যবসায়িক মুভিতে যদি হল হাউজফুল না হয়, তাহলে ঐ মুভিগুলো তৈরির কোন মানে আছে?

আবারো আইএমডিবির উদাহরণ টানি - দৃশ্যম যখন রিলিজ পেয়েছিল তখন এর রেটিং ছিল ৯.৭। এরপর এটা কমতে কমতে এখন ৮.৭ এ। তবে ভারতীয়রা ঐ ৯.৭ দেখে স্যাটায়ার করেনি, অজয়কে ডিক্যাপ্রিও-এর চেয়ে বড় মাপের অভিনেতা উপাধিও দিয়ে ফেলেনি। তারা ঐ মুভিটি দেখেছে। ঐ মুভিও কিন্তু হলে সফল না। প্রাথমিক অবস্থায় হিটও হয়নি। কিন্তু এক রেটিং দেখেই তারা যখন দেখলো তারাও মানতে বাধ্য হলো ঐ মুভিটা আসলেই অন্যরকম। গল্পটাও মৌলিক। এবং তারা দেখে এই মুভিকে রেটিং দিলেও - তারা প্রশংসা করেছিল পাঁচ ভাষায় এই নির্মিত এই মুভির প্রথম সংস্করণটাকেই।
ভারতীয়দের উদাহরণ টানলেন - তাদের মানসিকতা চিন্তা করেছিলেন? [ইভেন গল্পটা পুরোপুরি মৌলিকও না, কোরিয়ান এক গল্পের সাথে অনেকটাই মিলে যায় - তবুও তারা এইটাকে তাদের ইতিহাসের সেরা মিস্ট্রি ফিল্ম হিসেবেই ভাবে।]

আয়নাবাজি ভাই - আমাদের দেশে অনেকদিন পর আসা এমন এক মুভি যেটাকে সব শ্রেণীর মানুষ মেনে নিয়েছে। মুভির কাহিণী, চিত্রায়ন এগুলো আপনার অপছন্দ হতেই পারে - তাই বলে, ভাল কিছু করার চেষ্টাকে তো দমিয়ে দিতে পারেন না।
আবেগের প্রতিক্রিয়া অতিরিক্ত থাকবেই। যেহেতু মুভিটা নতুন, তাই।
বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়াকে ক্রিকেটে হারিয়েছিল - তখন কিন্তু আবেগের প্রতিক্রিয়া আরো বেশি ছিল। কিন্তু, ঐটার কেউ সমালোচনা করেনি। বিশ্ব মিডিয়াও বাংলাদেশি মানুষকে ক্রিকেট পাগল হিসেবেই আখ্যায়িত করেছিল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২২

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: গুন্ডের কথা টেনে আনছি একারণে যে আমরা সিনেমা না দেখেই একটা গ্রুপ করে রেটিং কমিয়ে দিয়েছিলাম । সিনেমা কেমন হয়েছিলো সেটা ব্যাপার না। আমি যৌথ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখছে এটা বলি নাই। অগ্নি, পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী একটাও যৌথ সিনেমা না। বলছি ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখতে ফারুকীদের তেমন ভূমিকা নেই। মানে আর্ট ফিল্মেরই তেমন কোন ভূমিকা নেই। ব্যবসায়ীক ফিল্ম ব্যবসা না করতে পারলে এগুলাও উঠে যাবে। তাই বলে আমি বলছিনা এগুলো হওয়া উচিৎ না!

আর আমি ভাল করার প্রচেষ্টা দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা কই করলাম আমি নিজেও বলছি সিনেমা ভাল হইছে। আমার সমালোচনা কাদের প্রতি এটা আগেও বলছি।

আচ্ছা আপনাকে একটা প্রশ্ন করি কিছুদিন আগে তৌকির আহমেদের অজ্ঞাতনামা নামে একটা সিনেমা মুক্তি পাইছিলো। কান উৎসবে ওটা প্রদর্শিত হইছে, শুনলাম অস্কারে যাওয়ার জন্য নমিনেটেড ও হইছে। এটা নিয়া অতো হৈচৈ হল না কেন বলেন তো

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আয়নাবাজি ও পুরোপুরি মৌলিক কোন গল্প না কোরিয়ান মুভি Tumbleweed এর থেকে থিম নেয়া।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

টোকাই রাজা বলেছেন: বেশি কিছু কমু না! খালি কলসি বাজে বেশী। :P

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হু আপনি বেশি কিছু বলার দরকার নাই। ভরা কলসি হয়া ভুম মাইরা পইড়া থাকেন

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টে আপনি মুভির গুনকীর্তন করার পাশাপাশি ফারুকী সাহেবকে একহাত নিয়েছেন। এইটা হলো থার্ড ক্লাস সোসাইটির একটা নীতি- শত্রুর গু'র লগেও শত্রুতা নীতি।

বস্তাপচা স্ক্রিপ্ট ও চুধুরি সাহেপ টাইপ সিনেমার যুগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যারা কাজ করছেন, যারা বাংলা সিনেমার বাজে সময়কে অতিক্রম করার পথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরই অন্যতম একজন হলেন মুস্তফা সারওয়ার ফারুকী। এই মুভিটা ফারুকী সাহেবের না উনি কেবল ১ টা স্ট্যাটাস দিয়ে অমিতাভকে শুভকামনা জানিয়েছেন রিলিজের আগের দিন। অথচ সব ক্ষোভ গিয়ে উপচে পড়ছে উনার ওপরই!

এটা স্রেফ হীনমানসিকতা বৈ কিছু নয়। অজ্ঞাতনামা সাড়া ফেলতে পারেনি বলে কুযুক্তি দাঁড় করেছেন জালালের গল্প+আয়নাবাজির ওপর! বাস্তবতা হলো আয়নাবাজির সৃজনশীলতা, প্রচার, ট্রেলার অনেক ভাল ছিল। এর কোয়ালিটি কলকাতার মুভিগুলোর চেয়ে অবশ্যই অনেক উর্ধে।

কোরিয়ান মুভি'র নকল হতে পারে আয়নাবাজি। আমিও খোঁজ নিয়ে দেখেছি। কিন্তু আয়নাবাজি ঐসব কপিবাজদের মুভির তুলনায় অনেক উর্ধে!! ঢাকার/বাংলার প্লটের সাথে একদম ম্যাচ করেছে এটা!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আমার পোস্ট পড়ে এই বুঝলেন? নাকি না পড়েই মন্তব্য করে দিলেন? আপনার কাছ থেকে আর একটু ভাল পর্যবেক্ষন আশা করছিলাম।

আমি কি ফারুকী সাহেব রে একহাত নিছি! নাকি ওনার মোসাহেবি করা ভক্তদের? আর ফারুকীর উল্লেখ করার কারণ উনি মোটামুটি আমাদের তরুন প্রজন্মের এক শ্রেনীর আইডোলজিকাল গুরু টাইপের অবস্থানে পৌঁছে গেছেন। তাই ওনার আশেপাশের কারো কোন সিনেমা বের হলেই তারা একে উপরে উঠানোর চেষ্টা করতে করতে প্রায় হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমি সেইসব পাব্লিকরেই বিদ্রুপ করার চেষ্টা করছি। ফারুকীর টেলিভিশন আমার পছন্দের একটা সিনেমা। আর জালালের গল্প আমি হলে বসে দেখছি। আমি মোশাররফ করিম ভাইয়ের ফ্যান হওয়ায় খুবই আগ্রহ নিয়ে গেছিলাম। এবং খুবই হতাশ হয়ে ফিরছি। এরপরও যখন ওটা নিয়ে মাতামাতি দেখলাম তখন এছাড়া আর কারণ আমার চোখে পড়েনাই।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি সিনেমা না দেখা লোক, সুতরাং আমি এই আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছি না :-B

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: দেখেন দেখেন। সিনেমা ভালা জিনিস :D

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

ডা. অমিতাভ অরণ্য বলেছেন: অমিতাভ রেজা যেহেতু বাংগালি মুসলমান জনগোষ্টীদের পরিচালক, সেখানে আমার মুভিটি দেখা উচিত হবে কি না বুঝতে পারছি নয়া!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: অমিতাভ রেজা মুসলমান তাইলে! আমার জানা ছিলনা।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৩

হেমন্ত না বলেছেন: ফেসবুক সেলিব্রেটিদের রিভিউগুলোতে তেলের ছিঁটে আমারও ভালো লাগেনি।তারচে' তাদের স্বাভাবিক অনুভূতি প্রকাশ করলে পক্ষ-বিপক্ষের সৃষ্টি হতো না। আপনার লেখায় পুষে রাখা বিরক্তি দেখেছি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সেটাই ঘটেছে। সিনেমা দেখার পর আমিও মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। কিন্তু লাগাতার তেলবাজি দেখতে দেখতে এখন ভীষণ বিরক্ত হয়ে আছি।

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: রক্তিম দিগন্তের সাথে পুরোপুরি একমত।

কোলকাতা কী বানাচ্ছে না বানাচ্ছে, সেটা নিয়ে তো আমাদের মাথাব্যথারর কিছু নেই। আমরা আমাদেরটা নিয়ে লাফালাফি করব, সেটা স্বাভাবিক। এটায় দোষের কিছু নয়। আপনার ভালো লাগেনি, সেটা প্রকাশ করুন। অন্যদের রিভিউর সমালোচনা করাটা বেশি বেশি হল না?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: পোস্ট পড়লে আপনার বোঝার কথা আমার সমালোচনার ফোকাস হচ্ছে আমাদের এক শ্রেনীর দর্শক যারা শুধুমাত্র এটা ফারুকীর ঘনিষ্ঠ ঘরানার সিনেমা বলে আবারও বলি ফারুকীর ঘনিষ্ঠ ঘরানার সিনেমা বলে এটা নিয়ে বেশী লাফাচ্ছেন। তেলবাজি করতে করতে একে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। উদাহরণ হিসেবে জালালের গল্পের কথাও বলছি।

যারা স্রেফ নিজের ভাল লাগা খারাপ লাগা থেকে রিভিউ দিছেন তারা এর আওতায় পড়েন না।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

শরতের ছবি বলেছেন: আপনার মন্টা আসলেই নেগেটিভ । সব ভাল কিছুর নেগেটিভ রেভিউ করেন ।ক'দিন আগে দেখলাম মাশরাফিকে নিয়ে আর আজকে আয়াবাজি নিয়ে । চতুর্দিকে আয়নাবাজির প্রশংসা আর আপনি করছেন উলটো কথা ।আমার মনে হয় আপনার ব্রেইন্টা উলটো হয়ে আছে ।সব ভাল জিনিস খারাপ দেখেন আপনি ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হা হা খারাপ কি! সবসময় মুদ্রার এক পিঠ দেখলে হবে? আমি না হয় একটু উল্টো দিক থেকে দেখলাম! ব্যালেন্স করার চেষ্টারও তো দরকার আছে নাকি!

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

জহুরুল ইসলাম মিলন বলেছেন: আপনি আসলে কি টাইপ মুভি দেখেন একটু বলবেন কি!?
মৌলিক গল্প গুলোকেই নেগেটিভ রিভিউ দিলেন!!?? একটু পত্রিকা গুলো পড়ুন। মানুষ এখন হলে ফিরছে। কেন জানেন?? "ফারুকী, রেজার মত পরিচালকদের জন্য।
এই পোস্টটি রিকেম করা মুভির বিরুদ্ধে হলে ভাল লাগত।
আচ্ছা আর কি কি ভাবে বাংলা সিনেমা বানালে আপনার মত দর্শক ভাল ভাবে নেবে সেটা বলবেন কি!? (আমি স্পেশালি আপনার জন্য এক্কান মুবি বানাইতাম)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আপনি কি পোস্ট টা পড়ছেন আশা রাখি।পড়লে দেখার কথা আমি সিনেমাটার বিরুদ্ধে তেমন কিছু বলিনাই। বলছি এক শ্রেনীর দর্শকদের বিরুদ্ধে। যারা কেবলমাত্র তাদের গুরুদের সিনেমা বলে এটা নিয়ে হাস্যকর রকমের লাফালাফি শুরু করছে। এ সিনেমাটাই আমার ভাল্লাগছে। আপনি এমন এক্কান মুবিই বানান।

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

বাকরখানি বলেছেন: আপনি কি বাংলাদেশি? নাকি কলকাতার কেউ যে সালমান শাহের ভক্ত কাকতালীয়ভাবে?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: কোনটা হইলে আপনি খুশী অইবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.