নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাবি শিক্ষার্থী প্রতীকের আত্মহত্যা : আমার নিজস্ব কিছু অভিব্যাক্তি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৩



সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতীকের আত্মহত্যার বিষয়টি কোনোভাবেই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারেনা , যদিও পত্রিকায় বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখেনি কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পত্রিকা গুলোর উচিত ছিল অনুসন্ধানী রিপোর্ট চালানো ।

প্রতীক ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশাবাদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সম্মান শ্রেণীর ছাত্র , মেধাবী এই শিক্ষার্থী অনার্স এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিল , হয়তো তার বুকভরা আশা ছিল আরো সামনে যাবার , ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কিংবা আন্তর্জাতিক মানের বড় কোনো গবেষক হবার । কিন্তু প্রতীকের জীবন এখানেই নিভে গেলো , প্রতীকের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তা তাওহিদার ভাষ্যমতে , প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হবার পরেও তার বিভাগ থেকে তাকে মাস্টার্স লেভেলে থিসিস এর সুযোগ দেয়া হয়নি যা ছিল সুইসাইডের মূল কারণযা ছিল সুইসাইডের মূল কারণ । কি অদ্ভুত দেশ আর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের !!!!

আপনাদের যাদের ধারণা আছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি সম্পর্কে তারা নিশ্চয় জেনে থাকবেন এই সাবজেক্টটি অত্যন্ত উঁচু মানের একটি বিষয় ।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একদম সামনের দিকের অর্থাৎ প্রথম ত্রিশজন শিক্ষার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা হয় এই সাবজেক্ট পাবার জন্য ।বিষয়টি সম্পূর্ণ গবেষণাধর্মী এবং সম্ভবত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ এই সাবজেক্টটি প্রথম চালু হয় নব্বই এর দশকে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ খুব সম্ভব ২০০০ সালের দিকে এই বিভাগ খোলা হয় ।মূলত বিভাগ থেকে পাশ করা বড় সংখ্যার শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যেত আগে এবং এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে , তবে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে বেশ কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বায়োটেক গ্রাজুয়েটরা বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছে ।

কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে এই সবকিছুর সাথে আত্মহত্যার সম্পর্ক কোথায় ??? বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র হচ্ছে প্রতিবছর বায়োটেকনোলজি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীর তুলনায় কর্মক্ষেত্র একেবারেই সীমিত । বেসরকারি সেক্টরে সুযোগ নেই বললেই চলে , হাতে গোনা কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যেমন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি , এটমিক এনার্জি কমিশন কিংবা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অথবা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সবখানেই সীমিত কিছু পদ এই বিভাগ থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটদের জন্য বরাদ্দ , এবং আবেদনের প্রথম শর্তই হচ্ছে অনার্স এবং মাস্টার্স এ ফার্স্ট ক্লাস এবং থিসিস থাকা আবশ্যক !!!

প্রতীককে এইসব কিছুই তাড়া করে ফিরেছে , সে দেখেছে থিসিস ছাড়া সে না পারবে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে না পারবে বিদেশে উচ্চশিক্ষার কোনো চেষ্টা করতে কারণ সকল বিদেশী স্কলারশিপের জন্য থিসিস এবং থিসিস এর গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়ে গ্রহণযোগ্য মানের পাবলিকেশন্স আবশ্যক , থিসিস না পেলে সে কোনোমতেই তাৰ কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছুতে পারবে না । আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়া তো তো বলাই বাহুল্য ।সে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তার বিভাগের শিক্ষকের কাছে তার থিসিসের সুপারভিশন নেবার জন্য কিন্তু তারা রাজি হয়নি , কিন্তু কি কারণে বিভাগের প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর সুপারভাইসর কেউ হতে চাইলো না তা রহস্যজনক !!! প্রতীক এই চাপ হয়তো সামলাতে পারেনি , ফলাফল তীব্র হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে নিজেকে মৃত্যুর কাছে সমর্পন ।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্বন্ধে আমার মন্তব্যের আর কিছুই নেই ।থিসিসের সুপারভিশন খুবই সামান্য একটা ব্যাপার , আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা বেশিরভাগ সময় এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সুপারভিশন নিয়ে শিক্ষার্থীকে পাঠিয়ে দেয় বিভিন্ন গবেষণা সংস্থায় যেমন আইসিডিডিআরবি , বিসিএসআইআর কিংবা এটমিক এনার্জি কমিশন । সেখানে একজন কো-সুপারভাইজার যিনি সেই প্রতিষ্ঠানের একজন উর্ধতন বিজ্ঞানী তার অধীনে থিসিস করে এবং থিসিস লেখার কাজ ও সে সম্পাদন করে , কোনো কোনো সময় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারভাইসর থিসিস এ কি কাজ হয়েছে তা জানেওনা এমনকি থিসিসটি পরেও দেখেনা , কিন্তু সুপারভিশন বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ থেকে তাকে সম্মানী দেয়া হয় যা সে ঠিকই তুলে নেয় ।বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের থিসিস সুপারভিশন খুবই সামান্য এবং কষ্টবিহীন একটা দায়িত্ব , তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের নিজেদের তত্ত্বাবধানে যত্নসহকারে ছাত্রকে থিসিস করে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন কিন্তু শতকরা নব্বইভাগ ক্ষেত্রেই এর উল্টো দেখা যায় ।

প্রতীকের আত্মহত্যার জন্য তার বিভাগের শিক্ষকরা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেনা ।অনুমান করা যায় প্রতিকের তার বিভাগের শিক্ষক হবার ইচ্ছা ছিল ,কিন্তু সে তার শিক্ষকদের পছন্দনীয় প্রার্থী ছিল না , সে কারণেই তার শিক্ষক হবার পথে বাধা তৈরির জন্যই সুপারভিসনে অনাগ্রহ , এই দায় থেকে কোনোভাবেই তার শিক্ষকদের মুক্ত করা যায় না ।

সবশেষে প্রতীককে বলছি , বাংলাদেশের মত একটা দরিদ্র দেশে অনেক সময় আর অর্থ খরচ হয় তোমার মত একেকজন প্রতীক তৈরী হতে । অজস্র মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্ট আর ত্যাগ জড়িত থাকে তোমার মতো একজন প্রতীক তৈরী হবার পেছনে । পৃথিবী থেকে চলে গেলেই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যায়না । তোমার দিকে তোমার পিতামাতা তাকিয়ে ছিল , তাদের একবুক আশা ছিল তোমাকে ঘিরে , তাদেরকে এভাবে কষ্ট দিয়ে তোমার যাওয়া ঠিক হয়নি ।কঠিন পরিস্থিতির সামনাসামনি হতে হয় , জীবনে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় , নিজেকে শেষ করে দেয়া কাপুরুষের কাজ ।

আর কোনো প্রতীকের এভাবে চলে যাওয়া দেখতে চাইনা ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আত্মহত্যা সমাধান নয় দায় দায়িত্বহীন কাপুরুষরাই আত্মহত্যা করে। আর এইসব আত্মহত্যা, শরীরহত্যার মতো কাজগুলোতে আমাদের ফ্যামিলি তথা কাছের মানুষজনই ঠেলে দেয়।
ভাই-সন্তানদের চাপ বা ব্লেইম দেওয়ার আগে দেশের, সময়ের অবস্থাও চিন্তা করা উচিত।

তদন্ত হোক। দোষীদের শাস্তি হোক।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমরাও চাই সঠিক তদন্ত হোক কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজ পর্যন্ত একটিও আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হয়নি

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১০

অক্পটে বলেছেন: কি বলবো মন্তব্যে, প্রতীকের জন্য কষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়মের বলি হয়ে যায় কত মেধা। আমাদের ক্ষমা করো প্রতীক!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: এই বয়সের একটি ছেলের এভাবে চলে যাওয়া আসলেই কষ্টদায়ক

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বিলশেষন করেছেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই ভালো থাকবেন

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

নতুন বলেছেন: আত্নহত্যা যে করে তার প্রতি কেন জানি সহানুভুতি জন্মেনা।

কারন যে আত্নহত্যা করে সে কাপুরুষ...ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতেই সট`কাট পথ ধরেছে।

আপনার আমার জীবনটা একটা জিনিসের চেয়ে অনেক মুল্যবান..... সেটা যে বুঝতে পারেনা তার জন্য আসলে কস্ট হয়না... প্রচন্ড রাগ হয়....

আমাদের পরিবার পাসের মানুষ, বন্ধুমহল, স্কুল-কলেজ কতৃপক্ষ এই সব কাপুরুষদের সাহাজ্য করেনা...বরং তাদের আরো ফ্রাস্টেসন বাড়িয়ে তোলে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: কারো বিপদে বা সমস্যায় সহানুভূতি না জানিয়ে তাকে নানা ভাবে বিদ্রুপ করা হয় , যা মানুষকে বিষন্ন করে খারাপ কিছু করার দিকে ঠেলে দেয়

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টের একটা মেজর পয়েন্টের সাথে আমি একমত। এই কাজটা করা হয়েছে সম্ভবত এই ছেলের টিচার হওয়া ঠেকাতেই। কারণ কোন ডিপার্টমেন্টই স্টুডেন্টের জন্য সুপারভাইজর খুঁজে দিতে বাধ্য না। সম্পূর্ণ আনকমন গ্রাউন্ড হলে কয়েকজন জয়েন্টলি গাইড করে সুরাহা করতে পারত। বা ইন্টার্ণের পয়েন্টটাও ভাল বলেছেন, বায়ো-কেমি রিলেটেড সাবজেক্টগুলোতে এটা অহরহ হয়ে আসছে। প্রথম হওয়া স্টুডেন্ট কেন, যেকোন কোয়ালিফাইড স্টুডেন্টকেই চাইলে টিচাররা অল্টারনেটিভ সলভ দিতে পারে থিসিস করার জন্য। যদিও এটা করতে তারা বাধ্য না কিন্তু চাইলে করতে পারত। এই ছেলের ক্ষেত্রে সম্ভবত কোন ডিপার্টমেন্টের পলিসিই ছিল একে টিচার হিসাবে জয়েন করতে দেয়া হবে না। এটা পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে অনেক বছর ধরে চলে আসা নোংরামি, দেখা গেছে ভাল একজন স্টুডেন্টের পজিশন ফোর্সফুলি খারাপ করে দেয়া হয় এই ইনটেনশন থেকে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য , আপনি একদম ঠিক ধরেছেন , পাবলিক বিশবিদ্যালয়গুলোতে রাজনীতির নামে প্রচুর নোংরামি চলে , দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: আজব দেশ আমাদের’ মেধাবীরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় আর মেধাহীনেরা দেশ চালায় ☻

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: দেশের উন্নতির জন্য মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন জরুরি

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তানিয়া আহমেদ নামের একজন ছাত্রীর ফেসবুক স্ট্যটাস ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি লিখেছেন যে কিভাবে তার শিক্ষক হওয়াকে ঠেকানো হয়েছে ছাত্রলীগের এক অযোগ্য প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে। সেই ছাত্রী বর্তমানে সুইডেনে ১০০% স্কলারশিপ পড়াসোনা করছেন, কিন্ত নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে যে অপমানের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা তিনি এখনও ভুলতে পারেন না।

প্রতীক হয়ত বিদেশে মাস্টার্স করার সুযোগ পেত , তার গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট ও জিআরই স্কোর দিয়ে। তবে নিজ বিশ্যেববিদ্যালয়ে যে অপমানের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে সেটা হয়ত সে মেনে নিতে পারেনি। তানিয়া আহমেদ ও প্রতীকের ঘটনা জনসমক্ষে আসায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হচ্ছে কিভাবে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা সম্পুর্নভাবে ধংস করার পায়তারা করা হচ্ছে। দশ বছর আগেও অবস্থা এরকম ছিল না। আমরাও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। এরকম অরাজকতাতো কখনই দেখিনি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য , কি বলবো , কিছুই বলার নেই !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.