নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে বিশ্বকাপ ফুটবল

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৯



বিশ্বকাপ ফুটবল আসন্ন। এবারের বিশ্বকাপ হবে রাশিয়ায়। বিশ্বকাপ ফুটবলকে বলা হয়ে থাকে, ‘বিগেস্ট শো অন দ্য আর্থ’। সারা পৃথিবীকেই এই পুরো একটি মাস মোহাবিষ্ট করে রাখবে ফুটবল। একটি মাস শুধুই ফুটবলের। আমাদের দেশেও বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা মোটেও কম নয়, বরং অনেকক্ষেত্রে তা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর থেকেও বেশি। বিভিন্ন দেশের রঙবেরঙের জাতীয় পতাকা এসময় উড়তে দেখা যায় দেশের সবখানে- গ্রাম গঞ্জ, শহর বন্দর সর্বত্রই। লোকজন দল বেধে ভিড় ক’রে সড়কের মোরে লাইভ ম্যাচ টিভিতে উপভোগ করে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয় শুধুমাত্র বিশ্বকাপ উপলক্ষেই। চায়ের দোকান, লোকাল বাস, অফিস আদালত, রোয়াক, পার্কের বেঞ্চ সবখানে শুধু ফুটবল ফুটবল আর ফুটবল। সত্যি, আমাদের দেশের আপামর মানুষের জন্যে দারুণ আনন্দের একটি মাস, বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি মাস।

মনে পড়ছে, বিগত কোনও এক বিশ্বকাপে একবার সেলুনে চুল কাটতে গিয়েছিলাম, এসময় নরসুন্দর মহাশয় সেখানে উপস্থিত জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে ফুটবল নিয়ে এমন সিরিয়াস আড্ডা দেয়া শুরু করলো যে, আমার মনে হচ্ছিল কোনও ফুটবল বিশ্লেষক, গবেষক যেন আমার চুল কাটছে! চুল কাটায় তার আদতে কোনও মনোযোগই ছিল না, সব মনোযোগ ফুটবল নিয়ে আড্ডায়। কোনওরকম আর্মিদের মতো চুল ছোট ক’রে ছেটে দিয়েই বিদেয় করেছিল। হা হা হা।

ব্রাজিল আর্জেন্টিনা- দুভাগে মোটামুটি পুরো দেশ বিভক্ত হয়ে যাবে। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা, তর্কবিতর্ক, বাদানুবাদ হবে দেশের সর্বত্রই। দুয়েক জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভক্ত সমর্থকদের মাঝে তপ্ত বাক্য বিনিময় ও তা থেকে মৃদু হাতাহাতিও হবে কোথাও কোথাও।

(চলবে)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫০

আবু আফিয়া বলেছেন: আগাম বার্তা দেবার জন্য ধন্যবাদ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫১

অর্ক বলেছেন: সবাই জানে। আমি আমার মতো লিখলাম আরকি! ধন্যবাদ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫২

অর্ক বলেছেন: আরও লিখবো ফুটবল নিয়ে। সাথে থাকুন।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ১৯৯৪ সাল থেকে থেকে বিশ্বকাপ দেখছি। রোমারিওকে দারুণ লাগতো। আরও ভালো লাগতো ফেনোমেননকে। ব্রাজিলকে দুইবার বিশ্বকাপ জিততে দেখলাম। আর একবার জিততে দেখলে জীবন ধন্য। তবে এইবার পর্তুগাল জিতুক এ প্রার্থনা করব। সি আর সেভেনের এই একটা শিরোপাই পাওয়া বাকি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৪

অর্ক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আমি বরাবরই দল, রাষ্ট্রের থেকে ক্রীড়া নৈপুণ্যকে প্রাধান্য দেই। আমি ক্লিন ফুটবল পছন্দ করি। সাম্প্রতিক আর্জেন্টিনা দলটির খেলা আমার ভালো লাগে। একসময় জার্মানি’র সমর্থক ছিলাম। এখনকার খেলোয়াড়রা ঠিক গত দশকের মতো নয়। আপনার আশা পূরণ হোক।

ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা দেখছি সেই ৭৮ সাল থেকে । গভীর রাতে খেলা হলে এখন দেখি না শারীরিক কারনে তবে এবার রাশিয়ায় হওয়াতে ভালো হল । আমরা দেখছি সেই ৭৮ সাল থেকে । গভীর রাতে খেলা হলে এখন দেখি না শারীরিক কারনে তবে এবার রাশিয়ায় হওয়াতে ভালো হল । ব্লগের বন্ধুদের জন্য। ধন্যবাদ অর্ক ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য। শুভকামনা।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথম বুঝি ও দেখি ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ। কোয়ার্টার ও সেমি ফাইনালে গয়কোচিয়ার টাইব্রেকার সেভিং-এ আর্জেন্টিনা ফাইনালে। ক্যানেজিয়া সহ আরো কয়েকজন ভালো খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে দুর্বল দল নিয়েও ম্যারাডোনার সর্বোচ্চ চেষ্টা। পারলোনা আর্জেন্টিনা। কাঁদলো ম্যারাডোনা। কাঁদলো বিশ্ব। একমাত্র পরাজিত অধিনায়ক যে ট্রফি ছুঁয়ে কেঁদেছিল। দুঃখ শুরু...
১৯৯৪ সাল। আবারও আশা। ম্যারাডোনার বহিস্কার। হলো না এবারও। দুঃখ কন্টিনিউস...
১৯৯৮ সাল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাতিস্তুতার শট বারে লেগে ফিরে আসা। আবারও হার। খুবই মন খারাপ হয়েছিল সেবার। দুঃখ কন্টিনিউস...
২০০২ সাল। প্রথম রাউন্ডেই বিদায়। দুঃখ কন্টিনিউস...
২০০৬ সাল। কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়। দুঃখ কন্টিনিউস...
২০১০ সাল। কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়। দুঃখ কন্টিনিউস...
২০১৪ সাল। ফাইনালে হার। দুঃখ ফিনিস। আর সিরিয়াসলি দেখবো না ফুটবল। তার চাইতে লা লিগাই ভালো। মেসির গোল দেখি। বছরে ২/১ টা ট্রফি জিতে আনন্দ পাই...

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৭

অর্ক বলেছেন:

খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আশা করি এবার আর্জেন্টিনার শিরোপা খরা কাটবে। কি ফুটবল কি টেনিস কি হকি রাগবি বাস্কেটবল আর্জেন্টাইনদের মতো সভ্য উদার আর কেউ নয়। কোথাও সাধারণত ওরা রেফারি আম্পায়ারদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় না। আমার দেখা সবচে সভ্য ক্রীড়া জাতি। হারনান ক্রেসপো, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, সাম্প্রতিক মেসি, রিকুয়েল্মে ইত্যাদি (অনেকের নাম এ মুহূর্তে মনে আসছে না) অসংখ্য খেলোয়াড়দের ক্রীড়া নৈপুণ্য বারবার মুগ্ধ করেছিল আমাকে, আমার মতো অগণিত ক্রীড়ামোদী দর্শককে। এদের মধ্যে এরিয়েল ওর্তেগা’কে (ছবির খেলোয়াড়) কখনওই ভুলবো না। বল ড্রিবলিং কাটানোতে তাঁর মতো দক্ষ খেলোয়াড় আমি খুব কমই দেখেছি। বেশিরভাগ সময় দেখতাম তাঁকে ফাউল করে থামিয়ে দিতো প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা।

ধন্যবাদ। আর্জেন্টিনার মতো পরিচ্ছন্ন ফুটবল দেখতে চাই। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.