নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য স্রোত

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

আন্ডারগ্র্যাডে আমার এক জাপানি ক্লাসমেট ছিল। নাম ফুজিতা (ছদ্মনাম)। চিকনা চাকনা। মাথায় লম্বা চুল। কিউট ঢালিউড নায়কি চেহারা। আমরা একই ডরমিটরিতে থাকতাম। একদিন ক্লাসটিচার বললেন- ফুজিতা ক্লাসে আসছেনা। আর একটা ক্লাস কামাই করলেই ফেইল। এই ক্লাসে তাকে আরো এক বছর থাকতে হবে। জাপানি ছেলেরা চুপচাপ। কেউ কোন কথা বলছে না। কী কারণে আমি বলে উঠলাম, আমি ছেলেটাকে ডরমিটরিতে প্রতিদিন দেখি। আমি খোঁজ নিতে পারবো।

ক্লাস শেষে ডরমিটরিতে ওর রুমে গেলাম। অসময়ে শুয়ে ছিল।

বললাম – ক্লাসে তোমার উপস্থিতি নিয়ে .. থামিয়ে দিয়ে বলল- জানি।

কাল থেকেই ক্লাস করবো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন তোমাকে দেখে ভাবছি সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন করবো। পড়াশুনা করবো না। আমাকে কেউ উপদেশ দিতে আসুক- আমি এটা চাইনা। আমার রাগ বেড়ে যায়। বলে কি? আমি আবার কী করে বসলাম? এক্কেবারে খাস বাংলা স্টাইলে ছেলেটার হাত ধরলাম।

বললাম, ভাই একটু কথা বলতে চাই। সে বলল – ক্ষুধায় পেট চাউ চাউ করছে। খেয়ে এসে তোমায় ডাক দেব। ডরমিটরির বাইরে এক সিঁড়িতে বসলাম। অনুমতি নিয়ে সে সিগারেট ধরালো। কোত্থেকে কথা শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। আমি আমার বাবা-মা-ভাই-বোন দের কথা বললাম। “ছয় বোন দুই ভাই। বাবা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, পলিটেকনিকে পড়ান। সীমিত আয়। আমার বৃত্তির টাকার একাংশ বাসায় পাঠাই।”

আমার কথার জের ধরে সে তার পরিবারের কথা বলতে লাগলো –

“আমরা এক ভাই, এক বোন। বাবা আছেন, মা আছেন। বাবা জন্মান্ধ। বাপজান যখন ছোট ছিলেন তখন জাপানি রাস্তাঘাট তেমন অন্ধ-প্রতিবন্ধী-বান্ধব ছিলনা। রাস্তায় পার হচ্ছিলেন, এক বাস এসে তাকে পিষিয়ে দিয়ে চলে গেল। জানে বেঁচে গেল কিন্তু পা দুটো হারাল। দাদাজান বাবাকে রেখে এলেন একটা প্রতিবন্ধী হোস্টেলে। সেখানে এক সুন্দরী মহিলার সাথে পরিচয় হলো। তিনি ও জন্মান্ধ। বিয়ে করে বাবা উঠলেন আমাদের নানা বাড়িতে। আমাদের দুজনেরই জন্ম সেখানে। বোনটি মায়ের অনেক বৈশিষ্ট্য পেয়েছে। সে যথেষ্ট সুন্দরী। সে যে কত সুন্দর তা আমার মা ও জানেনা, বাবা ও জানেনা। সে নিজে ও জানেনা। কারণ সে ও জন্মান্ধ। কেবল মাত্র আমি বড় হয়েছি সম্পুর্ন সুস্থ শরীর নিয়ে। এই দেখো আমার দুই হাত দুই পা, দুই চোখ সব ঠিক আছে। বাড়িতে কেবলমাত্র আমার দৃষ্টিই রঙ্গিন। বাকিদের দৃষ্টিহীন চোখে এই পৃথিবীর পুরোটাই কল্পনার জগত। বাবা মা আর আমার বোন সরকার থেকে একটা ভাতা পায়। প্রতিবন্ধী ভাতা। সেই ভাতা থেকে আমার পড়াশুনা চলে। প্রতিবন্ধীদের আয় থেকে আমি সুস্থ শরীরের মানুষটা ব্যয় করে যাচ্ছি। এসব আর ভাল্লাগছে না। নিজেকে অকেজো লাগছে। নিজে উপার্জন করতে চাই। বিনা পরিশ্রমের সরকারি টাকাটা আমার জন্য অপমানের।“

আমি ছেলেটির চোখের দিকে তাকাতে পারলাম না। আমি এদের ট্যাক্সের টাকার সরকারি বৃত্তি নিয়ে পড়ছি। এক সময় ভাবতাম লেখাপড়া করে নিজ যোগ্যতায় এই বৃত্তি আমি অর্জন করেছি। আজ তার কথা শুনে কেমন কেমন লাগছে। তার “বিনা পরিশ্রমের সরকারি টাকা” কথাটি মগজ থেকে ফেলতে পারছিনা। বৃত্তির টাকাটা ও কেমন অপবিত্র অপবিত্র লাগছে। যুক্তিতে যাবার চেষ্টা করলাম। বললাম, ভাইরে আর দেড়টা বছর। একটা ডিগ্রি হবে, চাকুরীতে ঢুকলে ভাল একটা বেতন পাবে … আমি আমাদের সিলেবাসটুকু দেখেছি। বাকি দেড় বছরে এখানে যা শিখব, চাকুরীতে গেলে কোম্পানিতে আরো বেশি শিখবো। এর মধ্যে বেতন ও পাবো। আমি একটা করে যুক্তি দেই, ছেলে একটা করে বাণী ছাড়ে।

শেষ যে বাণীটা ছাড়লো – তা এখনো আমার কাছে রহস্য। আমি তার থিওরির নাম দিয়েছি ফুজিতা থিওরি। …স্রোতের আসল স্বাদ পেতে হলে সাঁতরাতে হবে স্রোতের বিপরীতে… আয়নার পেছন দিক থেকে কখনো নিজের চেহারা দেখেছ?

এই চেহারা আমি তুমি দেখতে পাবো না। একজন অন্ধ দেখতে পায়। আমি সেটা দেখতে চাই। দেখাতে চাই। কেমন হুমায়ুন আহমেদের হিমু মার্কা মহাজ্ঞানী কথাবার্তা। তেমন বুঝতে পারিনি। আধ্যাত্মিক কথাবার্তা এমনিতেই কম বুঝি। আমাদের ক্লাসে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। ৪৩ জন পাশ করে বের হলো, ফুজিতা চলে গেল অন্য স্রোতে। আয়নার অপর পৃষ্ঠের দর্শক হয়ে। দেড়বছর পর আমাদের গ্রাজুয়েশন সেরেমনি তে ফুজিতা এসেছিল। আমি দুর থেকে দেখলাম। কথা বলতে চাইলাম। সেই সুযোগ হলো না। আমি (একমাত্র বিদেশি ছাত্র) ব্যস্ত হলাম একটা টিভি ইন্টারভিউ তে। আয়নার সামনের পৃষ্ঠ দেখাতে। ২০ বছর পরের কথা। ২০১২ সালে একবার অইতা ন্যাশনাল কলেজ অব টেকনোলজি তে গেলাম। স্যার দের জিজ্ঞাস করলাম কে কোথায় আছে। ফুজিতা জয়েন করেছিল ছোট একটা সফটওয়ার ফার্মে। সেই ফার্মটিকে সে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে। অন্য স্রোতের এই ছেলেটি আজ ফার্মটির সি,ই,ও। আমরা বাকি ৪৩ জন ওর ধারে কাছে ও নেই।

[সগৃহীত : জাপান কাহিনী , লেখক : ড. আশির আহমেদ ]

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মানুসের দৃষ্টিভঙ্গির মান কত উন্নত। অথচ আমরা....!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন ভাই , আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মান এখনো অতটা উঁচু পর্যায়ে যায়নি , আর এজন্যই আমরা পিছিয়ে আছি

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিনদেশিদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে নিজেদের প্রতি ঘৃনা লাগছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য, ব্যাক্তিগতভাবে আমি আশা রাখি কোনোএকদিন হয়তো আমরা মানসিকতার দিক দিয়ে উন্নত দেশগুলোর কাতারে যেতে পারবো

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটা জাপানে সম্ভব ছিলো, বাংলাদেশে মোটামুটি অসম্ভব

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই , এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ধরনের কিছু অসম্ভব , মনমানসিকতার দিক থেকে তো আমরা এমনিতেই পিছিয়ে আছি , তারপর উদ্যোক্তা হতে গেলে এই দেশে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এজন্যই তারা উন্নতি করতে পারে। তাদের ভাবনায় সৃজনশীলতা আছে। আমাদের ভাবনা গতানুগতিক।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন , আমার দেখায় জাপানিজরা অনেক সৃজনশীল একটা জাতি

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

শংকর চক্রবত্তী বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে অলস। অন্যের উন্নয়ন চেয়ে চেয়ে দেখি।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , আমরা অলস সেটা প্রত্যাশিত সত্য , আমরা স্বপ্ন দেখি কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো কাজ করি না , আর যতটুকু পরিশ্রম করি , তাও বৃথা , উদ্দেশ্যহীন পরিশ্রম

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

করুণাধারা বলেছেন: গল্পটি ভাবাচ্ছে। চমৎকার এই গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই গল্পটি পড়ার জন্য

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: এই টাইপের গল্পগুল কেন বিদেশী হয় বলতে পারেন?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য , এগুলো নিছক গল্প নয় একদম বাস্তবিক ঘটনা , আর এই গল্পের পেছনে যেসব মানুষ থাকে , আমাদের দেশে সেই মানুষ নেই তাই আমাদের দেশে এধরণের গল্প হয়না , ভালো থাকবেন

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

সনেট কবি বলেছেন: বেশ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

ওমেরা বলেছেন: কর্মঠ মানুষ কখনো অন্যের গলগ্রহ হয় না। আশাজাগানিয়া গল্পটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য , বাস্তবিক হচ্ছে এই গল্পগুলো পরেও আমরা কিছুই শিখি না , আমাদের দেশের মানুষের মনমানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়না, ফলে আমাদের দেশ যে অবস্থায় আছে সেরকমই থাকে

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার মন ভালো করা গল্প।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপা গল্পটি পরে দেখার জন্য , শুভকামনা থাকলো

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

সুমন কর বলেছেন: এক কথায়, অসাধারণ। +।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , ভালো থাকবেন

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানলাম। জাপানি মানুষ সম্বন্ধে নতুন অভিজ্ঞতা হলো। +++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই , হা জাপানিজরা আসলেই অনেক সৃজনশীল , কর্মঠ , উদার আর সহনশীল জাতি

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে। জাপানীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তবে আমাদের দেশেও এমন অনেক ইন্সপায়ারিং ঘটনা আছে। আসলে সমগ্র পৃথিবীতেই সফল মানুষের গল্পগুলো প্রায় একই রকম।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের পেছনে সেই দেশের মানুষ , তাদের মেধা আর সততার অবদান অনেকখানি , সব দেশের গল্পগুলো প্রায় একইরকম , অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

চাঙ্কু বলেছেন: স্রোতের আসল স্বাদ পেতে হলে সাঁতরাতে হবে স্রোতের বিপরীত। - কি অসাধারন কথা!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: সত্যি উক্তিটি অনেক সুন্দর , আর অনুপ্রেরণামূলক , অসংখ্যা ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি গল্প শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য , শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী হলো, স্বামী এবং স্ত্রী।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজীব ভাই , এই কথাটি এখনকার সময়ের জন্য আরো বেশি প্রযোজ্য , নিখাদ দায়িত্ববোধের তাড়নায় একজন আরেকজনের সাথে অভিনয় করে যায় সারাজীবন , কিন্তু সেখানে কোনো আবেগিও ব্যাপার কাজ করে না

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আপনার লেখা কোন গল্প।

পড়ে ভাল লাগলো দৃঢ় প্রতিজ্ঞা মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তারই প্রমাণ।

ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই গল্পটি পড়ার জন্য , আমি খুব ভালো গল্প লিখতে পারিনা , কেন যেন আসেনা মাথায়

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর শেয়ার ।+ :)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য , ভালো থাকবেন

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

জুন বলেছেন: আপনার শেয়ার করা লেখাটি পড়ে আবিভূত হোলাম সোনালী ঈগল। আমার ছেলের দুটো জাপানী বন্ধু আছে। তাছাড়া টোকিও ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রনে ও দুবার জাপান সফর করেছে দুর্যোগব্যবস্থাপনার উপর সন্মেলনে। ওরা সুনামীতে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর দেখেছিল। আমাকে সব সময় বলে " আম্মু তোমাকে একবার জাপান বেড়াতে নিয়ে যাবো। তুমি শুধু দেখো ওরা কত ভালো, কত ভদ্র, কত ন্যায়পরায়ন একটি জাতি। ২য় মহাযুদ্ধের পর তারা নিজেদের ইমেজ কি করে পুরোপুরি পালটে ফেলেছে তাই দেখবে"।
শুধু আমরাই নিজেদের আরো নীচতার গহীন গহব্বরে ধাবিত হচ্ছি।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য , হা আপনার ছেলে ঠিকই বলেছে , জাপান আসলেই অনেক সভ্য একটি দেশ , যদিও একসময় তাদের কিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন ইতিহাস ছিল , কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশেষ করে পরমাণু বোমা হামলা তাদের ব্যাপক পরিবর্তন করে দিয়েছে , শুভকামনা রইলো আপনার এবং আপনার ছেলের প্রতি

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

নীল আকাশ বলেছেন: কর্মঠ মানুষ কখনো অন্যের গলগ্রহ হয় না। আসলে আমরা পুরো জাতীটাই পঁচে গেছি ।

স্রোতের আসল স্বাদ পেতে হলে সাঁতরাতে হবে স্রোতের বিপরীত। - কি অসাধারন কথা!

ভালো থাকুন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: একদিন অবশ্যই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো , যদি আমার মানুষ হিসেবে ভালো হয় আর আমাদের সিস্টেমগুলো ভালো হয় , অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

তারেক সিফাত বলেছেন: এই লিখাটি আগে পড়েছি লেখকের বইতে। আজও আবার পড়লাম। ১ম প্যারা পড়ার পরই মনে হল আরেহ, এই চেনা চেনা লিখা আগে পড়েছি ঠিক কোথায় জানি! পরে বুঝতে পারলাম এটা স্রোতের বিপরীতে যাওয়া সেই জাপানী ছেলেটি। বইতে পড়ার সময়ই ছেলেটির জীবনের ঘটনা মনে একটা ছাপ রেখে গিয়েছিল আর সেটা আবার মনে পড়ে গেল এই লিখা পড়ে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজীব ভাই , এই কথাটি এখনকার সময়ের জন্য আরো বেশি প্রযোজ্য , নিখাদ দায়িত্ববোধের তাড়নায় একজন আরেকজনের সাথে অভিনয় করে যায় সারাজীবন , কিন্তু সেখানে কোনো আবেগিও ব্যাপার কাজ করে না

ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ভাই , শুভকামনা থাকলো

২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

এ.এস বাশার বলেছেন: স্রোতের আসল স্বাদ পেতে হলে সাঁতরাতে হবে স্রোতের বিপরীতে কথাটা আমারও মনে খুব ধরছে....।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: হা ঠিক বলেছেন , উক্তিটি আমার অনেক পছন্দের

২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর গল্প! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা জানবেন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই

২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অসাধারন !

২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার এবং শিক্ষনীয় একটি গল্প। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.