নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলাদেশের পশ্চাৎপদতা এবং উন্নতিকল্পে ব্লগারদের ভাবনা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চায় বাংলাদেশ বরাবরের মত পিছিয়ে রয়েছে। দেশে কৃষি ও লাইভস্টক বিষয়ে কিছু রিসার্চ হলেও সেগুলো মোটেও মানসম্মত অর্থাৎ , উন্নত বিশ্বের গবেষণার মানের ধারে কাছে যেতে পারেনি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও একেবারেই গবেষণাবিমুখ। পুরোনো শীর্ষস্থানীয় কিছু ইউনিভার্সিটিতে যৎসামান্য কিছু গবেষণা হলেও তার কোনো সুফল আজও দেশবাসী পায়নি। ঢাকার বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা আরো করুন , নামের সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উল্লেখ থাকলেও , বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার ছিটেফোঁটা নেই। দেশের সরকারি বিজ্ঞান গবেষণাসংস্থা গুলোর অবস্থাও আরো করুন।

এমতাবস্থায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থাগুলোকে কিভাবে গবেষণামুখী করা যায় সেই ব্যাপারে ব্লগারদের সুচিন্তিত মতামত আশা করছি। কমেন্ট সেকশনে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানাবেন। অনেক ব্লগার আছেন যারা দেশে এবং দেশের বাহিরে গবেষণার সাথে যুক্ত। আপনার কোনো মতামত থেকে নিশ্চই কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার একজন শিক্ষক ছিলেন, তিনি সব সময় বলতেন, বাংলাদেশে স্কুল কলেজ ছাড়া আর কিছু নাই। বিশ্ব বিদ্যালয় নাকি নাই।

বহু দেরী হয়েছে উনার কথার অর্থ বুঝতে। উনার হিসাব ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় হবে গবেষণার জায়গা।

আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি কিছু নামীদামী মানুষ বিদেশে না থেকে দেশের কল্যানে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তাদের থেকে আসলে আমরা কি পেয়েছি সেটা বড় একটা প্রশ্ন।

আমাদের ব্লগাররাও প্রচুর বিজ্ঞানমনস্ক। কিন্তু তাদের জ্ঞান গরিমা সব কিছু মূলত একটি ধর্ম এবং ল্যাজে জুড়ে সব ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যায় হয়। তাদের বেশীরভাগের দ্বারাই খুব একটা উন্নয়ন হয়নি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সেগুলো খুব একটা গবেষণাবান্ধব ছিল না। যদিও কিনা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকরা সবসময়ই বলে এসেছেন গবেষণা তহবিল নেই , ফ্যাসিলিটি নেই , কিন্তু গবেষণার অন্যতম মূলভিত্তি হচ্ছে ভাবা , চিন্তা করা এবং নতুন আইডিয়া নিয়ে আসা কিংবা প্রতিষ্ঠিত আইডিয়ার উন্নয়ন সাধন। আমাদের দেশের গবেষকরা কতটুকু সময় বিজ্ঞান ভাবনার পেছনে অতিবাহিত করে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৮

সাসুম বলেছেন: আপনি ভুল যায়গায় নক করেছেন দাদাভাই।


এই সামু মাদ্রাসায় বউ পিটানো জায়েজ কেন, লতাজির নামের শেষে হিন্দুয়ানী জি কেন যোগ করতে হবে, কালা কুত্তার পাছাতে কি করে জিন দেখা যায়, একের অধিক বিয়ে কেন ফরজ, পেডোফাইল গিরী কেন জায়েজ, কেন আমার তালগাছ ধর্ম ঠিক আর বাকি সবার টা ভুল, কেন ডারউইন একটা মিত্থুক আর আরিফ আজাদ ( রা) প্যারাডগিস্টাইল মজিদ জ্ঞান বিজ্ঞানের বাইবেল, বেদ ও কোরআন , কেন বিবর্তন ভুল এবং মানুষ আকাশ থেকে ধুরুম করে পড়েছে এবং সর্বোপরি কি করলে পরকালে ৭২ হুর পাওয়া যাবে নিরাপদে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়।

এখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোচনা হয়না। কেউ এসব নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেই ধর্মের বলদে আকবর ও মারখোরে সিপাহ শালার রা গালাগালি আর সিন্ডিকেট নিয়ে বসে যাবে । ডেইলি নিয়ম করে জান্নাত জাহান্নামে পাঠায় পাঠার দল সবাইকে। এমন যেন খোদ বিধাতা বলদের দল কে দায়িত্ব দিছে এই কাজ করার।

যেই দেশে ইন্টার এর জীব বিজ্ঞান পাঠ্য বইয়ে গাজী আজমল সাব লিখে রাখছেন- বিজ্ঞান জানেনা বরং আল্লাহ ভাল জানে কেন এই জিনিষ এখানে আসছে সেখানে ইউনিভার্সিটি তো বহুত দূর? যেই দেশে ক্লাস ২ এর অংক বইয়ে বাচ্চাদের শিখানো হয়- ডেইলি ২টা করে কাফের মারলে জানুয়ারি মাসে সর্বমোট কয়টা কাফের মারা যাবে সেটার হিসাব করো- সেই দেশে আপনি কি করে জ্ঞান বিজ্ঞান আর গবেষণার চিন্তা করবেন??

গবেষণা মানে কি? চিন্তা করা, চিন্তা করে কি করা?? প্রশ্ন করতে শিখা দুনিয়ার সব কিছুকে।

আমাদের দেশের একটা ছেলে ইউনিভার্সিটিতে কেন যায় আসলে??

আমাদের দেশের সকল ইউনিভার্সিটির লাখো স্টুডেন্ট কে কোশ্চেন করলে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস লিখতে বললে ১% ও টিকবে না। এদের কোন পারপাস নেই কেরানির চাকুরি ছাড়া। এদের জ্ঞান আহরনের বা জ্ঞান ক্রিয়েশনের কোন তাড়া নেই।

ইউনিভার্সিটিতে কি শিখায়? আসলে ইউনিভার্সিটি শেখানোর যায়গা না । এটা হল নিজেকে ভাঙ্গার যায়গা, নিজের চিন্তাকে ভাঙ্গার যায়গা, ভিন্ন মত প্রকাশের যায়গা এবং ভিন্ন ভাবে চিন্তা করার যায়গা।

এতদিন কার চিন্তা চেতনা, ভাবনা , সমাজ , রাস্ট্র, ধর্ম , কালচার, জ্ঞান , বিজ্ঞান- সব কিছুকে প্রশ্ন করার যায়গা ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটির সাথে মুক্ত চিন্তা , লজিকাল থিংকিং, গবেষণা এ শব্দ গুলো ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।

ইউনিভার্সিটি তে এসে একজন প্রশ্ন করবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে এবং সেটার এক্সপ্লেনেবল সলিউশান বের করবে। এখানে প্রফেসর রা শিক্ষক না উনারা শুধুমাত্র আইডিয়া ভেলিডেট করবে, ভূল হলে ধরিয়ে দিবেন এবং সঠিক রাস্তা দেখাবেন। ইউনিভার্সিটি ট্রেডিশনাল শিখানোর যায়গা না, এটা হল রিসার্স এর যায়গা। ইউনিভার্সিটি আর রিসার্চ একটা আরেকটা পরিপূরক।

এখানে এসে স্টাব্লিশ্মেন্ট কে প্রশ্ন করবে, এখানে এসে প্রচলিত ধর্ম কালচার কে প্রশ্ন করবে, এখানে এসে সমাজ কে প্রশ্ন করবে, এখানে এসে বিজ্ঞান কে প্রশ্ন করবে, এখানে এসে সভ্যতা কে প্রশ্ন করবে, এখানে এসে রাস্ট্র কে প্রশ্ন করবে। এখানে এসে আইন্সটাইন এর সূত্রের ভুল ধরবে, এখানে এসে নিউটন এর ল এর ভিন্নতা প্রমান করবে, সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা নতুন গ্রহ খুজে আনবে, এখানে এসে ধর্মের ভুল বের করবে, ধর্ম প্রচারক রা ভন্ড সেটা প্রমান করবে।

ইউনিভার্সিটিতে এসে একটা ছাত্র বের করবে কি করে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হয়, কি করে ভিন্ন ভাবে দেখতে হয় কি করে একটা সমস্যার সমাধান বের করতে হয়।

প্রচলিত জ্ঞান বিজ্ঞানের আজকের এত এত উন্নতির একমাত্র কারন- ইউনিভার্সিটি তে ছাত্র রা ভিন্ন ভাবে ভাবে, ভিন্ন ভাবে চিন্তা করে, ভিন্ন ভাবে সলুশান খুজে পায়।

এই কারনে উন্নত ও সভ্য দুনিয়ায় ইউনিভার্সিটিতে যারা যায় তাদের সম্মান আকাশ ছোয়া। কারন তারা জ্ঞান সৃষ্টি করতে গেছে সেখানে। তারা বের ও হয় জ্ঞান সৃষ্টি করে।


তো আমাদের দেশের কোন স্টূডেন্ট এই চিন্তা করে? নাকি আমাদের দেশের কোন অভিভাবক কে বলা হয়- আপনার ছেলে ইউনিভার্সিটি তে গিয়ে প্রচলিত স্টাব্লিশ্মেন্ট এর বিরুদ্ধে চিন্তা করবে, আপনার মন্তব্য কি ? সাথে সাথে সেই বাবা মা, সন্তান কে ঘরে ঢুকিয়ে ফেলবে, দরকার নাই ইউনিতে যাওয়ার।

তো সেই দেশে আপনি গবেষণা কি করে পাবেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আপনার কিছু মন্তব্যের সাথে আমি একমত যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট সৃষ্টি করতে পারছে না। আশংকার বিষয় হচ্ছে , গ্রাজুয়েটদের মান দিনকে দিন অত্যন্ত নিম্নগতির দিকে যাচ্ছে।

তবে আপনার বেশ কিছু মন্তব্যের সাথে আমি একমত হতে পারছি না। দেখুন বিজ্ঞান আর ধর্ম দুটোই আলাদা বিষয়। ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস এছাড়াও গভীরভাবে ধর্মচর্চা করলে আপনিও দেখতে পাবেন এখানেও কিন্তু বিজ্ঞানের বেশ কিছু ব্যাখ্যা ইন্ডাইরেক্টলি দেয়া হয়েছে। আমার মতে ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা মতবাদ যা কিনা সহস্র বছর ধরে পৃথিবীর শতকোটি মানুষের চিন্তায় লালিত হয়ে আসছে তাকে নিয়ে অবলীলায় বিদ্রুপ করা ঠিক নয়।

সবশেষে আমি একটি কথাই বলবো , আমরা জাতিগত ভাবেই যেকোনো ব্যাপারেই সহজভাবে না ভেবে , জটিলতার দিকে গিয়ে একটা বিভাজন সৃষ্টি করে ফেলি সেটা রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্লগ সবজায়গাতেই একই রকম।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগ টিম আশা করে, ব্লগারা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করবে। অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। সামহোয়্যারইন ব্লগের কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। আশা করি ব্লগাররা সেই বিষয়ে সম্মান প্রদর্শন করবেন। মত প্রকাশের নামে যতই যৌক্তিক হোক গালি, অশ্লীল শব্দ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করছি। আশা করি, ব্লগাররা এই বিষয়ে সর্তক হবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সতর্কবার্তার জন্য। আমার মনে হয় সকল ব্লগারদের উচিত বিষয়ের মধ্যে থেকে , যুক্তি খণ্ডন করে সুলিল অথচ শানিত ভাষায় যে কোনো বিষয়ে কমেন্ট করা।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: @সাসুম, যে সমস্যা উল্লেখ করলেন সেটার প্র্যাকটিক্যাল সমাধান কোথা থেকে শুরু হওয়া উচিত বা করা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন ? অর্থনৈতিক আর সামাজিক সেফটিনেট এর সমাধান হতে পারে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ব্লগার সাসুম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট না সসার বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার সাথে হয়তো আমি একমত। তবে ধর্ম আর বিজ্ঞানকে উনি যেভাবে মুখোমুখি দ্বার করিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত এবং বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ বাহিরে।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

জাদিদ বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ আছে। শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন ছাড়া অন্য কিছু সম্ভব না।

আমার মতে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের করনীয়ঃ
১। পুরো বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
২। আগামী ১২ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা।
৩। এই সময়ে আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস প্রণয়ন ও গ্রহনযোগ্যতা (কোলাবোরেশন) নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদী সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা ও কর্মমুখী ট্রেড কোর্স চালু করতে হবে। যেন দেশে বেকারত্ব দুর হয়, মানুষ স্বনির্ভর হয়। এই মাধ্যমে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীতেও ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
৪। চাকরীর ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৫। যে সকল ব্যবসা বাংলাদেশে আছে, সেই সকল ব্যবসা বিদেশী কাউকে করতে দেয়া যাবে না। এই শূন্যস্থান পুরন করতে দেশীয় উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে ফাইনান্স করতে হবে। এতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানে চাকরীর বাজার তৈরী হবে।

এই অবস্থা যদি নুন্যতম এক যুগ চলতে পারে, তাহলে একটা সিস্টেম তৈরী হবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যেতে পারে এবং তখন রিসার্চ নিয়ে চিন্তা করা যাবে। এখন আমাদের জেনারেল সেন্সই নাই, সেখানে রিসার্চ এর ব্যাপারে প্রত্যাশা করা হবে বোকামী।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার কথা গুলোয় যুক্তি আছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যে পর্যায়ে আছে তা আপনি সম্পূর্ণ বাদ দিতে পারবেন না। আপনার দেয়া ভাবনাগুলো চালু করা উচিত ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরেই , কিংবা ৪৭ সালে দেশ ভাগের পর অবিভক্ত পাকিস্তানে। কিন্তু , বর্তমানে যেই সিস্টেমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান তাকে সম্পূর্ণ ডিমোলিশ করে নতুন সিস্টেম দেশে একটা হ্যাভক নিয়ে আসবে।

আমরা আসলে সবাই বাজারমুখী চাকরিজিবি শ্রেণী সৃষ্টি করার কাজে ব্যাস্ত ছিলাম সবসময় কিংবা বিদেশে জনশক্তি পাঠিয়ে কিভাবে রেমিটেন্স আনা যায় সেই কোনটাতেই ব্যাস্ত ছিলাম। এখানে সৃজনশীলতার বিকাশে কখনোই কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মূলত , বাংলাদেশের সমাজ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নয়।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২১

সাসুম বলেছেন: রুয়ান্ডা নামের একটা দেশ আছে। একটু খোজ নিলেই দেখবেন। বাকি সব আফ্রিকান দেশের মত এটাও একটা গরীব ও সিভিল ওয়ারে পূর্ন দেশ ছিল।
সে দেশ এখন আফ্রিকান সুইজারল্যান্ড বলে। কেন, কি করে হল??? এই দেশ টা ফলো করলেই হবে।

এই দেশের প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসে আমাদের মাদ্রাসা স্টাইলের ৫৪ হাজার চার্চ স্টাইল এডুকেশন সেন্টার অফ করছে। যেকোন চার্চের পাদ্রির নূন্যতম যোগ্যতা করছে থিওলজিতে মাস্টার্স।

এবার চোখ দিছে শিক্ষায় আর দুর্নীতি দূরীকরণে।

@নিরীক্ষক আমাদের সবার আগে দরকার ইকোনমিক সেফটি নেট। এর বিকল্প কিছুনেই।

তবে সবার আগে দরকার জনগনের জন্য কাজ করবে এমন সরকার।


উপরে জাদিদ ভাই কিছু বলছেন- আসলে এক কথায় তো বলা ইম্পসিবল অনেক ডিপ কাহিনি আছে।

সবার আগে আমাদের দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামের বাটপারি অফ করে দিতে হবে। এটা একটা প্রতারণা।

আমি আসলে এই টপিকে অনেক লিখা লিখেছি, এক কমেন্ট এ আনা যাবেনা।


মোটামুটি আমাদেরকে কিউবা, রুয়ান্ডা, চায়না মডেল ( ১৯৯০ থেকে ২০০৬) এই রুটে যেতে হবে।

তবে সবার আগে দুর্নীতি দূর করতে হবে এবং জনগনের জন্য কাজ করবে এমন সরকার লাগবে।।এসব সমাধান সরকার ছাড়া পসিবল না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সরকারকে তো আবশ্যিকভাবে জনগণের কল্যানকামী হতে হবে। রুয়ান্ডা , অথবা কিউবা কিংবা চায়নার কথা যদি বলেন , তারা কিন্তু একদম শুরু থেকেই সিস্টেমের সংস্কার করেছে অথবা বলতে পারেন এর আগে তাদের তেমন জোরালো সিস্টেম ছিল না। রুয়ান্ডা গৃহযুদ্ধে একদম ধ্বংস হয়ে গেছিলো, তারা দেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই নতুন তাদের শিক্ষা ও সমাজ ব্যাবস্থার আধুনিকায়ন করেছে। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে সেরকম কিছু করলে আমরাও হয়তো অনেকদূর চলে যেতাম।
এখন একটা সিস্টেম আমাদের দেশে চলমান , যেটা কিনা অর্ধশতাব্দী পার করে ফেলছে, েকে সম্পূর্ণ ডিমোলিশ করা দুরূহ আর সমস্যাসংকুল। হয়তো বিদ্যমান সিস্টেমেই উন্নতি করা যাবে।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



এই ব্যাপারে ব্লগারেরা কি ধরণের ভুমিকা রাখতে পারেন বলে আপনার ধারণা?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ব্লগাররা কিন্তু বহুমুখী বিষয়ে পারদর্শী। এখানে অনেক ব্লগার আছে যারা সুনামের সাথে দেশে কিংবা বিদেশে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে , তারা কিন্তু তাদের মতামত তুলে ধরতে পারেন , আপনি হয়তো দেখছেন অনেক মন্তব্য এসেছে , মন্তব্যের বিপরীতে প্রতি মন্তব্যও আসছে , সমাধানের নানামুখী বিষয়েও কিন্তু ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ব্লগারেরা কিছু সময়ের জন্য বিষয়টি নিয়ে ভাবছে যা কিনা আমাদের দেশের অনেক কর্তাব্যক্তি এমনকি গবেষণার সাথে যারা যুক্ত তারা নিজেও ভাবে না। ব্লগাররা হয়তো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না কিন্তু চিন্তা ভাবনার নতুন রাস্তা দেখতে পারবে।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি কি দেশে আছেন, নাকি প্রবাসে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ভাই আমি দেশে আছি নাকি বিদেশে আছি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন নয় , গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার আজকের পোস্ট এর বিষয়।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জ্যাকেল বলেছেন: প্রকৃত অর্থে যারা ব্লগিং করতে চান তারা অভিযোগ/অজুহাত দাঁড় করানোর বিপরীতে ব্লগে কমেন্ট করে, পোস্ট করে নিজের দিক থেকে অন্তত পরিস্কার থাকেন। এরা আসলে নিজেরা মত প্রকাশ করতে অনিহা থাকলেও অন্যরা যদি ধর্ম নিয়ে পোস্ট করে তাহলেই যেন নিজের জাত নষ্ট হয়ে গেল বলে রি রি করে ওঠেন, অনেকটা সেকালের হিন্দু সম্প্রদায়ের গোঁড়ামির মতই ব্যাপারখানা। ব্লগ যেন শুধু নাস্তিকতা চর্চার ক্ষেত্র এখানে ধর্ম নিয়ে আলাপ করলেই ইহার জাত শেষ হইয়া গেল।

যাকঃ গবেষণা ব্যাপারটা খুবই গভীরভাবে অনুধাবন/অর্জনের বিষয় যার জন্য আপনি উপযুক্ত মানুষ খুঁজবেন। এখন সরকারের আমলাদের মতই দেখেন ভার্সিটির প্রশাসন কি করতেছে। এরা যেন পারলে চেটেপুটে বিল্ডিং খেয়ে ফেলে এমন অবস্থা। এমন দুর্নিতিপ্রবণ শিক্ষাব্যবস্থায় আপনি কি আশা করেন? গবেষনা তো বহুত দুর কি বাত।

আমার ইচ্ছা শিক্ষা বিষয়ক যত দপ্তর আছে এদের কাজ হওয়া উচিত দেশে কিভাবে বাস্তবতা মুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়। বেকারদের নিয়ে স্পেশাল ইন্স্টিটিউট করে এদের নির্দিস্ট বিষয়ে(কর্ম সংশ্লিষ্ট) শেখানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ফ্যাক্টরি সমুহে বিদেশী শ্রমিক না রেখে দেশের শ্রমিক কিভাবে রাখা যায় সে ব্যাপারে বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হইবে।

ক্লাস ১২ পর্যন্ত একমুখি শিক্ষাকরণ করতে হইবে তবেই না দেশে একটা এক জাতিকরণ করা সম্ভবপর হবে। এতিমখানা/মাদ্রাসাগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় একমুখি শিক্ষায় আনয়ন করতে হইবে।

ক্লাস ফাইভ থেকে বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি পছন্দ অনুযায়ী নানা রকমের কাজ শিখাইতে হইবে। এলাকার দোকান/নানান প্রতিস্টানে এদের নিয়ম করে পাঠানো লাগবে। এতে ইহারা কোনক্রমে পড়া বাদ দিলেও বোঝা হইয়া দেশের অশান্তি বাড়ানোয় যুক্ত হইবে না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ও বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে আমরা প্রথম দিক থেকেই আমরা উচ্চশিক্ষা ব্যাবস্থাকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। তারপরেও বঙ্গবন্ধু ড কুদরাত - ই -খুদা কে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল , সেই কমিশনে একটি শিক্ষানীতিও প্রস্তাব করেছিল যার সাথে আপনার মতামতের বেশ মিল পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় , একটি সুদৃঢ় ঐক্যমত ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভবপর না।

আপনার কথা ঠিক , বিদেশী জনশক্তির উপর নির্ভর না করে , আমাদের নিজেদের তরুণ সম্ভাবনাময় সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে , এবং এতে বেকার সমস্যারও সমাধান হবে।





১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশে পিএইচডি বাগানো ব্যাতিরেকে তেমন একটা গবেষণা হয়না। একটা পিএইচডি অর্জনের সাথে সাথে গবেষণাও শেষ
এর জন্য অপ্রতুল অর্থ সংস্থান অনেকাংশে দায়ি।
পাশের দেশ ইন্ডিয়ায় একজন আইআইটি পুর্ন প্রফেসরের বেতন প্রায় চার লাখ টাকা, আর আমাদের দেশে ৭৮ হাজার। বাড়তি অর্থের জন্য আমাদের প্রফেসর দের দেশে বিদেশে গেস্ট বা খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করতে হয়। উনাদের আর গবেষণার আগ্রহ বা সময় থাকেনা।
ব্লগারগন দেশের প্রাজ্ঞজন। তারা যেসব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন তার এই পোস্ট তার চমতকার সুযোগ করে দিয়েছে। ভাল আলোচনা হচ্ছে,দেখি কে কি বলেন। সাথে রইলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশ এমনকি আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতের থেকেও আমাদের দেশের একজন পূর্ণ অধ্যাপকের বেতন অনেক কম। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় নিয়োজিত গবেষকদের জীবনমান উন্নয়ন অনেক জরুরি তাদের গবেষণায় সঠিক মনোনিবেশের জন্য।

বাংলাদেশে বেসিক সাইন্স এবং এপ্লাইড সাইন্স এ আজ পর্যন্ত কোনো সাড়াজাগানো ডক্টরাল গবেষণা হয়নি। আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বেশিরভাগ পিএইচডি গবেষকরা নামকাওয়াস্তে পার্টটাইম গবেষণা করে কোনো মোতে জাস্ট একটা ডিগ্রি নিচ্ছে। এই গবেষণাকে কোনোক্রমেই পিএইচডি গবেষণার কাতারে ফেলানো যায়না ।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৫

এপোলো বলেছেন: উপর থেকেই বদলানো শুরু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধ আর রাজনৈতিক প্রভাবে ভিসি নিয়োগ বন্ধ না করলে যত যাই করেন, গবেষণা বাড়ানো কখনো সম্ভব না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পারফরমেন্স বেসড রিওয়ার্ড চালু করা লাগবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য। অটো প্রমোশন এর কারণে নতুন শিক্ষকেরা কাজে মনোযোগ দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ওরা জানে ৪ বছর পর এমনেই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হবে, হুদাই পেইন নিয়ে লাভ নাই।
সর্বোপরি বিএসসি পাস "প্লেস এর স্টুডেন্ট" দেরই শিক্ষক বানাতে হবে মানসিকতা থেকে দূরে সরে এসে শিক্ষক নিয়োগের সময় দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। গত কয়েকবছর এ সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটা ঘটনা প্রমান করে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কেউ পিএইচডি করেছে কিনা সেটা বিবেচনায় না এনে এসএসসি তে কত GPA পেয়েছে সেটা বিবেচনায় আনা হয়। এইসব নিয়মনীতি থেকে বের হয়ে আসার সময় পার হয়ে গেছে।
এসব কিছু করার পর যদি আরও কিছু করতে চায়, তখন স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর উপর জোর দিতে পারে। স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে অনেকটা ইনফরমাল পিয়ার প্রেসার সৃষ্টি হয়। আমরা সবাই জানি, এগিয়ে যাওয়ার জন্য পিয়ার প্রেসার অনেক কার্যকরী একটা মাধ্যম ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আপনি খুব মূল্যবান কিছু দিক তুলে এনেছেন , যার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কিছুটা আশা করা যেতে পারে। প্রথমত , মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ খুবই জরুরি। শিক্ষক নিয়োগের আবশ্যিক শর্ত হিসেবে অবস্যই ডক্টরেট এবং পোস্টডক্টরেট থাকা একান্ত ভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দ্বিতীয়ত , প্রোমোশনের মূলভিত্তি হতে হবে পাবলিকেশন কোয়ালিটি এবং রিসার্চ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট। যার যত বেশি ইম্প্যাক্ট জার্নালে পাবলিকেশন থাকবে , এবং যার যত বেশি ফান্ড এবং পেটেণ্ট থাকবে তার প্রমোশন আগে হবে , অটো প্রোমোশনের সিস্টেম বন্ধ করতে হবে।

এবং, সর্বশেষ , দলীয় ভিত্তিতে ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি আবশ্যিকভাবে বন্ধ করতে হবে।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৭

গরল বলেছেন: যতদিন সরকারী চাকুরী লোভনীয় থাকবে ততদিন ছেলেপেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরের দিন থেকেই নিজের সাবজেক্ট বাদ দিয়ে বিসিএস গাইড পড়া শুরু করবে। গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা দরকার। দেশের এত বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানী, তাদের পণ্য উন্নয়ণের জন্য কোন গবেষণা কার্য্যক্রম নেই। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা প্রকল্পে কোনদিন টাকা দেয় নাই। অথচ দেখবেন প্রধানমণ্ত্রীর ত্রান তহবিলে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে। সবারই মানষিকতার উন্নয়ণ প্রয়োজন। বুয়েটের এক শিক্ষক ১৫-২০ বছর আগে একটা প্রিপেইড মিটার বানিয়েছিলেন তার ছাত্রদের দিয়ে। ডেসা বা ডেসকো তাদের প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে ঐ শিক্ষককে কাজের জন্য না হলেও শুধুমাত্র পরামর্শের জন্য হলেও রাখতে পারত। তাতে উনি হয়ত আরো নতুন কিছু করার ধারণা পেতেন বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন গ্রূপ অফ কোম্পানিজ গবেষণার জন্য বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে তাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা টিম গুলোকে। বেশ কিছু নামি দামি ফার্মাসিউটিক্যাল
কোম্পানি যেমন আস্ট্রোজেনেকা , জনসন এন্ড জনসন , ফাইজার ইত্যাদি কোম্পানি COVID-১৯ ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট এ প্রচুর অর্থ দিয়েছিলো তাদের দেশের ইউনিভার্সিটিগুলোকে।

আপনি যদি জাপানের দিকে দেখেন তাহলে দেখবেন , জাপানের বিভিন্ন ফার্মা কোম্পানি বিভিন্ন তাকেদা , নিপ্রো , দাই ইচি সানকিউ তারা স্টেম সেল গবেষণায় জাপানের ইউনিভার্সিটিগুলোকে কোটি কোটি ইয়েন বরাদ্দ দিচ্ছে। এমনকি জাপানি কোম্পানি গুলো যেমন টয়োটা , হোন্ডা , মিৎসুবিশি প্রভৃতি কোম্পানিগুলোতো এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিগুলোকে গবেষনায় বরাদ্দ দিচ্ছে।

আমাদের দেশেও এই সিস্টেম চালু করতে হবে। তার আগে আমাদের দেশের গবেষকদের ও কোম্পানিগুলোর কাছে নিজেদের উপযুক্ত বলে তুলে ধরতে হবে। কারণ , কোনো কোম্পানি আনপ্রোডাক্টিভ কোনো গবেষণা খাতে বিনিয়োগ করবে না।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালী ঈগল২৭৪,




একটি সমৃদ্ধ আলোচনার সূত্রপাত করলেন। অনেকেই সুন্দর পয়েন্ট সনাক্ত করেছেন। অন্যেরাও হয়তো করবেন।

ইউনিভার্সিটিতে কি শিখায়? আসলে ইউনিভার্সিটি শেখানোর যায়গা না । এটা হল নিজেকে ভাঙ্গার যায়গা, নিজের চিন্তাকে ভাঙ্গার যায়গা, ভিন্ন মত প্রকাশের যায়গা এবং ভিন্ন ভাবে চিন্তা করার যায়গা। সহব্লগার সাসুম এর এই মতকে সামনে রেখে বলতেই হয় -- শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই এই ভিন্ন ভাবে চিন্তা করার ইচ্ছেকে গলা টিপে মারার ব্যবস্থা করা হয়।
পাঠশালা-স্কুলে পাঠ্যবইয়ের লাইনের বাইরে কিছু লেখার প্রচেষ্টাকে অনুৎসাহিত করা হয়। কেউ ব্যতিক্রমতা দেখালে তাকে "ফাজিল" আখ্যা দেয়া হয়। এই সিষ্টেমে বড় হয়ে যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বা সরকারী নীতি-নির্ধারক হয়ে আসেন তাদের থেকে নতুন কিছু "চিন্তা"র আশা করা বোকামী। কারণ তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা শক্তিকে গোড়াতেই কবর দিয়ে দেয়া হয়েছে।
তাই সহব্লগার জাদিদ এর "আমার মনে হয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ আছে। শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন ছাড়া অন্য কিছু সম্ভব না।" বলার সাথে সহমত পোষন করে বলছি - শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ছাড়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কোনও প্রকারেই "কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়" বানানো সম্ভব নয়।
আর সর্বোপরি, শিক্ষাঙ্গনে "রাজনীতি"কে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষনা করতে হবে।
আর তা যদি না হয় তবে 'গবেষণা" শব্দটি গোয়ালেই থেকে যাবে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য। ব্লগারদের করা কমেন্ট থেকে সত্যি খুব ভালো কিছু বের হয়ে আসতে পারে। সবার কথাতেই যুক্তি আছ।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০

সাসুম বলেছেন: @সোনালী ঈগল - আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিউত্তর এর জন্য।

আমার জানা নেই আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড, ধরে নিচ্ছি সায়েন্স এই যেহেতু রিসার্স নিয়ে কথা তুলেছেন।


কেন আমি ধর্ম এবং বিজ্ঞান ও গবেষণা কে একই কাতারে দাড় করিয়ে মুখোমুখি করালাম?? একটু এক্সপ্লেইন করি।

ধর্মঃ ধর্ম আমাদের শিখায় আনুগত্য এবং নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। কোন প্রশ্ন করা যাবেনা, কোন প্রতিবাদ করা যাবে না৷ কোন আইনের বিরোধিতা করা যাবেনা। কোন বিধান এর বিপরীতে কিছু বলা যাবেনা। মোট কথা ধর্ম আমাদের শিখায়- যত জ্ঞান আছে তা সব অল্রেডি একজন মহাশক্তিধর ব্যাক্তি বা এন্টিটি জানেন এবং তিনি তার প্রেরিত মানব কে সেসব জ্ঞান দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। মোট কথা সব জ্ঞান ধর্মের একটা বইতে লিপিবদ্ধ আছে এবং এই বই পড়লেই বা বিচার বিশ্লেষণ করলেই সকল জ্ঞান বের হবে। মোট কথা- কোন কিছু এই দুনিয়ার জানার বাকি নেই, সকল কিছু জানা আছে সেই বইয়েই।

বিজ্ঞানঃ বিজ্ঞান আমাদের শিখায় আমরা কিছুই জানিনা। আমাদের নতুন করে জানতে হবে। আমাদের গবেষণা করে বের করতে হবে কেন ও কিভাবে ঘটে। আমাদের সকল সূত্র কে চ্যালেঞ্জ জানাতে।হবে, সকল সত্য কে একচ্ছত্র সত্য বলে বা মেনে তার মধ্যে কোন খুত আছে কিনা খুজতে হবে এবং নিত্য নতুন দিকে পড়ালেখা করতে হবে। যেহেতু আম্রা জানিনা সো আমাদের জানার একমাত্র উপায় প্রশ্ন করা এবং এক্সিস্টিং স্টাব্লিশড রুলস কে চ্যালেঞ্জ জানানো।

আপনি কি মনে করেন - আইন্সটাইন যদি এক্সিস্টিং ধর্মের মত স্টাব্লিশড ক্লাসিকাল নিউটনীয় ফিজিক্স কে চ্যালেঞ্জ না জানাতেন তাহলে স্পেশাল থিউরি অফ রিলেটিভিটির জন্ম হত??? মনে রাখবেন সেই যুগে তিনি নিউটনীয় ফিজিক্স ছিল ধর্মের মত এবং এর বাইরে কিছু মানেই ব্লাস্ফেমি।
এখন যদি কোশ্চেন করার উপায় না থাক্ত তাহলে কি আমরা ক্লাসিকাল ফিজিক্স এর বাইরে।কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর কোন অস্তিত্ব আবিস্কার করতে পারতাম???


এবার বুঝতে পেরেছেন কেন ধর্ম আর বিজ্ঞান ও গবেষণা মুখোমুখি???


এখন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু যে মনেপ্রানে বিলিভ করে এই দুনিয়া কোন এক দেবতা তার শিং এর উপর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তার পক্ষে কি সেই বিলিভ কে একদম বাদ দিয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ম্যাগমা অঞ্চল নিয়ে গবেষণা সহজ হবে??

কিংবা একজন মনে প্রাণে মুস্লিম যে বিলিভ করে, এই পৃথিবীতে মানুষ আকাশ থেকে ধুরুম করে পড়েছে শাস্তি হিসেবে - তার পক্ষে কি হোমো সেপিয়েন্স এর সেই এককোষী এমাইনো এসিড থেকে নিয়ান্ডারথাল হয়ে আজকের সেপিয়েন্স এ রুপান্তর নিয়ে গবেষণা সহজ হবে কিংবা সেটাতে সে ট্রাস্ট কর‍তে পারবে???


একটা জিনিশ মনে রাখতে হবে- বিজ্ঞানে বিশ্বাস বলে কিছু নেই, যা আছে টেস্টেবল ও অব্জারবেবল প্রুফ। আপনি এটা দাবি করছেন যে গরুর মূত্রে সকল রোগের ওষধ আছে? ওকে, কোন অসুবিধা নেই। জাস্ট আমাকে প্রমান করে দেখান- যেই প্রমান টেস্টেবল, হাজার লক্ষ বার করলেও সেইম রেজাল্ট আসবে, এবং অব্জারবেবল- যাতে করে আমি সহ হাজার লোক সহজেই বুঝতে পারে। এটাই হল গবেষণা বা বিজ্ঞানের সহজ সংজ্ঞা।

এখন আমাকে বলুন- গবেষণা করার জন্য এই যে চিন্তার মুক্তি দিতে হবে কিংবা সকল কিছুকে প্রশ্ন করার শক্তি অর্জন করতে হবে- এটা আপনি একটা অন্ধ বিশ্বাস এর নাগপাশ থেকে মুক্ত না হয়ে কি করে অর্জন করবেন?????

এই কারনেই- আমার মন্তব্য আপনার সহ সকলের কাছে অপ্রাসঙ্গিক লাগলেও- গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলে এটাই ধ্রুব সত্য।

তাই আমার মতামত- যতদিন অন্ধ বিশ্বাস এর শেকল থেকে বের হতে পারবেনা এ জাতি, যতদিন স্টাব্লিশ্মেন্ট কে প্রশ্ন করতে পারবেনা এ জাতি- ততদিন এ জাতির পক্ষে জ্ঞান বিজ্ঞান আর।গবেষণায় উন্নতি অসম্ভব। কারন-

গবেষণা মানেই প্রশ্ন করা, গবেষণা মানেই - ভিন্ন ও নতুন চিন্তা করা, গবেষণা মানেই- এক্সিস্টিং সত্যের বাইরে নতুন সত্য লুকিয়ে আছে এটা মেনে সেই সত্যের পথে ছুটে চলা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি শক্ত এবং চিন্তার উদ্রেককারী বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। আমি এখানে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা বিজ্ঞান গবেষণাকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছি। এখানে কিভাবে আমাদের ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গবেষকদের কিভাবে আরো গবেষণামুখী করা যায় তার দিকেই দৃষ্টিপাত করতে চেয়েছি। আমাদের আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত বিজ্ঞান গবেষণায় সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো , বেসরকারি খৎ কে এর সাথে যুক্তকরণ , বিশ্বমানের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা , শিক্ষকদের প্রোমোশনের ক্ষেত্রে গবেষণা , ফান্ড নিয়ে আসা এবং ইমপ্যাক্ট জার্নালে পাব্লিকেশনকে ভিত্তি হিসেবে ধরা প্রভৃতি।

এখানে তো আমরা ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো সঘর্ষ , কিংবা সামঞ্জস্য এসব নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি , কিংবা পোস্ট এর উদ্দেশ্য তা নয় , কোনো ব্লগার ও তা করেন নি।
বিষয়টি তো সম্পূর্ণ আলাদা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শীর্ষ অবস্থানে থাকা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার গায়েই তো লিখা আছে " In god we trust" তারা কি ধর্ম বিসর্জন দিয়েছে ??? বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত রাষ্ট্র যার মূলভিত্তি হচ্ছে ধর্ম , সেই ইসরাইল তো গবেষণায় একদম উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে যা কিনা সারা পৃথিবীর নিকট ঈর্ষণীয় , তারা কি ধর্ম বাদ দিয়েছে ????? ধর্ম তো তাদের বিজ্ঞান চর্চায় কোনো অন্তরায় হয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব বিজ্ঞান গবেষণায় প্রচুর অর্থ খরচ করছে। কি তারা তো পূর্ণাঙ্গ ইসলামী অনুশাসনের মধ্যেই তা করছে।

বিগত ১০ বছর সময়কালেই দেখা যাচ্ছে , ব্লগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কিছু লিখলেই সেখানেই শুরু করে দেয়া হয় আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ্ব।

ধর্ম মানুষের হাজার বছরের লালিত বিশ্বাস, একটা সিস্টেম , জীবনবিধান এবং অবশ্যই বেশ কিছু অনুশাসন। আপনার যদি ভালো না লাগে আপনি সেটা না মানতে পারেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। পৃথিবীতে কিন্তু নাস্তিক লোকের চেয়ে আস্তিক লোকের সংখ্যা হাজারগুন বেশি এবং আস্তিক মানুষের সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে। মানুষের এই লালিত বিশ্বাস যা কিনা হাজার বছর ধরে মানুষ লালন করে আসছে তাকে আমরা কেন বিতর্কে নিয়ে আসি। মানবসভ্যতাযা ধর্ম অনেক বড় আর শক্তিশালী একটা ইস্টিটিউশন। আমাদের উচিত সেটাকে বিতর্কে টেনে না নেয়া।

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: প্রাথমিকভাবে বাজেটে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে জিডিপির ১% বরাদ্দ করতে হবে এবং এটা ধাপে ধাপে ৩% এ নিয়ে যেতে হবে এক দশকের মধ্যে। এর মাঝে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর খোলনোলচে পাল্টে ফেলতে হবে, বিশেষ করে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নামের দুষ্টুক্ষত ঝেটিয়ে বিদায় করে...শিক্ষক নিয়োগে হায়ার র্যাঙ্ক ইউনির ডক্টরেট সাথে পোস্ট ডক বাধ্যতামূলক করতে হবে...এ নিয়ে আমার দুটো বিশদ পোস্ট রয়েছে...দেখতে পারেন চাইলে...
*বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা: কিউএস র‍্যাঙ্কিং-এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হালহকিকত ও কিছু বাঁকা কথা!!
*বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার লেজেগোবরে অবস্থাঃ অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিতিও মন্তব্যের জন্য। শিক্ষক নিয়োগ বলতে গেলে , এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শুধু মাস্টার্স পাশ ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় , প্রাথমিক পদ হচ্ছে লেকচারার। পরবর্তীতে তারা শিক্ষা ছুটি নিয়ে পিএইচডি করতে চায় বিদেশে , অনেক সময় দেখা যায় নিয়োগের বহু বছর পর মধ্য বয়সে তারা পিএইচডি করতে যায় , পিএইচডি শেষে দেশে এসে কোনো গবেষণা করার স্পৃহা কিংবা এনার্জি তার মধ্যে আর থাকে না। তাই সংস্কার করতে হলে শুরুতে এই লেকচারার পদ বাদ দিতে হবে। ইউনিভার্সিটি গুলোতে জয়েনিং এর প্রাথমিক পদ হতে হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে পিএইচডি এবং সাথে কয়েক বছরের পোস্ট-ডক গবেষণার অভিজ্ঞতা।

গবেষণাখাতে সরকার এখন বরাদ্দ দিচ্ছে বেশ কিছু , কিন্তু দেখা যায় যে বেশিরভাগ অর্থ অবকাঠামো অর্থাৎ বহুতল ভবন নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনার কাজে খরচ হয়ে যায়।
সেটা না করে বাংলাদেশের এক্সিস্টিং রিসার্চ ল্যাব গুলোকে যদি বরাদ্দের মাধ্যমে সয়ংসম্পূর্ণ করা যায় , এবং বিদেশের কিছু ল্যাবরেটরির সাথে কোলাবোরেশন করিয়ে দেয়া যায় জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে তাহলে গবেষণায় একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হবে। জেলায় জেলায় ইউনিভার্সিটি না করে পুরোনো তিন থেকে চারটা ভার্সিটি টার্গেট করতে হবে , এই অর্থ দিয়ে প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে অনায়াসে বিশ্বমানে নিয়ে আসা যায় আর এটা করলেই অন্তত সামনের পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই আমরা র‍্যাঙ্কিং এ চলে আসবো।

১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১১

ঈশ্বরকণা বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
আপনার কি কোনো মনে হয়েছে আমাদের কিছু ব্লগারের এনসেস্টর উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো ? এদের কথাবার্তা এতই বোকার মতো যে সে সবের উত্তরে কিছু বলাও মুশকিল। এই সুন্দর আলোচনার পোষ্টাতেও সেই পুরোনো প্যাচাল করতেই হবে আশ্চর্য ! আরে ইসলাম আর বিজ্ঞান কনফ্লিক্ট করলে একটা ইবনেসিনা,আলখারেজমি,ইবনে ফারাবী, ইবনেরুশদ-এর মতো বিজ্ঞানী ইসলামে জন্ম নিলেন কিভাবে ? প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ইসলাম যদি বিজ্ঞানের সাথে কনফ্লিক্টিং হতো তাহলেতো এতো বড় বড় বিজ্ঞানির একের পর এক ইসলামিক সমাজে জন্মানোর কথা না। তারা কি কোনো প্রশ্ন করেনি ? তারা কি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার পরেও ইসলাম পালন করে নি ? করেছে ।ভালো ভাবেই করেছে। ইসলাম আর বিজ্ঞান চর্চা কনফ্লিক্টিং হলে সেই মিধ্যযুগে যখন আজকের আধুনিকতা নেই , সমাজ অনেক বদ্ধ সেই সময় তাদের বিজ্ঞান চর্চা করা হয়ে উঠতো না। বিশ্ব মনীষা হওয়াতো দূরের কথা! এই সহজ সত্যিটা এরা কখনোই স্বীকারও করবে না আর বুঝবে কি না সেটাও জানি না। সেই আট নয়শো বছর আগে ইসলামের বৈজ্ঞানিক অগ্রসরতার কারণ ছিল বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের প্রাধান্য। এখন সেটা নেই। এই না থাকাটাই ফ্যাক্টর হয়ে গেছে এখন ইসলামিক দেশগুলোর অনগ্রসরতার । কারণ রাজনৈতিক প্রাধান্য হারাবার সাথে সাথে অর্থনৈতিক ক্ষমতাও তারা হারিয়েছে একই সাথে । প্রায় তিন চারশো বছরের পরাধীনতায় যেই পরিমান সম্পদ পাচা র হয়েছে এই মুসলিম দেশগুলো থেকে তার পরিণতি হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর দারিদ্র। এই একই ব্যাপার আপনারা দেখতে পাবেন আফ্রিকার খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলোতেও। সম্পদের পাচারই এইসব দেশগুলোকে এখনো স্বনির্ভর হবার অন্তরায় হয়ে আছে। এখানে ধর্ম ফ্যাক্টর না ।এখানে মূল ফ্যাক্টর হলো কলোনিয়াল পাওয়ারগুলোর লুটপাট। এই লুটপাট একটা পরনির্ভর অর্থনীতির সূচনা করেছে এইসব দেশে। যেই মুসলিমদেশগুলোতে এখন সম্পদের সমস্যা নেই তাদের বিজ্ঞান শিক্ষার অবকাঠমো কিন্তু খুবই ভালো। সৌদি আরবের কথাই ধরুন চারকোটিরও কম জনসংখ্যা কিন্তু এশিয়ার সেরা দশটা ইউনিভার্সিটির মনে হয় তিনটা ওখানে ! ধর্ম তাদের বিজ্ঞান শিক্ষার কোনো অন্তরায় নয়। মালয়েশিয়া, টার্কিরও ডেভলাপমেন্ট খারাপ না আঞ্চলিক রাজনীতির প্রভাবের কথা মাথায় রাখলে ।

এখন বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর মতো না হলেও শিক্ষা কাঠামো মালয়েশিয়া, সৌদি আরব বা টার্কির মতো হতে পারছে না কেন ? এর সাথে ধর্মের প্রতিবন্ধকতা খুব বেশি কিছু নেই। আমাদের পরাজিত রাজনীতির ব্যর্থতা এটা ।আর শিক্ষার প্রত্যেকটা ধাপের অবস্থা খারাপ রেখেতো ভালো বিজ্ঞান গবেষণার আশা করা বোকামি । সেটা তো হবে না কখনো । শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষার পুরো ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত করতে হবে। সব কিছুতে অপর্যাপ্ত বাজেট রেখে মান সম্পন্ন গবেষণা হবে কেমন করে ? খুব দ্রুত এর ট্র্যাপ থেকে বের হবার সুযোগ আমার মনে হয় নেই । আমার নিজের একটা হাইপোথিসিস আছে এই ব্যাপারে । সেটা এখানে বলছি না । কিন্তু এর খানিকটা অমর্ত্যসেন অনেক আগেই বলেছেন উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র লাগবেই। সেটা যতদিন না হবে ততদিন আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা কেন কোনো কাঠামোতেই উন্নয়নের সুযোগ খুব বেশি নেই। গুনগত, কাঠামোগত একটা বড় চেঞ্জ শিক্ষা খাতে না আনতে পারলে মানসম্পন্ন গবেষণায় আশা এই কাঠামোতে করার মানে নেই ।

যাক শেষে বলি, ব্লগটা একটা লেখার প্ল্যাটফর্ম।এখানে কদর্য ভাষা যদি কেউ দিনের পর দিন ব্যবহার করতে থাকে তার আপনি যদি তার দুটো করে মন্তব্য মুছে আশা করেন ব্লগ ভালো থাকবে সেটা কিছু দুরাশায় আমার মনে হয়। এগারো বছর অনেক দীর্ঘ সময় । এতো বছর ব্লগিংয়ের পরেও যদি কেউ ব্লগে কি ভাষা ব্যবহার করা উচিৎ সেটা না বুঝে তাহলে এই আপদগুলোকে ব্লগে আরো বড় বিপদ ক্রিয়েট করার সুযোগ না দিয়ে এখনই এদের কঠিন ভাবে সামলান। সেটাই ব্লগের জন্য ভালো হবে মনে হয় ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন ভাই আপনি। আসলে ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে মূলত কোনো সংঘর্ষই নেই। দুটোই যার যার জায়গায়। আর এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক করাও অনর্থক , আর এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বের হয়ে আসবে না। আর মন্তব্যের ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার না করাই ভালো, আপনার এই কথার সাথেও আমি একমত।

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক আজকাল রাজনীতি আর প্রশ্ন ফাঁস বাণিজ্যতে ব্যস্ত

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। প্রশ্নফাঁস মনে হয় আগের চেয়ে কমেছে কিছুটা।

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



১৭ নং মন্তব্যে টাইপো:

আপনি *কোথায় আছেন, তা' আমার জানার দরকার ছিলো!

১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
আমার কিছু বলার নাই। কিছু বলতে গেলেই আমি এখন শত্রুতে পরিনত হবো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: রাজীব ভাই আপনি সামু ব্লগের একজন পুরোনো এবং অভিজ্ঞ ব্লগার এতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনার লিখার হাতও ভালো। আপনি আবেগ পরিহার করে , যুক্তি দিয়ে সুস্থির মস্তিষ্কে মন্তব্য করবেন তাতে দেখবেন কারো সাথে আপনার কনফ্লিক্ট হবে না। আর বিতর্ক উদ্রেক করে এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করে পোস্ট না দেয়াই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.