নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ যদি চলে ডালে ডালে.... ওরা চলে পাতায় পাতায়

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

একটা জিনিস ভেবে মজাই পাচ্ছি........

আমাদের কলেজে সাইকোলজির একজন স্যার ছিল. বয়স চল্লিশ উর্ধ. চিরকুমার. কি শোকে তিনি বিয়ে করেননি তা জানা হয়নি. তিনি ছিলেন নাস্তিক. ধর্ম কর্মে তার কোন আস্থা ছিল না. একবার সবেবরাতের আগের দিন প্রসঙ্গক্রমে বলেছিলেন- "কি লাভ রাত জেগে কষ্ট করে? আল্লাহ আমাদের খুব একটা সুনজরে দেখেন না. এই যে আমরা রোজ নামাজ পরি, একশ মিটার পর পর মসজিদ বানাই, শুক্রবারে গাদাগাদি করে হলেও নামাজ পরি, মসজিদে জায়গা না পেলেও রাস্তায় ঠাডা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে নামাজ পরি. তাতে আমাদের ভাগ্যের কি কোন পরিবর্তন হয়েছে?

শবেবরাতে আল্লাহ মানুষের ভাগ্য লিখতে বসেন. শুরু করেন আমেরিকা দিয়ে. এর পর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মান, জাপান, চীন হয়ে যখন বাংলাদেশে আসেন তখন সূর্য উঠে যায়... কি আর করবেন তিনি.........? তাই লিখে দেন "গত বছরের অনুরূপ একই ভাগ্য নির্ধারিত হইল".. আর দিন দিন তো আল্লাহর বয়স বাড়ছে. বয়সতো আর কমছে না. তাই চাইলেও লেখার স্প্রিড বাড়াতে পারছেন না.....

সেদিন তার এই কথা শুনে বেশ মজা পেয়েছিলাম. পরে ভেবে দেখলাম হিসবটা একই রকম......

আসুন একটু মিলিয়ে নেই.....

সকল জাতীর হেদায়েতের জন্যই খোদা নবী রাসুল পাঠিয়েছেন. তা হলে বাঙালী জাতীর নবী কে ? মাঝে মাঝে ড. জাকির নায়েককে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে শুনি শ্রীকৃষ্ণ আমাদের নবী হইলেও হইতে পারে. সে বিচারে না যাই...

নবী রাসুল পয়গম্বর না আসুক.. তবে হেদায়েত করার জন্য লোক কিন্তু তিনি পাঠিয়েছিলেন. কিন্তু হেদায়েত হলো না. আল্লাহ যতটানা চালাক, তার থেকে বেশি চালাক হল তার অনুসারীরা........ ও সরি সরি... এটা তো বলা যাবে না.. বলতে হবে বিপদ গামী কিছু ধর্মান্ধ. একজন দুইজনের জন্য তো আর আল্লাহকে গালি দেওয়া যায় না. যাই হোক........ যা বলছিলাম....

আল্লাহর থেকে অধিক চালাক প্রাণী হল শিবির, জামাত, তালেবানরা...... আল্লাহ যদি চলে ডালে ডালে.... ওরা চলে পাতায় পাতায়.....

আসুন ব্যাখ্যা জানা যাক.... আল্লাহ আমাদের মুক্তির জন্য যে কয়জন পন্ডিত পাঠিয়েছিলেন তার সব গুলোকেই জামাত কতল করে দিল ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে.. ছিটকে ছুটকো যা ছিল তা সব গিয়ে ভিরলো আওয়ামীলীগের দলে. এর পরে ১৯৭৫ সালে সেখের বেটাকে ফুটুস করা হল, কিছুদিন পরে ফুটুস হল জিয়া সাহেব. এর পরে দীর্ঘদিন গেল... জাহানারা ইমাম, দেশ থেকে তাড়ানো হল তসলিমাকে, এর পরে হুমায়ুন আজাদ, এর পরে থাবা বাবা, এর পরে অভিজিত.... এর মাঝে আরো আছে.... যে কয়জনের নাম মনে আছে বলতে গেলে দিন ফুরাবে....

সুতরাং আল্লাহ কিন্তু দিয়েছিলেন মুক্তির কাণ্ডারীকে. কিন্তু এদেশে তো তা হবে না........ এটা তো পাকিস্তানের সম্পত্তি... "জ্ঞান চর্চার জন্য সুদুর চীনে যাও........." সেই ভদ্র লোকের এই কথা এই দেশে খাটবে না. এই দেশে তার সেই কথাটাই খাটবে.... "কতল কর সব অবিশ্বাসীদের" . এর আগে পরের লাইনও কিন্তু খাটবে না. শুধু কতল করাটাই খাটবে.... এটাই হল আমাদের সবে বরাতের লিখন..... অতএব এদেশে জ্ঞান নিষিদ্ধ গন্ধম.....



আরেকটা সত্য কথা বলি..........

সব কিছু দেখে চুপ করে থাকার নাম হল, হুমায়ুন আহমেদ.

আর সব কিছু দেখে, অন্যদের দেখানোর নাম হল, হুমায়ুন আজাদ...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.