নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন...।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

আমার আত্নীয় স্বজন প্রায় সবার মাঝেই একটা প্রবণতা/ সুপ্ত স্বপ্ন আছে. তা হল ছেলে জন্ম নিলে তাকে হাফেজ বানাবো টাইপের প্রতিজ্ঞা করা. দেখা যায় শেষ পর্যন্ত কেউই সেই প্রতিজ্ঞা আর রাখতে পারে না. কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে চলেছেন আমার ৮ম খালামণি. তার ছেলে এখনো হাফেজী লাইনেই পড়ছে. আমার নানা-নানুর বদ্ধমূল বিশ্বাস তার অন্যান্য নাতি-পুতি দিয়ে কোন লাভ হবে না. আখিরাতে/ হাসরের ময়দানে এই নাতিই তাদের সাফায়াত করবে. আমি তাদের এই বিশ্বাসের মূলে নাড়া দিতে চাই না. কয়দিনই বা আর বাচবেন. থাকনা নিজের বিশ্বাস নিয়ে. থাকনা সুখে.
আমার মামা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন. তার ছেলে হাফেজ হবে. তার বড় ছেলেটা চরম ক্রিকেট খেলে. তাকে যতটুকু উত্সাহ দেওয়ার আমি দেই. অন্য খালাতো ভাইদের ইতিহাস প্রায় এক. কম বেশি অনেকেই মাদ্রাসা পালিয়ে বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখা করছে.
এখন যদি আমার কোন ভাই/বোন তার সন্তানকে হাফেজ বানানোর গপ্পো বলে. তা হলে শুরু হয়ে যায় আমার সাথে দ্বন্দ. আরে ভাই, আমাদের বাবা মা যে স্বপ্ন দেখেছে আমরাও যদি সেই স্বপ্ন দেখি তবে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য় কি?
ব্যতিক্রম বুঝি শুধু আমার মা. তিনি কখনোই তার সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন ভঙ্গের রিস্ক নেননি. তবে আজীবন ডিসির আন্ডারে চাকরি করে মনে হয়েছে তার এক ছেলে জেলা প্রশাসক হলে মন্দ হত না. কিন্তু আমরা তার ধারে কাছেও নাই.
এবার আসি আসল কথায়. আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি. কোন সন্তানকে জীবনের শুরুতে মাদরাসা বা আশ্রমে (মন্দিরে) পড়তে পাঠানো আর তার মস্তিকের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া একই কথা. এর থেকে ঢের ভালো খ্রীস্টান মিশনারিজ আশ্রম. সেখানে যতটানা ধর্মতত্ত্ব সেখানো হয়. তার থেকে বেশি সেখানো হয় মানবতা.
আমি মোটামুটি একটা কমন পরীক্ষা চালিয়ে সীদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, যে সকল শিশুদের শিক্ষা জীবন শুরু হয় মাদ্রাসা বা মন্দিরে. তারা মুক্ত ভাবে বিচার করতে জানে না. অধিকাংশ সময় তারা পক্ষপাত মূলক আচরণ করে. সব কিছুকে ধর্ম দ্বারা সিদ্ধ করার প্রবণতা কাজ করে. অন্যের যোক্তিক মত মেনে নিতে পারেনা. নিজের বিরুদ্ধ মতকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা তৈরী হয়. নিজের অপারগতা গুলোকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় হালাল করার প্রবণতা অনেক বেশি. এরা সব সময় অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়. অধিকাংশ সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়.
তবে এদের সব থেকে ভালো বিষয় হল এরা গুচ্ছ হয়ে জীবন যাপন করতে পছন্দ করে. আমি সবসময় ভীত থাকি যে আমার আর কোন আত্নীয় যেন এমন স্বপ্ন না দেখে যে তার সন্তান হাফেজ হবে. এই জাতীয় হাফেজী অনেক ক্ষতিকর সমাজের জন্য.....

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.