নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগ সংগ্রহ: বিভিন্ন সময় লেখা তিনটি কবিতা

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫



ঈশ্বর ও সার্কাসের ভাঁড়

বিরাট কিছু তো চাইনি আমি; পরিপাটি ঘরের দেয়ালে আচমকা লেগে গিয়েছিল পেন্সিলের এক রত্তি কালো দাগ, সেদিন কোনও ঐশী বলে মুছে যেতো যদি, আবার ফিরে পেতাম চকচকে নিখুঁত দেয়াল। তাতে কোন্ মহাভারতটা অশুদ্ধ হতো কার! (সে দাগ আজও রয়ে গেছে, সময়ে ক্ষীণ যদিও কিন্তু মোছেনি পুরোপুরি।)

পাখিদের মতো উড়বার নিরবচ্ছিন্নতাও চাইনি, উহু, শুধু ঘোলা জলের দুষিত কালো দিঘি দুয়েক লাফে পেরোতেই এক আধবার। তাতে কী ছাই যেতো আসতো কার (তার ’পর আমি সাঁতারও জানি না)! কিন্তু পারিনি, এবড়োখেবড়ো দীর্ঘ ঘোরা সড়কপথেই গিয়েছিলাম বারবার।

অথচ সার্কাসের ওই বামন ভাঁড়কে দেখো, উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি করে একদিন দিব্যি ভুলিয়ে দিয়েছিল পিতার টাটকা মৃত্যুশোকও। শো শেষে বেমালুম মনের সুখে হিন্দি গান গুণগুণিয়ে ফিরেছিলাম।

তবুও নির্বোধ মানুষ তোমাকে ঈশ্বর বলে, ভাঁড়কে তাচ্ছিল্যভরে সং।


এক কিশোরের মৃত্যুতে

একদিন শিশুটি ভূমিষ্ঠ হলে, ওর নানী আমাকে
ওদের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল, আজান দেবার জন্য।
পুত্র সন্তান জন্মালে, আজান দেয়ার রীতি চলে
আসছে এখানে। আমি আজান দিয়েছিলাম।
আজ প্রায় দেড় যুগ পর খবর পেলাম, সেদিনের
সেই সদ্যোজাত শিশুটি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে
গা’য়ে কোথাও বল লেগে মারাত্মক আহত হয়।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন রোগে ভুগে মারা যায়। খবরটা
শুনে হঠাৎ মনে হলো, সেদিন যদি আমার জায়গায়
অন্য কেউ আজান দিতো, তাহলে এই মৃত্যু নাও
হতে পারতো! আশৈশবই আমি ঘোর অবিশ্বাসী
নেহাত পাঠ্যসূচিতে ছিল বলে আজান মুখস্থ
করেছিলাম।


বুমেরাং

তাদের উপাসনালয়ের সবচেয়ে উঁচু মিনারে নাচছিল একদল ন্যাংটো বানর। বানরের প্রস্রাবের দুর্গন্ধ চারপাশে। তারা সবাই নিচে দাঁড়িয়ে চেঁচাচ্ছিল হায় হায়। আমি বলেছিলাম ঢিল ছুড়ে বানরগুলো তাড়িয়ে দিতে। জবাবে তারা রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে আমাকে দুষ্ট নাস্তিক পাপিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে জানালো যে, ওই পবিত্র ঐশী মিনারে ঢিল ছোড়া যাবে না কিছুতেই। এতে নাকি ধর্মের ঘোর অপমান, মহাপাপ, সমূহ বিপদ নেমে আসবে পৃথিবীতে ইত্যাদি। আমি আর কিছু বলিনি, ফিরে এসেছিলাম। তারা আগের মতোই চেঁচিয়ে চললো উদ্বাহু। অপেক্ষা করতে লাগলো বানরগুলোর স্ব’প্রণোদিত হয়ে নেমে যাবার। ইত্যবসরে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ তীব্রতর হলো, ছড়িয়ে পড়তে লাগলো ক্রমশ।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

অর্ক বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, রাকু হাসান, স্রাঞ্জি সে, আপেক্ষিক মানুষ ও আরও বন্ধু শুভাকাঙ্খী ব্লগারদের ফিরে আসার জন্য বিভিন্ন সময় মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেকদিন পর (প্রায় দেড় বছর) পোস্ট করলাম। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালবাসা।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর আপনার পোস্ট দেখে দারুণ আনন্দ পেলাম অর্কদা। পোস্ট পড়ে আবার মন্তব্যে আসছি।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

অর্ক বলেছেন: স্বাগতম দাদা।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তিন নং "বুমেরাং" বেশি ভালো লেগেছে।

ধর্ম প্রেম বা ধর্ম বিশ্বাসের সাথে 'উপাসনালয়, লেবাছ, ভেখ-ভঙ্গী' মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!! :)


কিছুদিন আগে তোমার কথা মনে হয়েছিলো।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন:


অর্ক ভাইয়া ,আপনি ব্লগে ফিরে আসায় আমি খুব খুব খুব আনন্দিত হয়েছি । আপনার সাথে খুব একটা ব্লগিং করার সুযোগ না হলেও । আামার ,সামু পরিবারের সদস্য হিসাবেই নিয়েছিলাম । তাই কেউ একজন চলে যাবে সেটা চাই না ,চাইবো না । তাই মনটা আঁকু,পাঁকু করতো । কেন আমরা একসাথে থাকতে পারবো না । আমরা কি এমন ব্যস্ততা নিয়ে থাকি ,দিনে,মাসে হলেও ব্লগে উঁকি দিতে পারবো না! হ্যাঁ ব্যস্ততার জন্যই অনেকেই আসে না ,আমিও অনিয়মিত হই । কিন্তু এটা যদি মন থেকেই বলি আসবো না । তখন খারাপ লাগতে পারে অন্যদের । আমার বেলাও তাই । তাই আমি চেয়েছিলাম ,আপনার আশার ইচ্ছাটা যেন গলা টিপে মেরে না ফেলুন । পোস্টে আসায় অকৃত্রিম ভালোলাগা হলো আামার ভেতর । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আমাদের অনুরোধ রেখেছেন । আমাদের সম্মান দিয়েছেন । তাই তো আপনি সম্মানের পাত্র । সম্মান ,শ্রদ্ধা করি এবং করবো । অনেক ভালো থাকবেন অর্ক ভাইয়া । :) 8-|

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

অর্ক বলেছেন: জি জি আপনি আমার হৃদয় নিন রাকু হাসান। আশা করি আগামীতে আরও অনেক কথা হবে। অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ফল্গুপ্রবাহে ভরে থাকা অনাগত প্রতিটি দিন।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওমন করে বলতে নেই!!!

না না অন্য কিছু নয়!
আয়নাতে কে কবে নিজেকে ন্যাংটো দেখে খুশী হয়েছে বলুন তো?

সত্য বুঝি এমনই।
তাকে পোষাক পরিয়ে রাখতে হয় - - -
;)

ওয়েলকাম ব্যাক!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৪

অর্ক বলেছেন: আপনার মন্তব্য দিব্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: চমৎকার!!
নিয়মিত আশা করছি!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১১

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
ব্রলিয়ান্ট মিঃ অর্ক !

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১১

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৪১

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ক্ষুদে পোস্ট, কিন্তু চমৎকার, অসাধারণ

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১২

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১২

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আয়রনিক্যলি তিনটি পোস্টটিই অর্থবহ। আর বুমেরাং সেটাতো বরাবরই বুমেরাং।

আশাকরি অর্কদা এখন থেকে ব্লগে নিয়মিত হবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

অর্ক বলেছেন: যারপরনাই প্রেরিত হলাম। প্রচুর ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

কবিতাগুলো অর্থবহ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে আসলেন। শুভকামনা ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। শুভকামনা রইলো।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৫

সোহানী বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো ভাবনাগুলো, অর্ক।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহানী আপু। শুভকামনা নিরবচ্ছিন্ন।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জীবনে বৈচিত্র্য আছে বলেই জীবনকে আমরা জীবন বলি।
লৌকিকতা, সামাজিকতা, ধর্ম তার জায়গায় থাক। সবকিছু সবসময় হয় না।

ক্ষুদ্র কিন্তু গূঢ়।

অনেক আগেই পড়ে ভালোলাগাটুকু জ্ঞাপন করেছিলাম, এবার পূর্ণ মন্তব্য করলাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

অর্ক বলেছেন: দারুণ উদ্দীপিত হলাম। অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.