নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সতীত্বের প্রসঙ্গে আমার স্ত্রী সতী। আপনার স্ত্রী???

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পের নায়ক একজন MBBS ডাক্তার। বাসর রাতে তিনি পরিকল্পনা করেই বিছানায় সাদা চাঁদর বিয়েছিলেন। হাতের কাছে সাদা একটা রুমালও রেখেছিলেন। সব কিছুই তো হল, কিন্তু রক্ত কোথায়?? তার মনে সন্দেহ ঢুঁকে গেল। স্ত্রী একটি কলেজের লেকচারার। স্বামীও শরীফ আদমি। তাই সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে স্ত্রীকে কোন প্রকারের প্রশ্ন করতে সাহস করেনি। কিন্তু তার মনের মাঝে জন্ম নেওয়া সন্দেহ তাকে কুড়ে কুড়ে খেত। তিনি রোজ এই গোপন রক্তের সন্ধান করতেন। স্ত্রীর প্রতি এই সন্দেহ তাকে মানুষিক বিকারগ্রস্থতার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে তিনি একজন মানসিক রোগের ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর সাংসারিক সুখ সুবিধা?? সে তো দূরকি বাত!!!
এই ঘটনার সাথে আমার এক স্কুল বান্ধবীর জীবনের গল্প মিলে গিয়েছিল। স্কুলে থাকতে আমরা একই সাথে স্কাউট করতাম। একবার স্কাউট এক্টিভিটিস করতে গিয়ে তাকে গাছে উঠতে হয়েছিল। দেখলাম গাছ থেকে নেমে সে মাঠে জড়সড় হয়ে বসে আছে। পাজামা রক্তে ভিজে লাল। পরে তাকে হস্পিটালাইজ করা হয়েছিল। ইন্টার পাশ করার পর মেয়েটির বিয়ে হয়। কিন্তু সেই পুরাতন প্রশ্ন- সবই তো হল। তবে সেই সতীত্বের চিহ্ন কোই? বান্ধবীর স্বামী আর ঐ ডাক্তারের মত শরীফ ছিলেন না। তিনি মুখ ফুটে বলেই ফেলেছিলেন- তুমি তো সতী না। মেয়েটি ভেবেছল তার ব্যাখ্যা তার স্বামী নিশ্চয়ই বিশ্বাস করবে। এতো দিনের প্রেম!! কিন্তু করেনি। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনা ইনকোয়ারী করতে স্বামী এসেছিল সেই স্কুলে। গার্লস গাইডের ম্যামের কাছে জানতে চেয়েছিল এই ঘটনার সত্যতা। ম্যামের কথা শুনে সে শান্তি পেয়েছিল বটে কিন্তু কষ্ট পেয়েছিল আমার সেই সুন্দরী বন্ধুটি। শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটা তালাক পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
ম্যাম বলেছিলেন- "আজ প্রায় ৪০ বছর সংসার করছি বাবা। আল্লাহ্‌র রহমতে সুখেই আছি। সংসার টিকে থাকে কেন জান?? পারস্পরিক বিশ্বাস আর মর্যাদার জন্য। স্ত্রীকে সম্মান করা শেখ।"
প্রায় প্রায় বন্ধুদের মাঝে একটা অদ্ভুত আলাপ শুনি। কে কয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে? কয়জনের সতীত্ব ছেঁদ করেছে? কয়জনের গোপন অঙ্গে প্রবেশ করেছে? এগুলো। কখনো কখনো এই অধিক সংখ্যক মেয়েদের ভিড়ে তার নিজের গার্ল ফ্রেন্ডও থাকে। যার সাথে তার সত্যিকারের সম্পর্ক বলেই আমি জানি।
- আচ্ছা তুই যে নিজের প্রেমিকা সম্পর্কে এতো বাজে কথা বলিস। ওকে নিয়ে সংসার করবি কি করে??
- ওকে নিয়ে সংসার করতে যাব কেন??
- তো? কাকে নিয়ে করবি??
- চাকুরী পেলে একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে তাকে নিয়ে সংসার করব।
- আচ্ছা ভালো মেয়ে। তো এই ভালোর সংজ্ঞা কি??
- যে সকল মেয়ে সতী তারা।
- আচ্ছা তুই কি ভালো বা সৎ??
আলাপ আসলে এখানেই থেমে যায়। অনেক ছেলেদেরই মনের সুপ্ত বাসনা থাকে যে, প্রেম করবে আমেরিকান স্টাইলে। আর বিয়ে করবে সৌদি আরবের স্টাইলে। প্রেম করবে, মেয়েকে বিছানায় তুলবে। কিন্তু বিয়ের রাতে মেয়েদের সতীত্ব খুঁজবে। আজব বড় আমাদের চাওয়া!!
এই যে একটি ছেলে ১০/১৫ জন মেয়ের সতীত্বের পর্দা ছিঁড়ে দিল। ছেলের চেহারা একটু বলিউড হিরো টাইপ হলে তো কথাই নাই। কখনো কখনো সেটা ৫০/ ৬০ এ গিয়েও ঠেকে। এমন করে সবাই যদি করে তবে তো সতী নারী বলে আর কিছু থাকার কথা না। ছেলেদের নিজের সততার দিকে নজর নাই। কিন্তু প্রেমিকা বা স্ত্রীর সতীত্ব নিয়ে এরা অনেক বেশি মনযোগী।
*** দয়া করে আবার এই উদ্ভট দাবী করে যেন বসবেন না যে, "আমি জীবনে কখনো কোন মেয়েকে স্পর্শ করিনি। আমি কিন্তু সতী নারী ডিজার্ভ করি।"
আসুন তার আগে আমরা একটু নিশ্চিত হই সততা আসলে কি?? এই বিষয় বাংলা ভাষায় সব থেকে সুন্দর সংজ্ঞাটা দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন- "আমার মতে সতীত্বের সাথে যৌনাঙ্গের কোন সম্পর্ক নাই। বরং সম্পর্ক আছে আছে সততার, হটকারিতার, চাতুরটার, মিথ্যাচারের, অবিশ্বাসের।"
অল্প কথায় অনেক সুন্দর করেই তিনি বুঝিয়েছেন। আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার পারস্পরিক বিশ্বাস আর মর্যাদাটা আছে কি না এটাই বড় কথা। সে আপনার প্রতি কমিটেড কি না বা সে আপনাকে ভালোবাসে কি না সেটাই মুখ্য। আমার প্রশ্ন হল- নারীর প্রথম পর্দা ছেদনের মাঝে কি কোন গৌরব আছে?? কি এর সুফল আর কি এর কুফল?? বা ধরেন একজন অসতী নারী, মানে যার আগে বিয়ে হয়েছিল বা যে আপনার আগে অন্য কারো সাথে তার সেক্স সেয়ার করেছেন। এমন কোন নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে অনুভূতি গত কোন পার্থক্য হয় কি??
যাকে আমরা সতী পর্দা বলি, অনেক কারনেই তা ক্ষতি গ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু তাই বলে আপনার স্ত্রী/ প্রেমিকার প্রতি আপনার বিশ্বাস ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে?? পশ্চিমের প্রায় সকল মেয়েই ১৬ বছরের মাঝে তাদের সেক্স সেয়ার করে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই করে। তাই বলে আপনার কি মনে হয় তারা বিবাহিত লাইফে সুখী না?? তারা অবিশ্বাস নিয়েই জীবন পার করে দেয়?? নাকি তারাও ভালোবাসে, বিশ্বাস করে নিজের পার্টনারকে।
যৌন পর্দা একটি স্বাভাবিক অঙ্গ। যেমন পুরুষের চোখ, মুখ, হাত, রক্ত, অস্থি বা যৌনাঙ্গের চামড়া। নানা কারনে এগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তেমনই হতে পারে নারীর ক্ষেত্রেও। সুতরাং এগুলোকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে শিখুন। আর বিয়ের আগে বিশ্বাস করে কারো সাথে সেক্স সেয়ার করা মানেই সে অসতী না। জীবন কোন ছকে বাঁধা খেলা না। এর অনেক রঙ, অনেক পথ, অনেক অলিগলি। সুতরাং আপনি তাকে কোন ভাবেই একটি সংজ্ঞা দ্বারা ব্যাখ্যা করতে পারবেন না।
প্লিজ আমার বক্তব্যের ভুল বুঝবেন না। আমি কিন্তু যৌনতার যথেচ্ছাচার সাপোর্ট করছি না। কিন্তু প্রতিটা ঘটনার কিছু ব্যাখ্যা আছে। গোপনীয় কিছু ব্যাথা আছে। নারীর এই গোপন রক্ত খোঁজার থেকে সেই গোপন ব্যাথাটা খুঁজে দেখুন। কেন কোন মুহূর্তে সে কষ্টটা পেয়েছিল।
যৌনতা জীবনের একটি অংশ। পুর্নাজ্ঞ জীবন কিন্তু নয়। তাই শুধু যৌনতার জন্য পুরো জীবনটা বিষাক্ত করে তুলবেন না।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

গ্রিন জোন বলেছেন: বিয়ের পর আমিও এ বিষয়ে একটা আঘাত পেয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম কেউ একজন বিষয়টি নিয়ে আমাকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে খেপিয়ে তুলেছিল যাতে ডিভোর্সের দিকে গড়ায়। কিন্তু আমি তো সেটা বুঝি আসল কি নকল। সুতরাং যৌন পর্দা নানা ভাবে হাটা চলাফেরা নামা উঠা ইত্যাদির মাধ্যমেও ছিড়ে যেতে পারে। এ নিয়ে যারা তালাক পর্যন্ত গড়ায় ও ব্যাটা আসলে নপংশুক........

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

আনন্দ কুটুম বলেছেন: চিরজীবী হন ভাই। সুখে থাকুন। জীবন সুন্দর। সেই সুন্দরকে অনুভব করুন। আপনাদের জন্য শুভ কামনা।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: "আজ প্রায় ৪০ বছর সংসার করছি বাবা। আল্লাহ্‌র রহমতে সুখেই আছি। সংসার টিকে থাকে কেন জান?? পারস্পরিক বিশ্বাস আর মর্যাদার জন্য। স্ত্রীকে সম্মান করা শেখ।"

এই কথাটি ভেবে দেখার মতো টপিক!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
যৌনতা জীবনের একটি অংশ। পুর্নাজ্ঞ জীবন কিন্তু নয়। তাই শুধু যৌনতার জন্য পুরো জীবনটা বিষাক্ত করে তুলবেন না।

গ্রহন যোগ্য উপদেশ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

আরজু পনি বলেছেন:
সময় নেই তবু্ও পুরোটা না পড়ে পারলাম না।
আপনার ভাবনার শেয়ারগুলো সত্যিই অসাধারণ ।

পারস্পরিক সম্পর্ক টিকে থাকে শ্রদ্ধা আর ধৈর্যের কারণে ।
শুভেচ্ছা রইল, কুটুম ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

আনন্দ কুটুম বলেছেন: আপনার সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন । ভালো লাগলো ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পোস্টে +++++

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

নতুন বলেছেন: একটা পদা`র সততা জীবনের সততার সাথে মেলানো ঠিক না।

জীবন অনেক বড়।

"আজ প্রায় ৪০ বছর সংসার করছি বাবা। আল্লাহ্‌র রহমতে সুখেই আছি। সংসার টিকে থাকে কেন জান?? পারস্পরিক বিশ্বাস আর মর্যাদার জন্য। স্ত্রীকে সম্মান করা শেখ।"

স্ত্রীকে সম্মান করতে হবে এবং ভাল বন্ধুত্ব থাকতে হবে। তবে যেই ভালবাসা তৌরি হবে সেটা সারা জীবন থাকবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

আরব বেদুঈন বলেছেন: অসাধারণ অসাধারণ।আসলেই বিস্বাসেই টেকে সংসার

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

অবাক ভালবাসা বলেছেন: learn free graphic deisgn at your home

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

আনন্দ কুটুম বলেছেন: আমাকে এসে শিখিয়ে যান ভাই

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

সামিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন: " এই যে একটি ছেলে ১০/১৫ জন মেয়ের সতীত্বের পর্দা ছিঁড়ে দিল। ছেলের চেহারা একটু বলিউড হিরো টাইপ হলে তো কথাই নাই। কখনো কখনো সেটা ৫০/ ৬০ এ গিয়েও ঠেকে। "

সাংঘাতিক খবর !!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

আনন্দ কুটুম বলেছেন: আপনি জানতেন না??? কি বলেন??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.