নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের মাঝে \'স্লাম\' আছে, জানেন কি??

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ধর্ম নিয়ে কথা বার্তা বলা আমি প্রায় ছেঁড়েই দিয়েছি। এতে হয় কি!! ব্যাক্তিগত সম্পর্ক গুলোয় ভাঙ্গন ধরে। সামাজিক কোন পরিবর্তন ঘটলেও ঘটতে পারে। কিন্তু ব্যাক্তিগত জীবনটা বিষিয়ে ওঠে। আর যেহেতু গণমাধ্যমে কাজ করি। তাই বিতর্কিত বিষয় গুলো এড়িয়ে জীবনযাপন করাটা জরুরী। সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি যে, কি দরকার লেখার? এর থেকে বরং নিজের যা বিশ্বাস, নিজের যা আলো, সেগুলো নিজে নিজেই চর্চা করলে তো হয়ে গেল। আর বড় জোর নিজের সন্তানদের সঠিক পথটা দেখিয়ে গেলেই হল। তাতে অন্তত আর যাই হোক শত্রু বৃদ্ধি হবে না। কিন্তু না আমি ভুল ভেবেছিলাম।
ছোট বেলা থেকেই আমার উচ্চারণ জনিত সচেতনতা ছিল। এখনো আছে। তাতে হয়কি, কণ্ঠের ওঠা নামার কারনে শব্দের সাউন্ড বেশ মধুর হয়। ছোট বেলা থেকেই আমি সালাম দেই, স্লামালাইকুম বলে। আর ইসলাম শব্দটি উচ্চারণ করতে গিয়ে "ই" বর্ণটি দ্রুত উচ্চারণ করি। তাতে সমস্যা হয় পরবর্তী বর্নগুলোতে একটা ধাক্কা অনুভুত হয়। কিন্তু শুনতে খারাপ লাগে বলে আমার মনে হয়নি।
সেদিন এক বিদেশী মহিলার সাথে স্কাইপ মিটিং করছিলাম। বিষয় ব্লগার হত্যা। মিটিংটি চলার সময় একজন আবিষ্কার করল আমি ঠিক ইসলাম উচ্চারণ করছি না। তা হলে কি করছি? করছি "স্লাম"। তিনি আমার স্লামালাইকুম থেকে আবিষ্কার করলেন [স্লাম+আলাইকুম=স্লামালাইকুম] আর [ ইসলাম এর 'ই' বাদ দিয়ে আবিষ্কার করলেন 'স্লাম'] । বিষয়টা তখন আর আমার ব্যাক্তিগত থাকল না। তার অনুভূতিতে আঘাতের পর্যায়ে চলে গেল। এই নিয়ে সে তো আমার সাথে তুমুল কান্ড করে বসল। কি করল তা আর নাই বা বলি।
ইসলাম শব্দটিকে বিশ্বব্যাপী নানা ভাবে উচ্চারণ করতে আমি দেখেছি। যেমনঃ ইসলাম, ইজলাম, ইছলাম, ঈজলাম ইত্যাদি। কেউ কেউ শুধু সালাম বলে সম্বোধন করে, কেউ কেউ আসসালামুয়ালাইকুম বলে। কেউ বলে ওয়ালাইকুম। মূল বিষয়টা হল আমি পরের সাথে কানেক্ট হতে পারলাম কি না এটাই মুখ্য। বিশ্বব্যাপী আজ এটাই প্রাক্টিস হচ্ছে। আর আমরা??
ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় আমি ব্যাঙ্গালরে থেকেছি। সাউথ ইন্ডিয়ান ভাষা সম্পর্কে যারা নুন্যতম আইডিয়া রাখেন তারা নিশ্চই জানেন যে, তাদের ইংলিশ উচ্চারণ কত বিদঘুটে। যেমনঃ ফ্রেন্ড=ফ্রেন্ডা, ফুড=ফুড্ডা, কাম=কাম্মো । আসলে বাঙ্গালিরই যত সব বাড়াবাড়ি।
যে ছেলেটি আমার সাথে সেই রাতে এরোগেন্ট ব্যাবহার করল, সে কিন্তু এই শহরেরই একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শেষ পর্যন্ত শিক্ষাটা আসলে সার্টিফিকেতেই থেকে গেল। আফসোস।
আমি শকড হয়েছি এটা ভেবে যে, একটা তরুণ তার মস্তিষ্কে কতোটা নেগেটিভ চর্চা করতে পারলে সম্ভব এই দুটো শব্দের মাঝ থেকে "স্লাম/বস্তি" আবিষ্কার করা?? ঠিক যেন, রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে লুকিয়ে থাকা ইসলাম, মেসির হাটু গেঁড়ে দাঁড়ানোর মাঝে ইসলাম, হাতের পাঞ্জার মাঝে আল্লাহু আর কুরবানির মাংসে আল্লাহু লেখা খোঁজার মত মানসিকতা।
যদি ইংরেজি 'স্লাম' শব্দের বাংলা অর্থ হত তাজমহল/ কোহিনূর তা হলে সে কি আচারন করত সেটা ভাবার চেষ্টা করছি।
এরা আমার দেশের ভবিষ্যৎ। এদের অনুভূতি আছে। তাতে আঘাতও লাগে। কারনে তো লাগেই আবার অকারনেও লাগে। ভাবছি দুনিয়ার সকল অনুভূতি জনিত আঘাত কেন আল্লাহ্‌ শুধু এই জাতীকে দিল?? একবার ভেবে দেখুন অনুভূতির আঘাত আজ কোথায় পৌঁছে গেছে?? আমার ব্যাক্তিগত জীবনও আজ আপনার অনুভূতির বাজারে পণ্য হয়ে গেল। হায়রে অনুভূতি। তুই টিকে থাক। আমি না হয় বিলিই হলাম।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

পলাশ রহমান বলেছেন: একেক জাতী একেক ভাবে উচ্চারণ করে এতো দোষের কিছু হয় না। কিন্তু আরবীর বেলায় বিষয়টা একটু ভিন্ন, আরবী ভাষায় উচ্চারণের সাথে অর্থ পরিবর্তন হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক অনেক। তবে আপনি যা লিখেছেন তাতে মনে হয়েছে এতটা প্রতিকৃয়া না দেখালে কোনো ক্ষতি হতো না। যদি আপনার অন্য কোনো কথায় সে বিরক্ত হয়ে না থাকে।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সীমালংঘন ও ইচ্ছেকৃত ভুল উভয়ই খারাপ বিষয়।

আশা করি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কারো অনুভূতিতে হাত দেন নি।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৫

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: যদি ও সালাম আরবি শব্দ সবাইতো ঠিকই উচ্চারণ করে , আপনি আবার কি করে বসলেন ? আসসালামু আলাইকুম । উত্তরঃ ওয়ালাইকুম সালাম বা ওয়ালাইকুমুস সালাম পরেরটা একটু বেশি সঠিক উভয়টা তো চলে । অর্থঃ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক । আপনার উপর ও শান্তি বর্ষিত হোক । ইয়াহুদি রা নাবী ( সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতো ) আচ্ছামু আলাইকুম ইয়া আবাল কাসেম অর্থঃ আপনার মৃত্যু হোক হে কাসিমের বাবা। আয়েশা ( রাঃ ) উত্তরে ওয়ালাইকু বলাতে নবীজী আয়েশা( রাঃ ) এভাবে উত্তর দিতে নিষেধ করেন । অর্থ্যাৎ মন্দের বদলা মন্দ নয় বরং ভালো করে দিতে বলেছেন ।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

দস্যুরাজা বলেছেন: একমত@পলাশ রহমান

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অাবিষ্কার এই "ধর্মানুভূতি"! কথা বলার সময় চিন্তিত থাকি কখন, কার অনুভূতিতে না অাবার অাঘাত লেগে যায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.