নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফতোয়াবাজীর শেষ কোথায়...এখন নাকি খিচুরি,শরবত,মলিদা খাওয়া হারাম

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২


১ম পর্বে দেখিয়েছিলাম এই মাসে অনেকে মাছ খাই না, শাক খাইনা, ৩দিন গোসল করে না, বিয়ে শাদী করে না এই মাসে ইত্যাদি যেটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, এটা নিজেদের বানানো মনগড়া পদ্ধতি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আজ আপনাদের দেখাবো যে এই বাড়াবাড়িকে হারাম বলতে গিয়ে আবার এক শ্রেনীর বলদরা আছে যারা একটু আরো বাড়িয়ে হালাল কেউ হারাম বলে ফতোয়ার ফুলঝুরী আউড়াচ্ছেন- ইতিহাসে যারা নিকৃষ্ট ওহাবী বলে পরিচিত। আসুন আজ মুর্খ ওহাবীদের অপারেশন করি।
*
এখন আজব জামানায় বসবাস করছি আমরা......
মুল্লারা বেরিয়েছে হারাম বিদাত আর শিরক এর এক পটলা গান নিয়ে
খিচড়া হারাম
মলিদা হারাম
চাদর হারাম,
কিয়াম হারাম,
হালুয়া হারাম
কিন্তু
কাওয়া হালাল....
*
আসলো মহররম মাস, মহাপবিত্র এই দিন বিভিন্ন কারনে আলোচিত হলেও এই মাসের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি পায় প্রিয় নবীজির কলিজার টুকরা ইমাম হোসাইন(রাঃ) এর ইসলামের খাতিরে শাহাদত বরন করার মাধ্যমে। বর্তমানে এই মাসে বিভিন্ন কুসংস্কার প্রবেশ করলেও কিছু খামাখা ওহাবী আছে যারা হালাল বস্তুকেউ হারাম বলে থাকে, যেমন খিচড়া হারাম, শরবত হারাম, মলিদা হারাম ইত্যাদি।
আগে বলে রাখি কেউ যদি এসব খাবারকে হারাম বলে বিশ্বাস করে তাহলে তার চৌদ্দগুষ্টিকে চ্যালেঞ্জ রইলো আমার প্রমান করে দেখান। যদি প্রমান করতে পারেন তাহলে শহরের প্রধান মোড়ে আপনার সেন্ডেল আর আমার গাল থাকবে।
*
এই মাসে আমরা অনেকে ভাল, উন্নত খাবার তৈরি করে গরীব মিসকিন, পাড়া পড়শীদের মাঝে বিতরন করি, ইমাম হোসাইন কারবালা প্রান্তরে ইসলামের খাতিরে পিপাসায় কাতর হলেন কিন্তু মাথা নোয়ালেন না, তাই অনেকে এই মাসে শরবত বানিয়ে রাস্তায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আগত সকাল পিপাসায় কাতরকে শরবত পান করা, এখন আল্লাহয় ভাল জানেন কোন সূত্রে, কোন দলিলে ফতোয়াবাজরা একে হারাম বলছে, কিন্তু এখন বিশ্ব জানে যে পবিত্র দিন এর পালনকারী তথা পবিত্র মুসলমানদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কিছু মহা ফতোয়াবাজ, যারা ৪০ দিনেই নিজেকেই মুফতীর আসনে নিজেই নিজেকে সিক্ত করে, বলতে গেলে “মুই কি হনু” ভাবতে শুরু করে।
*
মহররম মাসে আমরা উন্নত খিচড়া, মলিদা, শরবত তৈরি করি, এবং এই পবিত্র দিনের উসিলায় আমাদের সমাজে গরীব মিসকিনরাও সেদিন ভাল খাবার পেয়ে থাকে- সুবহানাল্লাহ কিন্তু রিয়াল আর ডোলারে পালিত কিছু নামকা ওয়াস্তে মুসলমানদের চোখে সেটাও সহ্য হচ্ছে না, কেন তারা ভাল খাবার খাচ্ছে? কেন তরা গরীব মিসকিনদের ভাল খাবার দিচ্ছে? তারা বলে নাকি মলিদা, খিচড়াবিদাত, হারাম ইত্যাদি অতচ সামনে রেখে দেখেন তারাই ৪ প্লেট সাবাড় করে দিবে তাহলে হারাম কি আর হারামী কে.?
প্রথমে তো খুব হাসি পাই যে, কি খেয়ে এরা মুসলমান হয়েছ।
তার আগে একটি হাদিস মনে পড়ছে হুজুর(সাঃ) বলেন মুমিন মিষ্টি স্বরুপ ‘ওয়াহিব্বুল হালাওয়া” এবং মিষ্টি পছন্দ করে”- সুবহানাল্লাহ
আর আমাদের ৪০ দিনের মুফতি হুজুররা কই কি মহররম মাসের শরবদ মলিদা নাকি হারাম।

> আচ্ছা প্রথম প্রশ্নঃ কোরআনের কোন আয়াতে কিংবা কোন হাদিসে একে হারাম বিদাত বলা হয়েছে..? পারবেন কি আপনারা দেখাতে? জনম জনম লেগে যাবে তারপরেও খিচড়া,মলিদা শরবতকে হারাম প্রমান করতে পারবেন না এটা আমার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ।
> যদি কোন আবু জাহিলকে প্রশ্ন করি আচ্ছা ভাই, মলিদা, শরবত কেন বিদাত বা হারাম হল? মলিদা যেসব যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি সেইসব কি হারাম পন্য.?
- মলিদার মধ্যে ময়দা লাগে এই ময়দা কি হারাম.? তারা বলবে না
- মলিদার মধ্যে চিনি লাগে, এই চিনি কি হারাম.? না
- মলিদার মধ্যে কিসমিস, খেজুর,বাদাম লাগে, এই খেজুর কি হারাম? না
- মলিদার মধ্যে ঘি, তেল লাগে, তাহলে এসবকি হারাম? না
- খিচড়ার মধ্যে চাল লাগে, চাল কি হারাম? না
- খিচড়ার মধ্যে ডাল লাগে, ডাল কি হারাম?
- শরবতের মধ্যে পানি,চিনি,নারকেল লাগে, তাহলে কি পানি,চিনি,নারকেল হারাম? না
- তাহলে যিনি রান্না করেছেন, আপনার আমার মা-বোন তারাই হারাম হবে নিশ্চয়.?..... না না
আচ্ছা ভাই, যদি ময়দা হারাম না, চিনি হারাম না, ঘি হারাম না, তেল হারাম না, বাদাম,নারকেল হারাম না, ডাল হারাম না তাহলে এগুলো একসাথে যোগ করলে যখন মলিদা, শরবত আর খিচড়া হয় হয় তখন হারাম হয়ে যাবে কেমনে.?
সৃষ্টিকর্তা যখন জ্ঞান,বুদ্ধি বিতরন করছিলেন তখন কি ফাটা থলে নিয়ে গিয়েছিলেন আপনারা..?
আবু জাহিল তাবলিগীদের কাছে- তখন হে হে হে করা ছাড়া আর কোন উপাদান থাকবে না।

আচ্ছা সবচেয়ে মজার বিষয় এরা এসবকে হারাম বললেও একবার এদের সামনে রেখে দেকুন না খিচড়া,মলিদা প্লেট প্লেট সাবাড় করে দিবে।তখন এটা আর হারাম থাকে না।

৪০ দিনের মুফতিরা যখন এইসব প্রশ্নে আটকা পড়ে, তখন সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে তাদের নতুন ফাদ-
তাবলিগীঃ আরে না ভাই আমরা বলতেছি শুধু এইদিনকে সামনে রেখে মলিদা, শরবত কেন, তাই এটা বিদাত, হারাম
আমাদের উত্তরঃ ভাল খাবারের কোন দিন হয় না, সেটা যেকোন দিন বা মহররমে দিন হউক যদি সেই খাবারের মধ্যে কোন হারাম বস্তু না থাকে তাহলে সেটা হালাল হালাল হালাল, সেটা কোন মতেই হারাম হতে পারে না।
আর যদি দিন ধার্য করে খিচড়া,মলিদা হারাম হয়ে যায় তাহলে এবার আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।
- দিন ধার্য করেই আপনার বাবা মায়ের বিবাহ হয়েছিল যার রেজাল্ট আপনি নিজেই, তাহলে আপনি কি হলেন?
- মসলমানদের পবিত্র ঈদে যখন আজ ঘরে ঘরে সেমাই, লাচ্ছা, দিন ধার্য করে রান্না হচ্ছে- এর ব্যাপারে ফতোয়াবাজ ৪০ দিনের মুফতিরা কি বলবে?
- রমজানের রোজা উপলক্ষে দিন ধার্য করে যেখানে ঘরে ঘরে চানা, পিয়াজু রান্না হচ্ছে, তখন ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি কি উত্তর দিবে?
*
যদি মহররম উপলক্ষে হালাল খাবার খিচড়া,মলিদা হালাল হয়েও দেউবন্দরদের চোখে হারাম হয়ে যায় শুধু এই অজুহাতে যে এর কোন ভিত্তি কোরআন হাদিসে নাই তাহলে সেই ফতোয়াবাজ আবু জাহিলদের কাছে লাচ্ছা,সেমাই,চানা,পিয়াজু কোন সূত্রে হালাল হয়ে গেল.??? এইসব জিনিসও তো কুরআন-হাদিসে নাই।
*
এই হচ্ছে রিয়াল আর ডোলারে পালিত নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের আসল চেহরা, যারা রিয়াল আর ডোলারের লোভে আজও মুসলমানদের বিভক্ত করতে সদা তৎপর। এরা ইসলামকে নিজেদের উত্তরাধীকারে পাওয়া ইসলাম বানাতে চাই, যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বলবে যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বস্তুকে হালাল বলে নিজেদের জন্য বৈধ করবে যেমন দেখুন এরা হালাল মলিদা, খিচড়া,শরবতকে হারাম বললেও আজ নিজেদের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠায় ৪০ দিনের মুফতিরা ফতোয়া দিয়েছে যে,
“কাক(কাউয়া)খাওয়া হালাল আছে এবং এর মধ্যে এক প্রকার সওয়াবো আছে”
(“ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠা),
কি ধরনের সওয়াব আছে, সেটা ৪০ দিনের হুজুররাই বলতে পারবে, তবে আজ পর্যন্ত অনেককে প্রশ্ন করেও উত্তর পাইসি যে কি ধরনে সওয়াব আছে কাউয়ার মধ্যে

আজ যারা মলিদা, খিচড়াকে হারাম বলছে তারাই নিজের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩২ নং পৃষ্ঠায় ফতোয়া দিয়েছে যে, “হিন্দুদের হোলী, দেওয়ালীর প্রসাদ খাওয়া জায়েজ” নাউজুবিল্লাহ

দেখলেনতো মিস্টার ফতোয়াবাজদের আসল চেহরা হালাল মলিদা,শরবত এদের চোকে হারাম হলেও কাউয়া(কাক) খাওয়া, হিন্দুদের প্রসাদ খাওয়া ঠিকি হালাল বলছে এরা। নাউজুবিল্লাহ।
*
বাংলায় একটি কথা আছে ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকর” ঠিক এই অবস্থা দেউবান্দরদের, জ্ঞান অর্জন করতে যেখানে মানুষরা বছর থেকে বছর ব্যয় করছে আর ফতোয়াবাজরা ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি সেরে ফেললেই হয়ে যাচ্ছে মহা গ্রান্ড মুফতি আর ৪০ দিনের হুজুরদের কাছে কিবা আর আশা করা যায়। আসলে এরা ইসলামে একটি ভাইরাস স্বরুপ যারা রিয়াল আর ডোলারের বিনিময় আজও মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে তৎপর্। এজন্য হালাল খাবারকে এখন আজকের যুগে এরা হারাম ফতোয়া দিচ্ছে
যাই হউক প্রসংগটা ছিল “মহররম মাসের খিচড়া,শরবত,মলিদা” আর আমি সুস্থ মস্তিষ্কে স্বজ্ঞানে সবার সামনে বলতেছি কিয়ামত পর্যন্ত কোন তাবলিগী দেউবান্দাররা এসব হালাল খাবারকে বিদাত, হারাম প্রমান করতে পারবে না না না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.