নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় পোষাকে ক্লাসে বাধা, পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি, অতঃপর মিডিয়া কিন্তু চুপচাপ....

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭


নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশেই IUBAT- “ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগরিকাল্চার এন্ড টেকনোলজি” নামক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ধর্মীয় পোষাক পড়তে বাধা দেওয়া হল, অলিখিত ফরমানে একজন টুপি পাঞ্জাবি পড়া ছাত্রকে পরীক্ষাতেও বসতে দেয়নি তারা।
আমার প্রথম প্রশ্ন এই সংবাদ দেশের কয়টি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়া এসেছে! দেখাতে পারবেন কি কেউ? দেশের কোন একজন বুদ্ধিজীবির নাম বলুন যে তিনি এর প্রতিবাদে একটি কলাম লিখেছেন পত্রিকায় অথবা ৭১ বা এটিএন, বিডিনিউজ কিংবা অন্যান্য চ্যানেলে এর প্রতিবাদে নিশ্চয় টকশো হয়েছে তাই কি?? কি খুজে পান নি? তাছাড়া যিনি এই পোষাক তথা পাঞ্জাবী পড়েন এটা তার স্বাধীনতা আর সেই স্বাধীনতার উপর হামলা হলো, কিন্তু কথিত মানবতাবাদী তথা মুক্তমনারা চুপ, একটা স্টাটসও দিলেন না প্রতিবাদ স্বরুপ, কেন আপনাদের আন্দোলনতো যারা মানুষের স্বাধীনতা হরন করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে না? তাহলে আজ এই টেপমারা মুখের অর্থ কি...ঠেংগা...
*
পক্ষান্তরে আসুনঃ-
এখানে যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বলা হত যে হিজাব বা শালিনতা পোষাক পড়ে আসতে হবে, তাহলে বুকে হাত রেখে বলূন যে এতক্ষন কথিত মিডিয়া (হলুদ মিডিয়া) তোলপাড় করতো কি না? জ্বি হ্যা এরুপ হলে এতক্ষন বাকস্বাধীনতার দোহায় দিয়ে মিডিয়া সেই কর্তৃপক্ষের যারা হিজাব পড়ে আসতে বলেছে তার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতো, আমাদের মহান মহান সব বুদ্ধিজীবিরা এতক্ষন কলামে কলামে পত্রিকায় ভরে দিতেন আর টকশো তো আর বলেন না কয়দিন যে চলতো সেই শিক্ষককে জঙ্গি প্রমান করতে।
*
ফলাফলে আসুনঃ-
এখন মিডিয়ার বলেন, বা কথিত সব বদ্ধিজীবিদের কথায় বলেন এইযে একই দেশের মানুষের সাথে যে দ্বিমুখী আচারন করা হচ্ছে এর ফলাফল কি হবে..? নিজ দেশেই একজন ছাত্রকে তার ধর্মীয় পোষাক পড়ার কারনে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, আর এখানে মিডিউ চুপ অথচ আজ এর প্রতিবাদে যদি কেউ রাস্তায় দাড়ায় তাহলে সেই মিডিয়াই প্রতিবাদকারীকে উগ্রবাদী জঙ্গি বলে ধুমধামে প্রচার করছে....... কিন্তু কেন? বন্ধ করুন এই দ্বিমুখী আচারন। একটা কথা মনে রাখতে হবে মানুষ আর আগের মত নিরক্ষর না দেশে শিক্ষিত’র সংখ্যা বাড়ছে, মানুষ বুঝতে পারছে এউ দিমুখী আচারন। সমাজে বিভিন্ন স্তরের মানুষের অভ্যান্তরে গিয়ে দেখুন, তাদের সাথে একটু মিশে দেখুন এই দ্বিমুখী আচারন আপনাদের কোথায় নিয়ে গেছে, ঘৃণার সবটুকু উজাড় করে ঘৃনা করছে আপনাদের মানুষ। আর করবেই বা না কেন........
আমি যা বুঝাতে চাচ্ছি হয়তো বুদ্ধিমানের জন্য ইশারায় যথেষ্ট, আবার বেশি বললে পোস্টটি ডিলেট করে দেওয়া হচ্ছে, আজব আচারন কিন্তু একদিকে বলা হচ্ছে কথার যুক্তি কথা দিয়ে দিতে হয় কিন্তু একপক্ষের লেখা ওয়ালে শোভা পাইলেও তার খন্ডনকে করা হচ্ছে ডিলেট। তাহলে যুক্তিকে কে ভয় পাই..?? যাক শেষে মানুষের আক্রশের আর বেশি পরীক্ষা না নিয়ে IUBAT কর্তৃপক্ষ’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। আর উপরে উল্লেখিত প্রশ্নর’র উত্তর যদি কোন মিডিয়া দিতো পারতো তাহলে বাধিত থাকতাম, অবশ্যই এই দ্বিমুখী আচারনের কেন এর সদুত্তর মিডিয়া, কথিত মানবতাবাদী মুক্তমনারা ও কথিত সব বুদ্ধিজীবীদের কাছে রইলো.........

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: IUBAT কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয় যে , এখানে ধর্মীয় পোশাক পরে যেতে হবে ।
অন্য ধর্মী যদি গেরুয়া ধুতি পরে খোলা গায়ে তাদের ধর্মীয় পোশাকে ক্লাশে যেতে চায়, আপনি কি চান কত্রিপক্ষ এটাও
অনুমোদন করুক ?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

এন.এ.আনসারী বলেছেন: খোলা গায়ে যাওয়া আর শালীনতার সহিত যাওয়া এক না ভাই, এখন কেউ যদি তার ইচ্ছানুযায়ী পাঞ্জাবী পড়ে তাহলে বাধা দেওয়া নিষ্চয় অপরাধ

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

রাজীব বলেছেন: অথচ ভারতে উল্টা অবস্থা
দেখুন,
http://www.anandabazar.com/national/ছ-ট-প-শ-ক-ব-ম-ন-উঠত-ব-ধ-মহ-ল-ক-1.231222#

"ছোট পোশাক, বিমানে উঠতে বাধা মহিলাকে"

হাঁটু সমান পোশাক পরে থাকায় এক মহিলাকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে। ঘটনা গত সোমবারের। দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের উড়ানে মুম্বই পৌঁছেছিলেন ওই মহিলা। ইন্ডিগোর বিমানে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অভিযোগ, বিমানে ওঠার সময় ইন্ডিগোর তিন পুরুষ কর্মী তাঁকে বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ অবশ্য একটি বিবৃতি দেন। জানান, ইন্ডিগো কর্মীর আত্মীয় হিসেবে ওই যাত্রী সফর করছিলেন। তাঁর টিকিটে ছাড়ও ছিল। তাই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কিছু নীতি মানতে বাধ্য ছিলেন ওই যাত্রী।

তার আগে যদিও গোটা ঘটনাটা ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুম্বই বিমানবন্দরে কী ভাবে এক মহিলা যাত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তা জানিয়ে ফেসবুকে সরব হন ওই মহিলার এক সহযাত্রী। পুরবী দাস নামের সেই যাত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ওই মহিলাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি কারণ, তিনি হাঁটু পর্যন্ত ফ্রক পরেছিলেন। বিমান সংস্থা মনে করেছে, ওই পোশাক বিমান যাত্রার জন্য যথাযথ নয়। অথচ ওই সংস্থারই মহিলা কর্মীরা একই মাপের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।’’ ওই যাত্রীর প্রশ্ন, ‘‘ইন্ডিগো কি নীতি পুলিশের কাজ করছিল? নাকি লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার ওই মহিলা?’’

ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, এক মহিলা যাত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তার জন্য তাঁরা দুঃখিত। কিন্তু তাঁদের নীতিতেই আছে কোনও কর্মী বা তাঁর পরিবারের লোকজন যদি ‘স্টাফ লেজার ট্রাভেল প্রিভিলেজেস’-এর আওতায় সফর করেন, সে ক্ষেত্রে কিছু পোশাক নীতি মেনে চলতে হয়। ওই মহিলা যাত্রীর বোন যে হেতু ইন্ডিগোতেই কর্মরত, তাই তিনি টিকিট পিছু কিছু ছাড় বা সুবিধা পাচ্ছিলেন। আর এই সব ক্ষেত্রে সেই যাত্রী বিমান সংস্থার পোশাক নীতি মানতে বাধ্য বলেই জানিয়েছেন ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।

পরে পোশাক পাল্টিয়ে অন্য বিমান ধরে দিল্লি পৌঁছন ওই মহিলা।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খোলা গায়ে যাওয়া আর শালীনতার সহিত যাওয়া এক না ভাই, এখন কেউ যদি তার ইচ্ছানুযায়ী পাঞ্জাবী পড়ে তাহলে বাধা দেওয়া নিষ্চয় অপরাধ

খোলা গায়ে ধুতি পরা যদি তাদের ধর্মীয় পোশাক হয় , আপনি তাকে অশালীন বলবেন কেন ?

কেউ যদি তার ইচ্ছানুযায়ী পাঞ্জাবী পড়ে ইচ্ছানুযায়ী পাঞ্জাবী পরাকে আবার ধর্মীয় পোশাক বলছেন কেন ?
ধর্ম কি কারো ইচ্ছার উপর চলে ?
কেউ যদি এতই ধর্মপ্রাণ হয় যে , সে প্রাণের বিনিময়েও সুন্নতি পোশাক ত্যাগ করবেনা । তাহলে এই ক্ষেত্রে সে কত্রিপক্ষকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবে , কত্রিপক্ষ অনুমোদন না করলে সুন্নতের খাতিরে সে কলেজ ছেড়ে দিবে । এটাই হবে তার ইমানদারির পরীক্ষা ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

এন.এ.আনসারী বলেছেন: তারমানে এইটাই হল আপনাদের জোর যার মূলক তার? ইচ্ছা মাফিক পোষাক পড়তে দিবেন না আর প্রতিবাদ করলে কলেজ ছেড়ে দিতে হবে- বাহ ভালই উপদেশ দিতে পারেন তো আপনি,
আর থাকলৌ ধুতি পড়া কেউ যদি ধুতি পড়ে আসে অবশ্যই সমস্যা না তবে সেটা যে শালীনতার বাহক হয়,

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

মাসূদ রানা বলেছেন: ভাই গিয়াস লিটন, আপনার মধ্যমপন্থা অর্জনের চেষ্টা প্রশংসনীয়, তবে একটা ছোট মিস কনসেপশন রয়েছে, আশা করি আপনার বোঝতে অসুবিধা হবে না । কারো ধর্ম যদি কাওকে কোন পোশাকের ব্যপারে বাধ্যবাধকতা দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সে পোশাক সকল জায়গাতেই অনুমোদিত থাকা উচিত । ধুতি পড়া কোন ধর্মের মানুষের জন্য বাধ্যবাদকতা নয়, অন্য পোষাক পড়তে সে ধর্মে মানা নেই । কিন্তু ইসলামে শালীনভাবে চলাফেরা করা বাধ্যতামুলক । সুতরাং কোন ইন্সটিটিউশনের উচিত নয়, কারো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতাকে ভংগ করতে বাধ্য করা ।

আর বিশ্ববিদ্যালয় কোন স্কুল কলেজ নয় যে সেখানে ড্রেস কোড থাকবে। ভালো থাকবেন ।

আনসারী ভাইকে ধন্যবাদ ব্যপারটা নিয়ে লেখার জন্য ।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আজকে অনেক পোস্ট দেখলাম এই বিষয়ে। আমি জানতে চাইছি, ইসলামিক পোষাক বলতে ঠিক বুঝায়? অর্থাৎ কেউ যদি পাঞ্জাবি পড়েন, তাহলে কি সেটা ইসলামিক পোষাক হয় কি না? কেউ যদি শার্ট প্যান্ট পড়েন সেটা কি বিধর্মীয় পোষাক কি না?

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

মাসূদ রানা বলেছেন: ইসলামী পোষাক খুবই সিম্পল। পুরুষদের জন্য ফরজ নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা । আর নারীদের জন্য ফরজ মুখমন্ডল, হাত, পা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা (আবার এমনভাবে ঢেকে রাখা নয় যা বাইরে থেকে এক্সরের মত কপি যায়) ।

পুরুষদের স্বর্ন আর সিল্ক পরা এবং নারীদের পারফিউম ইউজ না করা।

বিধর্মী, নাস্তিকদের পোষাকের সাথে সাদৃশ্য না রাখা ।

আর নারীর পুরুষের মত ও পুরুষের নারীর মত পোষাক না পড়া।

রেফারেনস : সহিহ মুসলিম-২০৭৭, সহিহ বুখারী-৫৫৪৬, সহিহ মাজাহ-৩৬৪০ ।

ধন্যবাদ ।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@মাসুদ রানাঃ আপনার জবাবের জন্য ধন্যবাদ। তবে অনেক বিধর্মীই তো এখন পাঞ্জাবী পড়েন, দাঁড়ি রাখেন। তাহলে তো পোষাকে দৃশ্যমান সাদৃশ্য চলেই আসে।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহিহ মুসলিমের যে রেফারেন্সটি আপনি দিয়েছেন তা কোন অধ্যায়ের অন্তর্গত এই সম্পর্কে কি জানাতে পারবেন?

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আমি ধর্ম বিষয়ে নিঃসন্দেহে কম জানি। তথাপি তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিদ্যা অর্জন বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। যে কেউ চেষ্টা করলে মোটামুটি ধারনা নিতে পারবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ইসলাম একটি সহজ ধর্ম। এখানে অযাচিত জটিলতার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি আমি এটাও মনে করি, যে বিষয়ে কোরানে সুস্পষ্ট উল্লেখ্য করা আছে, তার ব্যাপারে কোরানের রেফারেন্স দেয়াই উত্তম। যেমন সুরা আন নুরে পোষাক সম্পর্কে একটা ধারনা দেয়া হয়েছে। ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,

পরের আয়াতে আরো বিস্তারিত বলা হয়েছে, যে


এখান থেকে বুঝা যায়, যে সকল পোষাক উপরের শর্ত পুরন করতে পারে, তাই ইসলামিক পোষাক। এখানে তো বাড়তি কথার প্রয়োজন নেই। নাস্তিক বা বির্ধমী এখানে আরোপিত কিছু টার্ম। পাঞ্জাবী পড়লেই তা ইসলামিক পোষাক হবে, এমনটা ভাবা হাস্যকর। আমার জানা মতে ইসলাম শুধু সহজ ধর্ম নয় বরং সহজ জীবন ব্যবস্থাও। আমাদের উচিত একে অযাচিতভাবে জটিল না করা।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখিত পিএনজি ফরমেটে থাকায় ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে না। এখানে ক্রমানুসারে জেইপিজি ফরমেটে দেয়া হলো।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

বাউন্টি হান্টার বলেছেন:
পাঞ্জাবি কে কেন ধর্মীয় পোশাক বলা হচ্ছে? পাঞ্জাবি ছাড়া কি শালিন ভাবে শার্ট প্যান্ট পরা যায় না?
জাকির নায়েক পাঞ্জাবি পরেনা তাহলে কী তার ধর্ম চলে গেছে?

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২

মাসূদ রানা বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা : সরি, এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না। আপনার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই, মোদ্দাকথা শালীনতায় বিঘ্ন ঘটে,আবেদন তৈরী করে এমন পোশাক পড়া যাবে না । বাকী সবধরনের পোশাক পড়া হালাল ।

তবে আমরা বাংগালীরা যেমন বিদেশী সংষ্কৃতি, পোষাক আশাক থেকে নিজ সংষ্কৃতি পোশাক আশাককে আলাদা রাখতে চাই, তেমনি আমাদের নবিজী (স)ও বিধর্মীদের সাথে যেন আমাদের ট্রেইট মিলে মিশে একাকার না হয়ে যায় সে ব্যপারে সতর্ক করেছেন ।

আর অমুসলিমরা মুসলিমদের মত কাপড় পড়লে মুসলিমদের ট্রেডিশন অনুসরন করলে সেটা ভালো । কারণ মুসলমানদের দায়িত্বই হচ্ছে অমুসলিমদের কুফুরি চর্চা থেকে সরিয়ে আল্লাহ পাকের পথে নিয়ে আসা।

আপনার সুবিধার্থে অধ্যায় ৩৭ থেকে কয়েকটি হাদিসের রেফারেন্স দিচ্ছি । এগুলো অনুসরন করা ফরজ নয়, তবে ইসলামকে ভালোবেসে থাকলে কাওকে বলে এগুলো অনুসরন করানোর দরকার হবে না :

অধ্যায়ঃ ৩৭
৫২২০। সাঈদ ইবনু আমর ইবনু সাহল ইবনু ইসহাক ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আশ আস ইবনু কায়স (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উকায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা হুযায়ফা (রাঃ)-এর সাথে মাদায়েনে ছিলালাম। হুযায়ফা (রাঃ) পানি পান করতে চাইলে এক গ্রাম্য মাতব্বর তাঁর নিকট রৌপ্য পাত্রে পানি নিয়ে এল। তিনি তা ছুড়ে মারলেন এবং বললেন, আমি তোমাদেরকে (এটি ছুড়ে মারার কারণ) জানাচ্ছি। তাকে আমি নিষেধ করেছিলাম, সে যেন এতে করে আমাকে পানি পান না করায়। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা স্বর্ণ ও রৌপ্য পাত্রে পান করবে না, এবং মোঢী রেশমী বস্ত্র ও মিহি রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে না। কেননা দুনিয়াতে এসকল কাফিরদের জন্য, আর তোমাদের জন্য হবে তা পরকালে, কিয়ামত দিবসে।

৫২৩২। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমার (রাঃ) উতারিদ পরিবারের জনৈক ব্যক্তির নিকট একটি রেশমী কাবা (বড় জামা) দেখতে পেয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেন, আপনি যদি এটি খরিদ করতেন! তখন তিনি বললেনঃ এটি কেবল সে ব্যক্তই পরবে (পরকালে) যার কোনঅংশ নেই। এরপর লাল রং-এর একটি হুল্লা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট হাদিয়া পাঠানো হলে তিনি সেটি আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, আপনি এটি আমার কাছে পাঠালেন? অথচ এজাতীয় কাপড় সমন্ধে আপনার উক্তি আমার কর্ণগোচর হয়েছে। তিনি বললেনঃ আমি শুধু এজন্য এটি তোমার কাছে পাঠিয়েছি যাতে তুমি এটি দ্বারা (বিক্রি করে) উপকার লাভ করতে পারো।

৫২৬৫। আদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে, কাসসী কাপড় পরিধান করতে, রুকু ও সিজদায় কুরআন পড়তে এবং আসফার দ্বারা রঞ্জিত (হলুদ রঙের) পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন।

৫২৭৮। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশে তার কাপড় (পায়ের গিরার নিচে) ঝূলিয়ে রাখে, আল্লাহ তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।

৫৩২৯। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন-নাকিদ, যুহায়র ইবনু হারব, ইবনু নুমায়র ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! পূরুষদের যাফরানী রং-এর কাপড় ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।

৫৩৮৭। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরচুলা সংযোজনকারী ও সংযোজন প্রার্থনাকারী এবং মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারী ও অঙ্কন প্রার্থিনীদের লাঁনত করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু বাযী (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।

৫৩৯৬। আবূ গাসসান মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) সাঈদ ইবনু মূসায়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুআবিয়া (রাঃ) (একদিন) বললেন, তোমরা একটি নিকৃষ্ট রীতি উদ্ভাবন করেছ। অথচ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেকী ও অলীক বিষয়ে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেনঃ তখন এক ব্যক্তি একটি লাঠি নিয়ে এল। যার মাথায় একটি (নকল চুলের) খোপা ছিল। মুআবিয়া (রাঃ) বললেন, দেখ! এটাই মেকী ও অলীক। রাবী কাতাদা (রহঃ) বলেনঃ অর্থাৎ যেসব গোছা দিয়ে মেয়েরা তাদের চুলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেখায়।

৫৩৯৭। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামবাসী দু-ধরনের লোক, যাদের আমি (এখনো)দেখতে পাইনি। একদল লোক, যাদের সাথে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে, তা দিয়ে তারা লোকজনকে পিটাবে। আর এক দল স্ত্রীলোক, যারা বস্ত্র পরিহিত হয়েও বিবস্ত্রা, যারা অন্যদের আকর্ষণ কারিনা ও আকৃষ্টা, তাদের- মাথার চুলের অবস্হা উটের হেলে পড়া কূঁজের ন্যায়া ওরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার খুশবুও পাবে না। অথচ এত এত দূর থেকে তার খুশবু পাওয়া যায়।

একটা লিংক দিচ্ছি : http://islamqa.info/en/2843

ধন্যবাদ ।

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

মাসূদ রানা বলেছেন: http://islamqa.info/en/36891

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২২

রাজীব বলেছেন: পান্জাবী অবশ্যই একটি ধর্মীয় পোষাক তবে হিন্দুদের।
পুজার সময় দেখবেন তারা পান্জাবী পরে।

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

এন.এ.আনসারী বলেছেন: পোষাককে কোন ধর্মীয় জালে সীমাবদ্ধ করা আমার উদ্দেশ্য নয়, ইসলাম যে কোন পোষাক অনুমোদন করে শর্ত একটাই সেটা যেন শালীনতার বাহক হয়ে থাকে, সেটা পাঞ্জাবী হউক কিংবা অন্য পোষাক হউক, এখন এখানে বিষয় হচ্ছে যে পাঞ্জাবী পড়ে ক্লাস করতে বাধা প্রদান, অবশ্যই পাঞ্জাবী একটি শালীন পোষাক তাহলে প্রশ্ন জাগে যারা বাধা দিচ্ছে তারা কি শালীনতায় বিশ্বাসী নয়.?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.