নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী: যেমন দেখেছি ময়মনসিংহ নগরীকে

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১০



দুবছর আগে হঠাৎ কোনওরকম কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই একবার ময়মনসিংহে গিয়েছিলাম। কমলাপুর রেল স্টেশনে হুট করে একদিন চড়ে বসলাম ট্রেনে, রাত দশটার হাওড় এক্সপ্রেসে। সেটাই প্রথম আমার ময়মনসিংহ যাওয়া। লোকাল ট্রেন। সেদিন কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা ভদ্রলোক অকারণে দশ টাকা কমিশন নিলেও একটি সিট দিয়েছিল বৈকি! মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোকের ঠেটের কোণে অকৃত্রিম হাসি লেগে থাকা স্মিত মুখটা মনে পড়ছে। ধন্যবাদ তাকে। অনেকেই সেদিন দাঁড়িয়েছিল ট্রেনে, অনেকটা পথই দাঁড়িয়েই গিয়েছিল কয়েকজন। তাদের মাঝে অনেক শিশু ও মহিলাকেও দেখেছিলাম। ট্রেন চলতে শুরু করলে কয়েকজনকে দেখলাম দিব্যি মেঝেতে পেপার বিছিয়ে বসে পড়লো। ব্যাপারটা ঠিক আইনানুগ নয় হয়তো, যেমন নয় এভাবে কারও ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়া। কীইবা করার আছে! সীমিত সম্পদের বিরাট জনসংখ্যার দেশ। এসব সমস্যা থাকবেই।
সেদিন ট্রেনে আমার সামনে বসেছিল এক তরুণ দম্পতী। নব কিনা তা ঠিক নিশ্চিত বলতে পারছি না! তবে ভদ্রমহিলা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তা তাকে দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। কালো বোরখা পড়েছিলেন। ওই অবস্থায় তার এই ভ্রমণকে তৎক্ষণাৎ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছিল আমার।
যাই হোক বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে, নতুন নতুন যাত্রীরা দলে দলে উঠতে লাগলো। আমি যে কামরায় ছিলাম, সেখানে বেশ কয়েকজন তরুণ এলো। কামরায় এসে দাঁড়িয়ে স্মার্ট ফোন হাতে তারা মজা করে আড্ডা দিতে লাগলো। তাদের মাঝে একজনকে দেখলাম সেই ভিড়ভাট্টার কামরায় কোনও এক বিশেষ সমস্যা নিয়ে কোনও যাত্রী বা টিকিট চেকারকে উদ্দেশ্য করে বেশ উচ্চস্বরে কিছু একটা পরামর্শ দিতে লাগলো। এ সময় চেকার তার কাছে আচম্বিত টিকিট চেয়ে বসলে দেখলাম যে, সে একেবারে স্ট্যাচু হয়ে, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে, রাতের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দেখতে লাগলো তন্ময় হয়ে, আর নাক দিয়ে কেমন যেন এক প্রকার 'ঘোৎ ঘোৎ' শব্দ করলো কয়েকবার। বেরসিক চেকার এ সময় বললো, 'আমি বুঝি না আপনার কথা।' তারপর সেই নিরুত্তর তরুণ আরও একবার নাক দিয়ে একইরকমভাবে 'ঘোৎ ঘোৎ' করলো, তবে এবার বোধহয় কিঞ্চিত উচ্চস্তরে। তার মুখাবয়বে ভয়াবহরকম বিরক্তি। দেখে মনে হচ্ছিল, কেউ বোধহয় বেচারাকে জোরপূর্বক নিমফল খাইয়ে দিয়েছে। আর আমি এসব দেখে যা বোঝার বুঝে নিলাম। থাক, এ ব্যাপারে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। যেমন সেই চেকারও আর বাড়ায়নি। আর সবচেয়ে বড় কথা দাঁড়িয়েই তো যাচ্ছে বেচারা!
ট্রেন ট্রেনের নিয়মে চলতে লাগলো, সেই অনাদিকালের পু ঝিকঝিক পু ঝিকঝিক শব্দ তুলে। রাত বাড়তে লাগলো। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ঈষদুষ্ণ উপভোগ্য একটি রাত। হাওড় এক্সপ্রেস। আমার গন্তব্য ময়মনসিংহ। জীবনে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
(চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আরেকটু লম্বা হলে জমতো বেশি। ক্যাম্পাসজীবনে আমারও এরকম হুট হাট করে বিভিন্ন যায়গায় চলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটির লাল বাসগুলোতে চড়ে একেকদিন গেছি একেক যায়গায়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এটা সূচনামাত্র। আশা করি, আরও অনেক লিখবো।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও চাই চলুক।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:


চলুক ধারাবাকিক ভ্রমণ কাহিনী-- আমি কখনো যাইনি ময়মনসিংহ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

অর্ক বলেছেন: দেখি আবার কবে লিখি। যান সময় করে। ঢাকার খুব কাছেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.