নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র তাহলে কি আসন্ন.? ......(না পড়ে এড়িয়ে যাবেন না প্লিজ)

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

পাবর্ত্য চট্টগ্রামের একটি ফেইসবুক পেজে যা দেখলাম একজন বাংলাদেশী হিসাবে গা সিউরে উঠলো। পুরো পোষ্টটি তারা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন “জুম্মল্যান্ড”বানানোর ঘোষনা দিয়েছে তাও আবার বাংলাদেশে বসেই।পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি,বান্দরবান) বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে স্বাধীন দেশ "জুম্মল্যান্ড" করার তালে আছে এরা। তারা আমাদের গর্ব আমাদের সেনাবাহিনীকে যে ভাষায় আক্রমন করেছে মনে হচ্ছিল এখনি নতুন করে এদের বিরুদ্ধে আবার মুক্তিযুদ্ধে নামা দরকার। সবচেয়ে গা সিউরে উঠার মত যা যেকেউ দেখলে চমকে উঠতে পারেন।

পোষ্টের সাথে তারা কমেন্টে যা লিখেছে



* Cangma Chakma নামে তাদের একজন লিখেছে, “মাটি থেকে উৎক্ষেপন করা যায় রাশিয়ান RMI40 রকেট লানচার নাম শুনেছেন যেটা মাটি থেকে ৫৫ কিলোমিটারে আঘাত হানতে সক্ষম। এরকম রকেট আমাদের কাছে ১৫০ থেকে ১৬০টা নিশ্চিত আছে। আর চায়নার কথা না হয় বদ দিলাম।

*

আবার Mui Adibasi Jumma নামে তাদের আরো একজন লিখেছে- “১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে টাকা-পয়সা পেয়েছে যুদ্ধ করার জন্য, এখন আমরাও সেরুপ সাহায্য পাচ্ছি”।

*

“জোয়াংফা বুড়া” নামে তাদের আরো একজন লিখছে- “আমরা কি আর বার্মিজ সেটলার রোহিঙ্গা বাঙ্গালী নাকি ভাই? আগের দিন আর নাই। আগে আমরা যুদ্ধ করেছি ৩০৩ জন VZ, G3, Mark-4, দিয়ে আর কিছু ছিল আপনাদের আর্মিদের মেরে পাওয়া Ak-47। এখন যুগ পাল্টাছে। এখন আমরা যা ব্যবহার করতেছে তা আপনাদের আর্মিরাও ধরতে পারবে না।



এরুপ অনেকে কমেন্টের মধ্যে শুধু গুটিকয়েক তুলে ধরলাম।

> তাহলে ভাবুনতো এরা বলছে- আমরা বাংলাদেশ ভাঙ্গতে সাহায্য পাচ্ছি.... কে দিচ্ছে সাহায্য.? এখনো কি আমরা সজাগ হবো না..?

> এদের কাছে এমন সব অস্ত্র আছে যেটা রাশিয়া, চায়না থেকে সাহায্য আসছে, এখন তারা তা প্রকাশ্যে স্বীকারো করছে,, এখনো কি আমরা সজাগ হব না..?

> তারা আমাদের দেশে বসেই আমাদের হুমকী দিয়ে দাবী করছে আমরা এখন যা ব্যবহার করছি তা তোমাদের সেনাবাহিনেও ধরতে পারবে না....কিন্তু কারা এসব দিচ্ছে..? আমরা কি এখনো সজাগ হব না..?



একটু আগে তাদের ফ্যান পেজে দেওয়া স্ট্যাটাস দেখলাম। দেখেই মাথাটা কেমন গরম হয় আছে লিংকটা হচ্ছে Click This Link

*

এখন হুবহু তাদের স্টাটাসটা তুলে ধরলাম---- সেই সাথে সোনার বাংলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এটা গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধ রইল।

----------------------------------------



আমরা জুম্ম সেনারা সংখ্যায় কম হতে পারি, তবে শক্তিতে বাংলার সরকার পালিত সামরিক বাহিনী কতৃক কোন অংশে কম নই । যার প্রমান ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির আগে মাত্র ২৫০০ গেরিলা শান্তি বাহিনী কতৃক ২২ বছর পর্যন্ত সরকার পালিত লক্ষ লক্ষ সেনাবাহিনীকে নাকানি চুবানি খাওয়ানো এবং শতাধিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করা । এক নজরে দেখে নিন গেরিলা শান্তি বাহিনী কতৃক সরকার পালিত সেনাবাহিনীকে হত্যার ঘটনাক্রম ।



ঘটনাক্রম ( ১৯৭৭- ) ঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা হত্যা



৬ মে ১৯৭৭ : সাঙ্গু নদীতে কর্তব্যরত অবস্থায় আবদুল কাদিরসহ পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।



২৫ অক্টোবর ১৯৭৭ : বান্দরবানে নিহত হন নায়েক আবদুল গণি মিয়া, নায়েক আবদুস সাত্তার, নায়েক আরিফ, সিপাহী লুৎফর রহমান, সিপাহী আলী হোসেন এবং সিপাহী আবদুল খালেক মুন্সি।



২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ : সাঙ্গু নদীতে অ্যামবুশ, এক সেনাসদস্যকে হত্যা ।



৫ জুলাই ১৯৭৯ : কাপ্তাই নতুন বাজারে ২ জন আনসার সদস্যকে হত্যা।



১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ : দীঘিনালায় নায়েক এসএম রুহুল আমিনকে হত্যা।



১৪ অক্টোবর ১৯৭৯ : খাগড়াছড়িতে পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।



২৩ জানুয়ারি ১৯৮০ : খাগড়াছড়িতে তিন সেনাসদস্য খুন, আহত ৫।



২১ এপ্রিল ১৯৮০ : ফালাউংপাড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২০ জন জওয়ানকে হত্যা।



১ মার্চ ১৯৮০ : ঘন্টিছড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় মেজর মহসিন আলমসহ ২২ জন সেনাসদস্যকে।



১৯ জুলাই ১৯৮৬ : খাগড়াছড়িতে এক সেনাসদস্য নিহত, আহত ৭।



৭ আগস্ট ১৯৮৬ : ২ জন আনসার সদস্যকে হত্যা।



২১ জুন ১৯৮৭ : নাড়াইছড়ির অদূরে অ্যামবুশ, সেনাসদস্য আবদুর রাজ্জাক, ইসমাঈল হোসেন ও মোহনলালকে হত্যা।



২৪ নভেম্বর ১৯৮৭ : শিলছড়িতে দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে হত্যা।



১৬ এপ্রিল ১৯৯০, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বলিপাড়া : থানচিতে ১১ জন সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।



২৯ জুন ১৯৯২ : মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে পাহারা চৌকির ওপর হামলা, দুজন সেনা সদস্য নিহত।



হে বাংলার সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙ্গালগন এইবার ভেবে দেখুন চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন নাকি কুকুরের মত গুলি খেয়ে রাস্তায় পঁচে মরবেন ?



দেখলেন তারা কিভাবে বুক উচু করে আমাদের সেনাবাহিনীর কুতসা রটাচ্ছে..?

আসুন দেশপ্রেমিক সকল দেশবাসী সকল দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসুন একটু হলেও সজাগ হয় এখনি, নইলে দেরি হয়ে গেলে সত্যি আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না যে।



ফেইসবুকে আমি আছি- http://www.facebook.com/nawshad.ansari1

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ীদের মেয়েদের, বউদের খেললে; তাদের জমি কেড়ে নিলে তারা মরিয়া হয়ে উঠবে।

ওদের জন্য চাকুরী ও ওদের জমিতে থাকার নিশ্চয়তা দিটে হবে সরকারকে। ওদের ভেতর যারা সন্ত্রাসী তাদের তাড়াতে হবে।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

এন.এ.আনসারী বলেছেন: কিন্তু ভাই আমাদের সব সরকারই তাদেরকে কোটা দিয়েছে, তাদের চাকুরীতে কোটা আছে কিন্তু আমাদেরই নাই। তাহলে তারা আর কি চাই বলেন.?

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০০

গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: উপজাতিরা কিছু দিনের মধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে, প্রতিবেশী দেশ থেকে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে তারা,

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

এন.এ.আনসারী বলেছেন: তাদের দেওয়া প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তিতে সেটাই বুঝা যাচ্ছে যে এরা ব্যাপক সাহায্য পাচ্ছে- তাই আমাদের সকল বাংলাদেশীকে সজাগ থাকতে হবে। যেভাবে হউক এই সোনার বাংলাকে টুকরো হতে দিব না..।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:

কোটা দিয়ে নয়, ওখানে সুযোগ সৃস্টি করতে হবে।

ওদের মেয়েদের গায়ে হাত দেয়ার ব্যাপারটা বন্ধ করতে হবে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৮

এন.এ.আনসারী বলেছেন: কোটাতো শুধু তাদেরই আছে সাধারন বাঙ্গালীর নাই।এত বড় সুবিধা নিয়েও দেশদ্রোহিতা মেনে নেওয়া যায় না।
থাকলো কথা মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া- সেটা অবশ্যই কেউ মানবে না কিন্তু তারা আমাদের সেনাবাহিনীকে যেভাবে আক্রমন করছে তা কি মানা যায়।?

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩১

শেখ মফিজ বলেছেন: আমি জানি না তাদের মূল ক্ষোভটা কোথায় ।
তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় ,
পাহাড়ীরা তাদের নিজ ভূমি থেকে ক্রমাগত উচ্ছেদ হচ্ছে ।
রাঙ্গামাটি, বান্দারবান ইত্যাদি পাহাড়ী শহরগুলিতে
বাঙ্গালীর সংখ্যা তাদের থেকে বেশী ।
তাদের বহু জায়গাজমি ব্যাবসায়িরা বিভিন্নভাবে
লিজ নিয়ে ব্যবসা করছে, এমনকি অবসর প্রাপ্ত
সেনা কমকর্তারা অনেক পাহাড়ী জমির মালিক ।
এমনকি কয়েকদিন আগে এক পাহাড়ী নেতাকে
বান্দারবান এ না আসতে পারে সেজন্য স্হানীয়
বাঙ্গালীরা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিলো ।
তাদের সরলতার কারণে পূর্বে বাঙ্গালীরা
তাদের ঠকিয়েছে ।
দেখা দরকার মূল সমস্যাটা কোথায় ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩১

এন.এ.আনসারী বলেছেন: যে নেতা বা পাহাড়ীদের ব্যাপারে প্রমাণ আছে যে এরা বিশ্রংখলার জন্য আসছে তাহলে তাকেতো প্রতিহত করা আবশ্যকই- তাই না।? বাঙ্গালীরা মালিক হয়েছে জমি খরিদ করেছে-আর বিক্রি করেছে পাহাড়ীরা- তাহলে সমস্যা কোথায়।?

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথিত শান্তিচুক্তি করে এই আওয়ামীলিগ তাদের মাথায় উঠাইছে!

ধইরা থাপড়াইয়া সময় মতো সাইজ করলে আজ এইদিন আসতো না।

তারা ৭১এও রাজাকার
এখন সাজতে চাইছে দেশদ্রোহী!!!!!!!

উপ্রের দালালটা নাকি বুইড়া ভাম হইছে!!!! মরণের আগেও কি দেশপ্রেম শিখব না!!!!

নাকি মাথার তারছিড়া !! সব মতেরই উল্টা গায় খালি!!!

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩২

এন.এ.আনসারী বলেছেন: আমি শুধু এটা বুঝতেছি না আমাদের সব সরকারই তাদের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে- তাহলে কাদের জোরে এরা আজ এত বেশি কথা বলছে।?

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: শুধু সেনা হত্যাই দেখলেন.. শত শত আদিবাসী পাহাড়ীদের যেভাবে শান্তির নামে হত্যা করেছে...সেনাবাহিনী
সেটলার বাঙ্গালী কর্তৃক আদিবাসীর জমি দখল সেটা এড়িয়ে গেল ...............

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: উপজাতিদের যারা খুবই সরল বলেন তারা পাহাড়ের রাজনীতি জানননা। এমনকি উপজাতীদের মাঝে সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে অয়াকিবহাল নন। তাছাড়া যারা নারী ঘটিত ব্যাপার গুলো বলছেন তারাও তাদের নিদারুন অজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন মাত্র।

ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলা যায়- পাহাড় কে জানুন, তারপর বলুন স্বশস্ত্র উপজাতীয় আর্মি যেখানে ওপেন ঘুরে বেড়ায়। সরকার যেটা দেখেও দেখেনা। নিয়মিত পারস্পরিক বন্দুক লরাই করে উপজাতিদের বিভিন্ন গ্রুপ যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে সেটার ভেতর কোন বাঙালি তো দুরের কথা আর্মিও তাদের এলাকায় (উপজাতিরা নিজেদের এলাকায় একত্রে বাস করে। তারা গহীন এরিয়ায় বাস করে, যেখান থেকে জঙ্গল কাছে। আর জঙ্গল গুলো তাদের সন্ত্রাসীদের ক্যান্টনমেন্ট।) ঢুকে অপকর্ম করে আসতে পারবেনা। গোলাগুলি সুরু হয়ে যাবে!

হ্যাঁ। উপজাতি মেয়েরা অবশ্যই ধর্ষনের শিকার হয়। তাদের উভয় গ্রুপই প্রতিপক্ষের কর্মীদের সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে এইসব কাজ করে থাকে। তারপর প্রচার করা হয়, বাঙ্গালীরা এসব করেছে। তাছাড়া উপজাতিদের মাঝে পুরুষেরা অলস ও কর্ম বিমুখ হওয়ায় উপজাতি উঠতি তরুনীরা বাঙালি ছেলেদের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে। সেক্ষেত্রে প্রেম ঘটিত কিছু বিষয় হয়। এবং অন্যদিকে ব্যাপক ভাবে যেটা হয় সেটা হল 'সম্মানজনক প্রতিশোধ' বা নিজেদের মেয়েকে ধর্ষণ করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের নিষ্ঠুর চর্চা। যাতে তাদের মেয়েরা আর বাঙালি মুখী না হয়।

পার্বত্য অঞ্চলের সাধারন উপজাতিরা এই বহুমূখী সমস্যায় জর্জরিত সন্দেহ নেই। তারা রাষ্ট্রকে বিস্বাশ করার সাহস পায়না, নিষ্ঠুর ও অন্ধ জাতীয়তাবাদের চর্চা তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার কারনে। পরস্পর দ্বন্দময় নিজেদের সন্ত্রাসীদের; যাদের তারা নেতা মানে; তাদেরকে উপেক্ষা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এজনয তারা একটা মনোপলির মাঝে বাস করে। ঐ অঞ্চলে বাংলাদেশের সাধারন আইন কার্যকর নেই। সরকারের ওপর সাধারন ভবে চাপ দেয়ার কারনে সেটা অনেকটাই বার্মার মত বর্বর মানসিকতার সমাজে পরিনত হয়েষদেরই দ্বারা।

যারা 'আদিবাসী' শব্দের ব্যবহার করেছেন তারা আত্মপরিচয় হীন বাঙালি। বার্মার সীমান্তের নাফ নদীর পর থেকে এই সমগ্র অঞ্চলে ওইতিহাসিক ভাবে বাঙ্গালীদের আদিনিবাসের প্রকট প্রমাণ থাকার পরেও, উপরন্তু উপজাতিদের আগমন ধারা স্পষ্ট ভাবে ব্রিটিশদের লিখে যাওয়া ডকুমেন্ট হতে জানার পরেও যারা তাদের 'আদিবাসী' বলে তারা হয় আত্মপরিচয় হীন নয়তো দেশদ্রোহী দালাল।

'আদিবাসী' শব্দের মজেজা নিম্নরুপ-

জাতীসংঘের 'আদিবাসী' বিষয়ক ধারা অনুযায়ী, যেকোন দেশের আদিবাসীরা তাদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যাপার গুলোতে পরিপূর্ণ 'স্বাধীনতা' ভোগ করার অধিকারী।

আদিবাসীদের অধিকারের উপর জাতিসঙ্ঘের ঘোষণাপত্র : ধারা ৩ -- আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অংশে বলা হয়েছে-

"United Nations Declaration on the Rights of Indigenous Peoples: Article 3 -- Right to Self-determination

Article 3 -- Right to Self-determination
Indigenous peoples have the right of self determination. By virtue of that right they freely determine their political status and freely pursue their economic, social and cultural development."

ধারা ৩ -- আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার
আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আছে। এই অধিকারের বলে তারা স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে (অর্থাৎ তারা কি কোন দেশের মধ্যে থাকবে, না সেই দেশ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ গঠন করবে -- সেটা তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, যেমন জুম্মরা কি বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে, না বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে পার্বত্য এলাকাকে নিয়ে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠন করবে -- তা জুম্মদের রাজনৈতিক ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে) এবং স্বাধীনভাবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন অনুসরণ করবে।

-এই ধারার আলোকেই বিনা রক্তপাতে পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতীসংঘের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সম্প্রতী সময়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে পূর্বতীমুর। যা অখন্ড ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চল ছিলো। 'আদিবাসী' শব্দ চর্চার বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এক শ্রেনীর মানুষ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দক্ষীণ এশীয় এজেন্ট হিসেবে এদেশে সক্রিয় বলে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.