নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নারী ভাগ্য ভয়ংকর মাত্রায় ভ.।.।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০১

ভেবে দেখলাম পৃথিবীর সকল হিসাব নিকাশের উর্ধে উঠে, আমি কন্যা রাশির জাতক। এর মানে হল, আমার রাশি বিচারে গণকদের স্পেশাল সূত্র এপ্লাই করতে হবে। কারন আর কিছুই না, কারন হল আমার নারী ভাগ্য ভয়ংকর মাত্রায় ভাল। বলতে গেলে হিংসাত্মক মাত্রায় ভাল। আমার রাশি যে কোন পুরুষের নিকটই হিংসার কারন তার কিছু নমুনা নিচে দেওয়া হল।
আমার বড় মায়ের (নানীর মা) বয়স ১০০ ছুই ছুই অবস্থা। কোমর ভেঙ্গে বিছানায় পড়ে আছেন আজ অনেক বছর। কিন্তু এখনো তাঁর বাড়ির বারান্দায় আমার ছায়া দেখলেই চেচিয়ে বলেন- “ওরে কে কোথায় আছিস রে, সুমন আমারে দেখতি আইছে”। সুমন হল আমার পারিবারিক নাম। যার অর্থ হল ভাল মন। এই ১০০র কোটায় দাঁড়িয়ে তাঁর নাতি নাত্নিদের নাম মনে করতে গেলে নিশ্চিত তাঁর হার্ডডিক্স ফেল মারবে। কিন্তু তিনি দিব্যি মনে রেখেছেন তাঁর নাত্নির ছেলের নাম। আমার বিশ্বাস তিনি আমার মায়ের নামও ঠিক ঠাক জানেন না। কিন্তু আমার নাম জানেন। প্রতিবারই তাকে মনে করিয়ে দিতে হয় আমার মায়ের নাম। তিনি সব ভুলে গেলেও মনে রেখেছেন- সুমন গাছে উঠে বোড়ই পাড়তে পছন্দ করে, আলুভর্তা দিয়ে অনেক ভাত খায়, ডাল খায় সুরুত সুরুত শব্দ করে। বাঁদরামিতে বাঁদরকেও হার মানাবে। আমার বিশ্বাস তাঁর জীবদ্দশায় যদি আমার সন্তান জন্ম নেয়। তবে তিনি তাঁর নামও মুখস্থ করে মৃত্যু নেবেন।
আমার বড় মায়েরে কোন ছেলে ছিল না। তিনটি মেয়ে। এই তিনজনের সাথেই আমার চূড়ান্ত প্রেম হয়েছে। এখনো চলে মান অভিমান পর্ব। আমার নানার বোন, নানীর বোন, নানার ভাইদের বউ, সবার সাথেই আমার মাখামাখি মাত্রায় প্রেম। আমার মাথা নষ্ট করা সুন্দরি নানীর অন্য নাতি/নাত্নিদের আল্লাহ দোআঁশ কাঁদা দিয়ে বানিয়েছেন, আর আমাকে পচা মাটি দিয়ে বানিয়েছেন বলে আমার প্রতি তাঁর মায়াটা একটু বেশি। অনেকটা পারশিয়াল্টি টাইপের দরদ।
আমার নানীর খালি মেয়ে হত, তাই আমার মা-খালা মণিরা নয় বোন। আমার প্রতি এদের প্রেম দেখলে যে কোন ভাই বোনেরই হিংসা হয়। বড় খালা দুধ রান্না করলে প্রতিদিন পাতলা হয় হয়। কিন্তু আমি যেদিন তাঁর বাড়িতে যাই সেদিন ঘন হয়ে যায়। কি বুঝলেন? সুমন, মৌচাকে ঢিল দিত, ওর জন্য এই এক বোতল মধু থাক। সুমন, কৈ মাছ পছন্দ করে, এই শোকে আমার এক খালামনি কৈ মাছ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আমার মামিরাও একই ধরনের।
আমার বোনের সংখ্যা ১৪ জন। এগুলো সব আপন বোন। লতায় পাতায় বোনের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন হবে। প্রত্যেকের কাছেই আমি একটি বেতিক্রম চরিত্র। মারামারি, খুনসুটি কম হয় না। প্রায় সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু কারো কারো বিয়ের পরেও এই বেকার ভাইয়ের কাছে চুড়ি, কানেরদুল, টিপের আবদার ফুরায়নি।
আমার বড় আপার পরিস্থিত প্রায় আমার নানীর মত। তাঁর পর পর তিন মেয়ে। ভাগ্নি আছে ১১ টা। বড় হয়ে গেছে অনেকেই। এখন আর আগের মত দেখা হলেই লাফ দিয়ে কোলে উঠে চুমু খেতে পারে না। কিন্তু চোখের দিকে তাকালেই বুঝি এই অপদার্থ মামার কোলে ওঠার এক ব্যাকুল বেদনা আজো বুকে জমে আছে।
আমার বড় ভাগ্নিটা কিছুদিন আগে মা হয়েছে। জন্ম দিয়েছে একটি ফুটফুটে কন্যার। হিসাবে আমি তার নানু ভাই। ভাবছি আমার এই নাতনীটা একটু বড় হলেই প্রেম করব।
আমার ছেলে বন্ধুর থেকে মেয়ে বন্ধুই বেশি। একারনে মেয়ে বন্ধুদের প্রেমিকদের হুমকি ধামকি আমার কাছে ডাল-ভাত টাইপ ব্যাপার। কেন কচিং এর সুন্দরী মেয়েটি রিক্সায় না যেয়ে, রোজ আমার সাথে পায়ে বাড়িতে ফেরে? কেন মোবাইলের শেষ ডায়েল নাম্বারটি একটি মেয়ের? কেন মেয়েদের সাথে আমার এত খাতির? কেন মাস্টার্সের আপুরা আমাকে বন্ধু বলে পরিচয় দেয়? কেন আমি মেয়েদের সাথে আড্ডা মারি? এই জাতীয় প্রশ্ন তো হর হামেশাই শুনতে হয়।
খেয়াল করে দেখেছি, বন্ধুদের থেকে বন্ধুর বোনেরাই আমার বেশি ক্লজ। বন্ধুর মায়েদের বক্তব্য শুনলে তো আবেগ ধরে রাখা দায়- “বাবা আমার তো একটি মাত্র ছেলে না। তুমিও আমার আরেকটি সন্তান” । বন্ধুদের অভিযোগ তাঁর মায়েরা জমা দেন আমার কাছে।
আজ হিসাব করে দেখলাম- কলেজে ঢোকার পরে প্রথমে যে মানুষটি মুলাকাত করে/ বুকে জড়িয়ে ধরে বা হ্যান্ডসেক করে সেও একটা মেয়ে। যে ক্লাসের দরোজা খুলে দেয় সেও একজন মেয়ে। আমার স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব জায়গাতেই শিক্ষকের থেকে শিক্ষিকার সংখ্যাই বেশি ছিল। এখনো তাই। এযাবতকাল প্রায় ৮৫ জন মেয়ের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব এসেছে। পিজিতে যে ৫ জন মহিলা ক্লিনার আসে আরাও আমাকে অনেক স্নেহ করে। যে বুয়া খাবার দেয় সেও ভালোবাসে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কণ্ঠস্বরটি শেষ বারের মত বাই বলে, সেটাও একটি মেয়ের কণ্ঠ।
এত এত নারী প্রতিদিন আমাকে ভালোবাসায় সিক্ত করে, স্নেহ করে, আদর করে.........। এর বিনিময় আমি একটি জিনিসই ফেরত দিতে চাই। তা হল সম্মান। আসুন আমরা নারী নির্যাতনকে না বলি। নারীদের সম্মান করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

কাক ??? বলেছেন: ভাল লাগল ++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.