নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল থাকেন সব সময়।

ক খ ত্রিমোহনী

আমি নগন্য একজন মানুষ। চাল চুলো কিছুই নেই । খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে চলে যাচ্ছে । এই আর কি।

ক খ ত্রিমোহনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

|| আমাদের সম্পর্ক ||

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১২



বড়সড় কোন কারণে নয়, ছোট ছোট কারণেই ইদানীং আমাদের সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে || খুব সহজেই একজন আরেক জনকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে || না বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকছে, না ভালোবাসার বন্ধন টিকে থাকছে, না স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন স্থায়ীত্ব লাভ করছে || মন চাচ্ছে সম্পর্ক রাখছে -- মন চাচ্ছে না ঠুসঠাস করে সম্পর্কটি শেষ করে দিচ্ছে || একটু উনিশ বিশ হলেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে || দিনে দিনেই এত এত বছরের মায়া - প্রেম - স্মৃতি - সম্পর্ক - সংসার সবকিছু শেষ করে দিচ্ছে || পেছনের মানুষটির কী হবে ? সন্তান সন্ততির কী হবে ? ভবিষ্যতের পথচলা কী হবে ? এসব কিছুই ভাবছে না -- একদমই না ||

যে কোন সম্পর্কেই এক আধটু মান - অভিমান - ঝগড়া ঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে || কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এসবের কারণে পাশের মানুষটিকে ছেড়ে চলে যেতে হবে -- এত এত দিনের একটি সম্পর্ক শেষ করে দিতে হবে || এটা কোন সমাধান হতে পারে না || এটা কোন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না || এমন কোন সম্পর্ক নেই -- এমন কোন দম্পতি নেই -- যাদের মধ্যে কম বেশ এসব হয় না || কারোটা প্রকাশ পায় -- কারোটা প্রকাশ পায় না || কেউ মান অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি হলে পরে নিজেরাই ঠিক করে নেয়, আর কেউ কেউ এসবের ধার ধারে না উল্টো এখানে-ওখানে পাশের মানুষটির বদনাম করে এবং দূরত্ব সৃষ্টি করে || ঠিক এতটুকু ব্যবধান, আর কিছুই নয় ||

আসলে দিন দিন মানুষজন কেমন জানি অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে || কারো কোন ধৈর্য থাকছে না, সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করছে না || না আছে একে অন্যের প্রতি সেক্রিফাইসিং -- শেয়ারিং -- কেয়ারিং || উপরন্তু হয় এপাশের মানুষটি ওপাশের
মানুষটিকে মূল্যহীন - সস্তা ভাবছে, না হয় ওপাশের মানুষটি এপাশের মানুষটিকে মূল্যহীন - সস্তা ভাবছে || হয় ডানপাশের মানুষটি মনে করছে বামপাশের মানুষটি ভুল, না হয় বামপাশের মানুষটি মনে করছে ডানপাশের মানুষটি ভুল || একে অন্যের আবেগ - অনুভূতির প্রতি না আছে কোন শ্রদ্ধা, না আছে কোন ভালোবাসা ||আবার একজন সেক্রিফাইস করতে করতে আর ডুকরে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আরেকজন একের পর এক তাকে তীব্র অবহেলা করে যাচ্ছে || পাশের মানুষটির জন্য এতটুকু অনুভূতি জাগছে না তার ||

চাইলে আপনি একটা মানুষের অনুভূতির মূল্য দিতে পারেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে পারেন, ছোট ছোট ভুল গুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন -- পারেন একটি সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে || আবার চাইলে আপনি একটু উনিশ বিশ হলেই একটা মানুষকে তীব্র অবহেলা করতে পারেন, তার হাতটি ছেড়ে দিতে পারেন, তাকে ডুকরে ডুকরে কাঁদাতে পারেন -- পারেন একটি সম্পর্ককে দিনে দিনেই শেষ করে দিতে || আপনি কি করবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার || শুধু মনে রাখবেন, আপনি যেমনটা করবেন, ঠিক তেমনটাই একদিন আপনি ফেরত পাবেন || আপনি অন্যায়ভাবে একটা মানুষকে কাঁদাবেন, তার সুন্দর একটা ভবিষ্যত নষ্ট করবেন, ব্রেকআপ করবেন, ডিভোর্সড দেবেন -- এক বা একাধিক সন্তানের মাথার ওপর থেকে মা-বাবার ছায়া তুলে নেবেন— এসবের কি কোন প্রতিফল আপনি পাবেন না ? অবশ্যই পাবেন, কড়ায় গণ্ডায় ফেরত পাবেন ||

এই পৃথিবীর বুকে যত গুলো নিকৃষ্ট কাজ আছে তার মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট কাজ হল সম্পর্ক ছিন্ন করা || এই পৃথিবীর বুকে যতগুলো নিকৃষ্ট মানুষ আছে তাদের মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট মানুষ হল যে অকারণে সম্পর্ক ছিন্ন করে || আপনি কেন পৃথিবীর অন্যতম নিকৃষ্ট কাজটি করবেন ? আপনি কেন পৃথিবীর অন্যতম নিকৃষ্ট মানুষের কাতারে নিজেকে দাঁড় করাবেন ? তারচেয়ে বড় কথা হল আপনি কেন অকারণে একটা মানুষকে কষ্ট দেবেন ? আপনি কেন অকারণে একটা মানুষের চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরাবেন ? আপনি কেন অকারণে একটা মানুষের সামনের পথচলা থামিয়ে দেবেন ? আপনি কেন অকারণে একটা মানুষের সুন্দর ভবিষ্যত নষ্ট করে দেবেন ? আপনি কেন অকারণে ডিভোর্সড দিয়ে সন্তানের মাথার ওপর থেকে মা-বাবার ছায়া তুলে নেবেন ? এতটা নির্দয় আর অমানবিক আপনি কেন হবেন ? কেন ??

আমরা ক খ পরিবার আছি কোন রকমে আপনাদের দোয়ায় || আমাদের জন্য সকলে দোয়া করবেন আমরা সব কিছুর উপরে থেকে যেন সুন্দর মত সামনে এগিয়ে যেতে পারি || সবাই ভাল থাকবেন আশা করি ||

আরিফুল ইসলাম টিটু

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

রসায়ন বলেছেন: ভালো লিখা

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: ভালো ছিলো।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সম্পর্ক ছিন্ন করা এখন খুবই সহজ। প্রযুক্তির হাত আছে মনে হয় এর উপরে।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: পশ্চিমা রঙ্গিন প্রলোভনে আমাদের বিবেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমারা ও এখন তাদের ভুলটা বুঝতে পারছে।
আগামি ৩০-৪০ বছর পর হয়ত আমরাও আমাদের ভুলটা বুঝতে পারব।
ততদিনে হয়ত অনেকগুলি ভুল হয়ে যাবে।
অনেকের মনে অনেকটা কষ্ট জমা হয়ে যাবে।
আল্লাহ আমাদের শুভ বুদ্ধি দান করুক।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্বার্থ বলে কথা ? কিছুই করার নেই আমরা নিজেরা নিজেদের শুধরাতে পারাটাই সবচেয়ে বড় জরুরী, প্রতিবেশী সমাজ দেশ শুধরানো স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.