নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক, দুই, তিন, চার............ গুনতে থাকেন!

এখানে হাত পাকাচ্ছি :)

গোঁফওয়ালা

কাজের কাজ তেমন কিছু পারি না... ভালোবাসি ঘুরে বেড়াতে আর গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করতে। লেখালেখির হাত তেমন ভালো না...তবু শখে লিখি। ফেসবুক : facebook.com/Arefins.bd

গোঁফওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিভিউ- মোস্ট ওয়েলকাম ২ : একটি গ্রাফিক্যাল চলচ্চিত্র !

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৫





এম এ জলিল অনন্তের মুভি বার বার দেখতে যাই নিখুঁত কোন সিনেমার আশায় নয় নিখুঁত বিনোদনের আশায়। তো বলাইবাহুল্য সেই হিসেবে “মোস্ট ওয়েলকাম ২” ও হতাশ করেনি :p



গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাতরাশ সেরেই চাপা উত্তেজনা নিয়ে উর্ধশ্বাসে ছুটতে থাকি ঐতিহাসিক বলাকার দিকে। তিন ঘন্টার অ্যাকশান, টেনশন টেনশন। সেখানে বন্ধু সম্রাট আর হাবিব অনন্ত জলিলের জ্বলন্ত টিকিট হাতে দন্ডায়মান।



যথাসময় মর্নিং শো শুরু হল। বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সাদা চুল, সাদা গোঁফওয়ালা হাসান মইন খান (যিনি কথা বললেই ফুঁ লেগে লেগে সাদা গোঁফ উড়ে নীচের আসল খাটি ‘সোহেল রানা’ কালো গোঁফটা হাস্যকরভাবে বের হয়ে পড়ে) গবেষণা করে ক্যন্সারের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন। ডজন ডজন পুলিশ যখন এই বিজ্ঞানীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তখন –

হিরোদের হিরো, মারকুটে, সৎ পুলিশ অফিসার, সদ্য বিউটি পার্লার ফেরত নায়কের (আরিয়ান) আবির্ভাব। বলাবাহুল্য একপ্রস্থ মারপিট হইয়া গেল।



খানিক বাদেই ঘুম থেকে উঠে মুখে পানি ছিটাতে ছিটাতে আয়নায় সামনে/পর্দায় ভেসে উঠলো নায়িকা বর্ষার মুখ। তারপর সোজা রেস্টুরেন্ট- সেখানে বান্ধবীদের সামনে পুলিশ অফিসার আরিয়ানের মেয়েবন্ধু হিসাবে আলগা পার্ট নিতে থাকা কালে আরিয়ান সাহেব সব শুনে ফেলে। ছদ্মবেশ ধরে আরিয়ান সাহেব নায়িকার সাথে কিছুক্ষন ইয়ার্কিও মেরে আসলেন।



এরই কোন ফাঁকে বোধহয় একখানা গ্রাফিক্যাল মিউজিক ভিডিও হয়ে গেলো (আসলে পুরো ছবিতে কখন গান শুরু হয় কখন শেষ হয় তা হিসাব রাখা শক্ত)। উইন্ডোজ ৯৮ এর ওয়ালপেপারগুলোর উপর নায়ক-নায়িকার উপর্যুপরি নাচগুলোয় ছিল ফটোশপের শৈল্পিক ব্যবহার। একবারতো দেখলাম বরফের একটা চাই ভেসে যাচ্ছে আর নায়ক তার উপর নাচের তাল করতেছে। বোঝেন তাইলে অসম্ভবকে সম্ভব করা কার কাজ? :/ নাচ-গানের জন্য এই পোড়ার দেশে একটা ভালো জায়গাও পাওয়া যায়নি :/







ওইদিকের বুড়ো বিজ্ঞানী পাসওইয়ার্ড বান্ধব গুপ্ত স্থানে তার ভ্যাকসিনের ফর্মুলা একখানা হার্ড ডিস্কে লুকায়া রাখছে। সেইটা উদ্ধারে দেশি গুন্ডা মিশা বিদেশি গুন্ডা ন্যনোর আন্ডারে একজোট হয়ে মুহুর্মুহ আক্রমন চালায় যাচ্ছে। না পাইরা তারা বিজ্ঞানীর নাতনী, নায়িকা বর্ষাকে কিডন্যপ করতে ব্যর্থ হয়ে তার প্রতিবন্ধি ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। নায়ক জলিলের খবর পাইতে দেরি কিন্তু আসতে দেরি নাই – পথের মাঝেই শুরু হয় ঢাসিয়া ঢাসিয়া গুলাগুলি।



দুয়েক রাউন্ড গুলি করেই অতগুলো গুন্ডার গুলি শেষ। কাজেই তারা বোধ হয় কিডন্যাপ করা প্রতিবন্ধী পোলাটারে পানিতে চুবাইতে উদ্বুদ্ধ হয় ! তারা হুইল চেয়ার ঠেলতে ঠেলতে পানির দিকে ধাবিত হতে থাকে আর নায়ক যায়া পাছায় লাথি মারে, লাথি খাইয়া উইঠা আবার চেয়ার ঠেলতে থাকে- আবার লাথি খায় এভাবে একপর্যায় পানির কাছে চলে আসে।



অইদিকে ভিলেনরা বুড়ো বিজ্ঞানীকে হেলিকপ্টারে উঠায় নিয়া যায়... জলিল কোন মতে হুইল চেয়ার সেভ কইরা লাফ দিয়া হেলিকপ্টারের নীচের ডান্ডা ধইরা ফেলে ! কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়না।



এই ব্যার্থতার দায়ে চাকরি যায় বক্ষ-বন্ধনী আবশ্যকীয় (স্যাডলি-সিরিয়সলি ঃ/) নায়কের। সদ্য চাকরি হারা এক মাসুম পুলিশ অফিসারকে ভিলেনের একদল টাকা খাওয়া পুলিশ জেলখানায় নিয়ে আচ্ছা করে ধোলাই দেয়। এসময় জেলখানায় নায়কের পরনে থাকে বেল্ট-বকলেস সমৃদ্ধ যুদ্ধাংদেহী পোশাক (যেটা ধরা খাওয়ার আগে ছিলনা)। মানে যখন যেটা দরকার সেইভাবে ড্রেস, জুতা, চুলের কালার (লালচে বা কালো) । সদাপটে এই বিপর্যয় থেকে নায়ক জেলখানা তসনস করতে করতে বের হয়ে আসে ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম হয়ে।



তারপর নানান কাহিনী, উথান-পতন জলিলের হরিজন্টাল ভাবে হাওয়ায় ভেসে থেকে কাইত হয়ে ট্রেডমার্ক একশানের যথাযথ ব্যবহার এবং বর্ষার মেকআপ ঠিক রেখে একসময় ভিলেনের ডেরায় হাজির হয়।



মহানবিজ্ঞানীকে উদ্ধার করে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করেন বিপুল ক্ষতি থেকে।



# এত কিছুর মাঝে বলতে হবে গান সিলেকশন ভালো হইছে। বিশেষ করে কৈলাস খেরের গান মানুষকে ৫ মিনিটের জন্য থমকায় দিসিল।



# গ্রাফিক্সের কথা বললে একবাক্যে বলতে হয় রিপ ফটোশপ। কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাস্যকর গ্রাফিক্সের মানে হয়না।



#রেটিং : সালমান খানের মুভি থেকে অনেক ভালো।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৭

রাবার বলেছেন: যিনি কথা বললেই ফুঁ লেগে লেগে সাদা গোঁফ উড়ে নীচের আসল খাটি ‘সোহেল রানা’ কালো গোঁফটা হাস্যকরভাবে বের হয়ে পড়ে =p~ =p~

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

গোঁফওয়ালা বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৭

রোদেলা বলেছেন: ছবি দেখার পর মনে হইসিলো আমি এক খান রিভিউ দিমু,কিন্তু সময় পাই নাই। এখন মনে হচ্ছে আর না লিখলেও চলবো।পুরো ঘটনা জলিল ভাই যেমনে ঘটাইসে আপনে তেমনি কইরাই বয়ান করসেন। এইখানে আর একটু যোগ করতে চাই-ছবিতে বার বার এ সি পি আরিয়ান বলা হচ্ছিলো যা আসলে ইন্ডিয়ার জন্যে প্রযোজ্য।(assistant commissioner of police).আমাদের এখানে এ এস পি বলা উচিৎ ছিলো,যাই হোক জলিলের অন্যান্য ছবিতে গানের ব্যাপারে অনেক সময় দেওয়া হয়,কিন্তু এতো আয়জন করে বানানো ছবির গানের হাল দেইখা আমি ফেডাপ,যারপরনাই কষ্টিত।
এতো সুন্দর লোকেশন আমাদের দেশে,তা থুইয়া কেমিক্যাল পর্দায় লাফালাফি।
বলা বাহুল্য-ঈদের পদিন বসুন্ধরায় টিকিট না পাইয়া ব্ল্যাকে বলাকায় দেখলাম।গান ভালো না লাগলেও জলিলের ঢিসুম ঢিসুম মন্দ লাগে নাই।পয়সা উশুল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

গোঁফওয়ালা বলেছেন: এতো আয়জন করে বানানো ছবির গানের হাল দেইখা আমি ফেডাপ,যারপরনাই কষ্টিত। কি আর করা জলিলরে কেডা বুঝাইবে।

আর ঢিসুম ঢিসুম দেইখা পয়সা উসুল হইলেতো আর কি লাগে :P

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এই ছবি আমার বান্ধবী ঈদের পরের দিন দেখতে চেয়েছিল কিন্তু টিকেট পায় নাই ---
রিভিউ ভাল হয়েছে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২

গোঁফওয়ালা বলেছেন: ধন্যবাদ। আর আপনার বান্ধবীদের ব্যড লাক, এই জিনিস কেউ মিস করে ? B-)

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০০

মাহফুজা সুলতানা বলেছেন: অনেক ভাল রিভিউ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৩

গোঁফওয়ালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
রিভিউ ভালো হয়েছে....
রেটিংও উৎসাহব্যঞ্জক!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৬

গোঁফওয়ালা বলেছেন: ধন্যবাদ।
এ পিস অব রেটিং ক্যান নট জাজ এ সুপার হিরো - জলিল /:)

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৫

মফিজ বলেছেন: "সালমান খানের মুভি থেকে অনেক ভালো"
ভালো লাগলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭

গোঁফওয়ালা বলেছেন: ;)

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪০

আরজু পনি বলেছেন:

# গ্রাফিক্সের কথা বললে একবাক্যে বলতে হয় রিপ ফটোশপ। কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাস্যকর গ্রাফিক্সের মানে হয়না। ...

জলিল ভাইয়ের একটা সিনেমাও মিস করি নাই তা সিনেমা হলেই হোক বা ইউটিউবে। কিন্তু এই লাইনটাই এইবার আমার আগ্রহে ভাটা ফেলছে :(

তবে সালমান খানের মুভি থেকে অনেক ভালো।...এই কথাটার জন্যে আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ :D

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০২

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: চখাম রিভ্ভু++++++++++++++++++

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: : অনেক ভাল রিভিউ

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্যালুট ভ্রাতা, স্যালুট ++++

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮

ভালোবাসার কাঙাল বলেছেন: দেখার স্বাদ এইখানেই মিটিল :(

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: #রেটিং : সালমান খানের মুভি থেকে অনেক ভালো।-শুধু এই কথাটি সমর্থন করার উদ্দেশ্যে কমেন্টেসে যোগ দিলাম।

রিভিউ পড়ে ব্যাপক বিনোদন পাইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

ড. জেকিল বলেছেন: মজার রিভিউ হইছে।

রেটিং ঠিক আছে :)

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

ড. জেকিল বলেছেন: পোস্টারের ছবিটা কি সত্যি অনন্ত জলিলের ? আমার কেমন জানি সন্দেহ লাগতেছে ! :-P :-P

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

জামান শেখ বলেছেন: খুব হাসি পেল। ভালো রিভিউ ++

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

#রেটিং : সালমান খানের মুভি থেকে অনেক ভালো।


দোয়া করি, পরেরটা যাতে শাহরুখ খানেরটার চেয়ে ভালো হয়।


জলিল ভাইয়ের সবকিছুই আমার ভালো লাগে। আমি মেয়ে হলে তাঁর প্রেমে পড়ার চেষ্টা করতাম। তবে বলতাম, মুখে কোনো কথা নাই, সবকিছু ইশারায় হবে, ডিজিটালি।


জলিল ভাইকে অনেকদিন দেখি না। যাই দেখি, ইউটিউবে কিছু পাই কিনা।


জলিল ভাই হলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড। তাঁকে নিয়ে একদিন আমি একটা ফিল্ম বানাবো- Ananta Jalil Reborn.



ভালো কথাটা বলে কথা শেষ করি। ছবি ভালো হয়েছে।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরে ধুর, আসল কথাটাই মিস হয়ে গেছে- রিভিউ মজাদার হয়েছে।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

গোঁফওয়ালা বলেছেন: রিভিউ পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি অত্যন্ত দুঃখিত সবার সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলোর আলাদা আলাদা ভাবে উত্তর দিতে পারলাম না :( নেটের লাইন নাই এবং মোবাইল নেট থেকে টাইপ করতে কষ্ট হচ্ছে। সবাই ভালো থাকবেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.