নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ/জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না

অঞ্জন ঝনঝন

অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।

অঞ্জন ঝনঝন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফলতার জন্য প্যাশন কতটা জরুরী? সুখী হওয়ার জন্য কি প্রেমিকাকেই বিয়ে করতে হবে!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫



রাজকুমার হিরানীর বিখ্যাত সিনেমা থ্রী ইডিয়টস দেখার পর প্রথমে আমার মাথায় ঢুকছিলো যে "আমার প্যাশন কি?"

ফারহানের তার বাবারে দেয়া সেই আবেগী ডায়ালগ গুলা মনে আছে? "বাবা আমি ইঞ্জিনিয়ার হইলে খুবই খারাপ একজন ইঞ্জিনিয়ার হব।... আর যদি ফটোগ্রাফার হই তাহলে অল্প টাকা ইনকাম করলেও খুশী থাকব"
এরপর সিনেমার শেষে পরিচালক দেখিয়েছেন সবাই নিজের প্যাশন ফলো করে বহুত বড় বড় আদমী হয়ে গেছে।

এই ফিলিম দেখার পর অনেক ছেলেপেলেকেই দেখছি প্যাশন খোঁজার পেছনে লেগে গেছে, আবার প্যাশন অনুযায়ী পথে যেতে না পেরে হতাশায় বেঁকাত্যাড়া হয়ে গেছে।

এই প্যাশন বিষয়টারে আমার কাছে প্রেমিক প্রেমিকার পীরিতির মত মনে হয়। তারা বিয়া করার আগ পর্যন্ত ভাবে,
"একজন একজনরে না পাইলে বাঁচবোনা। আর বিয়া করতে পারলে "এই সাদা কালো শহরে লাল নীল সুখের সংসার" গড়ে ফেলবে।" কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের সম্পর্ক অন্য কাপলদের চেয়েও অসহ্য পর্যায়ে গেছে। আর বিয়ে করতে না পারলে ভাবে, "তাদের বিয়ে হলে বুঝি তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী কাপল হইত"।

প্যাশন জিনিসটাও অনেকক্ষেত্রে এমনই। প্যাশন অনুযায়ী চাকরি বা একাডেমীক সাব্জেক্ট না পাইলে, মনে হয় এ চাকরী পাইলে দুনিয়া উল্টায়া পালাইতাম।
কিন্তু দেখা যায় চাকরীতে গেলে এই প্যাশন জিনিসটাই বেশীদিন থাকে না। প্যাশনেট পাব্লিকরা খুব বেশী ঝামেলার সাথে ডিলও করতে পারেনা। লোকে বলে কাজের প্রতি প্যাশন থাকলে কঠিন সময় গুলা আপনি সহজে পার করতে পারবেন। কিন্তু এই ক্ষনস্থায়ী প্যাশন যখন হারিয়ে যায় তখন আপনি যে কাজের প্রতি খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন এটা কেউ বলেনা।

অন্যদিকে সফলতার পেছনে ছোটা ব্যক্তিরা আগে থেকে মানসিকতা রাখে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হবার, তারা সব ঝামেলার সাথে ডিল করার মানসিকতার থাকে, অধিক স্পিরিট সম্পন্ন। যারা তাদের ভালবাসার জায়গাটা নিয়া কাজ করে তাদের মধ্যে সফলতার পেছনে ছোটার স্পৃহাও তেমন কাজ করেনা।
ফারহানের ডায়ালগটা মনে করায়া দেই "আমি অল্প টাকা ইনকাম করলেও খুশী থাকব" যদি প্যাশন টিকে থাকে অনেক সময় এটাই হয়। অনেক প্যাশনেট অভিনেতারে দেখে থাকবেন অভিনয় তাদের ধ্যানজ্ঞান কিন্তু আজীবন ভর সেই মঞ্চেই পইড়া আছে।

একবার কই যেন পড়ছিলাম এক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা লিখছেন যে তার উপর তার বসের ইন্সট্রাকশন ছিল যে কখনো প্যাশনেট প্রজেক্টের জন্য লোন দিবানা। যেমন এক ব্যাক্তি যদি স্পোর্টস প্যাশনেট হয় এবং সে যদি তার প্যাশনের বসে একটা স্পোর্টস ষ্টোর দিতে চায় তাহলে তাকে লোন দিবানা। কারন সে মূলত ব্যবসা করতে আসে নাই হি ইজ ইন দ্যা বিজনেস ফর রং রিজন।

কিন্তু ঐ স্পোর্টস প্যাশনেট ব্যক্তি যদি একটা ফাস্টফুডের স্টোরের বিজনেস করতে চায় তবে তাকে ধার দাও। এই ইন্সট্রাকশন যেই বসের দেয়া এ লাইনে ওনার তিরিশ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।

আসুন এবার কয়েকটা উদাহরণ দেখি।

শাহরুখ খান।
শাহরুখ ছোট বেলা থেকে কখনোই অভিনেতা হইতে চাননি। হকি খেলার প্রতি প্যাশনেট ছিলেন; তার ইচ্ছা ছিল স্পোর্টসম্যান হওয়ার। কিন্তু এক সময় পিঠের ইঞ্জুরিতে পড়েন এবং ডাক্তার ঘোষণা করে দেন যে হকি খেলা আর তার দ্বারা সম্ভব না। তখন তিনি ভাবলেন থিয়েটারে একটু লাক ট্রাই কইরা দেখি। আর তার পরিশ্রম, ওয়ার্ক এথিকস দিয়ে আজ তিনি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন, আর পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় রিচেষ্ট এক্টর।

সফল ছোটবেলা থেকে প্যাশন থাকতে হবে এমন কথা নাই। আমাদের সাকিব আল হাসানও ক্রিকেট এর প্রতি প্যাশনেট ছিলেন না ছোটবেলা থেকে তার আগ্রহের জায়গা ছিল ফুটবল। আর তিনি এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এমন অসংখ্য উদাহরণ পাবেন চারপাশে যারা আগের প্যাশন ছাড়াই সফল হয়েছেন।

এরমানে আমি বলতে চাইনা যে প্যাশনেট কেউ কখনোই সফল হয়না। প্যাশনের কোন দরকার নাই। বলতে চাই আমাদের সামনে প্যাশন বিষয়টাকে ওভাররেটেড হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। সব সফল ব্যক্তিই বয়ান দিতে থাকেন "ফলো ইওর প্যাশন"। আর পোলাপান ভাবে প্যাশন না থাকলে সফল হওয়াই যাবে না। এই ওভাররেটিং এর দরুন বহু ছেলেপেলেরে দেখছি ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হতে চাইছে তাই এখন ম্যাডিকেলে চান্স না পায়া হতাশ হয়ে পড়ে আছে, প্রোগ্রামিং ভাল্লাগে তাই ভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স না পেয়ে ক্যারিয়ারের সব আশা ছেড়ে দিছে। আর চাকরী ক্ষেত্রে তো এটা অহরহ দেখা যায় যে আগ্রহ সহকারে কাজ না করার কারন হিসেবে পছন্দের চাকরী না পাওয়াকে দুষছে।

প্যাশন কোন কাজের মধ্যে নাই। প্যাশন আছে আপনার ভেতর। ঐ কাজটার প্রতি আমি প্যাশনেট বলে ওটা করতে পারলেই যে আপনি সফল হবেন এমন কোন কথা নাই আরো অনেক ফ্যাক্টর লাগে, আপনি যে কাজ করছেন তাও আপনি আপনার পরিশ্রম, এথিকস দিয়ে সফল হতে পারেন। আর আপনার কি মনে হয় শাহরুখ, সাকিব যাদের কথা বললাম এরা তাদের কাজ না ভালবেসেই সফল হয়েছেন!
উহু।কখনো না!

তাই আপনি যে কাজ করছেন তাকেও ভালবাসতে পারেন। পরিণত করতে পারেন আপনার প্যাশনে।
শেষ করি শাহরুখ খানের একটা উক্তি দিয়ে "Do what you love. if you are doing something then you better love it"[

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

মেহেদী রবিন বলেছেন: এখানে একটু ঝামেলা আছে। প্যাশন অনুযায়ী কাজ করলেই সফলতা আসবে এটা ভুল। বরং বলা উচিৎ এভাবে, যে ওয়ার্ক এথিকস, পরিশ্রম ও বুদ্ধি নিয়ে কাজ করে কোন একটা কাজে সফল হওয়া যায় সেই একই ওয়ার্ক এথিকস, পরিশ্রম ও বুদ্ধি নিজের প্যাশনে ব্যয় করলে আরো বেশী সফলতা আসবে। কারণ মানুষ সেই কাজকেই প্যাশন হিসেবে নেয় যেটা সে অন্যান্য কাজের চেয়ে ভালো বোঝে। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। এখন প্রশ্ন হল, কোন কাজে পরিশ্রম দিতে আপনার ভালো লাগবে। শাহরুখ হকি না খেললেও অভিনয়কে ভালোবেসেছেন। আর যেটা পরিবর্তিত হয় ওটা প্যাশন নয়, ওটা ইমোশন :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: প্যাশন, ইমোশন এগুলা আলাদা করার ব্যাপারটা ভাষার মারপ্যাঁচ মনে হয়। সংজ্ঞাগতপার্থক্যও আছে কিন্তু বাস্তবে আলাদা করাটা কঠিন। কোনটা প্যাশন, কোনটা ইমোশন বুঝতে বুঝতে দিন চলে যাবে।

আর শাহরুখরা অভিনয়কে ভালবাসছে এটার সাথে আমিও সহমত। মানুষের এটা বিশ্বাস করা উচিৎ যে একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুযোগ না পেলেও অন্য ক্ষেত্রগুলোকেও ভালবাসা যায়।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

কালীদাস বলেছেন: ফলো ইওর প্যাশন না বলে বলা উচিত ফলো ইওর হার্ট। প্যাশন অনেকগুলো ডিটারমিনেন্টের একটা মাত্র সফলতার জন্য, সবার জন্য একই ইনডেক্স সফলতার মেইন কারণ হয় না কখনও। পারসোনালি আমি ফিক্সড গোলের পেছনে স্ট্রাকচার্ড হার্ড ওয়ার্ককে প্রেফার করব, প্যাশন-কে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে। কিন্তু প্যাশন বিষয়য়টাকে আমাদের সামনে ইদানীং এত ওভাররেটেড হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যে অনেকেরই মাথা বিগড়ে যাচ্ছে। তাই কিছু বলতে ইচ্ছা হল

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

মেহেদী রবিন বলেছেন: প্যাশন হল যা আপনি কখনই ছেড়ে যাবেন না। এবং আপনার সাথে একমত, একে ইমোশন থেকে আলাদা করে খুঁজে বের করতে হয়। স্টিভ জবস এক কলেজ সংবর্ধনায় বলেছিলেন, নিজের প্যাশনকে খুঁজে বের করতে। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত না থামতে। আমাদের দেশে ব্যাপারটা কঠিন। কারণ এখানে ছেলেরা ৩০ এর আগে সিকিউরড কিছু না করলেই সমাজে সে অচল। তাই প্যাশন খুঁজে বের করা তার জন্যে সব সময় হয়ে ওঠেনা। আর চাইলেই সব কিছু ভালো লাগানো যায় না। তাহলে আর স্কুল কলেজ গুলো সায়েন্স, কমার্স, আর্টসে ভাগ করা থাকতো না। সবসপ্যাশন হল যা আপনি কখনই ছেড়ে যাবেন না। এবং আপনার সাথে একমত, একে ইমোশন থেকে আলাদা করে খুঁজে বের করতে হয়। স্টিভ জবস এক কলেজ সংবর্ধনায় বলেছিলেন, নিজের প্যাশনকে খুঁজে বের করতে। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত না থামতে। আমাদের দেশে ব্যাপারটা কঠিন। কারণ এখানে ছেলেরা ৩০ এর আগে সিকিউরড কিছু না করলেই সমাজে সে অচল। তাই প্যাশন খুঁজে বের করা তার জন্যে সব সময় হয়ে ওঠেনা। আর চাইলেই সব কিছু ভালো লাগানো যায় না। তাহলে আর স্কুল কলেজ গুলো সায়েন্স, কমার্স, আর্টসে ভাগ করা থাকতো না। সবশেষে আবারো স্টিভ জবস :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: জীবনের এতটা সময় কাটিয়ে ফেললাম এখনো নিজের প্যাশন খুঁজে পাইনাই। কখনো এটা হইতে মন চাইছে তো কিছুদিন পর আরেকটা। তাই প্যাশন খোঁজা বাদ দিছি যেটার সন্ধানে আছি সেটা হচ্ছে জিদ, কিছু করে দেখানোর প্রচন্ড ইচ্ছা। একটা লক্ষ্য ঠিক করে ছুটে চলা, যে সফল হবই। এই জেদি মানুষগুলারে আমার ভাল্লাগে। এদের বোধহয় প্যাশনেট ও বলা যায়না আবার স্টিভ জবসের র‍্যাশনাল পারসন ও না তাই এরা গিভ আপ করেনা

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
প্যাশন হল একধরণের আবেগ - যে আবেগটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

প্যাশন থাকলে আপনার পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক - আপনি সেটা অর্জন করবেনই। হয়তো তার জন্য আপনাকে অনেক প্যারা সহ্য করতে হবে।

প্যাশন না থাকলে আপনার মাঝে হেরে যাওয়ার প্রবণতা চলে আসবে। আগ্রহ পাবেন না কোন কিছুতেই।

ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যাদের কাছে প্যাশন - তারা শেষমেশ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারই হবে। আর, যাদের কাছে এটা পরিবারের কারণে পছন্দের বিষয়ে পরিণত হয়েছে বা এটার সামাজিক মূল্য ভাল চিন্তা করে যে এগুলোর দিকে ঝুঁকেছে - তারা ব্যর্থ হবেই। কেউ কেউ ব্যর্থ হবে ভর্তি পরীক্ষায়, কেউ কেউ হবে ক্ষেত্রে গিয়ে - যেমন অনেক ইঞ্জিনিয়ারই আছে যারা নামে ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু কর্মের দিক থেকে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। ডাক্তারি ক্ষেত্রে অনেকে হয় ব্যবসায়ী - কারণ, পড়তে অনেক টাকা গেছে - এখন রোগী দেখে দেখে সেটা উসুল করতে হবে।

কিন্তু যার প্যাশন এগুলো - সে ডাক্তার হলে - রোগী দেখবে পারলে বিনামূল্যে, প্রাইভেট চেম্বার থেকে সরকারী হাসপাতালে থাকতে পছন্দ করবে বেশি; ইঞ্জিনিয়ার হলে বড় বড় প্রকল্পগুলোয় ডাক পাবে সে ই, বিভিন্ন জায়গা থেকে তার ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান নেওয়ার জন্য হাজির হবে অনেকেই, তাকে বলবে ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়ারদের অনুপ্রেরণার জন্য কিছু বলতে - এবং সে ঐসব জায়গায় গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পরিবর্তে বক্তব্য দিবে জীবনবোধ নিয়ে।

যেদিকেই দেখবেন - সফলরা সফল হয় তাদের প্যাশনের জন্যই। কারণ, প্যাশন থাকলে - ওটাকে রাখা সম্ভব হয় না।

থ্রি ইডিয়টসে এটাই দেখিয়েছে। একজনের প্যাশন ছিল সে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হবে। তাতে সে সফল। কারন - ওটা তার প্যাশন হওয়ায় সে সব ঝুঁকি নিয়ে হলেও ফটো তুলে যেতে পেরেছে। বিপদ দেখে - ঐ বিপদটাকেও কোন না কোন ভাবে ফটোতে বন্দী করে রেখেছে। কিন্তু, পেশাদার হলে - সে বিপদ চলে যাওয়ার অপেক্ষা করতো, ঝুঁকি কম নিত।
অন্যজনের প্যাশন ছিল - ইঞ্জিনিয়ারিং। এবং সে তাতেই সফল। বলতে গেলে ভবিষ্যত ইঞ্জিনিয়ারদের ড্রিমই হয় তার মত হওয়া।
আর, তাদেরকে প্যাশনের শিক্ষা দেওয়া, প্যাশন চেনানো মানুষের প্যাশন ছিল - জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানার্জনের মাধ্যম সহজ করা। তাতেও সে সফল। সে বাচ্চাদেরকে সহজেই শিখাতে পারছে প্রযুক্তির খেলা, যেটা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনেকে প্রজেক্ট হিসেব করে। বাচ্চাগুলোর জ্ঞান প্রাতিষ্ঠানিক গন্ডিতে না থেকে ছড়িয়ে পড়েছে কখন কী করতে হবে সেটার উপর। আর, সে এতই মূল্যবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিল যে তাকে সবচেয়ে বেশি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ব্যক্তিটাই তার সাথে চুক্তি করতে পেরে নিজেকে সবচেয়ে বেশি ধন্য মনে করেছে।

ঐখানে বুঝিয়েছে এই জিনিসটাই। এটাকে কে কীভাবে নিবে সেটা হল নিজেদের ব্যাপার।

আমার প্যাশন কী - সেটা এখনও আমি জানিনা। কারো কারো মতে আমার প্যাশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কারো কারো মতে সেটা স্পোর্টস, কারো কারো মতে আবার লেখালেখি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমার প্যাশন এগুলোর কিছুই না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২১

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: প্যাশন ছাড়া মানুষ ব্যার্থ হবেই আপনার এ কথাটার সাথে একমত না। ওপরে মেহেদী রবিন ভাই যেমনটা বলেছেন মেহেদী রবিন বলেছেন: //প্যাশন অনুযায়ী কাজ করলেই সফলতা আসবে এটা ভুল। বরং বলা উচিৎ এভাবে, যে ওয়ার্ক এথিকস, পরিশ্রম ও বুদ্ধি নিয়ে কাজ করে কোন একটা কাজে সফল হওয়া যায় সেই একই ওয়ার্ক এথিকস, পরিশ্রম ও বুদ্ধি নিজের প্যাশনে ব্যয় করলে আরো বেশী সফলতা আসবে।// এ কথাটার সাথে একমত। আর আপনি যে প্যাশনের কথা বলেছেন যে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না! আমার মনে হয় যায়। এক ক্ষেত্র থেকে অন্য ক্ষেত্রে সুইচ ও করা যায়। উপরে শাহরুখ, সাকিবের উদাহরণ দিছি। আর আমি প্যাশন কি এটা খোঁজার চেয়ে মূলত ফিক্সড গোল, জিদ নিয়ে এগিয়ে চলা, ষ্ট্রাগল করার সক্ষমতা রাখা এসবকে গুরুত্ব দেব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বাই দ্যা রাস্তা আমার মনে হয় আপনি মন্তব্য করার প্রতি প্যাশনেট :D :P এক এক মন্তব্যের যে সাইজ মাশায়াল্লাহ :D

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: দার্শনিক টাইপের লেখা।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, মানুষ ঠেকায় পড়লে সবই করতে পারে। কাজকে ভালোবাসতে হবে, যে কাজ সামনে এসে যাবে সে কাজকেই। survival for the fittest

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: এহেম দার্শনিক ভাব নেওয়ার ইমো হইবে :V ভাবলাম মাথার মধ্যে ঘোরাঘুরি করা কথাগুলা ব্লগারদের সাথে শেয়ার করি। নতুন কিছু দৃষ্টিভঙ্গি জানার সুযোগ ও হবে।
সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট :( সহমত :(

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ :)

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: এই লেখা থেকে একটা জিনিস নিজের ভিতর ধারন করলাম , উপকৃত হলাম // তবে কি জানেন প্যাশন আর ইমোশন থাকুক না থাকুক শেষ পর্যন্ত কোন কাজ কমপ্লিট করবার একাগ্রতা বা লেগে থাকার মানসিকতা না থাকলে সফল হওয়া যায়না //

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৪

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: হু তবে এখন আবার ক্যান জানি মনে হয় প্যাশন বা ইমোশন না থাকলে এই লেগে থাকাটা কঠিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.