নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় কবির জন্ম দিবস পালনে মুক্তমনাদের অনীহা কেন?

২৫ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১


জাতীয় কবি, কবি নজরূল ইসলামের জন্মদিন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি অথচ উনার জন্মদিনে কতজন মুক্তমনা জন্মদিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছে? ওহ আচ্ছা তিনি মুসলমান ছিলেন এইজন্য শুভেচ্ছা জানাতে এত অনীহা?
আর এই যায়গায় যদি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন থাকতো তাহলে ভাবুনতো...ওরে বাবা, গনজাগরণ মঞ্চ’র প্রতিটি কর্মী থেকে শুরু করে সকল কথিত সুশিল সমাজ জয় ঠাকুর জয় ঠাকুরের জন্মদিন বলে মুখে ফেনা তুলতো অথচ আজ আমাদের বাঙ্গালীর জাতীয় কবির নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন কিন্তু তাদের মুখে বিন্দুমাত্র লেস নাই।
যদি তাদের চলতো তাহলে মুক্তমত এর ধোয়া তুলে,নজরুলকে সাম্প্রদায়িক প্রমান করে কবির নাম মুছে ফেলায় তারা শ্রেয় মনে করে। এর শুরু কিন্তু কথিত শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদই করে গিয়েছেন “চট্টগ্রাম অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন নজরুল কোন কবি বা সাহিত্যিক নন, বড়জরে তাকে একজন ইসলামিক পদ্য লেখব বলা যায়। তিনি সাম্প্রদায়িক ছিলেন বলে গজল লিখে গেছেন”।
পাঠক দেখলেনতো কথিত সুশিল সমাজ এর উক্তি জাতীয় কবিকে এরা কবি মানতে নারাজ কারন তিনি মুসলমান ছিলেন, তারউপর তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য ইসলামিক গজল আর তা লিখতেই তিনি হয়ে গেলেন সাম্প্রদায়িক। আর রবি ঠাকুর যতই মুর্তি,পুজা,অর্চনা,দেব দেবী নিয়ে লিখুক না কেন তিনি হয়ে গেলেন মহান সাহিত্যক কারন তিনি ইসলামিক ছিলেন না।
এখন বলুন এসব সুশিল সমাজকে কিভাবে মানুষের কাতারে রাখবো আমরা? বলতে গেলে এরা কি মানুষ নাকি জানোয়ার? আমি আগেও বলেছি এরা নাস্তিক না এরা একমাত্র ইসলাম বিদ্বেষী যার নাম দিয়েছে নাস্তিকতা। যদি বাংলাদেশের প্রতি তাদের এতই সম্মান থাকতো তাহলে জাতীয় কবিকে এরা অবহেলা করতো না। কয় অন্যনা আজাদ, কোথায় গেলে শাম্মি হক কিংবা মুন্সি, শামিমা মিতু ইসলাম বিদ্বেষী এসব নাস্তিককে তো দেখলাম না জাতীয় কবিকে সম্মান জানাতে। আমি দেখলাম না ফারজানা রুপা কিংবা মুন্নি সাহাকে কোন স্টাটাস দিতে জাতীয় কবিকে নিয়ে অথচ রবি ঠাকুরের বেলায় ভুরি ভুরি এদের স্টাটাস দেখেছি।
পরিশেষে বলবো একদিন পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে সবাইকে তাহলে মানুষ হয়ে বিদায় নিয়েন মিস্টার কথিত সুশিল সমাজ ও মুক্তমনা ভাই বোনরা, জানোয়ার হয়ে নয়। মানুষ হোন বাহে মানুষ হোন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হাসাইলেন।

২| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

মুসাফির নামা বলেছেন: বিষয়টা আসলে সাম্প্রদায়িকতা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ,সেটা হচ্ছে ভালো কোন জিনিসই এদের সহ্য হয় না। আপনি এদের কাছে পাবেন মিথ্যা,গালিগালাজ,আর অশ্লিলতা। কোন ভালো মানুষকে এদের সহ্য হবে না।সব সময় এদের প্রতি রইল ধিক্কার।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

কৌশিক মোদক বলেছেন: সবকিছুতেই ধর্ম নিয়ে খোঁচা দেন কেন, ------- যদি রবি ঠাকুর এর মুর্তি,পুজা,অর্চনা,দেব দেবী নিয়ে লেখা বিদাত কাজ , সে হিন্দু সে কাফের, আর কি বাকি রাখবেন, মনে রাখবেন রবিন্দ্রনাথ তথা হিন্দুদের আল্যার কাছে কোন দায়বদ্ধতা নেই। তার দায়বদ্ধতা ছিল বাংলাদেশের মাটির কাছে," বাংলার মাটী বাংলার জল", বাংলা মা এর কাছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন পালন করা বিদাত কাজ, এতে নবীর নিষেধ আছে, অথচ নজরুলের জন্মদিন পালনের জন্য হ্যাংলাম করছেন কেন।
আশাকরি বুঝেছেন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.