নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুজ কান্তি দাশ

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।

অনুজ কািন্ত দাশ

অনুজ কান্তি দাশ

অনুজ কািন্ত দাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“তুই আমারে চিনিস না? আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রীমঙ্গলের বাপ”

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২০

“তুই আমারে চিনিস না? আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রীমঙ্গলের বাপ”

অনুজ কান্তি দাশ, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) :
তুই ফ্যাক্টরীতে ডিউটির সময় চা-পাতা ছাড়িস না কেন? তুই আমার ৭নং ঝিলটি বন্ধ করলি কেন? এজন্য আমাকে তুই ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে যাবি। তুই আমারে চিনিস না, আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রীমঙ্গলের বাপ। এমন ডায়লগ দিয়ে একের পর এক কিল-ঘুষি আর লাঠি-সোটার আঘাত করতে করতে মারাত্মকভাবে আমাকে জখম করা হয়েছে বলে জানালেন, শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া ডিভিশনের ভূড়ভূড়িয়া চা বাগান ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান।
মাহমুদ হাসান আরো বলেন, “আমি সত্যিকার অর্থে সাগর হাজরার এমন আচরণে ভিত, কারণ এরকম প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার পরও সে জামিনে পার পেয়ে যায়, আবার পুলিশের ওপরেও তার দলীয় অত্যাচরীরা আক্রমণ করার সাহস পায় কোথা থেকে।” তিনি এমন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে এ প্রতিবেদকের কাছে আরো বলেন- আপনি এসেছেন, আমার সারা বাগান ঘুরে দেখে যান, শ্রমিকদের সালে আলাপ করে যান, আমার বিরুদ্ধে সামান্যতম কোন অভিযোগ, অসন্তোষ কিংবা কোন ধরণের অপব্যাখ্যা পান কিনা দেখে যান। তাহলে আমার পার্শবর্ত্তী ভাড়াউড়া চা বাগানে এমনটি হবে কেন? এটি একটি চক্রান্ত।
ভূড়ভূড়িয়া চা বাগান ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসানের এমন বক্তব্যের পর ভূড়ভূড়িয়া চা বাগান এলাকার অধিকাংশ শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ওই ব্যবস্থাপকের উপরে শ্রমিকদের কোন ধরণের অনাস্থা বা অভিযোগ তো নেইই বরং তিনি তার যথাসাধ্য সময় ও সামর্থের মধ্যে দিয়ে শ্রমিক সন্তানদের চুল কেটে দেওয়া, নখ কেটে দেওয়া, সাবান কিনে দেওয়া সহ চা বাগান এলাকায় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় নিজে নিজ থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শ্রমিকরা বলেন, “আমাদের বাবু খুবই ভালো মানুষ। আমরা তার উপরে যে হামলা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”
শ্রমিকরা আরো জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা ও তার ভাইয়েরা মিলে ভাড়াউড়া ডিভিশনের খাউছড়া চা বাগানের ২নং সেকশন ও ভূড়ভূড়িয়া চা বাগানের ৭নং সেকশনে দুইটি জলাশয় দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে মাছ চাষ করে আসছেন। স¤প্রতি ভূড়ভূড়িয়া চা বাগানের ৭নং সেকশনের জলাশয় সংলগ্ন চা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেন কাঁটা নিয়ে বাগান ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসানের সাথে সাগর হাজরার প্রথম দ্বন্দ দেখা দেয়।
বাগান ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, ভূড়ভূড়িয়ার ১১নং সেকশনে অবস্থিত ভূড়ভূড়িয়া ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে ক্রমশ ছড়ার পাড় ভেঙ্গে গিয়ে সেখানে গ্যাস পাউপের একটি প্রধান লাইন ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম দেখে তিনি বালু উত্তোলনের কাজে বাঁধা দিলে সাগর হাজরার সাথে তার দ্বিতীয় দফায় দ্বন্দ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সাগর হাজরা উত্তেজিত হয়ে তার দলবল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে নাস্তানাবোধ করার জন্য তার বিরোদ্ধে সাজানো একটি নারী ক্যালেঙ্কারীর অভিযোগ দেখিয়ে তাকে প্রহৃত করে।
এদিকে সাগর হাজরার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, ঘটনাটি একটি ন্যাক্কারজনক। তথাপিও ভূড়ভূড়িয়া ম্যানেজারের মামলায় সাগর হাজরার তড়িৎ জানিনে বেরিয়ে আসা, পুলিশের ওপর সাগর হাজারার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে প্রবেশে বাধা দেওয়া সহ আসামীদের অবাধ চলাচলে বাগানবাসী হতবাক হয়ে গেছে। তারা এর মধ্যে একটি বিরাট রহস্য আছে বলে ধারণা করছেন।
এদিকে ভূড়ভূড়িয়ার ম্যানেজার জানান, পূর্বে ৭নং সেকশনের জলাশয় নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের কারণে সাগর হাজরার বিরোদ্ধে ভূড়ভূড়িয়া ম্যানেজার মাহমুদ হাসান তৎকালীন শ্রীমঙ্গল থানর অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহর সময়ে একটি মামলা করলে বর্তমানে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মো. আব্দুল জলিল থানায় যোগদানের পরপরই মাহমুদ হাসানকে সাগর হাজরার বিরোদ্ধে আনত মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য জোড় দেন। বর্তমানে ২য় মামলাটিও যে কতটুকু অগ্রসর হবে তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তিনি। মাহমুদ হাসান এখন তার যাপিত জীবনে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে ব্যক্ত করেছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.