নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালন কে?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২০

বিতর্ক চলছে উত্তম গুহ এবং মুরাদ পারভেজের মাঝে. বিতর্কের বিষয় "লালন- তানভীর মোকাম্মেল" শ্রেষ্ঠ না "মনের মানুষ- গৌতম ঘোষ" শ্রেষ্ঠ? একমাত্র শ্রোতা আমি.
উত্তম গুহ যেহেতু আর্ট ডিরেক্টর, সুতরাং তিনি আর্টের দিকটাই বেশি করে উপস্থাপন করছেন. তিনি চেষ্টা করছেন মনের মানুষের আর্টের ভুল গুলো তুলে ধরতে. মুরাদ পারভেজের বিচারে লালনের থেকে মনের মানুষ অনেক অনেক ভালো সিনেমা. কেন? কারণ লালন খুব বিরক্তিকর. শুধু গান আর গান. সেদিক দিয়ে মনের মানুষ অনেক গোছানো ও পরিপাটি.
উত্তম গুহ বললেন লালনের বিশ্ব সম্মানের কথা. সেই সাথে লালন তৈরিতে পরিচালকের সততার কথা. আলোচনা তখন তুঙ্গে. এই পর্যায়ে এসে এটাকে আর বিতর্ক বলা যায় না. আমি খুবই ছোট. শুধু ছোটই না এই দুজন সম্মানিত মানুষের মাঝে পতঙ্গ তমতুল্য.
এবার আমি ভয়ে ভয়ে বললাম- অনুমতি দিলে আমি সামঞ্জস্য সাধন করি. তারা বিরতি নিলেন. এবার আমার পালা.
- বাংলাদেশে মিউজিক ফিল্মের প্রচলন নাই বলে একটি সিনেমায় অনেক গান দেখে আপনার বিরক্ত লাগছে. কিন্তু আমার বিচারে লালন একটা মিউজিক ফিল্ম. লালন বাস্তব জীবনে তার প্রায় সকল দর্শনই গানে গানে প্রচার করেছে. সুতরাং পরিচালক চেস্টা করেছেন লালনকে বাস্তব লালনের মত নির্মাণ করতে.
(এর পরে অবস্য জেনেছিলাম মুরাদ ভাইয়ের লালন ভালো না লাগার আসল কারণ. এবং মজার ব্যাপার হল সত্যিই মিউজিক ফিল্ম সম্পর্কে তার জ্ঞান শূন্য )
যাই হোক, আমি লালন আর মনের মানুষ নিয়ে বেশ কিছু লেখা পড়েছি. এর অধিকাংশই প্রজ্ঞাবান প্রভাষক, লেখক, সাংবাদিকদের লেখা. প্রায় প্রত্যেকের লেখাতেই আমি দেখেছি মনের মানুষের কনসেপ্ট নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে. আবার লালন সিনেমাও পুর্নাজ্ঞ ভাবে লালন হয়ে ওঠেনি. একদিন সাইজির মাজারে বসে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম লালন গবেষক 'লালীম হকের" সাথে. জানতে চাইলাম তানভীর মোকাম্মেলের লালন কেমন হয়েছে?
তিনি অনুযোগের সুরে বললেন- "ওটা হল মন্দের ভালো". তবে মন্দটা কি? মন্দটা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন- আমার জীবনের সব থেকে বড় ভুল হল গৌতম ঘোষকে সাহায্য করা. ও সাইজিকে দিয়ে এইভাবে বেশ্যাবৃত্তি করবে তা কি জানতাম? "
যাই হোক... বর্তমানের ইয়াং দর্শকদের সম্পর্কে আমার অনুমান. খুব কম লোকই লালন দেখেছে. কিন্তু বেশিভাগ দর্শকই মনের মানুষ দেখেছে. অধিকাংশ ইয়াং দর্শক মনের মানুষকে লালনের বায়োগ্রাফি বলে জানে. এটা খুবই দুক্ষজনক.
আমার সব থেকে আফসোসের বিষয় হল বাংলাদেশে যারা লালন দেখেছে বা মনের মানুষ দেখেছে তাদেরা মাঝে ৯৯.৯৯% সত্যিকারে সিনেমা দুটি বুঝতে সম্পূর্ণ অপারগ. তারা বুঝতেই পারেনি লালনের ব্যাপ্তি কতটুকু. আবার ইয়াং লেখকদের কোন লেখাও আমি পাইনি. সুতরাং এটা বুঝে নেওয়া খুব স্বাভাবিক যে লালন বাঙালী দর্শকের কাছে পোশাকি ঘর থেকে এখনো হৃদয় ঘরে উঠতে পারেনি.
এই গ্রুপের সকলকে অনুরোধ করছি সিনেমা দুটি দেখে বিষয়টি আলোচনায় আনার জন্য.
এই দুইটি সিনেমা নিয়ে তুলনা মূলক একটা লেখা লেখব বলে ভাবছি. কিন্তু লেখাটা অনেক বড় হবে. পাঠক পড়ার ধর্য রাখবে কি না তার উপরে নির্ভর করছে লিখব কি না.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.