নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম আযম বনাম এক নাস্তিক পন্ডিত

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

একবার আল্লাহর অস্তিত্বে অস্বীকারকারী এক নাস্তিকের সাথে আমাদের ইমাম হযরত আবু হানিফা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)এর মুনাজেরা(বিতর্ক) হয়েছিল। মুনাজেরার বিষয় ছিল “পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা”।
এতবড় ইমামের সাথে এ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের মুনাজরো দেখার জন্য শত্রু-মিত্র সবাই যথা সময়ে মুনাজেরার স্থানে সমবেত হয়ে গেল। নাস্তিক লোকটিও যথাসময়ে পৌছে গেল। কিন্তু হযরত ইমাম আযম আবু হানিফা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরীতে সমাবেশে তশরীফ আনলেন।
নাস্তিক পন্ডিত ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করলেন,- আপনি এত দেরী করলেন কেন?
তিনি বললেন, জঙ্গল দিয়ে আসার সময় এক অদ্ভুত ঘটনা চোখে পড়লো, সেটা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে ওখানে থমকে দাড়িয়ে ছিলাম। ঘটনাটি হলো, নদীর কিনারে একটি বৃক্ষ ছিল। দেখতে দেখতে সেই বৃক্ষ নিজেই কেটে পড়ে গেল, এরপর নিজেই তক্তায় পরিনত হলো, অতঃপর সেই তক্তাগুলো নিজেরাই একটি নৌকা হয়ে গেল এবং সেই নৌকা নিজে নদীতে নেমে গেল এবং নিজেই নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে যাত্রী আনা নেয়া করতে লাগলো এবং নিজেই প্রত্যেক যাত্রী থেকে ভাড়া আদায় করতে ছিল। এ দৃশ্যটি দেখতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে গেল।
নাস্তিক পন্ডিত এটা শুনে অট্টহাসি দিল এবং বললো, আপনার মত একজন বুজুর্গ ইমামের পক্ষে এ রকম জঘন্য মিথ্যা বলা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। এ রকম কি নিজে নিজে কিছু হতে পারে? কোন কারিগর না থাকেলে, এ রকম কাজ কিছুতেই হতে পারে না।
হযরত ইমাম আযম বললেন, এটাতো কোন কাজই না। আপনার মতে তো এর থেকে অনেক বড় বড় কাজ এমনিতে হয়। এ পৃথিবী, এ আসমান, এ চাদ, এ সুর্য, তারকারাজি, বাগান সমূহ, রং বেরং এর নানা রকম ফুল, সমিষ্ট ফল, এ পাহাড় পর্বত, জীব জন্তু, মানব দানব সব কিছু কোন সৃষ্টিকর্তা ব্যতিত এমনিতে হয়ে গেছে। যদি একটি নৌকা কোন কারিগর ছাড়া এমনিতে তৈরী হয়ে যাওয়াটা মিথ্যা হয়, তাহলে সমস্ত পৃথিবীটা সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত নিজে নিজেই তৈরী হয়ে যাওয়াটা ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কি হতে পারে?
নাস্তিক পন্ডিত তার এ বক্তব্য শুনে বিমোহিত হয়ে গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে স্বীয় ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গলে
............... (তাফসীরে কবীর/১ম খন্ড/পৃষ্ঠা-২২১)

সবকঃ
এ বিশ্বের নিশ্চয় একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, যার নাম আল্লাহ। আল্লাহর অস্তিত্বের অস্বীকার যুক্তিরও বিপরীত। যারা (নাস্তিকরা) মনে করে এই পৃথিবী সব কিছু আল্লাহ ব্যতিত নিজেই নিজেই হয়ে গেছে এখানে আল্লাহ বলে কিছু নেই, তাদের ভাবা উচিত সেই নিজেই নিজে হয়ে যায়নি যখন পর্যন্ত নাস্তিকের বাবা তার মাকে স্পর্ষ না করেছে।

নওশাদ আনসারী
ফেইসবুকে আমি - http://www.facebook.com/nawshad.ansari1

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৪

প্রিন্সর বলেছেন: চমৎকার! এর থেকে আর উৎকৃষ্ট উদাহরণ কি হতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.