নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউক্রেন রাশিয়া সঙ্কট তুঙ্গে। যুদ্ধ শুরু হলো বলে! রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভীষণরকম গোঁয়ার লোক। সিদ্ধান্ত থেকে এক চুল সরানো যাবে না তাকে। বহির্বিশ্বের কোনওরকমের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। রাশিয়ানরা প্রচণ্ডরকম দেশপ্রেমিক জাতি। দেশের সঙ্কটে ন্যায় অন্যায় পক্ষ বিপক্ষ ভুলে সবাই এক সরলরেখায় এসে দাঁড়ায়। তারা সাহসী। যে কোনও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত সবসময়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দেশের ভিতরে কোনওরকম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে না পুতিনকে। ইউক্রেন দখল করা চুটকি বাজানোর মতো সহজ হবে তার জন্য। সামরিক শক্তিতে বহু এগিয়ে রুশরা। আমার প্রিয় ফুটবলার, আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর দেশ ইউক্রেন। আয়তনে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ (রাশিয়ার পরে অবস্থান)। কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র সারে চার কোটি। এককভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার অর্থ আদতে আস্ত এক স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মহত্যা করা। কিন্তু তারা করতে পিছপা হবে না। সুদীর্ঘ রাশিয়ান শোষণ নিষ্পেষণের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাদের মাঝে বলা হয়েছে। যা আজকের প্রতিটি ইউক্রেনীয়ের মাঝে আত্মরক্ষার জন্য যে কোনও ত্যাগ স্বীকারের মানসিক দৃঢ়তা দিয়েছে। তাদের সামনে এটা লড়বো মরবো পরিস্থিতি। তারা প্রস্তুতও। ইউক্রেনের রুশ জনগোষ্ঠী বরাবরই রাশিয়াকে সমর্থন করে আসছে। অবশ্য না করবার কারণ নেই। তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা সেখানে মোটেই ভালো নয়। তাদের অভিযোগ, রুশ হবার কারণে রাষ্ট্র প্রশাসন তাদের সাথে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো ব্যবহার করে থাকে। ইউক্রেনীয়দের মতো সুযোগসুবিধা পায় না। ইউক্রেনীয় ও রুশদের সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের ইতিহাস বহু পুরনো। শুধু ইউক্রেনই বা বলি কেন, বৃহৎ এ অঞ্চলে অরুশীয় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মাঝেও রুশ বিরোধী মনোভাব তীব্রভাবে বিদ্যমান। রাশিয়ানদের নীল রক্তের দম্ভ প্রবল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্য এটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। অরুশীয় জাতিগোষ্ঠী রাশিয়ার আধিপত্য থেকে মুক্তি চেয়েছিলো। সবমিলিয়ে সেখানকার সমস্যা অত্যন্ত জটিল। এখানে ন্যাটোসহ বহির্বিশ্বের ভূমিকার ওপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ। বাস্তবিকই আমরাও এর বাইরে নই। সারা বিশ্বই আজ বিরাট সঙ্কটে। খুব অল্প দৈর্ঘ্যেরও একটা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ পৃথিবীকে ভয়াবহরকম অস্থির করে তুলবে।
(অসমাপ্ত)
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দ্রব্যমূল্য আরো বাড়ার টেনশনে আছি। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে আছি। আরো বাড়লে পটল তোলার উপক্রম হয়ে যাবে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪
অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সামরিক বেসামরিক অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে চলেছে! ভাবতেই স্তব্ধ হয়ে পড়ছি। অর্থহীন এই মৃত্যু! বৈশ্বিক অর্থনীতি সঙ্কটাপন্ন। কেউ এর বাইরে নয়। দেখা যাক। মূক দর্শক। একজন লোকের গোঁয়ার্তুমি!
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
স্যাংশনই হয়ত ন্যাটো ও আমেরিকার একমাত্র পুজি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৭
অর্ক বলেছেন: এ মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ, ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে তৎক্ষনাৎ কিছু করা দরকার। একজন লোকের গোঁয়ার্তুমি, সারা বিশ্ব আজ ভয়ানক সঙ্কটে!
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৩
গরল বলেছেন: রাশিয়ার অস্ত্রের বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে, তেল গ্যাস ও এখন আর কেউ নিতে অতটা আগ্রহী না কারণ ডিসেম্বর ২০২১ এর ভেহিকেল রেজিষ্ট্রেশন এর হিসেব অনুযায়ী ইউরোপের মোট গাড়ির ২৯%ঈলেক্ট্রিক ভেহিকেল যা ২০৩০ এ ৬০% ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস। উন্নত দেশগুলোতে এখন বাসাবাড়িতেও আমরা ইলেক্ট্রিক চুলা ও বয়লার বিহীন ওয়াটার হিটার ব্যাবহার করে থাকি। অতএব গ্যাস ও তেল বন্ধের হুমকি রাশিয়ার কোন কাজে আসছে না। বিশ্বকে খাওয়ানোর মত রশিয়ার হাতে আর তেমন কিছু নাই, ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলেই মনে হচ্ছে। নিজে যেহেতু উন্নতি করতে পারছে না, যুদ্ধ বাধিয়ে অন্যের উন্নতি যদি কিছুটা বাধাগ্রস্থ করতে পারে তাতে হ্য়ত আর কিছু দিন ভালো থাকা যাবে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
অর্ক বলেছেন: অস্ত্রের বাজার কি মুদি দোকান পেয়েছেন! এখনও নিয়মিত অস্ত্র বিক্রি করছে রাশিয়া। অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তি মতো অস্ত্র সরবরাহ করতে পারছে না। অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শেষ দশ বছরে কী পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া জানেন?
ইলেক্ট্রিক ভেহিকলের চাহিদা বাড়ছে সত্যি কিন্তু তেলের যানের উৎপাদনেও তেমন কোনও ভাটা পড়েনি। বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি তেলের ওপর নির্ভরশীল। এটা রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে না!
শূন্য থেকে শুরু করে পুতিন রাশিয়াকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তা ঈর্ষনীয়। রাশিয়ানরা অন্ধের মতো তার ওপর আস্থাশীল। কোথায় পেলেন রাশিয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকার! অনেকটা গুছিয়ে নিয়েই ইউক্রেন দখলে নেমেছে পুতিন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: দেখার বিষয়, যুদ্ধের বিস্তার কত দূর ছড়ায়? দ্রুত সমাধানই কাম্য।
০১ লা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪
অর্ক বলেছেন: নিঃসন্দেহে, যুদ্ধ মানেই ধ্বংস, বিভীষিকা। যুদ্ধের সমাপ্তি, শান্তিপূর্ণ সমাধান পৃথিবীর প্রতিটি শান্তিকামী শুভ বুদ্ধির মানুষের চাওয়া।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় যদি ইউক্রেনের ভেতর সরকার বিরোধী মানে রাজাকার বাহিনী গড়ে তুলতে পারে তবে যুদ্ধ ভিন্ন পথে আগবে বলেই মনে হচ্ছে। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে রশিয়ারই সমূহ ক্ষতি। ইউক্রেনের জনগণ দৃঢ় প্রত্যয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন বলেই মনে হচ্ছে। ন্যাটো, আম্রিকা পিছন হতে বাতাস লাড়াবে। আর চীন !!! সে এখন পপ কর্ণ খাবে আর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। কারণ তার তাইওয়ান এবং ভারতের সাথেও দহরম মহরম চলছে ---যাইহোক সময়ই বলে দিবে সব ---
০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৯
অর্ক বলেছেন: আপনি ভালো বলেছেন আপু। অনেকাংশেই সহমত। অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৪
অর্ক বলেছেন: দুঃখিত লেখাটি তৈরি করতে করতেই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আরও লেখার ইচ্ছে ছিলো। যুদ্ধ বেধে যাবার পর সব হিসাবনিকাশ পাল্টে গেলো। এ প্রসঙ্গও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুনভাবে লেখার দাবি রাখে। যা লিখলাম সেটুকু প্রকাশের ইচ্ছেকে কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারলাম না। কারও বিরক্তির কারণ হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।