নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্রে উচ্চ শিক্ষা নিতে চান?? ভারত সরকারের বৃত্তিই হতে পারে শ্রেষ্ঠ সুযোগ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

যারা চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে ভারত সরকারের স্করাশিপ সম্পর্কে বিশদ ভাবে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই লেখা। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নতুন কোন প্রশ্ন মনে আসলে কমেন্টে প্রশ্ন করুন। উত্তর দেওয়ার শতভাগ চেষ্টা থাকবে। কিন্তু অবান্তর প্রশ্ন থেকে বিরত থাকুন।
*
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ২০০ বাংলাদেশীকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ১০০ সক্লারশিপ থাকে ICCR এর পক্ষ থেকে। বাকি ১০০ MEA এর পক্ষ থেকে। কিন্তু ২০০ স্কলারশিপ একই সময় যাচাই বাছাই করা হয় ভারতীয় হাই কমিশন- ঢাকার মাধ্যমে। প্রতি বছর ডিসেম্বার মাসে আবেদনের জন্য আহবান করা হয় (ফর্ম ছাড়া হয়েছে)। সার্কুলারের সময়ই জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদনের শেষ তারিখ কবে হবে।
এই ২০০ স্কলারশিপ বণ্টন হয়, UG, PG, Ph.D./Post Doctoral (excluding Engineering) কোর্স সমূহের মাঝে। ২০০ স্কলারশিপের মাঝে স্নাতক পর্যায় কয়টি বা স্নাতকত্তর পর্যায় কয়টি, সেটা সম্পর্কে ওয়েব সাইটে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
মূলত গ্রাজুয়েশন/ সম্মান লেভেলে ভারত সরকার চলচ্চিত্র বিষয়ে কোন প্রকারের স্কলারশিপ দেয় না (পূর্বের লাইনটি আবার পড়ুন)। চলচ্চিত্রের জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হয় মাস্টার্স লেভেলে। যদিও এই ডিগ্রীর নাম ডিপ্লোমা ডিগ্রী। কিন্তু এটা মাস্টার্স সমমানের। কোর্সের ব্যাপ্তিকাল তিন বছর।
যারা চলচিত্রের বিভিন্ন শাখায় আবেদন করবেন, তাদের আবেদন করতে হবে মাস্টার্স লেভেলে। সে ক্ষেত্রে আবেদন কারীকে বিশ্বের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম পক্ষে সম্মান/ পাস কোর্স সমপর্যায়ের ডিগ্রীধারী হতে হবে। চাইলে মাস্টার্স ডিগ্রীধারীরাও আবেদন করতে পারবে।
যারা চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে আবেদন করতে চান তারা আবেদনের সময়ই নিজের পছন্দের বিষয় ও পছন্দের ইন্সটিটিউট সম্পর্কে ফর্মের নির্ধারিত জায়গায় জানিয়ে দিতে হবে। তার আগে অবশ্যই ঐ ইন্সটিটিউটের ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নিতে হবে যে আপনার পছন্দের ইন্সটিটিউটে ঐ সাবজেক্টটি আছে কি না। উক্ত ইন্সটিটিউটে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে স্কলারশিপ প্রাপ্তদের ভর্তি করা হবে।
যারা চলচ্চিত্রের জন্য আবেদন করবেন, তাদের আবেদন পত্র মাস্টার্স পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হবে। আপনাকে ঐ বছর মাস্টার্সের জন্য যত জন আবেদনকারী আবেদন করবে তাদের সাথে লড়াই করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা প্রকারের কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। এমন কি আপনি প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র মেকার হলেও না। কিন্তু আপনার সকল প্রকারের এটাস্টমেন্ট আবেদনের সময় পিডিএফ আকারে ভারত সরকারকে পাঠিয়ে দিতে হবে। সকল স্নাতকোত্তর পর্যায়ে জমা পড়া আবেদন পত্র যাচাই বাছাই হয়ে গেলে ১ম পর্যায়ের রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।
১ম পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ। আপনি এখন সেই সৌভাগ্যবান মানুষদের একজন যারা ভারতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এবার ২য় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন। আপনার গ্রাজুয়েশনের বিষয় ও যে বিষয় মাস্টার্স করতে চান তার সংমিশ্রনে প্রশ্ন সাজানো হবে। ২য় পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পরে আপনাকে ৩য় বার চুরান্ত মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এবার নিজেকে একটু অন্য ভাবে তৈরি করুন। এখন শুধু নিজের আগ্রহের বিষয়ে ফোকাস করুন। নিজের যত ভিজুয়াল কাজ, ছবি, সার্টিফিকেট, সুপারিশ নামা, নিজের কাজ/ সহকারী কাজ সব কিছু এক জাগায় জড় করে এস্ট্রং ও ব্যাতিক্রমি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। নিজের ইংরেজি ঝালিয়ে নিন। চলচ্চিত্রের যে শাখায় পড়তে চান সেই বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা গুলো ঝালাই করে নিন। সাধারণত ভাইবা পরীক্ষায় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রাক্টিক্যাল কিছু করে দেখাতে হয় না। কিন্তু হুট করে এডিটিং, লাইটিং, গ্রাফ, স্কেস, সেট ডিসাইন, স্টোরিবোর্ড করে দেখাতে বলতে পারে। তার জন্য প্রস্তুত থাকুন। ভাইভা লেভেলে চলচ্চিত্রের কারিগরি দিক থেকে তাত্ত্বিক দিক নিয়ে বেশি প্রশ্ন হতে পারে। নিজেকে তার জন্য প্রস্তুত করুন। মনে রাখুন আপনি কোটি কোটি মানুষকে নিজের মনের কথাটি সিনেমায় বলতে চান। সুতরাং ৪/৫ জন মানুষের সামনে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর করুন। না পারলে সরাসরি জানিয়ে দিন আপনি জানেন না। অকারন কথার ঘনঘটা ঘটাবেন না।
ফাইনাল রেজাল্ট বের হলে আপনাকে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্ধারিত দিনে গিয়ে অফারলেটার গ্রহণ করে ভর্তি প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হবেন।
চলচ্চিত্রে স্কলারশিপ প্রাপ্তরা সাধারনত 'ফিল্ম & টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া- পুনে, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম & টেলিভিশন ইন্সটিটিউট- কোলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়- যাদবপুর পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। এর মাঝে SRFTI & FTII তে প্রতিটি বিষয় সিট সংখ্যা ১০ টি করে। এর মাঝে ৮ টি সিট ভারতীয়দের জন্য। বাকি ২ টি সিট সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। এই দুইটি ইন্সটিটিউটে কোন বিদেশী নাগরিকের জন্য সেলফ ফিনান্সে পড়ার সুযোগ নাই। এখানে বিদেশীদের পড়ার এক মাত্র মাধ্যম হল স্কলারশিপ। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আপনি সেলফ নিনান্সে ভর্তি হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে প্রতি বছর ২০০০ থেকে ৫০০০ ডলার।
এর বাইরে কিছু কিছু শর্ট কোর্স ও অয়ার্কশপের জন্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা সময় স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সেই সাথে সেলফ ফিনান্স নিয়ে বিস্তারিত পরের লেখায় পাবেন। লেখা পড়তে সঙ্গেই থাকুন।

[নিচে প্রতিটা ইন্সটিটিউটের ওয়েব সাইট দিয়ে দিলাম। মনে কোন প্রকারের প্রশ্নের উদয় হলে ওয়েবে ঢুকে দেখুন। অনেকের মাঝে ওয়েব সাইট পড়ার আগ্রহের প্রচুর ঘার্তি রয়েছে। তাদের জন্য বলতে চাই, যারা সময় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট পড়ার ধর্য রাখে না তারা এই স্কলারশিপ পাবার যোগ্য না। তারা অন্য লাইন দেখুন। ধন্যবাদ। ]

[http://iccr.gov.in/]
[http://hcidhaka.gov.in/]
[http://www.ftiindia.com/index.html]
[http://srfti.ac.in/]
[http://www.jaduniv.edu.in/]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.