নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য অন্বেষক

আরব বেদুঈন

আমি তো শুধু প্রাচারক মাত্র

আরব বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওমর ফারুক রাঃ এর কিছু খন্ড ঘটনা পর্ব-১

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

ওমর (রা) ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, হে ভাই! তুমি কী প্রয়োজনে এসেছ?
একদা কোন এক লোক আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর রা.-এর কাছে স্বীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেন ওমর রা. এর অপেক্ষায়। হঠাৎ ভিতর থেকে ওমর রা. এর স্ত্রীর কণ্ঠ শুনতে পেলেন যে, তিনি ওমর রা. কে এটা সেটা বলছেন। ওদিকে ওমর রা. কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে বসে আছেন। এটা দেখে লোকটি চলে যাচ্ছিলেন। ভাবলেন, ওমর রা. এত কঠোর স্বভাবের মানুষ, তারপর আবার আমিরুল মুমিন; তাঁর যদি হয় এ অবস্থা, আমি আর কে!
ইতিমধ্যে ওমর রা. বের হয়ে লোকটিকে দেখে ফেললেন। ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, হে ভাই! তুমি কী প্রয়োজনে এসেছ?
লোকটি বললেন, হে আমিরুল মুমিনীন! এসেছিলাম আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে। বড্ড জ্বালায় সে আমাকে। কিন্তু আপনার স্ত্রীর অবস্থা দেখে ফিরে যাচ্ছি। ভাবলাম এই যখন আমিরুল মুমিনীনের অবস্থা, আমি আর কে! তখন হযরত ওমর রা. বললেন, ভাই!
আমি এসব হাসিমুখে সহ্য করি। কারণ আমার উপর অনেক হক রয়েছে তার। উপরন্তু সে আমাকে রান্না করে খাওয়ায়,আমার কাপড় ধুয়ে পরিস্কার করে দেয়, আমার সন্তানকে দুধ পান করায়।
অথচ এসব তার উপর ওয়াজিব নয়। আর তারই কারণে হারাম কাজ থেকে আমার নফস বিরত থাকে। তখন লোকটি বললেন, আমার স্ত্রীও তো আমাকে এসব কাজে সহায়তা করে। ওমর রা. বললেন, ধৈর্য ধারণ কারো ভাই! দুনিয়ার জীবন কয়েক দিনের মাত্র।
(খুলুকুল মুমিনীন : ৭২)

হযরত ওমর কর্তৃক স্বীয় পুত্রের বিচার
-ইমরান হোসাইন
একবার হযরত ওমরের নিকট একটি অভিযোগ এল যে, তার পুত্র আবু শাহমা মদ খেয়েছে। অভিযোগটা অন্যান্য লোকের কানেও এল। অনেকে ফিসফিসানি শুরু করে দিল যে, এবার দেখবো খলিফার আইনের শাসন নিজের ছেলের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে।
কিন্তু তাদের ধারণাটা অচিরেই মাঠে মারা গেল। কেননা অন্যরা শৈথিল্য দেখাতে পারে এই আশংকায় হযরত ওমর তাঁর ছেলের মামলা আদালতে না পাঠিয়ে নিজের হাতে তুলে নিলেন।
ছেলের মদ খাওয়ার সত্যতা প্রমাণিত হলো। ইসলামী আইনে এর শাস্তি ৮০ ঘা বেত্রদন্ড। এবারও হযরত ওমর অন্যের ওপর নির্ভর করলেন না। কেননা অন্যরা দুর্বলতা দেখাতে পারে। তিনি নিজেই পুরো ৮০ ঘা বেত্রদন্ড।
এবারও হযরত ওমর অন্যের উপর নির্ভর করলেন না। কেনান অন্যরা দুর্বলতা দেখাতে পারে। তিনি নিজ হাতেই পুরো ৮০ টা বেত্রাঘাত নিজের ছেলের পিঠে লাগালেন। আবু শাহমা এই শাস্তিতে মারা গেলেন।
কিন্তু হযরত ওমর আল্লাহর শোকর আদায় করলেন যে, তিনি তাকে এমন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন। কোনো কোনো রেওয়ায়াতে আছে যে, ৮০টি বেত্রাঘাতের কয়েকটি বাকী থাকতেই ছেলে মারা গেলে হযরত ওমর তার কবরের ওপর বাকী বেত্রাঘাতগুলো করেন।
শিক্ষাঃ
ইসলামী আইন ও নীতিমালা প্রয়োগের ব্যাপারে কোনো আপোষের অবকাশ নেই।
আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ সাক্ষী হিসাবে ইনসাফ কায়েম কর, এমনকি তা যদি তোমাদের নিজেদের, পিতামাতার ও ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধেও যায়।”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

খোলা মনের কথা বলেছেন: শিক্ষানীয় ঘটনা। সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।জাজাকাল্ললাহ

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: সেই সুবিচার আজ কোথায় ছেলের চোখের সামনে
মুসলিম নামের পরিচিত পিতা দিনের পর দিন মদ
মদ গিলে বাসায় প্রবেশ করে। তার ছেলের ভবিষ্যৎ
কেমন হবে? সে বিচার ব্লগারের উপর ছেরে দিলাম।
খুব ভাল লাগল ধন্যবাদ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আরব বেদুঈন বলেছেন: আপনি ওসব বুঝবেন না আপু এটা হল প্রগতিশীল সমাজ ।ওদের কিছুই বলার নাই বেত পেটা ছাড়া
জাযাকাল্লাহ

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আপনার আপন বলেছেন: now a days........ father & son take drink from same bottle

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: অসাধারণ দুটি ঘটনা ,এবং শিক্ষণীয় ঘটনা |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.