নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে আর ভারত রসগোল্লা খাইবে, (করম আলীর বৈঠক খানা-১)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

ইনসানের জিন্দেগিতে পেরেশানির শেষ নাই। এমনিতে নানান পেরেশানিতে দেশের মানুষের অবস্থা আমাদের দেশের ক্ষত-বিক্ষত সড়কের মত হইয়া গিয়াছে। আমিও একটার পর একটা পেরেশানির মধ্যে ডুবিয়া আছি। পেরেশানি আমার বাড়িয়াছে এই কারনে যে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় আজকাল পাকিস্তান খুব নাক গলাইতে শুরু করিতেছে,যেটা কখনো কাম্য নহে। করম আলীর দোকানের সামনে আসিতেই মাস্টার সাহেবের সাথে দেখা। চায়ের চুষকি দিতে দিতে শুরু হইয়া গেল আমাদের বৈঠকখানা।

মাস্টার সাহেব নিলর্জ্জ পাকিস্তানের দিকে ইশারা করিয়া কহিলেন তারা এখন ১৯৭১ সালে আমাদের উপর করা যুদ্ধাপরাধটি প্রকাশ্যে অস্বীকার কইরা ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। দেশের সুশিল সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে সকল শ্রেনীর ইনসান এর প্রতিবাদ আওয়াজ তুলিতেছে আমাদের সবারি একই সুর, অবশ্যই অবশ্যই পাকিস্তানকে তার ধৃষ্টতার জন্য মাফি চাহিতে হইবে নইলে সেই পাক থেকে আমাদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিতে হইবে, আমাদের মুলুকের ব্যাপারে কাহারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার বিন্দুমাত্র নাই – ইহাতে আমারা সবাই একমত, ইহাই আমাদের দাবী।

বৈঠকখানায় উপস্থিত সকিনার বাবা তখন বলিলো, সত্যি কথা কহিলেন মাস্টার সাহেব
মাগার আমার পেরেশানি তখন আরো বাড়িয়া যায়, যখন দেখি পাকিস্তানের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সুশিল সমাজ আওয়াজ তুলিতেছে, মিডিয়া তাহা ইয়া বড় বড় করে ছাপাচ্ছে কিন্তু ভারত দোস্ত আজ প্রকাশ্যে সীমান্তে রোজ আমাদের নিরীহ মানুষকে গুলি করিয়া মারিতেছে, আমরা আওয়াজ তুলতেছি না, বিশিষ্টজনরা মাগার এই সময় কিন্তু চুপ থাকেন, কোন প্রগতিশীল দল মুক্তমতবাদীদের কোন দিন দেখা দিল না যে এর বিরুদ্ধে কোন দিন মানবন্ধন করিতেছে।

কিছুদিন আগের কথা ভারত সীমান্তে আমাদের ২ বাংলাদেশীকে হত্যা কইরা তাহা ভুলবশ্যত হইয়াছে বলে স্বীকার করিলো মাগার আমাদের সরকার থেকে শুরু করে কোন সুশিল সমাজ একটি আওয়াজও তলিলো না, যাক ভুল স্বীকার করেছে এই বলে মাগার পরের দিন আবার তারা গুলি করে এক বাংলাদেশীকে হত্যা করে, তখনও কেউ টু শব্দ করিলো না, কেউ কহিলো না যে ভারতকে ক্ষমা চাহিতে হইবে, কেউ কহিলো না যে এভাবে প্রকাশ্যে দেশের মানুষকে মরার অধিকার কিন্তু ইন্ডিয়া মুল্লুকের নাই, আমাদের সরকারও কিন্তু দোস্ত ভারতের এমন আচরনের প্রতিবাদে তাদের হাই কমিশনারকে তলব করিলো না, কেন তারা প্রতিদিন আমাদের দেশের মানুষকে মারতেছে? তারা না আমাদের দোস্ত?

মাগার ভারত করিলেও প্রতিবাদের ভাষা আমাদের মুল্লুকে একটি অংশের আর পাওয়া যায় না। মাষ্টার সাহেব তখন চুপ করে সব শুনিতেছিলেন আমি একটু আগাইয়া কহিলাম কথা ঠিক কিন্তু এভাবে তারা প্রতিবছর কত মানুষকে মারিতেছে যাহার হিসাব নাই।

মাস্টার সাহেব সব শুনিয়া কহিলেন কথা কিন্তু ঠিক ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ২৪ বছর ধরে পাকিস্তান আমাদের উপর অত্যাচার করিয়াছে,নিরীহ বাঙালীর উপর তারা নির্মমভাবে ছোরা চালিয়েছে ঠিক অনুরুপ ১৯৭১ থেকে ২০১৫ আজ এই পর্যন্ত ৪৪ বছুর আমাদের দোস্ত ইন্ডিয়া আমাদের মারিতেছে মাগার আওয়াজ কেহো তুলিতেছে না।
মাস্টার সাহেব বুঝাইয়া কহিলেন এরুপ দ্বীমুখিনীতেই তো আমাদের দিল-দেমাগ আর সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করিয়া দিয়াছে, আল্লাহ আমাদের চোখ দিয়াছেন কিন্তু আমরা সেই চোখ দিয়া একই জিনিসকে দুই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দেখিতেছি অথচ দুইটাই কিন্তু সমান। আজ আমাদের এই মুল্লুকে কেউ কারো উপর বিশ্বাস করিতে পারিতেছে না কারন সেই দৃষ্টিভঙ্গি। অথচ আজ আমাদের উচিত ছিল পাকিস্তান আর ভারতের ধৃষ্টতার জবাবে একত্রিত হয়ে শক্তিশালি প্রতিবাদে শামিল হওয়া।

সকিনার বাবা কহিল, মাস্টার সাহেব আজ যেমন পাকিস্তানের ধৃষ্টতার প্রতিবাদে আমরা একমত তেমনি ভারতেরও ধৃষ্টতার জবাবে প্রতিবাদ করা উচিত ছিল সরকারের, উচিত ছিল ভারত মুল্লুককে হাই কমিশনারকে ডাকিয়া এর প্রতিবাদ করা কেন তারা প্রতিদিন আমাদের দেশের মানুষকে মারিতেছে বিনা দোষে, মাস্টার সাহেব কহিলেন এখন দেখার বিষয় যারা আজ নির্লজ্জ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলিতেছে সেই সব বুদ্ধিমান সমাজ তারা ভারত দোস্ত এর বিরুদ্ধে ফেনা কখন তুলিবে, তলিলে অবশ্যই আমরা সকল ইনসান একত্রিত হইয়া দেশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার সংকল্পে যাহারা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় হস্তক্ষেপ করিবে তাহাদের উচিত জওয়াব দিতে পারিবো।

বৈঠকখানায় তখন চায়ের চুষকি সবার শেষ পর্যায়ে, উঠিবার আগে দোকানদার করম আলী কহিলো মাস্টার সাহেব এই দ্বিমুখী নীতির কারনেই তো একই অপরাধের পরেও আজ পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে আর ভারত রসগোল্লা খাইবে...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

ঢংপাটি বলেছেন: বেজায় ভাল বকছেন

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

হোসেন মালিক বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। আসলেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন একপেশে হয়ে গেছে। একই মানব হত্যার অপরাধে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলা হয়, আবার কেউ রসগোল্লা খায়।
সুন্দর এই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: প্রথম কথা হইল দুই দেশের দোষ এক রকম না, পাকিস্তান খাইতো আমাদের কাইটা কাইটা আর ভারত খাইতেচে চুইসা চুইসা, দুইটা কেমনে এক হয়?

আর খুব হাসির কথা হইল যে বর্তমানের সরকার দিব ভারতরে চোখ রাংগানী , গাটঠি বোজকা নিয়া পালাইতে হবে !! :) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.