নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ঢেলে ভাত খাওয়া.....

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০



কোরান শরিফ আল্লাহর লেখা না মোহাম্মদের লেখা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। যারা কোরআনকে শুধু আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে বিচার করতে চান তাদের সাথে আমার দ্বিমত আছে।

প্রথমেই যদি ধরে নেই যে কোরান শরীফই একমাত্র সহী-শুদ্ধ জীবন ব্যবস্থা। (Islam Is a complete code of life) তা হলে অবস্যই সেটা ক্ষতিয়ে দেখার দাবী রাখে। ১. কেন এটা সহী? ২. কেন এটাকেই মানতে হবে? ৩. এর সুফল কি কি? ৪. এর কুফল কি কি? ৫. এটা থেকে অধিক সহজ কোন পথ আছে কি?

এই জাতীয় প্রশ্ন হতেই পারে। যখন আমি দাবী করব আমিই শ্রেষ্ঠ তখন সেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান তো দিতে হবে, না কি? যে কিতাব দাবী করে ৭০০ কোটি জনতার মুক্তির পথ, তাকে তো লড়াই করতেই হবে। কিন্তু সেই লড়াইটা কি এরকম যে আমার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলল আর আমি তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিলাম?

যারা ইসলাম মানেন এবং না মানেন। উভয়ের মনেই তো একটা প্রশ্ন আশা খুব স্বাভাবিক যে ইসলামের জন্ম স্থান থেকে শুধু কেন ইসলামের ভালো দিক গুলোই আসে? খারাপ দিক নয় কেন? ইসলামের এমন কি গুন আছে যে তার বিরুদ্ধ সকল মত পৃথিবী থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল? এই প্রশ্ন গুলো কি একবারও মনে আসেনি?

বিষয়টা কি এমন নয় যে, ইসলামের মহানুভবতার সাথে সাথে যদি তার খারাপ/ অত্যাচারের দিক গুলোও আরব জাহান থেকে প্রচারিত হত তা হলে ইসলাম আরো বেশি শক্তিশালী হত? ইসলাম তার বিরুদ্ধ মত গুলো কি ভাবে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিল? ভালোবাসা দিয়ে না কি তরবারী দিয়ে? এই সাধারণ প্রশ্ন গুলো কি আমাদের মনে আসতে পারে না? আমরা কি এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি না?

রোদেলা প্রকাশনী থেকে ইরানী লেখক আলী দোস্তির একটা বইয়ের বাংলা অনুবাদ বের হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দকরে মৌলবাদীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ভয়ে বাংলা একাডেমী পুরো প্রকাশনীটাই বন্ধ করে দিল? এতে কি প্রমান হল?

ইসলাম শান্তির ধর্ম? ইসলাম পরমতকে শ্রদ্ধা করে? ইসলাম সকলের জীবন নিয়ে ভাবে? ইসলাম পুর্নাজ্ঞ?

আমি খুব সোজা সাপ্টা বলি. ইসলাম যদি দাবী করে যে সেই আমার ভাজ্ঞর নিয়ন্ত্রণকারী। তা হলে অবস্যই তাকে আমার কথা শুনতে হবে, আমার সাথে যুক্তি-তর্কে যেতে হবে। বিতর্ক শেষে ইসলাম সত্য প্রমান হল অবস্যই আমি তার অনুসারী হব। ইসলাম মানা বা না মানার মাঝে কোন গৌরব নেই।

বাংলা একাডেমীর এহেন কাজ বহুবার করেছে। কখনো তসলিমা, কখনো হুমায়ুন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ।...... কখনো বই, কখনো প্রকাশনা, কখনো লেখক। যদি বাংলা একাডেমীর সাহসের অভাব থাকে তবে 'অমর একুশে বই মেলার" দায়িক্ত ছেড়ে দেওয়া উচিত। অমর একুশে শব্দের যে ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমীর এই কার্যক্রম কন্ট্রোভার্শিয়াল। সুতরাং এবার তাদের স্থফা দেওয়া উচিত।

বইটিতে কি লেখা আছে আমি পরিনি। আমি জানিনা। সে যাই থাক,ইসলামের পক্ষে বা বিপক্ষে কিন্তু তাই বলে সেটাকে বন্ধ করে দেওয়াটা অন্যায়। এতে বাংলা একাডেমীর কাপুরুষতায় প্রকাশ পায়। যদি এমন চলতে থাকে, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে মুক্ত চিন্তা বলে আর কিছু থাকবে না। কেউ আর কিছু লিখবে না। ভুলে যাবেন না যে আমাদের সব কিছুর মূলেই হল চিন্তার দারিদ্রতা।

যারা বইটির বিপক্ষে অবস্থান করছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা কম না। ভেবে দেখুন তো, বইটির লেখক কে? কোথায় জন্ম? সে কি বলতে চেয়েছে? কেন বলতে চেয়েছে? এতে তার লাভ কি ছিল? এই প্রশ্নগুলো একটু মিলিয়ে দেখুন। ইরানের মত ইসলামিক একটা দেশ থেকে একজন মুসলিম কেন এই বই লেখেন? মাথায় রাখুন যিনি লিখেছেন তিনি আপনার আমার থেকেও সহী: ইসলামকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এর পরেও যদি আপনার দ্বিমত থাকে তবে ঐ বইয়ের কাউন্টার দিয়ে আপনিও একটা বই লিখুন। সঠিক পথে আসুন।

কেন বইটি অযোক্তিক? কোথায় কোথায় ইসলামকে বিকৃত করা হয়েছে? এর পক্ষে আপনার যুক্তি কি? এমন অনেক সমাধান আছে। কোনো বই ব্যান করাটা সমাধান না। তাতে বাংলা একাডেমির ও ইসলামের কাপুরুষতাই প্রকাশ পাবে।

নবী মুহাম্মদ নিঃসন্দেহেই ভালো মানুষ। তবে অবস্যই দোষে গুনে মানুষ। তিনি নিজেই সেটা বলে গেছেন। দোষ বিহীন পুর্নাজ্ঞ মানুষ হয় না। সবথেকে বেশী প্রভাব বিস্তার কারী ক্ষমতাসীন মানুষও তিনি। তার প্রমান আজও আমরা পাচ্ছি। এমন অনেক মুসলিমকে পাওয়া যাবে যারা হাসতে হাসতে তার ধর্মের জন্য নিজের জীবনকে উত্সর্গ করতে পারে। এ থেকেই প্রমান হয় যে তিনি ১৪শ বছর আগে যে প্রভাব ছড়িয়েছেন আজও তার জন্য মানুষ প্রাণ দিতে প্রস্তুত। সুতরাং তার থেকে মোটিভেটিং ক্ষমতা পৃথিবীতে আর কের নেই। এটা প্রমাণিত। কিন্তু এটাও প্রশ্নের দাবীদার, যে মানুষটি প্রথাগত স্কুল কলেজের শিক্ষা পাননি তিনি এত কথা কিভাবে বললেন? তিনি কি আদেও কোন দৈব বাণী পেয়েছিলেন? যদি পেয়ে থাকেন তার সত্যতা কতটুকু? কি উপায় পেয়েছিলেন? কেন পেয়েছিলেন? সেটা বিজ্ঞান সম্মত কি- না?

তিনি নবুয়াত প্রাপ্তির আগে কি করেছেন? কোথায় কোথায় গিয়েছেন? কার কার সাথে মিশেছেন? তাদের জ্ঞানের গভীরতা কেমন ছিল?

ভুলে যাবেন না তিনি ব্যবসার জন্য আরবের চার পাশে বহু স্থানে গিয়েছেন। সেখানে তখন জ্ঞান বিজ্ঞানের কদর ছিল, চর্চাও ছিল।

অনেকে আজ দাবী করেন যে ইসলাম বিজ্ঞান সম্মত। আসলে কি তাই? না-কি ইসলামকে বিজ্ঞানের কন্টেস্টে ব্যাখ্যা করে হালাল করার চেষ্টা করা হয়? ইসলাম কি চুতুরতা নয়? আজকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে ৫০০ বছর আগে কি ব্যাখ্যা তাই ছিল? ৫০০ বছর পরে কি ব্যাখ্যা তাই থাকবে?

দয়া করে কি একটু ভাববেন?

পরিশেষে একটাই কথা, বাংলা একাডেমীর এই কাপুরুষতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।. বাংলা একাডেমিতে যে মৌলবাদের চাষ হচ্ছে সেটা বুঝতে খুব বেশি পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই। সবাই প্রতিবাদের আওয়াজ তুলুন...

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলা একাডেমী, নাকি উর্দু একাডেমী?

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৯

হোৎকা বলেছেন: ারেক ঠাবাবাবার াগোমোন

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৬

বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি নাস্তিক তবে অধিকাংশের চেয়ে আলাদা। নাস্তিকরা অনেক বুদ্ধিমান আর ধার্মিকরা সবাই বোকা এটা মনে করে অনেক নাস্তিক চরম নিরবুদ্ধিতার পরিচয় দেয়। লেখা ভাল লেগেছে ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

এম এ কাশেম বলেছেন: ইসলামকে বুঝার জন্য দয়া করে কোরান ও হাদীস পড়ুন
ালী দস্তীর বই পড়ার দরকার নাই । ফেইখ নামে
দুঃসাহস দেখানোর দরকার নাই।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

সানী রহমান বলেছেন: হারামজাদা ! আলী দোস্তির পা চাটা গোলাম কোথাকার। (আনন্দ কুটুম) তোর মত নাস্তিক এর উপর আল্লার গজব নাজিল হবে শ্রীগ্রই।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

আনন্দ কুটুম বলেছেন: সানী লিওন ভাইয়া... মোনাজাতের শেষে আমিন বলতে হয়. বলুন আমিন.....
আল্লাহর গজবের অপেক্ষায় থাকলাম.।
ভাই, দোস্তির পাই তো দেখতে পারলাম না এখনো. চাটার সুযোগ কোই পাইলাম.
আবাল কোথাকার.....।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: মৌলবাদীদের ভয়ে ভীত হয়ে বাংলা একাডেমির এরকম সিদ্ধান্ত শুধু দুঃখজনক নয়, খুবি নিন্দনীয় ! আর যাই হোক, বাংলা একাডেমি যে অচিরেই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে-- এটা খুব সহজেই অনুমেয় ।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৪

লিট্রিমিসটিক বলেছেন: বাংলা একাডেমী কি করল সেটা নিয়ে বলুন ইসলাম নিয়ে নয়।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:১১

সোহেলী সুলতানা বলেছেন: "এর পরেও যদি আপনার দ্বিমত থাকে তবে ঐ বইয়ের কাউন্টার দিয়ে আপনিও একটা বই লিখুন। সঠিক পথে আসুন।
কেন বইটি অযোক্তিক? কোথায় কোথায় ইসলামকে বিকৃত করা হয়েছে? এর পক্ষে আপনার যুক্তি কি? এমন অনেক সমাধান আছে। কোনো বই ব্যান করাটা সমাধান না। " এক মত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.